অনলাইন ডেস্ক
মহাকাশে নতুন দুই স্যাটেলাইট পাঠাল নাসা। স্যাটেলাইট দুটি পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের সঙ্গে সূর্য থেকে আসা তড়িৎ আধানযুক্ত সৌর বাতাসের মিথস্ক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করবে। এই প্রক্রিয়ার ফলেই তৈরি হয় ‘স্পেস ওয়েদার’ বা মহাকাশ আবহাওয়া, যা কখনো কখনো স্যাটেলাইট, বিদ্যুৎ গ্রিড এবং যোগাযোগব্যবস্থার জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ‘ট্রেসারস’ নামের যমজ স্যাটেলাইট দুটি পাঠানো হয়েছে স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে। স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ২টা ১৩ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যান্ডেনবার্গ স্পেস ফোর্স ঘাঁটি থেকে উৎক্ষেপণ হয় রকেটটি।
নাসার সৌর পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের পরিচালক জোসেফ ওয়েস্টলেক বলেন, ‘এই ট্রেসারস মিশনের মাধ্যমে আমরা শিখব কীভাবে সূর্য থেকে আসা শক্তি আমাদের পৃথিবী ও মহাকাশ এবং ভূভিত্তিক সিস্টেমগুলোর ওপর প্রভাব ফেলে। এটি জিপিএস, যোগাযোগব্যবস্থা, পাওয়ার গ্রিড ও মহাকাশচারীদের নিরাপদ রাখতে সহায়তা করবে।’
‘ট্যান্ডেম রিকানেকশন অ্যান্ড কাস্প ইলেক্ট্রোডাইনামিকস রিকনেসান্স স্যাটেলাইটস’—সংক্ষেপে ট্রেসারস। বোয়িং নির্মিত এই যমজ স্যাটেলাইট দুটি একই কক্ষপথে ১০ সেকেন্ড থেকে ২ মিনিট ব্যবধানে একত্রে চলবে। তারা পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের সঙ্গে সূর্য থেকে আসা সৌর বাতাসের আকস্মিক এবং দ্রুত পরিবর্তনের সময় কীভাবে শক্তি, ভর ও গতি প্রবাহিত হয় তা পর্যবেক্ষণ করবে।
প্রধান গবেষক ডেভিড মাইলস বলেন, ‘সূর্য একটি উত্তপ্ত প্লাজমার বল, যেখান থেকে সব সময় সৌর বাতাস বেরিয়ে আসে। কখনো পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র তা রুখে দেয়, আবার কখনো সেই বাতাস চৌম্বকক্ষেত্রকে ভেদ করে পৃথিবীর সিস্টেমে ঢুকে পড়ে। তখনই তৈরি হয় ঝলমলে অরোরা বা মেরুজ্যোতির মতো সৌন্দর্য, আবার ঘটতে পারে জিপিএস বিভ্রাট বা বিদ্যুৎ গ্রিডে বিঘ্ন।’
একসঙ্গে পাঠানো হয়েছে আরও পাঁচটি উপগ্রহ
ট্রেসারস ছাড়াও ওই ফ্যালকন ৯ রকেটে আরও পাঁচটি ছোট স্যাটেলাইট পাঠানো হয়। এর মধ্যে ছিল—
পলিলিঙ্গুয়াল এক্সপেরিমেন্টাল টার্মিনাল (PExT) : এটি একটি পরীক্ষামূলক টার্মিনাল, যা বিভিন্ন ভাষা বা প্রোটোকলে কাজ করা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্যাটেলাইটের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। এর লক্ষ্য হলো খরচ কমিয়ে আরও সহজে স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন নিশ্চিত করা।
অ্যাথেনা-এপিক (Athena-EPIC): এটি পৃথিবী কতটা সৌরশক্তি শোষণ ও নির্গত করে সেই তথ্যে আলোকপাত করবে, যাকে বলা হয় পৃথিবীর ‘রেডিয়েশন বাজেট’। পুরোনো যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে তৈরি এই স্যাটেলাইট লেগো স্টাইলে বানানো হয়েছে—কম খরচে ছোট স্যাটেলাইট তৈরির পরীক্ষা চালানো হবে এর মাধ্যমে।
রিলেটিভিস্টিক অ্যাটমোসফেরিক লস (REAL): মাত্র ১০ পাউন্ড ওজন ও এক ফুট দৈর্ঘ্যের এই ছোট উপগ্রহ ‘কিলার ইলেকট্রনস’ অধ্যয়ন করবে, যেগুলো ভ্যান অ্যালেন বেল্ট থেকে ছিটকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। এই ইলেকট্রন স্যাটেলাইট ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, এমনকি ওজোন স্তরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
‘রিয়েল’ মিশনের প্রধান গবেষক ডার্টমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রবিন মিলান বলেন, ‘এই ক্ষুদ্র স্যাটেলাইটে রয়েছে একটি শক্তিশালী পার্টিকেল সেনসর, যা খুব দ্রুততার সঙ্গে ইলেকট্রনের মাপ নিতে পারবে। এটা আমাদের জানতে সাহায্য করবে কীভাবে এই ইলেকট্রনগুলো ছিটকে পড়ে।’
কিউবস্যাট: এটি মহাকাশে উচ্চ গতির ৫জি যোগাযোগ পরীক্ষা করবে।
উচ্চ গতির ৫জি প্রযুক্তি: অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানির তৈরি আরেকটি উপগ্রহ বিশ্বজুড়ে বিমান ট্র্যাকিং ও যোগাযোগ সহজ করতে মহাকাশভিত্তিক এয়ার-ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট প্রযুক্তি পরীক্ষা করবে।
এক দিনের দেরিতে উৎক্ষেপণ হলেও দ্বিতীয়বারে কোনো সমস্যা হয়নি। প্রথম ধাপের ইঞ্জিন কাজ শেষ করে ফিরে আসে উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের কাছে, যেখানে এটি সফলভাবে অবতরণ করে। এরপর একে একে উপগ্রহগুলো নির্ধারিত কক্ষপথে পৌঁছে যায়—প্রথমে দুটি ছোট স্যাটেলাইট, তারপর মূল ট্রেসারস এবং বাকি স্যাটেলাইটগুলো।
মহাকাশে এমন অভিযানে ভবিষ্যতের যোগাযোগ, জলবায়ু বিশ্লেষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
মহাকাশে নতুন দুই স্যাটেলাইট পাঠাল নাসা। স্যাটেলাইট দুটি পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের সঙ্গে সূর্য থেকে আসা তড়িৎ আধানযুক্ত সৌর বাতাসের মিথস্ক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করবে। এই প্রক্রিয়ার ফলেই তৈরি হয় ‘স্পেস ওয়েদার’ বা মহাকাশ আবহাওয়া, যা কখনো কখনো স্যাটেলাইট, বিদ্যুৎ গ্রিড এবং যোগাযোগব্যবস্থার জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ‘ট্রেসারস’ নামের যমজ স্যাটেলাইট দুটি পাঠানো হয়েছে স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে। স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ২টা ১৩ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যান্ডেনবার্গ স্পেস ফোর্স ঘাঁটি থেকে উৎক্ষেপণ হয় রকেটটি।
নাসার সৌর পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের পরিচালক জোসেফ ওয়েস্টলেক বলেন, ‘এই ট্রেসারস মিশনের মাধ্যমে আমরা শিখব কীভাবে সূর্য থেকে আসা শক্তি আমাদের পৃথিবী ও মহাকাশ এবং ভূভিত্তিক সিস্টেমগুলোর ওপর প্রভাব ফেলে। এটি জিপিএস, যোগাযোগব্যবস্থা, পাওয়ার গ্রিড ও মহাকাশচারীদের নিরাপদ রাখতে সহায়তা করবে।’
‘ট্যান্ডেম রিকানেকশন অ্যান্ড কাস্প ইলেক্ট্রোডাইনামিকস রিকনেসান্স স্যাটেলাইটস’—সংক্ষেপে ট্রেসারস। বোয়িং নির্মিত এই যমজ স্যাটেলাইট দুটি একই কক্ষপথে ১০ সেকেন্ড থেকে ২ মিনিট ব্যবধানে একত্রে চলবে। তারা পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের সঙ্গে সূর্য থেকে আসা সৌর বাতাসের আকস্মিক এবং দ্রুত পরিবর্তনের সময় কীভাবে শক্তি, ভর ও গতি প্রবাহিত হয় তা পর্যবেক্ষণ করবে।
প্রধান গবেষক ডেভিড মাইলস বলেন, ‘সূর্য একটি উত্তপ্ত প্লাজমার বল, যেখান থেকে সব সময় সৌর বাতাস বেরিয়ে আসে। কখনো পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র তা রুখে দেয়, আবার কখনো সেই বাতাস চৌম্বকক্ষেত্রকে ভেদ করে পৃথিবীর সিস্টেমে ঢুকে পড়ে। তখনই তৈরি হয় ঝলমলে অরোরা বা মেরুজ্যোতির মতো সৌন্দর্য, আবার ঘটতে পারে জিপিএস বিভ্রাট বা বিদ্যুৎ গ্রিডে বিঘ্ন।’
একসঙ্গে পাঠানো হয়েছে আরও পাঁচটি উপগ্রহ
ট্রেসারস ছাড়াও ওই ফ্যালকন ৯ রকেটে আরও পাঁচটি ছোট স্যাটেলাইট পাঠানো হয়। এর মধ্যে ছিল—
পলিলিঙ্গুয়াল এক্সপেরিমেন্টাল টার্মিনাল (PExT) : এটি একটি পরীক্ষামূলক টার্মিনাল, যা বিভিন্ন ভাষা বা প্রোটোকলে কাজ করা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্যাটেলাইটের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। এর লক্ষ্য হলো খরচ কমিয়ে আরও সহজে স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন নিশ্চিত করা।
অ্যাথেনা-এপিক (Athena-EPIC): এটি পৃথিবী কতটা সৌরশক্তি শোষণ ও নির্গত করে সেই তথ্যে আলোকপাত করবে, যাকে বলা হয় পৃথিবীর ‘রেডিয়েশন বাজেট’। পুরোনো যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে তৈরি এই স্যাটেলাইট লেগো স্টাইলে বানানো হয়েছে—কম খরচে ছোট স্যাটেলাইট তৈরির পরীক্ষা চালানো হবে এর মাধ্যমে।
রিলেটিভিস্টিক অ্যাটমোসফেরিক লস (REAL): মাত্র ১০ পাউন্ড ওজন ও এক ফুট দৈর্ঘ্যের এই ছোট উপগ্রহ ‘কিলার ইলেকট্রনস’ অধ্যয়ন করবে, যেগুলো ভ্যান অ্যালেন বেল্ট থেকে ছিটকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। এই ইলেকট্রন স্যাটেলাইট ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, এমনকি ওজোন স্তরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
‘রিয়েল’ মিশনের প্রধান গবেষক ডার্টমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রবিন মিলান বলেন, ‘এই ক্ষুদ্র স্যাটেলাইটে রয়েছে একটি শক্তিশালী পার্টিকেল সেনসর, যা খুব দ্রুততার সঙ্গে ইলেকট্রনের মাপ নিতে পারবে। এটা আমাদের জানতে সাহায্য করবে কীভাবে এই ইলেকট্রনগুলো ছিটকে পড়ে।’
কিউবস্যাট: এটি মহাকাশে উচ্চ গতির ৫জি যোগাযোগ পরীক্ষা করবে।
উচ্চ গতির ৫জি প্রযুক্তি: অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানির তৈরি আরেকটি উপগ্রহ বিশ্বজুড়ে বিমান ট্র্যাকিং ও যোগাযোগ সহজ করতে মহাকাশভিত্তিক এয়ার-ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট প্রযুক্তি পরীক্ষা করবে।
এক দিনের দেরিতে উৎক্ষেপণ হলেও দ্বিতীয়বারে কোনো সমস্যা হয়নি। প্রথম ধাপের ইঞ্জিন কাজ শেষ করে ফিরে আসে উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের কাছে, যেখানে এটি সফলভাবে অবতরণ করে। এরপর একে একে উপগ্রহগুলো নির্ধারিত কক্ষপথে পৌঁছে যায়—প্রথমে দুটি ছোট স্যাটেলাইট, তারপর মূল ট্রেসারস এবং বাকি স্যাটেলাইটগুলো।
মহাকাশে এমন অভিযানে ভবিষ্যতের যোগাযোগ, জলবায়ু বিশ্লেষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্রমণ্ডল আলফা সেন্টরিতে এক বিশাল গ্যাস গ্রহ থাকার শক্ত প্রমাণ পেয়েছেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাবে সাড়ে চার আলোকবর্ষ দূরের এই প্রাণহীন গ্রহকে পৃথিবীর ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এর উপগ্রহে জীবনের উপযোগী পরিবেশ থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে!
৫ ঘণ্টা আগেইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের ‘ক্রু-১১’ মিশনের মাধ্যমে চারজন নভোচারী একটি ব্যতিক্রমধর্মী বৈজ্ঞানিক গবেষণার উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পৌঁছেছেন। গত ১ আগস্ট উৎক্ষেপণ হওয়া এই অভিযানে নভোচারীরা সঙ্গে নিয়েছেন রোগ সৃষ্টিকারী কয়েকটি ব্যাকটেরিয়া।
২ দিন আগেচাঁদের মাটিতে ২০৩০ সালের মধ্যে পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নাসা। এই পদক্ষেপ চাঁদে মানুষের স্থায়ী বসতি গড়ার উচ্চাভিলাষের অংশ। কারণ, মানুষের বসবাসের জন্য সেখানে নিরবচ্ছিন্ন শক্তি সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
২ দিন আগেআমরা যখন ‘নাসা’ নিয়ে ভাবি, তখন আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে রকেট আর মহাকাশ অভিযান। এটিই স্বাভাবিক, কারণ মহাকাশ-সংক্রান্ত নাসার অন্যান্য অর্জনই সংবাদমাধ্যমে বেশি প্রকাশ পায়। তবে অনেকেই জানেন না, নাসার রকেট বা মহাকাশযানের পাশাপাশি নিজস্ব যুদ্ধবিমানের বহর রয়েছে।
৫ দিন আগে