নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসিনি। এবারের যে নির্বাচন, এটা কোনো সেমি ডেমোক্রেসি নয়। এটা ডেমোক্রেটিক নির্বাচন। তারা আসেনি, তারপরও ৪২ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছে। অনেক উন্নত দেশে এত লোক ভোটাধিকার প্রয়োগ করে কি না সন্দেহ।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানী খামারবাড়ীর বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির নেতৃত্বে দেশের ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। এরপরই তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আন্দোলনের মুখে ওই বছরের ৩০ মার্চ সরকার পদত্যাগ করে।
দেশের স্থিতিশীলতার প্রতীক শেখ হাসিনা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, অর্থনীতি, ভাবমূর্তি শেখ হাসিনার হাতে নিরাপদ। সে জন্যই তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১, মাঝে ৫ বছর (২০০১-০৬) ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনে তাঁকে হারানো হয়েছিল। এরপর ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছেন।’
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেতা লন্ডনে, কর্মীরা হতাশ, কী করবে? হাল ধরার কেউ নেই। বিএনপি পথ হারা পথিকের মতো দিশেহারা। এই দলের ভবিষ্যৎ আছে বলে কর্মীরাও বিশ্বাস করে না। তাই এদের নিয়ে মাথাব্যথার কোনো কারণ নেই। তবে কারণ একটা আছে, এরা সাম্প্রদায়িক শক্তির ঠিকানা, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক। অর্থ পাচার ও দুর্নীতির রাজা। তাই তাদের রুখতে হবে। আমাদের সার্বিক অগ্রগতির পথে প্রধান বাধা বিএনপি। এদের প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না, রুখতে হবে। বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে এ অপশক্তিকে রুখতে হবে এক সঙ্গে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজকে যারা বাংলাদেশ নিয়ে বেশি কথা বলেন, কথায় কথায় সরকারের, গণতন্ত্রের সমালোচনা করেন। যারা আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ, তারা গণতন্ত্রের সমালোচনা করেন। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের রক্তস্রোত যারা বইয়ে দিয়েছিল, কারাগারে জাতীয় নেতাদের হত্যা করে তাদের গণতন্ত্র শুরু। এরাই এখন সবচেয়ে বেশি গণতন্ত্রের কথা বলে।’
এ সময় কৃষির প্রতি জোর দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অন্য সবকিছুর উত্থান-পতন হতে পারে, কিন্তু কৃষি ঠিক থাকলে সব ঠিক। তাই আমি সবাইকে বলব, নেত্রীর যে অগ্রাধিকার, তা প্রায়োগিক বাস্তবতায় অক্ষরে অক্ষরে অনুসরণ করবেন।’
এ সময় তিনি এ দেশের নানা আন্দোলন-সংগ্রামে কৃষকদের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘আমাদের ঢাকা শহরের ৪০০ বছরে অনেক স্মৃতি আছে সংগ্রাম, আন্দোলন, বিপ্লবের। বাংলাদেশে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনায় হয়েছিল কৃষকদের হাতে। খণ্ড খণ্ড কৃষক বিদ্রোহ। ফকির, তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা, নীল বিদ্রোহ এসব কৃষকদের আন্দোলন।’
কৃষির গুরুত্ব বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যথাযথভাবে অনুধাবন করেছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, কৃষি বাঁচলে, বাংলাদেশের অর্থনীতি বাঁচবে। অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে কৃষিকে বাঁচাতে হবে। এই বিষয়টি বঙ্গবন্ধুকন্যা যথাযথ ভাবে অনুধাবন করেছেন।
মঞ্চের স্টেজে অতিথিদের সামনে ঝুড়িতে কাঁচা সবজি প্যাকেজিং করা রাখা হয়েছিল। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পুরো স্টেজে অনেক লোভনীয় সবজি। আমি জানি না এগুলোর উৎপাদক যারা, তারা কেউ আছে নাকি? আমি সমীরকে (কৃষক লীগ সভাপতি) বললাম এগুলো কি বাজার থেকে কেনা? নাকি নিজেদের উৎপাদনের? দেখলাম তো অনেকেই ছাদবাগান করে। এটা ভালো।’
তিনি বলেন, ‘কৃষক লীগকে শহরের মধ্যে আটকে না রেখে গ্রামের দিকে নিয়ে যাওয়া ভালো। কৃষক লীগের ধানমন্ডি শাখা, বনানী শাখা, গুলশান শাখা, বারিধারা শাখার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। একসময় এমনও ছিল কুয়েতে কৃষক লীগ, কাতার, সৌদি আরব, আমেরিকায় কৃষক লীগ। কারা কৃষক? ওই যে বিদেশে থাকে জায়গা হয় না, সব সংগঠনে ঢুকেছে এখন দোকান খুলে প্রবাসে। এ রকম করে আরও নানান বিষয় আছে। সেই বৃত্ত থেকে কৃষক লীগ বেরিয়ে আসছে।’
কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসিনি। এবারের যে নির্বাচন, এটা কোনো সেমি ডেমোক্রেসি নয়। এটা ডেমোক্রেটিক নির্বাচন। তারা আসেনি, তারপরও ৪২ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছে। অনেক উন্নত দেশে এত লোক ভোটাধিকার প্রয়োগ করে কি না সন্দেহ।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানী খামারবাড়ীর বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির নেতৃত্বে দেশের ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। এরপরই তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আন্দোলনের মুখে ওই বছরের ৩০ মার্চ সরকার পদত্যাগ করে।
দেশের স্থিতিশীলতার প্রতীক শেখ হাসিনা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, অর্থনীতি, ভাবমূর্তি শেখ হাসিনার হাতে নিরাপদ। সে জন্যই তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১, মাঝে ৫ বছর (২০০১-০৬) ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনে তাঁকে হারানো হয়েছিল। এরপর ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছেন।’
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেতা লন্ডনে, কর্মীরা হতাশ, কী করবে? হাল ধরার কেউ নেই। বিএনপি পথ হারা পথিকের মতো দিশেহারা। এই দলের ভবিষ্যৎ আছে বলে কর্মীরাও বিশ্বাস করে না। তাই এদের নিয়ে মাথাব্যথার কোনো কারণ নেই। তবে কারণ একটা আছে, এরা সাম্প্রদায়িক শক্তির ঠিকানা, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক। অর্থ পাচার ও দুর্নীতির রাজা। তাই তাদের রুখতে হবে। আমাদের সার্বিক অগ্রগতির পথে প্রধান বাধা বিএনপি। এদের প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না, রুখতে হবে। বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে এ অপশক্তিকে রুখতে হবে এক সঙ্গে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজকে যারা বাংলাদেশ নিয়ে বেশি কথা বলেন, কথায় কথায় সরকারের, গণতন্ত্রের সমালোচনা করেন। যারা আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ, তারা গণতন্ত্রের সমালোচনা করেন। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের রক্তস্রোত যারা বইয়ে দিয়েছিল, কারাগারে জাতীয় নেতাদের হত্যা করে তাদের গণতন্ত্র শুরু। এরাই এখন সবচেয়ে বেশি গণতন্ত্রের কথা বলে।’
এ সময় কৃষির প্রতি জোর দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অন্য সবকিছুর উত্থান-পতন হতে পারে, কিন্তু কৃষি ঠিক থাকলে সব ঠিক। তাই আমি সবাইকে বলব, নেত্রীর যে অগ্রাধিকার, তা প্রায়োগিক বাস্তবতায় অক্ষরে অক্ষরে অনুসরণ করবেন।’
এ সময় তিনি এ দেশের নানা আন্দোলন-সংগ্রামে কৃষকদের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘আমাদের ঢাকা শহরের ৪০০ বছরে অনেক স্মৃতি আছে সংগ্রাম, আন্দোলন, বিপ্লবের। বাংলাদেশে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনায় হয়েছিল কৃষকদের হাতে। খণ্ড খণ্ড কৃষক বিদ্রোহ। ফকির, তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা, নীল বিদ্রোহ এসব কৃষকদের আন্দোলন।’
কৃষির গুরুত্ব বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যথাযথভাবে অনুধাবন করেছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, কৃষি বাঁচলে, বাংলাদেশের অর্থনীতি বাঁচবে। অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে কৃষিকে বাঁচাতে হবে। এই বিষয়টি বঙ্গবন্ধুকন্যা যথাযথ ভাবে অনুধাবন করেছেন।
মঞ্চের স্টেজে অতিথিদের সামনে ঝুড়িতে কাঁচা সবজি প্যাকেজিং করা রাখা হয়েছিল। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পুরো স্টেজে অনেক লোভনীয় সবজি। আমি জানি না এগুলোর উৎপাদক যারা, তারা কেউ আছে নাকি? আমি সমীরকে (কৃষক লীগ সভাপতি) বললাম এগুলো কি বাজার থেকে কেনা? নাকি নিজেদের উৎপাদনের? দেখলাম তো অনেকেই ছাদবাগান করে। এটা ভালো।’
তিনি বলেন, ‘কৃষক লীগকে শহরের মধ্যে আটকে না রেখে গ্রামের দিকে নিয়ে যাওয়া ভালো। কৃষক লীগের ধানমন্ডি শাখা, বনানী শাখা, গুলশান শাখা, বারিধারা শাখার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। একসময় এমনও ছিল কুয়েতে কৃষক লীগ, কাতার, সৌদি আরব, আমেরিকায় কৃষক লীগ। কারা কৃষক? ওই যে বিদেশে থাকে জায়গা হয় না, সব সংগঠনে ঢুকেছে এখন দোকান খুলে প্রবাসে। এ রকম করে আরও নানান বিষয় আছে। সেই বৃত্ত থেকে কৃষক লীগ বেরিয়ে আসছে।’
কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।
ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে দেখা করে রাষ্ট্র সংস্কার, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির নেতারা। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বিকেল ৫টা থেকে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়...
১০ ঘণ্টা আগেভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে গুলশান-২ নম্বরে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে যান আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির কেন্দ্রীয় চার নেতা। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত...
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ইতিহাসে আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, অনেকে ভাবছে, একটি প্রতিপক্ষ তো আর মাঠে নেই, তাই আগামী নির্বাচন কী আর কঠিন হবে। তবে আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে।
১২ ঘণ্টা আগেগত বছরের অক্টোবরের তুলনায় বর্তমানে দেশের বড় দল বিএনপির জনপ্রিয়তা কমলেও বাড়ছে তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জনপ্রিয়তা। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা যায়, ২০২৪ সালের অক্টোবরে বিএনপির জনপ্রিয়তা ছিল ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ, গত জুলাইয়ে তা ১২ শতাংশে নেমেছে..
১৪ ঘণ্টা আগে