Ajker Patrika

বাংলাদেশের বাইরে আমার কোনো ঠিকানা নেই: তারেক রহমান 

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২: ৩০
বাংলাদেশের বাইরে আমার কোনো ঠিকানা নেই: তারেক রহমান 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়া একটি কথা বলেছিলেন যে এই দেশের বাইরে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার কোনো ঠিকানা নেই। বাংলাদেশের বাইরে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার কোনো ঠিকানা নেই। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সন্তান হিসেবে আজ আপনাদের সামনে একইভাবে আমিও বলতে চাই, বাংলাদেশের বাইরে আমার কোনো ঠিকানা নেই। এই দেশই আমার ঠিকানা। এই দেশই আমার প্রথম ঠিকানা। এই দেশই আমার শেষ ঠিকানা। কাজেই এই দেশের জন্য, এই দেশের মানুষের ভালোবাসার জন্য আমাদের সকল রকমের প্রচেষ্টা থাকবে। এই দেশই আমাদের প্রথম, এই দেশই আমাদের শেষ বাংলাদেশ।’

আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ছাত্র-জনতার গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে কিশোরগঞ্জের পুরাতন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘আসুন আমরা সকলে মিলে প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করি যে শত–হাজার মানুষ আত্মত্যাগ করেছেন স্বৈরাচারকে বিদায়ের জন্য, যে হাজারো মানুষ নিজেরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েও দমে যায়নি, সে মানুষগুলোর আত্মত্যাগকে মূল্যায়ন করে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি। কেউ যেন আমাদের ঐক্য নষ্ট করতে না পারে। কেউ যেন আমাদের পিছিয়ে দিতে না পারে। সে ব্যাপারে আমাদের সজাগ ও সর্তক থাকতে হবে।’

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে হাজারো শহীদ আছেন, যাঁরা আত্মত্যাগ করেছেন বিগত ১৭ বছরে। বিশেষ করে গত জুলাই–আগস্ট মাসেই হাজারো হাজারো মানুষ আছে, যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে ঢাকা শহরে। এর বাইরে বিভিন্ন মানুষ যারা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিএনপিরই ৬০ লাখ মানুষ বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। বিএনপির বাইরেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীরা নির্যাতিত হয়েছেন। কেন তারা নির্যাতিত হয়েছে; কারণ একটাই, তারা বাংলাদেশের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে চেয়েছিল।’

তারেক রহমান বলেন, ‘আজকে লাখো জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে—এই সরকার জনগণের রাজনৈতিক যে প্রত্যাশা, জনগণের রাজনৈতিক যে অধিকার, যার জন্য বিগত ১৭ বছর বাংলাদেশের মানুষ সংগ্রাম করছে—সেই অধিকার যেন সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়, তার জন্য তাঁরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কিন্তু এটিও সতর্কভাবে খেয়াল রাখতে হবে যে তাঁরা জনগণের এই কাজটি করতে গিয়ে, জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে—এমন কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব না হয়—যাতে করে স্বৈরাচার আবার কোনো ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পায়। স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা বসে নেই।’

তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র রাজনৈতিক মুক্তি হলে, রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হলেই সকল কিছু হয়ে যায় না। বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক সংগ্রামেও আমাদের জয় পেতে হবে। তাহলেই আমাদের যে আন্দোলন সেটির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হব। স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। আমরা যদি এ দেশের মানুষের হাতে তাদের অধিকার দিতে পারি, তাঁরা নেতৃত্ব নির্বাচিত করলে দায়িত্বপ্রাপ্ত সঠিক ব্যাক্তিগণ এই জাতিকে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবে। যে নেতৃত্বের মাধ্যমে রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে এবং অর্থনৈতিক মুক্তিও সম্ভব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা কি জানেন, হাওর অঞ্চলে বোরো মৌসুমে যে পরিমাণ ধান হয়, তাতে দেশের ১৬ শতাংশ ধান উৎপাদন হয়। ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে যে বিশাল হাওর আছে, এইখানে মিঠাপানির মাছের বিশাল ভান্ডার। আমরা যদি সঠিক পরিকল্পনা করতে পারি, তবে এই অঞ্চলের মাছ দিয়ে দেশের চাহিদা পূরণ করে বাইরেও রপ্তানি করতে পারব। গার্মেন্টস শিল্পের মাধ্যমে বিশ্বমান চিত্রে বাংলাদেশের যেমন পরিচিতি, একইভাবে মাছ রপ্তানি করে আমরা বাংলাদেশকে পরিচিতি করে দিতে পারব। যার মাধ্যমে যে শুধু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে তা নয়, লাখো মানুষের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হবে। অষ্টগ্রামের পনির সম্পর্কে মানুষ জানেই না। এই পনিরকে আমরা ছড়িয়ে দিতে পারি এবং বিশ্বে পরিচিত করাতে পারি। এতে বাংলাদেশের যেমন সুনাম অর্জিত হবে, তেমনি বহু বেকার ভাইবোনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘সেই কাজগুলো জনগণ দ্বারা নির্বাচিত একটি সরকার করতে পারবে। কারণ, জনগণের সরকারের বাধ্যবাধকতা ও জবাবদিহিতা থাকবে জনগণের কাছে। যেহেতু জনগণের কাছে জবাবদিহিতা থাকবে, সেহেতু জনগণের অভাব–অভিযোগ তাদের শুনতে হবে। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা সেই জনগণের সরকারকে দেখতে হবে। সেই জন্যই প্রয়োজন জনগণের সরকার।’

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে মহাসমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ। মহাসমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ মাঠে মহাসমাবেশ করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এরপর এবারই প্রথম জেলায় বড় ধরনের কোনো কর্মসূচি পালন করল দলটি। ছাত্র-জনতার গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ফলে দীর্ঘ ১০ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো এই মহাসমাবেশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ও নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতেই বিএনপির প্রার্থীকে গুলি: মির্জা ফখরুল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৫৫
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

জনসংযোগকালে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতনের পর দুষ্কৃতকারীরা আবারও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিসহ নৈরাজ্যের মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের নির্মম হামলায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহসহ আরও একাধিক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধের ঘটনা সেই অপতৎপরতারই নির্মম বহিঃপ্রকাশ।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতেই এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তাই এসব দুষ্কৃতকারীকে কঠোর হস্তে দমনের বিকল্প নেই।

মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় দলমত-নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নইলে ওত পেতে থাকা দুষ্কৃতকারীরা মাথাচাড়া দিয়ে দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠবে।

বিএনপির মহাসচিব বিবৃতিতে এরশাদ উল্লাহসহ গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান এবং গুলিতে আহত ব্যক্তিদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত এরশাদ উল্লাহ জনসংযোগকালে বুধবার বিকেলে দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে স্থানীয় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তথ্যমতে, এ সময় আরও একাধিক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে আমজনতার তারেককে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ০৫
আমজনতা দলের সদস্যসচিব তারেক রহমানকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আমজনতা দলের সদস্যসচিব তারেক রহমানকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

আমজনতার দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন না পাওয়ায় কমিশনের সামনে আমরণ অনশনে বসা দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।

ইসির সামনে সরেজমিনে দেখা গেছে, আজ বুধবার রাত ৮টার দিকে তাঁকে স্যালাইন দেওয়া হয়। এ সময় তাঁর সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে আগারগাঁওয়ে ইসির প্রধান ফটকের সামনে বসে আমরণ অনশনের ডাক দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রেড ক্রিসেন্টের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চাওয়া মুনতাসিরকে এনসিপি থেকে চূড়ান্ত অব্যাহতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৩১
মুনতাসির মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
মুনতাসির মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় কেন্দ্রীয় সংগঠক মুনতাসির মাহমুদকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১২ অক্টোবর এনসিপি/কেন্দ্র/শোকজ/২০২৫-২০২৬/১৪ স্মারকে আপনাকে (মুনতাসির মাহমুদ) সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হয় এবং আপনাকে কেন স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হবে না তার লিখিত ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়।

ওই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে বিগত ১৪ অক্টোবর মুনতাসির মাহমুদ লিখিত জবাব প্রদান করেন। ওই জবাব পর্যালোচনা করে তাঁর প্রদত্ত ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হওয়ায় এবং পূর্বোক্ত ঘটনায় শৃঙ্খলা কমিটির কার্যক্রম চলমান অবস্থায় তাঁকে সতর্ক করা সত্ত্বেও বারবার সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নির্দেশক্রমে তাঁকে দল থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।

উল্লেখ্য, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের লোকজনকে পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে একদল লোক নিয়ে সম্প্রতি মগবাজারে সংস্থাটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ করেন মুনতাসির মাহমুদ। তিনি সংস্থাটিতে উপপরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। সেদিনই মুনতাসিরকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। একইদিন রেড ক্রিসেন্টের চাকরিও হারান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপির মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে, নেতা-কর্মীদের নজরুল ইসলাম খান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে আজ বুধবার আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ছবি: ফোকাস বাংলা
রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে আজ বুধবার আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ছবি: ফোকাস বাংলা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে আজ বুধবার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ‘শহীদ জিয়া: শ্রমিক জাগরণ, উৎপাদন ও উন্নয়ন শীর্ষক’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে যাঁদের মনোনীত করা হবে, তাঁদের বিজয়ী করার জন্য সবাই মিলে কাজ করতে হবে। ৩১ দফা যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা বলা আছে। শ্রমিকদের কথা বিশেষ করে বলা আছে। আমরা যদি এই পরিবর্তন আমাদের পক্ষে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে আমাদের আকাঙ্ক্ষার অনেক কিছুই পূরণ হবে।’

রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমান দেশের জন্য ‘যুগান্তকারী উন্নয়নের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন’-এ মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সেই ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে। শুধু ঢাকায় নয়; সারা দেশে সবাইকে সংগঠিতভাবে কাজ করতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, শিশুদের উন্নয়ন, কৃষি, শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধিসহ সর্বস্তরের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন সবার জন্য উন্নয়ন—কিছু মানুষের জন্য নয়। কিন্তু আজ দেশে অসম উন্নয়ন চলছে। কেউ কোটি টাকার মালিক হচ্ছেন, আবার কেউ দিন দিন দরিদ্র হচ্ছেন—এটা শহীদ জিয়ার চাওয়া বাংলাদেশ নয়।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত