Ajker Patrika

জাপাকে যে দোষ দেওয়া হচ্ছে, তার বড় ভাগীদার বিএনপি-জামায়াত: আনিসুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ৪০
আজ শনিবার গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে সংবাদ সম্মেলন করেন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ শনিবার গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে সংবাদ সম্মেলন করেন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ২০১৪ সালের আওয়ামী লীগ সরকারকে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দল বৈধতা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারকে বৈধতা দেওয়ার যে দোষ জাতীয় পার্টিকে দেওয়া হচ্ছে, বিএনপি-জামায়াত সেই দোষের ভাগীদার।’

আজ শনিবার গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে দলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে আমরা আওয়ামী লীগের সহযোগী ছিলাম। আমরা সেখান থেকে সুবিধা পেয়েছি। এই কথাগুলো বলে জাতীয় রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে আমাদের বিচ্ছিন্ন রাখার একটা চেষ্টা চলছে। যারা অভিযোগ দিচ্ছেন, তারা সেই অভিযোগের চেয়েও বড় বড় অভিযোগে অভিযুক্ত বলে আমি মনে করি। আমাদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে, সেগুলোর উত্তর দেওয়ার সময় আমি মনে করি এখন এসেছে।’

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ ও পূর্বাপর বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতসহ নানা দল অংশগ্রহণ করে ২০১৪ সালের আওয়ামী লীগ সরকারকে বৈধতা দিয়েছিল অভিযোগ করে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচিত সরকারের অধীনে আপনারা নির্বাচন করেছেন, আপনারা বৈধতা দিয়েছেন। ২০১৮ সালে কেন নির্বাচন করলেন তাদের অধীনে? সব পার্টি এবং বিএনপি থেকে যারা নির্বাচিত হয়েছিল তারা তো পার্লামেন্ট বর্জন করেননি। দোষ শুধু আমাদের। যেই দোষ আমাদের ওপর দিচ্ছেন, সেই দোষের বড় ভাগীদার হচ্ছেন আপনারা।’

আনিসুল ইসলাম আরও বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচিত সরকারের অধীনে ২০১৪ সালে নির্বাচন হয়েছিল, সে সময় সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বদলানো হয়েছে। তখন বিএনপি-জামায়াত ওই পার্লামেন্ট ছিল, কই তারা সেদিন পার্লামেন্ট থেকে রিজাইন দিয়ে বের হয় নাই। আর দোষ হয় জাতীয় পার্টির।’

সংসদে বিএনপি-জামায়াতের উপস্থিতিতে সংশোধিত সংবিধানের ভিত্তিতে ২০১৪ সালের নির্বাচন হয়েছে উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘সেই ২০১৪ সালের নির্বাচিত সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার, সিটি করপোরেশন থেকে আরম্ভ করে উপজেলা, প্রত্যেকটা নির্বাচন আপনারা করেছেন। আপনারা প্রত্যেকেই করেছেন। তাহলে বৈধতা আমরা দিয়েছি ’১৪ সালের নির্বাচিত সরকারকে?

জাতীয় পার্টি সাংবিধানিক কারণে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে বলে দাবি করেন আনিসুল ইসলাম। সংবিধানের ওই ধারা সংশোধনের সময় সংসদে বিএনপি-জামায়াতের এমপিরা থাকলেও প্রতিবাদে পদত্যাগ করেনি বলে জানান তিনি।

জাতীয় পার্টি কোনো বিপ্লবী পার্টি নয় দাবি করে তিনি বলেন, ‘এরা বিপ্লব করে না, ভাঙচুর করে না। এরা নির্বাচন করে, সংসদে যায়। সংসদে গিয়ে যেই সরকার থাকে সেই সরকারের বিরোধিতা করে।’

জামায়াত জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধ চাওয়ায় অবাক হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু কোনো দিন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা বা পার্টি হিসেবে নিষিদ্ধ করা, এইটা কখনো বলিনি। কখনো এইটাকে আমরা সাপোর্টও করিনি।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাহিদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, লিয়াকত হোসেন খোকা, মোস্তফা আল মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসরিন জাহান রতনা, নাজমা আকতার, মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, আরিফুর রহমান খান, সরদার শাহজাহান, নূরুল ইসলাম মিলন, মোবারক হোসেন আজাদ, বেলাল হোসেন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত