নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘গণভোট নভেম্বরের শেষের দিকেই হওয়া দরকার। আমাদের কাছে রেকর্ড আছে বাংলাদেশে ১৯ দিনের ব্যবধানেও গণভোট হয়েছে, এক মাসের ব্যবধানেও গণভোট হয়েছে। আজ অক্টোবরের ৮ তারিখ। অক্টোবরের আরও ২০ দিন আছে। নভেম্বরে যদি আমরা আরও ১৫ দিন ধরি, তাহলে ৩৫ দিন। নভেম্বরের ১৫ থেকে ১৮ তারিখের মধ্যে যদি আপনি গণভোট করে ফেলেন, দেড় মাস—এটা ভেরি এনাফ টাইম। নভেম্বরের শেষের দিকে বা ডিসেম্বরের ফার্স্ট উইকে যদি আপনি জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন, তাহলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট সময় আছে।’
আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘অনেকে বলেছেন গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে হলে ভালো। আমরা বলেছি, না, গণভোট আলাদা বিষয়, জাতীয় নির্বাচন আলাদা বিষয় এবং দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গণভোট হবে আমাদের যে সমস্ত রিফর্মস হচ্ছে, সংস্কার হচ্ছে, জুলাই সনদ হিসেবে যেটাকে প্যাকেজ হিসেবে আমরা হ্যান্ডেল করছি, সেটাকে নিয়ে। সুতরাং গণভোটটা আগেই হয়ে যাওয়া দরকার।
‘জনগণ যদি অ্যাকসেপ্ট করে, সেই গণভোটের ভিত্তিতেই পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলো হবে, নির্বাচন হবে। আর জনগণ যদি রিজেক্ট করে দেয়, তাহলে তো সেটা এখানেই শেষ হয়ে যাবে। সুতরাং, বিষয়টি খুব স্পষ্ট—বিফোর ইলেকশন এবং ইলেকশন তার ভিত্তিতে হবে।’
গণভোট ও সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে না করার পেছনে আরও যুক্তি তুলে ধরে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘সম্প্রতি দুটি ছোট নির্বাচন হয়েছে—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি, আরেকটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। দেখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনে রাত ৩টা-৪টা পর্যন্ত আমাদের টেনশনে ঘুম আসেনি। কারণ, ওখান দিয়ে ধাক্কা মারে, এখান দিয়ে মিছিল করে, ওখানে অভিযোগ করে। তো ইলেকশনটা সুষ্ঠুভাবে হওয়ার পরেও সহজে মেনে নেওয়ার যে মানসিকতা, এটা কিন্তু আমরা দেখতে পাই নাই।
‘জাহাঙ্গীরনগর নির্বাচনে ৪৮ ঘণ্টা পরে রায় দিয়েছে। তাহলে দুটা নির্বাচন আমাদের এ রকম একটি আশঙ্কা দেয় যে, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ক্ষেত্রে এখনো মন-মানসিকতায় আমরা তৈরি হতে পারিনি। এখন কোনো কারণে যদি জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু না হয়, একই দিনে যদি আমি জুলাই চার্টারের ওপরে গণভোট করি, তাহলে সেটাও তো সুষ্ঠু হবে না। সুষ্ঠু যদি না হয়, তাহলে জুলাই চার্টারের রিফর্মসের যে ডিসিশনটায় আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, সেটাও এখানে কার্যকর হবে না।’
জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী ও আরও কিছু দল স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, গণভোটে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং নভেম্বরের ভেতরেই গণভোট আলাদাভাবে হয়ে যাওয়া দরকার। এটা সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ভোট। সবচেয়ে অল্প সময়ের ভোট। সবচেয়ে কম জটিল ভোট। আপনি শুধু ‘‘হ্যাঁ’’ বা ‘‘না’’ একটা বলে ফেলবেন। এটা যদি নভেম্বরে নিশ্চিত হয়ে যায়, তাহলে সেই ভিত্তিতেই আগামী ফেব্রুয়ারিতে আমরা জাতীয় নির্বাচন করব। একটার সঙ্গে আরেকটা ডিপেনডেন্ট থাকবে না।’
ব্রিফিংয়ে গণভোট নিয়ে জামায়াতের অবস্থানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, জুলাই সনদের ভিত্তিতে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হবে, যা এই সনদকে অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যান করবে। এই গণভোটের পরে ও জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত পার্লামেন্টের দুটি ক্ষমতা থাকবে—গাঠনিক ক্ষমতা ও সাধারণ সংসদীয় ক্ষমতা।
সংসদ প্রথম অধিবেশনেই তার গাঠনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে জুলাই সনদকে গ্রহণ করে নেবে। এর সঙ্গে সঙ্গেই পার্লামেন্টের গাঠনিক ক্ষমতা বিলুপ্ত হয়ে যাবে এবং এটি একটি নিয়মিত সংসদ হিসেবে কাজ করবে। এই প্রক্রিয়া সংবিধান সংশোধনকে বৈধতা দেবে এবং নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হবে। যেহেতু গণভোটের মাধ্যমেই পার্লামেন্টকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে, তাই সনদটি গৃহীত হওয়ার পর সংবিধান সংশোধনের জন্য আর কোনো গণভোটের প্রয়োজন হবে না।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘গণভোট নভেম্বরের শেষের দিকেই হওয়া দরকার। আমাদের কাছে রেকর্ড আছে বাংলাদেশে ১৯ দিনের ব্যবধানেও গণভোট হয়েছে, এক মাসের ব্যবধানেও গণভোট হয়েছে। আজ অক্টোবরের ৮ তারিখ। অক্টোবরের আরও ২০ দিন আছে। নভেম্বরে যদি আমরা আরও ১৫ দিন ধরি, তাহলে ৩৫ দিন। নভেম্বরের ১৫ থেকে ১৮ তারিখের মধ্যে যদি আপনি গণভোট করে ফেলেন, দেড় মাস—এটা ভেরি এনাফ টাইম। নভেম্বরের শেষের দিকে বা ডিসেম্বরের ফার্স্ট উইকে যদি আপনি জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন, তাহলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট সময় আছে।’
আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘অনেকে বলেছেন গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে হলে ভালো। আমরা বলেছি, না, গণভোট আলাদা বিষয়, জাতীয় নির্বাচন আলাদা বিষয় এবং দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গণভোট হবে আমাদের যে সমস্ত রিফর্মস হচ্ছে, সংস্কার হচ্ছে, জুলাই সনদ হিসেবে যেটাকে প্যাকেজ হিসেবে আমরা হ্যান্ডেল করছি, সেটাকে নিয়ে। সুতরাং গণভোটটা আগেই হয়ে যাওয়া দরকার।
‘জনগণ যদি অ্যাকসেপ্ট করে, সেই গণভোটের ভিত্তিতেই পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলো হবে, নির্বাচন হবে। আর জনগণ যদি রিজেক্ট করে দেয়, তাহলে তো সেটা এখানেই শেষ হয়ে যাবে। সুতরাং, বিষয়টি খুব স্পষ্ট—বিফোর ইলেকশন এবং ইলেকশন তার ভিত্তিতে হবে।’
গণভোট ও সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে না করার পেছনে আরও যুক্তি তুলে ধরে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘সম্প্রতি দুটি ছোট নির্বাচন হয়েছে—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি, আরেকটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। দেখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনে রাত ৩টা-৪টা পর্যন্ত আমাদের টেনশনে ঘুম আসেনি। কারণ, ওখান দিয়ে ধাক্কা মারে, এখান দিয়ে মিছিল করে, ওখানে অভিযোগ করে। তো ইলেকশনটা সুষ্ঠুভাবে হওয়ার পরেও সহজে মেনে নেওয়ার যে মানসিকতা, এটা কিন্তু আমরা দেখতে পাই নাই।
‘জাহাঙ্গীরনগর নির্বাচনে ৪৮ ঘণ্টা পরে রায় দিয়েছে। তাহলে দুটা নির্বাচন আমাদের এ রকম একটি আশঙ্কা দেয় যে, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ক্ষেত্রে এখনো মন-মানসিকতায় আমরা তৈরি হতে পারিনি। এখন কোনো কারণে যদি জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু না হয়, একই দিনে যদি আমি জুলাই চার্টারের ওপরে গণভোট করি, তাহলে সেটাও তো সুষ্ঠু হবে না। সুষ্ঠু যদি না হয়, তাহলে জুলাই চার্টারের রিফর্মসের যে ডিসিশনটায় আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, সেটাও এখানে কার্যকর হবে না।’
জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী ও আরও কিছু দল স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, গণভোটে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং নভেম্বরের ভেতরেই গণভোট আলাদাভাবে হয়ে যাওয়া দরকার। এটা সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ভোট। সবচেয়ে অল্প সময়ের ভোট। সবচেয়ে কম জটিল ভোট। আপনি শুধু ‘‘হ্যাঁ’’ বা ‘‘না’’ একটা বলে ফেলবেন। এটা যদি নভেম্বরে নিশ্চিত হয়ে যায়, তাহলে সেই ভিত্তিতেই আগামী ফেব্রুয়ারিতে আমরা জাতীয় নির্বাচন করব। একটার সঙ্গে আরেকটা ডিপেনডেন্ট থাকবে না।’
ব্রিফিংয়ে গণভোট নিয়ে জামায়াতের অবস্থানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, জুলাই সনদের ভিত্তিতে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হবে, যা এই সনদকে অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যান করবে। এই গণভোটের পরে ও জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত পার্লামেন্টের দুটি ক্ষমতা থাকবে—গাঠনিক ক্ষমতা ও সাধারণ সংসদীয় ক্ষমতা।
সংসদ প্রথম অধিবেশনেই তার গাঠনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে জুলাই সনদকে গ্রহণ করে নেবে। এর সঙ্গে সঙ্গেই পার্লামেন্টের গাঠনিক ক্ষমতা বিলুপ্ত হয়ে যাবে এবং এটি একটি নিয়মিত সংসদ হিসেবে কাজ করবে। এই প্রক্রিয়া সংবিধান সংশোধনকে বৈধতা দেবে এবং নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হবে। যেহেতু গণভোটের মাধ্যমেই পার্লামেন্টকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে, তাই সনদটি গৃহীত হওয়ার পর সংবিধান সংশোধনের জন্য আর কোনো গণভোটের প্রয়োজন হবে না।
শাপলা প্রতীক ছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নিবন্ধন নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। বৈঠকে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার
১ ঘণ্টা আগেজামায়াতসহ সাতটি ইসলামী দলের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে–জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট...
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্রগতি সরণিতে জার্মান দূতাবাসে রাষ্ট্রদূতের আমন্ত্রণে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
৪ ঘণ্টা আগেবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শুধু জার্মানি নয়, সব দেশই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। তারা সবাই নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) জার্মানির রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
৪ ঘণ্টা আগে