নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চার মাস পর দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেশের পথে যাত্রা শুরু করেছেন তিনি।
তাঁর সঙ্গী রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী জোবাইদা রহমান ও ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান।
খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে লন্ডনে তারেক রহমানের বাসা থেকে রওনা করে ৭টা ৪০ মিনিটে হিথরো বিমানবন্দরে পৌঁছান খালেদা জিয়া। ছেলে তারেক রহমান নিজে গাড়ি চালিয়ে মাকে নিয়ে আসেন বিমানবন্দরে।
গত ৮ জানুয়ারি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। সেই বাহনেই দেশে ফিরছেন তিনি।
খালেদা জিয়াকে বরণে প্রস্তুত বিএনপি
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাঁর। বিএনপি চেয়ারপারসন সময়মতোই দেশে ফিরে আসবেন বলে প্রত্যাশা করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ সোমবার গণমাধ্যমের কাছে এ প্রত্যাশার কথা জানিয়ে দলের চেয়ারপারসনকে সুশৃঙ্খলভাবে অভ্যর্থনা জানাতে নেতা-কর্মীদের অনুরোধ করেছেন তিনি। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মঙ্গলবার এসএসসি পরীক্ষা আছে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে কাকলী পথ দিয়ে ম্যাডাম গুলশানের বাসায় যাবেন। আমরা সবাই মিলে যথাসাধ্য চেষ্টা করব, যাতে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে যেতে কোনো অসুবিধা না হয়। আমি সবাইকে অনুরোধ করতে চাই, রাস্তার ওপরে যেন কেউ না দাঁড়ায়। যাঁরা অভ্যর্থনা জানাবেন, তাঁরা যেন ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ম্যাডামকে অভ্যর্থনা জানান।’
এ সময় রাস্তায় যাতে কেউ দাঁড়াতে না পারে, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে গুলশানের ৮০ নম্বর সড়কের ১ নম্বর বাড়িটি। ‘ফিরোজা’ নামের বাড়িটি ঘিরে পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছে পুলিশ ও চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) সদস্যরা। বাসার ভেতরের সব কক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজও শেষ হয়েছে। ফুল গাছের টব দিয়ে সাজানো হয়েছে সামনের সবুজ আঙিনা।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘ম্যাডামের বাসা কমপ্লিটলি রেডি। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, বাসার আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সাজসজ্জার কোনো কিছুই বাদ নেই। ম্যাডামের স্বজনেরা সবকিছু তদারকি করেছেন। এখন আমরা সবাই ম্যাডামের অপেক্ষায় আছি।’
খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, লন্ডন থেকে ঢাকার যাত্রাপথে দোহায় যাত্রাবিরতি আছে। শিডিউল অনুযায়ী লন্ডন থেকে যাত্রা করে দোহা হামাদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছাবেন স্থানীয় সময় রাত আড়াইটায়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের বর্তমান শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) আগের চেয়ে ভালো আছেন। আমরা আশা করছি, যথাসময়েই ম্যাডাম হিথরো বিমানবন্দরে গিয়ে বিমানে উঠতে পারবেন। দেশবাসী দোয়া করবেন, ম্যাডাম যেন ভালোভাবে দেশে পৌঁছাতে পারেন।’
গত ৮ জানুয়ারি লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে নিজে গাড়ি চালিয়ে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেখানে কিছু দিন চিকিৎসা নিয়ে ২৫ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকেও নিজের গাড়ি চালিয়ে মাকে বাড়িতে নিয়ে যান। এবারও যথারীতি তারেক রহমান নিজে গাড়ি চালিয়ে মাকে বিমানবন্দরে নিয়ে আসবেন বলে জানান জাহিদ হোসেন।
আরও খবর পড়ুন:
চার মাস পর দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেশের পথে যাত্রা শুরু করেছেন তিনি।
তাঁর সঙ্গী রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী জোবাইদা রহমান ও ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান।
খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে লন্ডনে তারেক রহমানের বাসা থেকে রওনা করে ৭টা ৪০ মিনিটে হিথরো বিমানবন্দরে পৌঁছান খালেদা জিয়া। ছেলে তারেক রহমান নিজে গাড়ি চালিয়ে মাকে নিয়ে আসেন বিমানবন্দরে।
গত ৮ জানুয়ারি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো রাজকীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। সেই বাহনেই দেশে ফিরছেন তিনি।
খালেদা জিয়াকে বরণে প্রস্তুত বিএনপি
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাঁর। বিএনপি চেয়ারপারসন সময়মতোই দেশে ফিরে আসবেন বলে প্রত্যাশা করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ সোমবার গণমাধ্যমের কাছে এ প্রত্যাশার কথা জানিয়ে দলের চেয়ারপারসনকে সুশৃঙ্খলভাবে অভ্যর্থনা জানাতে নেতা-কর্মীদের অনুরোধ করেছেন তিনি। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মঙ্গলবার এসএসসি পরীক্ষা আছে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে কাকলী পথ দিয়ে ম্যাডাম গুলশানের বাসায় যাবেন। আমরা সবাই মিলে যথাসাধ্য চেষ্টা করব, যাতে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে যেতে কোনো অসুবিধা না হয়। আমি সবাইকে অনুরোধ করতে চাই, রাস্তার ওপরে যেন কেউ না দাঁড়ায়। যাঁরা অভ্যর্থনা জানাবেন, তাঁরা যেন ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ম্যাডামকে অভ্যর্থনা জানান।’
এ সময় রাস্তায় যাতে কেউ দাঁড়াতে না পারে, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে গুলশানের ৮০ নম্বর সড়কের ১ নম্বর বাড়িটি। ‘ফিরোজা’ নামের বাড়িটি ঘিরে পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছে পুলিশ ও চেয়ারপারসনের সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) সদস্যরা। বাসার ভেতরের সব কক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজও শেষ হয়েছে। ফুল গাছের টব দিয়ে সাজানো হয়েছে সামনের সবুজ আঙিনা।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘ম্যাডামের বাসা কমপ্লিটলি রেডি। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, বাসার আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সাজসজ্জার কোনো কিছুই বাদ নেই। ম্যাডামের স্বজনেরা সবকিছু তদারকি করেছেন। এখন আমরা সবাই ম্যাডামের অপেক্ষায় আছি।’
খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, লন্ডন থেকে ঢাকার যাত্রাপথে দোহায় যাত্রাবিরতি আছে। শিডিউল অনুযায়ী লন্ডন থেকে যাত্রা করে দোহা হামাদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছাবেন স্থানীয় সময় রাত আড়াইটায়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের বর্তমান শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) আগের চেয়ে ভালো আছেন। আমরা আশা করছি, যথাসময়েই ম্যাডাম হিথরো বিমানবন্দরে গিয়ে বিমানে উঠতে পারবেন। দেশবাসী দোয়া করবেন, ম্যাডাম যেন ভালোভাবে দেশে পৌঁছাতে পারেন।’
গত ৮ জানুয়ারি লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে নিজে গাড়ি চালিয়ে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেখানে কিছু দিন চিকিৎসা নিয়ে ২৫ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকেও নিজের গাড়ি চালিয়ে মাকে বাড়িতে নিয়ে যান। এবারও যথারীতি তারেক রহমান নিজে গাড়ি চালিয়ে মাকে বিমানবন্দরে নিয়ে আসবেন বলে জানান জাহিদ হোসেন।
আরও খবর পড়ুন:
ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে চীন সফরে গেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। ৯ সদস্যের এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার রাত ১০টা ১০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চায়না এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে চীনের উদ্দেশে যাত্রা করেছে
৪ ঘণ্টা আগেলন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের পর দেশ একটি নির্বাচনী টানেলে প্রবেশ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ রোববার (২২ জুন) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেএনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এনসিপির পক্ষ থেকে নিবন্ধন শর্তের চেয়েও বেশি কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সব শর্ত পূরণ করে আমরা আবেদন জমা দিয়েছি। ২৫টি জেলা, ১০৫টি উপজেলা কমিটি ও প্রতিটি উপজেলায় ২০০ জন সমর্থক, অফিস চুক্তিসহ গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়ে আমরা আশাব
৮ ঘণ্টা আগেগণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ রোববার (২২ জুন) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৮ ঘণ্টা আগে