ঘুম থেকে ওঠার পর লম্বা হাই তোলা এবং আড়মোড়া ভাঙা মানুষের একটি স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। এই শারীরিক নড়াচড়ার বৈজ্ঞানিক নাম—‘প্যান্ডিকুলেটিং’।
প্যান্ডিকুলেশন বলতে বোঝায় শরীরের নরম টিস্যুগুলোর অনৈচ্ছিক প্রসারণ। বেশির ভাগ প্রাণীর প্রজাতির মধ্যেই এটি ঘটে। বিশেষ করে চক্রীয় জৈবিক ক্রিয়ার মধ্যবর্তী পরিবর্তনের সময় প্রাণীরা এমন কাজ করে। যেমন: ঘুম–জাগরণ ছন্দের মধ্যবর্তী সময়ে মানুষসহ অনেক প্রাণীই আড়মোড়া ভাঙে।
অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে কুকুর ও বিড়ালের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এরা দিনে প্রায় ৪০ বার হাই তোলে বা আড়মোড়া ভাঙে। গর্ভাবস্থায় মানুষের ভ্রূণও আড়মোড়া ভাঙে। তাই মানুষের এই আচরণ সহজাত বলেই মনে করা হয়।
এই আচরণের প্রধান কারণ ব্যাখ্যা করে বিবিসি সায়েন্স ফোকাসের বিশেষজ্ঞ লুইস ভিলাজন বলেন, বিছানায় চিত হয়ে ঘুমানোর সময় পেশিগুলো শিথিল অবস্থায় থাকে এবং পিঠের নিচে তরল পদার্থ জমে। ঘুম থেকে জাগার পর হাত–পা ছড়িয়ে আড়মোড়া ভাঙলে পিঠের নিচে জমে যাওয়া তরল পদার্থ এবং পেশিগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যায়।
ফিজিওথেরাপিস্ট নিকোলাস লাইকামেলি বলেন, দিনের শুরুতে হাই তুলে ও আড়মোড়া ভাঙার মাধ্যমে পেশির প্রসারণ মানুষকে চাপমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। পুরো দেহের এই প্রসারণ প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় করে, যা দেহের বিশ্রাম, হজম এবং ক্লান্তির পর পূর্ণ শক্তি ফিরে পেতে সহায়তা করে। এ ছাড়া আড়মোড়া দেহের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে দেহের স্নায়বিক চেতনাকে সক্রিয় করে ও পেশিকে নমনীয় করে।
সজাগ অবস্থায় পেশিতে সৃষ্ট চাপ মুক্ত করতে ভূমিকা রাখে আড়মোড়া। এটি দেহভঙ্গি ও চলাফেরা ঠিক রাখার জন্য জরুরি। সজাগ অবস্থায় আড়মোড়া না ভাঙলে পেশি সংকুচিত ও শক্ত হয়ে থাকে।
২০১১ সালের দ্য জার্নাল অব বডিওয়ার্ক অ্যান্ড মুভমেন্ট থেরাপিতে প্যান্ডিকুলেটিং নিয়ে এক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। গবেষক লুইস ফার্নান্দো বার্তোলুচ্চি বলেন, প্যান্ডিকুলেটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি ও নির্দিষ্ট অঞ্চলের ব্যথা প্রশমন করা যায়। কারণ এতে পেশি শিথিল হয়।
লাইকামেলি বলেন, আমরা প্রায়ই প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রের কথা ভাবি না, ফলে দেহ ও মনের বিশ্রাম, নিরাময়কে অবহেলা করি। যেমন: ঘুম ভেঙে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিছানা থেকে ওঠে গোসলে যাওয়া, তাড়াহুড়ো করে জামা পরা ও এক মগ চা বা কফি পান করে কাজের জন্য বেরিয়ে যাওয়ার। এরপর একটি কর্মব্যস্ত দিন পার করা। এতে শরীর ও মন বিশ্রামের জন্য যথেষ্ট সময় পায় না, ফলে পরের দিন আর পূর্ণ শক্তি ও উৎসাহ নিয়ে কাজে মনে দেওয়া সম্ভব হয় না।
তথ্যসূত্র: দ্য সোয়াডেল
ঘুম থেকে ওঠার পর লম্বা হাই তোলা এবং আড়মোড়া ভাঙা মানুষের একটি স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। এই শারীরিক নড়াচড়ার বৈজ্ঞানিক নাম—‘প্যান্ডিকুলেটিং’।
প্যান্ডিকুলেশন বলতে বোঝায় শরীরের নরম টিস্যুগুলোর অনৈচ্ছিক প্রসারণ। বেশির ভাগ প্রাণীর প্রজাতির মধ্যেই এটি ঘটে। বিশেষ করে চক্রীয় জৈবিক ক্রিয়ার মধ্যবর্তী পরিবর্তনের সময় প্রাণীরা এমন কাজ করে। যেমন: ঘুম–জাগরণ ছন্দের মধ্যবর্তী সময়ে মানুষসহ অনেক প্রাণীই আড়মোড়া ভাঙে।
অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে কুকুর ও বিড়ালের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এরা দিনে প্রায় ৪০ বার হাই তোলে বা আড়মোড়া ভাঙে। গর্ভাবস্থায় মানুষের ভ্রূণও আড়মোড়া ভাঙে। তাই মানুষের এই আচরণ সহজাত বলেই মনে করা হয়।
এই আচরণের প্রধান কারণ ব্যাখ্যা করে বিবিসি সায়েন্স ফোকাসের বিশেষজ্ঞ লুইস ভিলাজন বলেন, বিছানায় চিত হয়ে ঘুমানোর সময় পেশিগুলো শিথিল অবস্থায় থাকে এবং পিঠের নিচে তরল পদার্থ জমে। ঘুম থেকে জাগার পর হাত–পা ছড়িয়ে আড়মোড়া ভাঙলে পিঠের নিচে জমে যাওয়া তরল পদার্থ এবং পেশিগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যায়।
ফিজিওথেরাপিস্ট নিকোলাস লাইকামেলি বলেন, দিনের শুরুতে হাই তুলে ও আড়মোড়া ভাঙার মাধ্যমে পেশির প্রসারণ মানুষকে চাপমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। পুরো দেহের এই প্রসারণ প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় করে, যা দেহের বিশ্রাম, হজম এবং ক্লান্তির পর পূর্ণ শক্তি ফিরে পেতে সহায়তা করে। এ ছাড়া আড়মোড়া দেহের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে দেহের স্নায়বিক চেতনাকে সক্রিয় করে ও পেশিকে নমনীয় করে।
সজাগ অবস্থায় পেশিতে সৃষ্ট চাপ মুক্ত করতে ভূমিকা রাখে আড়মোড়া। এটি দেহভঙ্গি ও চলাফেরা ঠিক রাখার জন্য জরুরি। সজাগ অবস্থায় আড়মোড়া না ভাঙলে পেশি সংকুচিত ও শক্ত হয়ে থাকে।
২০১১ সালের দ্য জার্নাল অব বডিওয়ার্ক অ্যান্ড মুভমেন্ট থেরাপিতে প্যান্ডিকুলেটিং নিয়ে এক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। গবেষক লুইস ফার্নান্দো বার্তোলুচ্চি বলেন, প্যান্ডিকুলেটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি ও নির্দিষ্ট অঞ্চলের ব্যথা প্রশমন করা যায়। কারণ এতে পেশি শিথিল হয়।
লাইকামেলি বলেন, আমরা প্রায়ই প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রের কথা ভাবি না, ফলে দেহ ও মনের বিশ্রাম, নিরাময়কে অবহেলা করি। যেমন: ঘুম ভেঙে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিছানা থেকে ওঠে গোসলে যাওয়া, তাড়াহুড়ো করে জামা পরা ও এক মগ চা বা কফি পান করে কাজের জন্য বেরিয়ে যাওয়ার। এরপর একটি কর্মব্যস্ত দিন পার করা। এতে শরীর ও মন বিশ্রামের জন্য যথেষ্ট সময় পায় না, ফলে পরের দিন আর পূর্ণ শক্তি ও উৎসাহ নিয়ে কাজে মনে দেওয়া সম্ভব হয় না।
তথ্যসূত্র: দ্য সোয়াডেল
গণিত, প্রকৌশল, জ্যোতির্বিদ্যা ও চিকিৎসাবিদ্যার মতো বিষয়ে উচ্চতর বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ছিল প্রাচীন মিসরীয়দের। তাঁরা তাত্ত্বিক জ্ঞানের চেয়ে ব্যবহারিক জ্ঞানকে বেশি প্রাধান্য দিতেন। অনেকের ধারণা, বিজ্ঞান আধুনিককালের আবিষ্কার, যার শিকড় প্রাচীন গ্রিক সভ্যতায়।
১৮ ঘণ্টা আগেপ্রস্তর যুগে চীনের পূর্বাঞ্চলে সমাজের নেতৃত্বে ছিল নারী। সম্প্রতি প্রাপ্ত ডিএনএ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব তথ্য। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আগের কঙ্কালের জিনগত উপাদান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, সেই সময়কার সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক এবং সমাজের সদস্যরা অন্তত ১০ প্রজন্ম ধরে মায়ের বংশ অনুসারে...
২ দিন আগেপ্রতি বছর নদী, সমুদ্র ও অন্য বিভিন্ন জলাশয় থেকে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মাছ ধরা হয়। এদের বেশির ভাগই খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই বিপুল-সংখ্যক মাছ ধরার পরে তাদের যে পদ্ধতিতে মারা হয়, তা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছকে পানি থেকে তোলার পর তারা গড়ে প্রায় ২২ মিনিট পর্যন্ত
৪ দিন আগেপৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্ক মরুভূমিগুলোর কেন্দ্রে অবস্থিত আরব অঞ্চল একসময় সবুজে মোড়ানো স্বর্গোদ্যান ছিল। মরুপ্রধান অঞ্চল হলেও পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ভূমি নানা সময়ে আর্দ্র আবহাওয়ার দেখা পেয়েছে, আর তখনই সেখানে জন্ম নিয়েছে লেক-নদী, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্যের স্বর্গ। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই
৬ দিন আগে