নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের উদ্যোগে তৈরি ‘জাতীয় সনদ’ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে তুলে দেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। এ সময় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ ‘জাতীয় সনদ’ তৈরির জন্য সুজনকে ধন্যবাদ জানান এবং ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ তৈরিতে উক্ত সনদ সহায়তা করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সুজন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সূচনালগ্ন থেকেই গণতন্ত্র, সুশাসন ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। বিশেষ করে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে পরিচ্ছন্ন করার লক্ষ্যে ভোটারদের তথ্যভিত্তিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাব উত্থাপন ও জনমত সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৩ সালে কতগুলো মৌলিক বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি খসড়া ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন করে সে বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে সংগঠনটি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে আটটি বিভাগীয় কর্মশালা আয়োজনসহ জাতীয় পর্যায়ে নাগরিক সনদ বিষয়ে একটি নাগরিক সংলাপ আয়োজন করা হয়। চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে সুজনের সদস্যগণও সারা দেশে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন এবং অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র সংস্কারের দাবিতে সোচ্চার রয়েছেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলের এ প্রচেষ্টাকে সহায়তা করার লক্ষ্যে সুজনের জাতীয় সনদের একটি খসড়া তৈরি করে জনমত যাচাইয়ের লক্ষ্যে সারা দেশে ১৫টি সংলাপের আয়োজন করেছে, যাতে সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাবিত বেশ কয়েকটি সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করার জন্য মে-জুন মাসে ৪০টি প্রশ্ন সংবলিত একটি জনমত যাচাই জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে, যাতে ১ হাজার ৩৭৩ জন অংশগ্রহণ করেন। অনলাইন জরিপে অংশগ্রহণ করেন প্রায় ছয় হাজার নারী-পুরুষ।
জরিপে উল্লেখযোগ্য প্রশ্নের মধ্যে ছিল–জাতীয় সংসদ (নিম্নকক্ষ) ও সিনেট (উচ্চকক্ষ)-এর সমন্বয়ে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা গঠন করা, যা ৭১ শতাংশ অংশগ্রহণকারী সমর্থন করেছেন; ‘একজন ব্যক্তির একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা এবং দলীয় প্রধান না হওয়ার বিধান করা, ’ যা ৮৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী সমর্থন করেছেন; ‘সকল সাংবিধানিক পদসহ তিন বাহিনীর প্রধানের পদে সৎ, যোগ্য ও দলনিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগের জন্য একটি ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ (এনসিসি) গঠন করা, যা ৮০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী সমর্থন করেন।
উল্লেখিত সংলাপ ও জরিপ থেকে প্রাপ্ত নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে সুজন জাতীয় সনদটি চূড়ান্ত করেছে, যা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে পেশ করা হবে। উল্লেখ্য, শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে জরিপের ফলাফল তুলে ধরবে সুজন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের উদ্যোগে তৈরি ‘জাতীয় সনদ’ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের হাতে তুলে দেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। এ সময় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ ‘জাতীয় সনদ’ তৈরির জন্য সুজনকে ধন্যবাদ জানান এবং ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ তৈরিতে উক্ত সনদ সহায়তা করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সুজন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সূচনালগ্ন থেকেই গণতন্ত্র, সুশাসন ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। বিশেষ করে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে পরিচ্ছন্ন করার লক্ষ্যে ভোটারদের তথ্যভিত্তিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাব উত্থাপন ও জনমত সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৩ সালে কতগুলো মৌলিক বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি খসড়া ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন করে সে বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে সংগঠনটি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে আটটি বিভাগীয় কর্মশালা আয়োজনসহ জাতীয় পর্যায়ে নাগরিক সনদ বিষয়ে একটি নাগরিক সংলাপ আয়োজন করা হয়। চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে সুজনের সদস্যগণও সারা দেশে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন এবং অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র সংস্কারের দাবিতে সোচ্চার রয়েছেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলের এ প্রচেষ্টাকে সহায়তা করার লক্ষ্যে সুজনের জাতীয় সনদের একটি খসড়া তৈরি করে জনমত যাচাইয়ের লক্ষ্যে সারা দেশে ১৫টি সংলাপের আয়োজন করেছে, যাতে সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাবিত বেশ কয়েকটি সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করার জন্য মে-জুন মাসে ৪০টি প্রশ্ন সংবলিত একটি জনমত যাচাই জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে, যাতে ১ হাজার ৩৭৩ জন অংশগ্রহণ করেন। অনলাইন জরিপে অংশগ্রহণ করেন প্রায় ছয় হাজার নারী-পুরুষ।
জরিপে উল্লেখযোগ্য প্রশ্নের মধ্যে ছিল–জাতীয় সংসদ (নিম্নকক্ষ) ও সিনেট (উচ্চকক্ষ)-এর সমন্বয়ে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা গঠন করা, যা ৭১ শতাংশ অংশগ্রহণকারী সমর্থন করেছেন; ‘একজন ব্যক্তির একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা এবং দলীয় প্রধান না হওয়ার বিধান করা, ’ যা ৮৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী সমর্থন করেছেন; ‘সকল সাংবিধানিক পদসহ তিন বাহিনীর প্রধানের পদে সৎ, যোগ্য ও দলনিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগের জন্য একটি ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ (এনসিসি) গঠন করা, যা ৮০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী সমর্থন করেন।
উল্লেখিত সংলাপ ও জরিপ থেকে প্রাপ্ত নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে সুজন জাতীয় সনদটি চূড়ান্ত করেছে, যা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে পেশ করা হবে। উল্লেখ্য, শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে জরিপের ফলাফল তুলে ধরবে সুজন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ‘৩৬ জুলাই: আমরা থামব না’ শীর্ষক কর্মসূচি ‘বন্ধ’ ঘোষণার পরেও চলমান থাকা নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিবির। ঢাবি শিবির সভাপতি এস এম ফরহাদ স্বাক্ষরিত দুটি প্রতিবাদপত্র ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিএনপি সরকার গঠন করলে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে এক সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগেতিনি বলেন, ‘বিএনপি এরই মধ্যে রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক, ইসলামপন্থী—সবার সঙ্গে কথা বলেছে। হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমিরের সঙ্গে দেখা করেছি। হাটহাজারী মাদ্রাসায় গিয়েছি। ছারছিনার পীরের সঙ্গে দেখা করেছি। আলিয়া লাইনের সব মুরব্বি-নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছি। উদ্দেশ্য একটাই—বাংলাদেশের সব জনগোষ্ঠীকে আমরা একত্রিত করে,
৫ ঘণ্টা আগেজাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেই দেশে আসবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বৃহস্পতিবার বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে এমনটাই জানিয়েছেন তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির। তারেক রহমান ফিরে এসে আগামী নির্বাচনে একাধিক আসনে প্রার্থী হবেন বলেও ইঙ্গিত দেন এই উপদেষ্টা।
৫ ঘণ্টা আগে