নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাঁকা চোখে ‘নিশা’ এমনি এমনি লাগে না কিন্তু। তার জন্য শরীরের ভেতরে স্নায়ুতে স্নায়ুতে চলে ব্যাপক কর্মকাণ্ড। সেসব অবশ্য চোখে দেখা যায় না। কিন্তু তার ছাপ পড়ে চোখে, শরীরের অভিব্যক্তিতে, চলাফেরায় কিংবা কথাবার্তায়। এই যে চোখে চোখ রাখতে গিয়ে আপনি নার্ভাস হয়ে যাচ্ছেন, সেটা কেন হচ্ছে? কিংবা একটা ফুল অথবা একটি চকলেট উপহার দিতে গিয়ে হাতে হাত ছুঁয়ে যেতেই যে শিহরণ খেলে গেল শরীরে, সেটাই-বা কেন হচ্ছে? এগুলো বিজ্ঞানের বিষয়। এর নাম ভালোবাসার বিজ্ঞান।
গবেষকেরা দেখেছেন যে মানুষের মস্তিষ্ক প্রেমে পড়ার ক্ষেত্রে কোনো মানুষ কিছু বিষয় বিবেচনা করে। তার মধ্যে ৫৫ শতাংশ হলো বাহ্যিক রূপ, ৩৮ শতাংশ কণ্ঠস্বর ও কথা বলার ভঙ্গি এবং মাত্র ৭ শতাংশ তাদের মূল বক্তব্য শোনে।
প্রেমের তিনটি স্তর থাকে বলে জানান গবেষকেরা। এর প্রথম স্তর হলো ভালোবাসার ইচ্ছা। যখন কাউকে ভালো লাগে তখন তাকে ভালোবাসার ইচ্ছে থেকে ছেলেদের ক্ষেত্রে টেসটোসটেরন ও মেয়েদের ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেন হরমোন নিঃসৃত হয়। তারপর তৈরি হয় আকর্ষণ। এটি ভালোবাসার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্তর।
কাউকে দীর্ঘদিন ধরে ভালো লাগার ফলে তার প্রতি একধরনের আকর্ষণ সৃষ্টি হয়। এই স্তরের সঙ্গে তিনটি নিউরোট্রান্সমিটার জড়িত— এড্রিনালিন, ডোপামিন ও সেরাটোনিন। এই তিনটি স্নায়ুকোষে স্নায়ুকোষে সংকেত দেয়। বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই। এর পরেই এড্রিনালিন তার কাজ শুরু করে। এটি ভালোবাসার ক্ষেত্রে তৃতীয় স্তর।
পছন্দের বা প্রিয় মানুষটিকে দেখলেই যে আপনার কপালে চিকচিকে ঘাম দেখা দেয়, হৃৎপিণ্ডের গতি বেড়ে যায় ও গলা শুকিয়ে আসে, তার জন্য দায়ী হলো এড্রিনালিন। প্রেমে পড়ার প্রাথমিক পর্যায়ে এড্রিনালিন গ্রন্থি ও কর্টিসলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। সে জন্যই এই ঘটনাগুলো ঘটে। এর পরেই কাজে নামে ডোপামিন। এই রাসায়নিক পদার্থটি ব্যক্তির মধ্যে ‘পাওয়ার’ আকাঙ্ক্ষা তৈরি করে। ডোপামিনের নিঃসরণ বেশি হলে শক্তি বাড়ে, ঘুম ও খাওয়ার চাহিদা কমে যায় ও মনোযোগ বাড়ে। কী? সত্যি করে বলুন তো এসব লক্ষণ দেখা দেয়নি আপনার মধ্যে? জানি জানি, লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছেন। থাক বলতে হবে না। তবে শেষ স্তরের কথাটা শোনেননি। সেটা সেরাটোনিনের খেলা। সেরাটোনিন নামে এই হরমোনটিই নির্ধারণ করে কেন ও কখন আপনি প্রেমে পড়বেন!
এই মুহূর্তে আপনি যাঁর সঙ্গে কোনো পার্কে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, ফুচকা খেতে গেছেন কিংবা কোনো রেস্তোরাঁর আলো-আঁধারিতে বসে আছেন, তাঁর জন্য এই সেরাটোনিনকে ধন্যবাদ দিন। কফি, চকলেট বা আইসক্রিমে দু চুমুক বা দু কামড় বেশি বসিয়ে তাঁকে ধন্যবাদ দিন।
এখানেই কিন্তু রসায়নের খেলা শেষ নয়। আরও আছে। প্রেমের সফল পরিণতি বলে যে বিষয়টি আছে, তার জন্যও কাজ করে রসায়ন। দীর্ঘদিন একসঙ্গে ঘোরাঘুরি, ওঠাবসা, বিভিন্নভাবে একে অপরের সান্নিধ্যে থাকার পর দুজন মানুষ একে অপরের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে বা পরস্পরের প্রতি আত্মসমর্পণ করে। এ সময়টাতেই দুজন মানুষ ঘর বাঁধে। অক্সিটোসিন ও ভ্যাসোপ্রেসিন নামের দুটি হরমোন ঘরবাঁধার কাজে সহায়তা করে সক্রিয়ভাবে।
বাঁকা চোখে ‘নিশা’ এমনি এমনি লাগে না কিন্তু। তার জন্য শরীরের ভেতরে স্নায়ুতে স্নায়ুতে চলে ব্যাপক কর্মকাণ্ড। সেসব অবশ্য চোখে দেখা যায় না। কিন্তু তার ছাপ পড়ে চোখে, শরীরের অভিব্যক্তিতে, চলাফেরায় কিংবা কথাবার্তায়। এই যে চোখে চোখ রাখতে গিয়ে আপনি নার্ভাস হয়ে যাচ্ছেন, সেটা কেন হচ্ছে? কিংবা একটা ফুল অথবা একটি চকলেট উপহার দিতে গিয়ে হাতে হাত ছুঁয়ে যেতেই যে শিহরণ খেলে গেল শরীরে, সেটাই-বা কেন হচ্ছে? এগুলো বিজ্ঞানের বিষয়। এর নাম ভালোবাসার বিজ্ঞান।
গবেষকেরা দেখেছেন যে মানুষের মস্তিষ্ক প্রেমে পড়ার ক্ষেত্রে কোনো মানুষ কিছু বিষয় বিবেচনা করে। তার মধ্যে ৫৫ শতাংশ হলো বাহ্যিক রূপ, ৩৮ শতাংশ কণ্ঠস্বর ও কথা বলার ভঙ্গি এবং মাত্র ৭ শতাংশ তাদের মূল বক্তব্য শোনে।
প্রেমের তিনটি স্তর থাকে বলে জানান গবেষকেরা। এর প্রথম স্তর হলো ভালোবাসার ইচ্ছা। যখন কাউকে ভালো লাগে তখন তাকে ভালোবাসার ইচ্ছে থেকে ছেলেদের ক্ষেত্রে টেসটোসটেরন ও মেয়েদের ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেন হরমোন নিঃসৃত হয়। তারপর তৈরি হয় আকর্ষণ। এটি ভালোবাসার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্তর।
কাউকে দীর্ঘদিন ধরে ভালো লাগার ফলে তার প্রতি একধরনের আকর্ষণ সৃষ্টি হয়। এই স্তরের সঙ্গে তিনটি নিউরোট্রান্সমিটার জড়িত— এড্রিনালিন, ডোপামিন ও সেরাটোনিন। এই তিনটি স্নায়ুকোষে স্নায়ুকোষে সংকেত দেয়। বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই। এর পরেই এড্রিনালিন তার কাজ শুরু করে। এটি ভালোবাসার ক্ষেত্রে তৃতীয় স্তর।
পছন্দের বা প্রিয় মানুষটিকে দেখলেই যে আপনার কপালে চিকচিকে ঘাম দেখা দেয়, হৃৎপিণ্ডের গতি বেড়ে যায় ও গলা শুকিয়ে আসে, তার জন্য দায়ী হলো এড্রিনালিন। প্রেমে পড়ার প্রাথমিক পর্যায়ে এড্রিনালিন গ্রন্থি ও কর্টিসলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। সে জন্যই এই ঘটনাগুলো ঘটে। এর পরেই কাজে নামে ডোপামিন। এই রাসায়নিক পদার্থটি ব্যক্তির মধ্যে ‘পাওয়ার’ আকাঙ্ক্ষা তৈরি করে। ডোপামিনের নিঃসরণ বেশি হলে শক্তি বাড়ে, ঘুম ও খাওয়ার চাহিদা কমে যায় ও মনোযোগ বাড়ে। কী? সত্যি করে বলুন তো এসব লক্ষণ দেখা দেয়নি আপনার মধ্যে? জানি জানি, লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছেন। থাক বলতে হবে না। তবে শেষ স্তরের কথাটা শোনেননি। সেটা সেরাটোনিনের খেলা। সেরাটোনিন নামে এই হরমোনটিই নির্ধারণ করে কেন ও কখন আপনি প্রেমে পড়বেন!
এই মুহূর্তে আপনি যাঁর সঙ্গে কোনো পার্কে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, ফুচকা খেতে গেছেন কিংবা কোনো রেস্তোরাঁর আলো-আঁধারিতে বসে আছেন, তাঁর জন্য এই সেরাটোনিনকে ধন্যবাদ দিন। কফি, চকলেট বা আইসক্রিমে দু চুমুক বা দু কামড় বেশি বসিয়ে তাঁকে ধন্যবাদ দিন।
এখানেই কিন্তু রসায়নের খেলা শেষ নয়। আরও আছে। প্রেমের সফল পরিণতি বলে যে বিষয়টি আছে, তার জন্যও কাজ করে রসায়ন। দীর্ঘদিন একসঙ্গে ঘোরাঘুরি, ওঠাবসা, বিভিন্নভাবে একে অপরের সান্নিধ্যে থাকার পর দুজন মানুষ একে অপরের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে বা পরস্পরের প্রতি আত্মসমর্পণ করে। এ সময়টাতেই দুজন মানুষ ঘর বাঁধে। অক্সিটোসিন ও ভ্যাসোপ্রেসিন নামের দুটি হরমোন ঘরবাঁধার কাজে সহায়তা করে সক্রিয়ভাবে।
এক সময় পৃথিবীতে রাজত্ব করত ডাইনোসর। তবে সে সময়ে আরেক শিকারি নিঃশব্দে দখল করছিল ছোট ছোট প্রাণীদের দেহ। এক ধরনের পরজীবী ছত্রাক প্রাণীর দেহে নিয়ন্ত্রণ করত তাদের মস্তিষ্ক, আর শেষ পর্যন্ত কেড়ে নিত তাদের জীবন। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা ৯৯ মিলিয়ন (প্রায় ১০ কোটি বছর) বছর আগের এক টুকরো অ্যাম্বারে আবিষ্কার করেছেন..
১ দিন আগেবিশ্বে প্রথমবারের মতো মানুষের জীবনের মৌলিক উপাদান—ডিএনএ—সম্পূর্ণ নতুনভাবে তৈরির জন্য শুরু হয়েছে এক ‘বিতর্কিত’ প্রকল্পের কাজ। এত দিন এ ধরনের গবেষণা ছিল নিষিদ্ধ বা সীমিত। কারণ অনেকের আশঙ্কা ছিল—এটা একদিন ‘ডিজাইনড বা নকশাকৃত’ শিশু তৈরি বা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের পথ খুলে দিতে পারে।
৩ দিন আগেদীর্ঘ ৪১ বছর পর ভারত আবারও তার কোনো নভোচারীকে মহাকাশে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। অ্যাক্সিওম-৪ মিশনের সফল উৎক্ষেপণের পর উল্লসিত ভারতীয়রা এখন নতুন করে মহাকাশ জয়ের স্বপ্ন দেখছে। এই মিশনে ভারতীয় নভোচারী গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা একটি বহুদেশীয় ক্রুর অংশ হিসেবে মহাকাশ যাত্রা করেছেন। তিনি এখন মহাকাশে পা রাখা
৩ দিন আগেপ্রথমবারের মতো মহাজাগতিক ছবি প্রকাশ করেছে চিলির আন্দিজ পর্বতমালায় স্থাপিত ৩২০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার শক্তিশালী টেলিস্কোপ। প্রকাশিত ছবিগুলোর একটিতে দেখা গেছে, পৃথিবী থেকে প্রায় ৯ হাজার আলোকবর্ষ দূরে একটি নক্ষত্র গঠিত হচ্ছে এবং তার আশপাশে রঙিন গ্যাস ও ধুলোর বিশাল মেঘ ঘুরছে।
৬ দিন আগে