মহাকাশে আটকে পড়া দুই নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোরের পৃথিবীতে ফেরার দিন আরও এগিয়ে এল। পূর্বনির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় দুই সপ্তাহ আগেই তাঁদের নিয়ে আসবে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। গত মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, তাঁদের আসন্ন ক্রু-১০ মিশনটি ২৫ মার্চের পরিবর্তে ১২ মার্চ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশে যাত্রা করবে।
আসন্ন ক্রু রোটেশন মিশনের উৎক্ষেপণ এবং নভোচারীদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার জন্য স্পেসএক্সের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছে নাসা। ক্রিউ-১০ মিশন উৎক্ষেপণের আগে মহাকাশযানটিকে শংসাপত্র পেতে হবে। এজেন্সির কাছ থেকে সেই শংসাপত্র ১২ মার্চের আগেই আদায় করার চেষ্টা চলছে।
ক্রু-১০ মিশনে স্পেসএক্সের তৈরি নতুন ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলের পরিবর্তে এর আগে মহাকাশযাত্রায় ব্যবহৃত একটি ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল ‘এনডেভার’ ব্যবহার করা হবে। কারণ নতুন ড্রাগন ক্যাপসুল তৈরিতে আরও সময় লাগবে। এর আগে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন মিশনে ব্যবহার করা হয়েছে ‘এনডেভার’ ক্যাপসুলটি। এই মিশনে ড্রাগন ক্যাপসুলটি মহাকাশে পৌঁছাবে স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেটের সাহায্যে।
বর্তমানে সুনিতা ও বুচ রয়েছেন ক্রিউ-৯ মহাকাশযানে। ক্রিউ-১০ মহাকাশে পৌঁছালে ক্রিউ-৯ থেকে এই চার মহাকাশচারী নতুন মহাকাশযানে উঠবেন। এই মহাকাশযান অবশ্য ফাঁকা অবস্থায় মহাকাশে যাবে না। তাতে থাকবেন আরও চারজন নভোচারী। এর মধ্যে নাসার দুই নভোচারী হলেন কমান্ডার আন ম্যাকক্লেইন ও পাইলট নিকোল আয়ার্স। অন্য দুই নভোচারী মিশন স্পেশালিস্ট জাপানের তাকুয়া ওনিশি ও রাশিয়ার কিরিল পেসকভ।
পৃথিবীতে ফিরে আসার আগে সুনিতাদের বিভিন্ন প্রস্তুতি নিতে হবে। দীর্ঘ সময় মহাকাশে থাকার কারণে মহাকাশচারীদের শরীরে বহু পরিবর্তন আসে। কারণ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে মহাকাশযানের পরিবেশে অনেক পার্থক্য রয়েছে।
এর আগে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক আলাপ-আলোচনার সময় সুনিতা স্বীকার করেন, শূন্যে ভেসে থাকা সাত মাসের অভিজ্ঞতার পর হাঁটতে পারার অভিজ্ঞতা ভুলে গেছেন। এ ঘটনা মহাকাশে দীর্ঘ সময় থাকার শারীরিক প্রভাব নিয়ে নতুন প্রশ্ন উত্থাপন করেছে এবং ভবিষ্যতে মিশনগুলো নিয়ে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তবে কিছুদিন আগে স্পেসওয়াকের মাধ্যমে নিজেদের শরীর আরও কিছুটা ‘সচল’ করেছেন সুনিতা।
গত বছরের জুন মাসে মাত্র আট দিনের সফরে মহাকাশে গিয়েছিলেন সুনিতা ও বুচ। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ওই মহাকাশযানে আর ফিরতে পারেননি তাঁরা। প্রায় আট মাস ধরে মহাকাশে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে আটকে আছেন বুচ ও সুনিতা। কিছুদিন আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সুনিতাদের ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব দেন স্পেস এক্সের মালিক ইলন মাস্ককে। এ কারণেই ক্রিউ-১০-এর উৎক্ষেপণের দিন এগিয়ে আনা হল বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও হিন্দুস্তান টাইমস
আরও পড়ুন:–
মহাকাশে আটকে পড়া দুই নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোরের পৃথিবীতে ফেরার দিন আরও এগিয়ে এল। পূর্বনির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় দুই সপ্তাহ আগেই তাঁদের নিয়ে আসবে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। গত মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, তাঁদের আসন্ন ক্রু-১০ মিশনটি ২৫ মার্চের পরিবর্তে ১২ মার্চ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশে যাত্রা করবে।
আসন্ন ক্রু রোটেশন মিশনের উৎক্ষেপণ এবং নভোচারীদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার জন্য স্পেসএক্সের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছে নাসা। ক্রিউ-১০ মিশন উৎক্ষেপণের আগে মহাকাশযানটিকে শংসাপত্র পেতে হবে। এজেন্সির কাছ থেকে সেই শংসাপত্র ১২ মার্চের আগেই আদায় করার চেষ্টা চলছে।
ক্রু-১০ মিশনে স্পেসএক্সের তৈরি নতুন ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলের পরিবর্তে এর আগে মহাকাশযাত্রায় ব্যবহৃত একটি ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল ‘এনডেভার’ ব্যবহার করা হবে। কারণ নতুন ড্রাগন ক্যাপসুল তৈরিতে আরও সময় লাগবে। এর আগে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন মিশনে ব্যবহার করা হয়েছে ‘এনডেভার’ ক্যাপসুলটি। এই মিশনে ড্রাগন ক্যাপসুলটি মহাকাশে পৌঁছাবে স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেটের সাহায্যে।
বর্তমানে সুনিতা ও বুচ রয়েছেন ক্রিউ-৯ মহাকাশযানে। ক্রিউ-১০ মহাকাশে পৌঁছালে ক্রিউ-৯ থেকে এই চার মহাকাশচারী নতুন মহাকাশযানে উঠবেন। এই মহাকাশযান অবশ্য ফাঁকা অবস্থায় মহাকাশে যাবে না। তাতে থাকবেন আরও চারজন নভোচারী। এর মধ্যে নাসার দুই নভোচারী হলেন কমান্ডার আন ম্যাকক্লেইন ও পাইলট নিকোল আয়ার্স। অন্য দুই নভোচারী মিশন স্পেশালিস্ট জাপানের তাকুয়া ওনিশি ও রাশিয়ার কিরিল পেসকভ।
পৃথিবীতে ফিরে আসার আগে সুনিতাদের বিভিন্ন প্রস্তুতি নিতে হবে। দীর্ঘ সময় মহাকাশে থাকার কারণে মহাকাশচারীদের শরীরে বহু পরিবর্তন আসে। কারণ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে মহাকাশযানের পরিবেশে অনেক পার্থক্য রয়েছে।
এর আগে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক আলাপ-আলোচনার সময় সুনিতা স্বীকার করেন, শূন্যে ভেসে থাকা সাত মাসের অভিজ্ঞতার পর হাঁটতে পারার অভিজ্ঞতা ভুলে গেছেন। এ ঘটনা মহাকাশে দীর্ঘ সময় থাকার শারীরিক প্রভাব নিয়ে নতুন প্রশ্ন উত্থাপন করেছে এবং ভবিষ্যতে মিশনগুলো নিয়ে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তবে কিছুদিন আগে স্পেসওয়াকের মাধ্যমে নিজেদের শরীর আরও কিছুটা ‘সচল’ করেছেন সুনিতা।
গত বছরের জুন মাসে মাত্র আট দিনের সফরে মহাকাশে গিয়েছিলেন সুনিতা ও বুচ। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ওই মহাকাশযানে আর ফিরতে পারেননি তাঁরা। প্রায় আট মাস ধরে মহাকাশে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে আটকে আছেন বুচ ও সুনিতা। কিছুদিন আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সুনিতাদের ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব দেন স্পেস এক্সের মালিক ইলন মাস্ককে। এ কারণেই ক্রিউ-১০-এর উৎক্ষেপণের দিন এগিয়ে আনা হল বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও হিন্দুস্তান টাইমস
আরও পড়ুন:–
নিয়মিত আকাশপথে ভ্রমণ করা যাত্রীদের জন্য টার্বুলেন্স বা ঝাঁকুনি কোনো নতুন অভিজ্ঞতা নয়। শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চলমান বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে এই টার্বুলেন্স মোকাবিলায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে অগ্রণী কিছু ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মনে করছেন, মানুষ এখন আর আগের মতো কেবল শতবর্ষ আয়ুর স্বপ্ন দেখছে না। বরং এমন এক সময় আসছে, যখন আমরা স্বাভাবিক আয়ুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি সময়, অর্থাৎ হাজার বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারি।
২ দিন আগেআমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৬০০ গুণ বেশি ভরের বিশালাকৃতির ব্ল্যাকহোল খুঁজে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলগুলোর একটি এবং সম্ভবত সর্ববৃহৎ। ব্ল্যাকহোলটি অবস্থান করছে ‘কসমিক হর্সশু’ নামের একটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রে, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ৫০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে।
২ দিন আগেপৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহে যদি একদিন মানুষের বসতি গড়তে হয়, তাহলে কেমন হবে সেই পরিবেশ? সেটা বোঝার চেষ্টা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় তৈরি হয়েছিল ‘বায়োস্ফিয়ার ২’। তিন একরের বেশি জায়গাজুড়ে নির্মিত বিশাল কাচঘেরা ভবনটি যেন এক কৃত্রিম পৃথিবী।
২ দিন আগে