নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করে দেশকে অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ রোববার রাজধানীর বনানীর এক হোটেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘দেশের জনগণ মনে করে, নির্বাচন যত বিলম্বিত হচ্ছে, দেশকে তত বেশি অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। জাতি এখন এক গভীর শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশ এখন এক অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে আছে। দেশ কোথায় যাচ্ছে, কেউ জানে না।’
আমীর খসরু বলেন, ‘এ দেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে সবাই মিলে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে। স্বৈরাচার পালিয়েও গেছে। এরপর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশ পরিচালনার যে প্রত্যাশা ছিল, তা এখনো হয়নি। জনগণ এ জন্য শঙ্কায় আছে। জনগণ মনে করে, সরকার আস্থা হারাচ্ছে, এটি দেশের জন্য দুর্ভাগ্য।’
তিনি বলেন, ‘দুই মাস আগে বলা হয়েছে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়টি, যা লিখিতভাবে আমরা দিয়েছি। অর্থাৎ আইনি প্রক্রিয়ায়। তাহলে সরকার নাটক কেন করল? মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকার কিন্তু একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাদের মূল দায়িত্ব, মূল কর্তব্য হচ্ছে দেশে একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করে ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের কাছে হস্তান্তর করা, গণতান্ত্রিক অর্ডারে দেশকে নিয়ে যাওয়া।’
মিয়ানমারের সীমান্তে আরাকানে ‘মানবিক করিডর’, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্ব বিদেশি কোম্পানির কাছে দেওয়া ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কোনো আলোচনা ব্যতিরেকে অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া নিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘করিডর, বন্দর, বিনিয়োগ সম্মেলন—এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে; যা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। এগুলো কী জন্য? তারা সময় নষ্ট করছে। এগুলো দেখিয়ে তারা কী বোঝাতে চাচ্ছে? চট্টগ্রাম পোর্ট হ্যান্ডওভার করছে। এসব সিদ্ধান্তে তারা কী বোঝাতে চাচ্ছে? তাদের ম্যান্ডেট কে দিয়েছে? প্রশ্ন হলো, এই সরকারের এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার বৈধতা কোথায়? তারা কি নির্বাচিত সরকার? তাদের কি জনগণের ম্যান্ডেট আছে?’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনের ফলাফলের বিষয়ে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, ‘যদি আদালতে অর্ডার হয়ে থাকে, তাহলে সেটা বাস্তবায়ন হতে অসুবিধাটা কোথায়? যখন আদালতের আদেশ মানা হচ্ছে না, তখন আইনের শাসনের প্রশ্ন চলে আসে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কার স্বার্থে কাজ করছে? সেটাও এখন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।’
আমীর খসরু বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর পর্যন্ত যেতে হবে কেন? আমি তো দেখছি, ডিসেম্বর পর্যন্ত যাওয়ার কোনো কারণ নেই। নির্বাচনের জন্য তিন মাস সময় নিয়ে এগিয়ে যাওয়া দরকার। আগস্ট, সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে নির্বাচন হতে পারে। ডিসেম্বরে কেন যেতে হবে? আমি নির্বাচন ডিসেম্বর পর্যন্ত যাওয়ার কোনো প্রয়োজন মনে করছি না।’
সংস্কার প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যে সংস্কার প্রস্তাবগুলোতে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) বলতে পারে। এক দিনের মধ্যেও বলতে পারে। এত দিন তো লাগে না। ঐকমত্য কোথায় হয়েছে, যেকোনো কাউকে বললে এটা দুই-চার-পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে সব রেডি হয়ে যায়। ঐকমত্য যেখানে হয়েছে, এসব বলে দেন। তার ভিত্তিতে দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণা করেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্পষ্ট কথা...কারও ব্যক্তিগত অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য সংস্কার দেখতে চাই না। একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণ যেভাবে চায়, সেভাবে সংস্কার হবে। বাংলাদেশের মানুষ তার মালিকানা ফিরে পেতে চায়, নির্বাচিত সরকার চায়।’
জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করে দেশকে অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ রোববার রাজধানীর বনানীর এক হোটেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘দেশের জনগণ মনে করে, নির্বাচন যত বিলম্বিত হচ্ছে, দেশকে তত বেশি অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। জাতি এখন এক গভীর শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশ এখন এক অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে আছে। দেশ কোথায় যাচ্ছে, কেউ জানে না।’
আমীর খসরু বলেন, ‘এ দেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে সবাই মিলে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে। স্বৈরাচার পালিয়েও গেছে। এরপর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশ পরিচালনার যে প্রত্যাশা ছিল, তা এখনো হয়নি। জনগণ এ জন্য শঙ্কায় আছে। জনগণ মনে করে, সরকার আস্থা হারাচ্ছে, এটি দেশের জন্য দুর্ভাগ্য।’
তিনি বলেন, ‘দুই মাস আগে বলা হয়েছে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়টি, যা লিখিতভাবে আমরা দিয়েছি। অর্থাৎ আইনি প্রক্রিয়ায়। তাহলে সরকার নাটক কেন করল? মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকার কিন্তু একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাদের মূল দায়িত্ব, মূল কর্তব্য হচ্ছে দেশে একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করে ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের কাছে হস্তান্তর করা, গণতান্ত্রিক অর্ডারে দেশকে নিয়ে যাওয়া।’
মিয়ানমারের সীমান্তে আরাকানে ‘মানবিক করিডর’, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্ব বিদেশি কোম্পানির কাছে দেওয়া ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কোনো আলোচনা ব্যতিরেকে অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া নিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘করিডর, বন্দর, বিনিয়োগ সম্মেলন—এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে; যা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। এগুলো কী জন্য? তারা সময় নষ্ট করছে। এগুলো দেখিয়ে তারা কী বোঝাতে চাচ্ছে? চট্টগ্রাম পোর্ট হ্যান্ডওভার করছে। এসব সিদ্ধান্তে তারা কী বোঝাতে চাচ্ছে? তাদের ম্যান্ডেট কে দিয়েছে? প্রশ্ন হলো, এই সরকারের এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার বৈধতা কোথায়? তারা কি নির্বাচিত সরকার? তাদের কি জনগণের ম্যান্ডেট আছে?’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনের ফলাফলের বিষয়ে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, ‘যদি আদালতে অর্ডার হয়ে থাকে, তাহলে সেটা বাস্তবায়ন হতে অসুবিধাটা কোথায়? যখন আদালতের আদেশ মানা হচ্ছে না, তখন আইনের শাসনের প্রশ্ন চলে আসে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কার স্বার্থে কাজ করছে? সেটাও এখন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।’
আমীর খসরু বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর পর্যন্ত যেতে হবে কেন? আমি তো দেখছি, ডিসেম্বর পর্যন্ত যাওয়ার কোনো কারণ নেই। নির্বাচনের জন্য তিন মাস সময় নিয়ে এগিয়ে যাওয়া দরকার। আগস্ট, সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে নির্বাচন হতে পারে। ডিসেম্বরে কেন যেতে হবে? আমি নির্বাচন ডিসেম্বর পর্যন্ত যাওয়ার কোনো প্রয়োজন মনে করছি না।’
সংস্কার প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যে সংস্কার প্রস্তাবগুলোতে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) বলতে পারে। এক দিনের মধ্যেও বলতে পারে। এত দিন তো লাগে না। ঐকমত্য কোথায় হয়েছে, যেকোনো কাউকে বললে এটা দুই-চার-পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে সব রেডি হয়ে যায়। ঐকমত্য যেখানে হয়েছে, এসব বলে দেন। তার ভিত্তিতে দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণা করেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্পষ্ট কথা...কারও ব্যক্তিগত অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য সংস্কার দেখতে চাই না। একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণ যেভাবে চায়, সেভাবে সংস্কার হবে। বাংলাদেশের মানুষ তার মালিকানা ফিরে পেতে চায়, নির্বাচিত সরকার চায়।’
গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করার প্রস্তাব করেছে জামায়াতে ইসলামী। এতে জুলাই সনদ আইনি ভিত্তি পাবে বলে মনে করে দলটি। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্বাচনের প্রার্থী হতে পারবেন না বলে প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।
৩ ঘণ্টা আগেবিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘মিথ্যা’ মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক তিন চেয়ারম্যান এবং এক সচিবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালতে আজ রোববার হারুন অর রশিদ নামের এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেন।
৫ ঘণ্টা আগেদেশে সরকার পরিবর্তনের পাশাপাশি ভূমি ও কৃষি অফিসেও নতুন সুপারিশওয়ালা, লেনদেনের ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। এসব গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে যায় না বলে জানিয়েছেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগেদ্রুত সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে অনতিবিলম্বে রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিলম্ব হলে বিএনপি মাঠে নামবে বলেও অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি...
৮ ঘণ্টা আগে