আজকের পত্রিকা ডেস্ক
চীনের এক কিশোর গ্রাম থেকে উঠে এসে রকেট বানানোর নেশায় মুগ্ধ করেছে অনেককে। নিজের জেদ আর পরিশ্রমে এ বছর তিনি জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ প্রকৌশল বিভাগে। ১৮ বছরের ঝাং শিজিয়ে হুনান প্রদেশের ছেলে। মাত্র ১৪ বছর বয়সে বাবার সঙ্গে বসে টেলিভিশনে রকেট উৎক্ষেপণের সরাসরি সম্প্রচার দেখার পর থেকেই তাঁর মধ্যে রকেট বানানোর আগ্রহ জন্ম নেয়।
সম্প্রতি তিনি আনন্দের সঙ্গে জানান, শেনইয়াং অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটিতে মহাকাশ প্রকৌশল বিষয়ে ভর্তি হয়েছেন। চীনের শীর্ষস্থানীয় মহাকাশ গবেষণা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর একটি এটি।
রকেট তৈরির বিষয়ে তাঁর কোনো প্রাথমিক জ্ঞান ছিল না। তাই ঝাং ভরসা রাখেন ছোট ভিডিও প্ল্যাটফর্মের ওপর। অন্যদের বানানো রকেটের ভিডিও দেখে তিনি শিখতে থাকেন। শুধু ২০২৩ সালের নভেম্বরে ডৌইন নামের প্ল্যাটফর্মে (চীনা সংস্করণের টিকটক) বৈজ্ঞানিক পরীক্ষামূলক ভিডিও ছিল প্রায় ৪৭ লাখ। শুধু পানিচালিত রকেট তৈরির ভিডিও সে বছর আট গুণ বেড়েছিল।
ঝাংয়ের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক লং ইয়ানজিয়াও বলেন, গ্রামের স্কুলে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকলেও ইন্টারনেট তাঁর আগ্রহ গড়ে তুলতে অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। ঝাং হাতের কাছে পাওয়া উপকরণ কাজে লাগিয়ে নিজের দক্ষতা বাড়াতে থাকেন। বোনের পুরোনো ল্যাপটপে ভরসা করে বিভিন্ন সায়েন্স ইনোভেশন ফোরামে ঘুরতে শুরু করেন।
প্রথম দিকে তিনি পরিবারের শূকরের খামার থেকে নাইট্রেট সংগ্রহ করে রান্নাঘরে চিনি ও পানি মিশিয়ে জ্বালানি বানানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু জ্বালানি বিশুদ্ধ না হওয়ায় ব্যর্থ হন। পরে স্কুলে শেখা ফিল্টার করার পদ্ধতি ব্যবহার করে সার থেকে বিশুদ্ধ জ্বালানি তৈরি করতে সক্ষম হন।
রকেট ইঞ্জিন বানাতে তিনি সস্তা উপকরণ যেমন—পিভিসি পাইপ আর সিমেন্ট দিয়ে পরীক্ষা চালান। তবে তাতে সাফল্য আসেনি। এরপর তিনি নিজে নিজে থ্রিডি মডেলিং ও ডিজাইন সফটওয়্যার শেখেন। নতুন বছরের উপহার হিসেবে পাওয়া আর সহপাঠীদের কাছ থেকে ধার করা অর্থ দিয়ে একটি পুরোনো থ্রিডি প্রিন্টার কিনে ফেলেন। সেটি দিয়েই তিনি রকেটের যন্ত্রাংশ তৈরি করতে থাকেন।
২০২৩ সালের জুনে নিজের জন্মদিনে তিনি বাবাকে ও সহপাঠীদের ডেকে আনেন প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ দেখার জন্য। বৃষ্টির কারণে প্রথম দিন ব্যর্থ হলেও পরদিন সফলভাবে রকেট উৎক্ষেপণ করেন। শতাধিক প্রচেষ্টার পর ঝাং চার ধরনের ইঞ্জিন, একাধিক এক ধাপের রকেট এবং একটি দুই ধাপের রকেট তৈরি করেছেন। তাঁর তৈরি রকেট সর্বোচ্চ ৪০০ মিটার উচ্চতায় পৌঁছেছে।
তাঁর স্কুলও তাঁকে সহযোগিতা করেছে। তাঁকে ৩ হাজার ৫০০ ইয়েন (প্রায় ৫০০ মার্কিন ডলার) সহায়তা দিয়েছে, অন্য শিক্ষার্থীদের যুক্ত করেছে এবং ক্যালিগ্রাফির জন্য নির্ধারিত একটি ঘরকে তাঁর গবেষণার অফিসে রূপ দিয়েছে। ঝাং সেই অফিসকে বলেছেন তাঁর ‘আত্মিক ঠিকানা’। নিজের বানানো কিছু যন্ত্রাংশ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করেও তিনি টাকা আয় করেছেন। সেই অর্থ দিয়ে সহপাঠীদের ধার শোধ করেছেন।
তিন দশক ধরে স্কুলে শিক্ষকতা করছেন লং ইয়ানজিয়াও। তিনি বলেন, এত গভীরভাবে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী কোনো ছাত্র তিনি আগে দেখেননি। তাঁর মন্তব্য—‘শখই মানুষের সেরা শিক্ষক।’
ঝাংয়ের পরিবারও তাঁর স্বপ্নকে সমর্থন করে গেছে। তাঁর বাবা হুনান প্রদেশের রাজধানী চাংশায় রাইড শেয়ারিং গাড়ি চালান। মা অন্য শহরে গৃহকর্মীর কাজ করেন। বাবা জানান, ঝাং অন্য ছেলেমেয়েদের মতো ভিডিও গেমে আসক্ত হয়নি। বরং ছোটবেলা থেকেই খেলনা খুলে ভেতরের যন্ত্রপাতি বোঝার চেষ্টা করত।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে ঝাং বলেছেন, তাঁর চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ‘একটা সত্যিকারের রকেট ডিজাইন করা।’
চীনের এক কিশোর গ্রাম থেকে উঠে এসে রকেট বানানোর নেশায় মুগ্ধ করেছে অনেককে। নিজের জেদ আর পরিশ্রমে এ বছর তিনি জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ প্রকৌশল বিভাগে। ১৮ বছরের ঝাং শিজিয়ে হুনান প্রদেশের ছেলে। মাত্র ১৪ বছর বয়সে বাবার সঙ্গে বসে টেলিভিশনে রকেট উৎক্ষেপণের সরাসরি সম্প্রচার দেখার পর থেকেই তাঁর মধ্যে রকেট বানানোর আগ্রহ জন্ম নেয়।
সম্প্রতি তিনি আনন্দের সঙ্গে জানান, শেনইয়াং অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটিতে মহাকাশ প্রকৌশল বিষয়ে ভর্তি হয়েছেন। চীনের শীর্ষস্থানীয় মহাকাশ গবেষণা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর একটি এটি।
রকেট তৈরির বিষয়ে তাঁর কোনো প্রাথমিক জ্ঞান ছিল না। তাই ঝাং ভরসা রাখেন ছোট ভিডিও প্ল্যাটফর্মের ওপর। অন্যদের বানানো রকেটের ভিডিও দেখে তিনি শিখতে থাকেন। শুধু ২০২৩ সালের নভেম্বরে ডৌইন নামের প্ল্যাটফর্মে (চীনা সংস্করণের টিকটক) বৈজ্ঞানিক পরীক্ষামূলক ভিডিও ছিল প্রায় ৪৭ লাখ। শুধু পানিচালিত রকেট তৈরির ভিডিও সে বছর আট গুণ বেড়েছিল।
ঝাংয়ের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক লং ইয়ানজিয়াও বলেন, গ্রামের স্কুলে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকলেও ইন্টারনেট তাঁর আগ্রহ গড়ে তুলতে অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। ঝাং হাতের কাছে পাওয়া উপকরণ কাজে লাগিয়ে নিজের দক্ষতা বাড়াতে থাকেন। বোনের পুরোনো ল্যাপটপে ভরসা করে বিভিন্ন সায়েন্স ইনোভেশন ফোরামে ঘুরতে শুরু করেন।
প্রথম দিকে তিনি পরিবারের শূকরের খামার থেকে নাইট্রেট সংগ্রহ করে রান্নাঘরে চিনি ও পানি মিশিয়ে জ্বালানি বানানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু জ্বালানি বিশুদ্ধ না হওয়ায় ব্যর্থ হন। পরে স্কুলে শেখা ফিল্টার করার পদ্ধতি ব্যবহার করে সার থেকে বিশুদ্ধ জ্বালানি তৈরি করতে সক্ষম হন।
রকেট ইঞ্জিন বানাতে তিনি সস্তা উপকরণ যেমন—পিভিসি পাইপ আর সিমেন্ট দিয়ে পরীক্ষা চালান। তবে তাতে সাফল্য আসেনি। এরপর তিনি নিজে নিজে থ্রিডি মডেলিং ও ডিজাইন সফটওয়্যার শেখেন। নতুন বছরের উপহার হিসেবে পাওয়া আর সহপাঠীদের কাছ থেকে ধার করা অর্থ দিয়ে একটি পুরোনো থ্রিডি প্রিন্টার কিনে ফেলেন। সেটি দিয়েই তিনি রকেটের যন্ত্রাংশ তৈরি করতে থাকেন।
২০২৩ সালের জুনে নিজের জন্মদিনে তিনি বাবাকে ও সহপাঠীদের ডেকে আনেন প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ দেখার জন্য। বৃষ্টির কারণে প্রথম দিন ব্যর্থ হলেও পরদিন সফলভাবে রকেট উৎক্ষেপণ করেন। শতাধিক প্রচেষ্টার পর ঝাং চার ধরনের ইঞ্জিন, একাধিক এক ধাপের রকেট এবং একটি দুই ধাপের রকেট তৈরি করেছেন। তাঁর তৈরি রকেট সর্বোচ্চ ৪০০ মিটার উচ্চতায় পৌঁছেছে।
তাঁর স্কুলও তাঁকে সহযোগিতা করেছে। তাঁকে ৩ হাজার ৫০০ ইয়েন (প্রায় ৫০০ মার্কিন ডলার) সহায়তা দিয়েছে, অন্য শিক্ষার্থীদের যুক্ত করেছে এবং ক্যালিগ্রাফির জন্য নির্ধারিত একটি ঘরকে তাঁর গবেষণার অফিসে রূপ দিয়েছে। ঝাং সেই অফিসকে বলেছেন তাঁর ‘আত্মিক ঠিকানা’। নিজের বানানো কিছু যন্ত্রাংশ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করেও তিনি টাকা আয় করেছেন। সেই অর্থ দিয়ে সহপাঠীদের ধার শোধ করেছেন।
তিন দশক ধরে স্কুলে শিক্ষকতা করছেন লং ইয়ানজিয়াও। তিনি বলেন, এত গভীরভাবে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী কোনো ছাত্র তিনি আগে দেখেননি। তাঁর মন্তব্য—‘শখই মানুষের সেরা শিক্ষক।’
ঝাংয়ের পরিবারও তাঁর স্বপ্নকে সমর্থন করে গেছে। তাঁর বাবা হুনান প্রদেশের রাজধানী চাংশায় রাইড শেয়ারিং গাড়ি চালান। মা অন্য শহরে গৃহকর্মীর কাজ করেন। বাবা জানান, ঝাং অন্য ছেলেমেয়েদের মতো ভিডিও গেমে আসক্ত হয়নি। বরং ছোটবেলা থেকেই খেলনা খুলে ভেতরের যন্ত্রপাতি বোঝার চেষ্টা করত।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে ঝাং বলেছেন, তাঁর চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ‘একটা সত্যিকারের রকেট ডিজাইন করা।’
ভবিষ্যতে পৃথিবীর এক ভয়ংকর রূপ নেবে। এমন এক সময় আসবে, যখন পৃথিবীতে শ্বাস নেওয়া যাবে না। গাছপালা থাকবে না, প্রাণের অস্তিত্বও থাকবে না। পৃথিবী পরিণত হবে এক শুষ্ক, মৃত গ্রহে। শুনতে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী মনে হলেও, এই ভয়াবহ চিত্রটি এঁকেছেন মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা।
১৫ ঘণ্টা আগেওপেন ওয়ার্ল্ড অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াডের চতুর্থ আসরে স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশ। সশরীরে ও অনলাইন মিলিয়ে ২০টি দেশের ৯০ জন প্রতিযোগীর অংশগ্রহণে এই আসরে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছিল ছয় সদস্যের একটি দল।
১৬ ঘণ্টা আগেপ্লাস্টিক বর্জ্যকে নতুনভাবে ব্যবহার করার এক বিস্ময়কর উপায় সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে। বিজ্ঞানীরা ‘ইশেরিশিয়া কোলাই’ বা ‘ই. কোলি’ নামে একধরনের সাধারণ ব্যাকটেরিয়াকে জিনগত পরিবর্তন করে এমনভাবে তৈরি করেছেন, যাতে এটি প্লাস্টিকজাত অণু খেয়ে তা হজম করে ব্যথানাশক ওষুধ প্যারাসিটামল উৎপাদন করতে পারে।
২ দিন আগেবহু প্রাচীনকাল থেকেই গল্পকার, কবি, জ্যোতির্বিদ ও মহাকাশচারীদের অভিভূত করে আসছে চাঁদ। আর ভবিষ্যতে খনিজ শিল্পেরও প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে পৃথিবীর এই একমাত্র উপগ্রহ। বিজ্ঞানীদের ধারণা, শত কোটি বছর ধরে অ্যাস্টেরয়েডের (গ্রহাণু) আঘাতে চাঁদের পৃষ্ঠে অনেক মূল্যবান ধাতু সঞ্চিত হয়েছে।
৩ দিন আগে