Ajker Patrika

জাপার হঠাৎ সক্রিয়তায় উত্তাপ

  • প্রধান দলগুলোর মধ্যে অনৈক্যের সময়ে এই সক্রিয়তা সন্দেহ তৈরি করেছে।
  • কোনো কোনো দলের মতে, এটি স্বতঃস্ফূর্ত নয়, কৌশলগত সমঝোতায় হতে পারে।
  • জাপা বলছে, আ.লীগকে টানার মতো অবস্থা তাদের নেই। এসব সন্দেহ ষড়যন্ত্র।
তানিম আহমেদ, ঢাকা 
আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২৫, ০৯: ০৭
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল রাজধানীতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেন গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা। পরে জলকামান ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।	ছবি: আজকের পত্রিকা
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল রাজধানীতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেন গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা। পরে জলকামান ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় পার্টির (জাপা) নড়াচড়ায় হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতি। দলটি নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে আবারও। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এর মূলে রয়েছে সুবিধার জন্য বারবার ভোল পাল্টানো জাপাকে ঘিরে তৈরি হওয়া সন্দেহ। সংস্কার, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এবং সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) নিয়ে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অনৈক্যের সময় জাপার এই সক্রিয়তা কয়েকটি দল সন্দেহের চোখে দেখছে। দলগুলো মনে করছে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে জাপার হঠাৎ সক্রিয়তা স্বতঃস্ফূর্ত রাজনৈতিক তৎপরতা না হয়ে কোনো কৌশলগত সমঝোতার ফলও হতে পারে। নির্বাচন সামনে রেখে অতীতের মতো এবারও জাপাকে সামনে রেখে কলকাঠি নাড়া হচ্ছে।

রাজনীতিতে জাপার হঠাৎ সক্রিয় হয়ে ওঠাকে জামায়াত দেখছে ‘নতুন ষড়যন্ত্র’ হিসেবে। এনসিপি মনে করছে, জাপাকে নির্বাচনে নিয়ে আসার মাধ্যমে পতিত আওয়ামী লীগের লোকদের অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। তাদের নিয়ে ‘অংশগ্রহণমূলক’ নির্বাচনের অতীতের যে পরিকল্পনা, সেটি বাস্তবায়নের পথে অনেকে হাঁটার চেষ্টা করছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সক্রিয় থাকা আরও কয়েকটি দলও মনে করে, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য জাপাকে মাঠে নামানোর চেষ্টা চলছে।

অবশ্য জাপা বলছে, আওয়ামী লীগকে টানার মতো অবস্থা তাদের নেই। এসব সন্দেহ তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।

১৯৯০-এর দশক থেকে দেশের রাজনীতিতে সুবিধার জন্য বারবার ভোল পাল্টেছে জাপা। দলটির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদের মৃত্যুর পর গৃহবিবাদে বিভক্ত হলেও চরিত্রে তেমন একটা বদল হয়নি বলেই মনে করেন বিশ্লেষকেরা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরও দলটিতে ভাঙন হয়েছে। কিছুদিন আগে আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বে নতুন অংশ আত্মপ্রকাশ করেছে। অপর অংশের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের আমলে দলটি ‘গৃহপালিত বিরোধী দলের’ তকমা পেয়েছিল।

রাজনীতিতে জাপার সক্রিয় হওয়ার বিষয়ে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে। জনগণ ভোট না দিলে ভিন্ন চিন্তা, ভোট দিলে আমাদের অবস্থানে থাকব।’ জাপা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে—এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে টানার মতো অবস্থান আমাদের নেই। এটা ষড়যন্ত্র। আমাদের মিছিল-মিটিংয়ে আওয়ামী লীগের কেউ কোনো দিন আসেনি।

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। তাদের কার্যক্রম তারা করবে। আমরা কে তাদের টানতে যাব। এসব তকমা দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।’

অবশ্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসিনা তো একা লুটপাট ও দুঃশাসন করেনি। তাঁর জোটে জাতীয় পার্টি ছিল। হাসিনার কর্মকাণ্ডের দায় তাদেরও নিতে হয়। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে, দলটির শরিকেরা ও সহযোগীরাও সম-অপরাধী। এ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়া সরকার বা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। জাপার বিষয়ে মন্তব্য করায় প্রশাসন দিয়ে দমন করানো ঠিক নয়।’

গণ-অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে জাপার প্রতিনিধিও ছিলেন। তাঁরা সেদিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও দেখা করেন। ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার শপথ অনুষ্ঠানেও দেখা গেছে জি এম কাদেরসহ দলটির প্রতিনিধিদের। পরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এক দফা সাক্ষাৎও করে দলটির প্রতিনিধিদল। এরপরই আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে জাপাকে নিষিদ্ধের দাবি ওঠে। এরপর কিছুদিন রাজনীতিতে একঘরে হয়ে যায় দলটি। এরই মধ্যে আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বে একটি পক্ষ আলাদা জাতীয় পার্টি করে।

নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছে জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদসহ কয়েকটি দল। তবে বিএনপিসহ তার সমমনা দলগুলোর অবস্থান বিপরীত। এই অবস্থায় অনেকে মনে করছেন, ওই দলগুলোকে চাপে রাখার চেষ্টা হিসেবে জাপাকে সামনে আনা হচ্ছে।

একটি দলের একজন নেতা বলেন, সরকারের ভেতর একটি পক্ষ জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে এনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে। তাদের দাবি, এটি আন্তর্জাতিক চাপ। বিষয়টি আরও কিছুদিন পর পরিষ্কার হবে।

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট হয়ে যাওয়ার পেছনে অন্যতম দোসর ও সহযোগী ছিল জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টির মাধ্যমে পতিত আওয়ামী লীগের লোকদের নিয়ে একটি ইনক্লুসিভ নির্বাচনের পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল। সেটি বাস্তবায়নের পথে অনেকে হাঁটার চেষ্টা করছেন। তার নজির শুক্রবার দেখতে পেয়েছি। এই পাঁয়তারার নিন্দা জানাই আমরা।’

জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবিতে গত শুক্রবার রাজধানীতে বিক্ষোভ করে গণঅধিকার পরিষদ। বিকেলে দুই দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর রাতে ওই ঘটনার প্রতিবাদে গণঅধিকার পরিষদ মশাল মিছিল করে দলের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিপেটায় গুরুতর আহত হন নুরসহ দলের ৪০ জনের বেশি নেতা-কর্মী। ওই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের কথা জানিয়েছে সরকার।

বিএনপির নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ফ্যাসিবাদের প্রধান হলো হাসিনা। তাদের দোসর হলো জাতীয় পার্টি। এ ক্ষেত্রে দলটি সামনে থেকে আওয়ামী লীগের শক্তি ব্যবহার করতে পারে। এটা রাজনৈতিক কূটকৌশল। আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য হয়তো জাতীয় পার্টি গার্ডিয়ানশিপ নিচ্ছে। সে কারণে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী দলগুলো বিক্ষুব্ধ। ফ্যাসিবাদের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগকারীদের জন্য ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির ওপর হামলা মেনে নিতে পারেন না তাঁরা।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ জাপার হঠাৎ সক্রিয়তাকে ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের নতুন ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করে নির্বাচনকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে জাতীয় পার্টির মাধ্যমে। এটি সরকারের দুর্বলতা।

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল জাতীয় পার্টির ইস্যুটি শুরুতেই নিষ্পত্তি করা। বিগত প্রতিটি অবৈধ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ছিল ফ্যাসিবাদের অন্যতম প্রধান সহযোগী, তাদের নিয়ে নড়াচড়া আজ হোক, কাল হোক, হতোই। জাতীয় পার্টি নিয়ে বর্তমান নড়াচড়াকে সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে দেখি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নেতাদের তারেক রহমান

দলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য করবেন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ব্যক্তিস্বার্থ ও বিভেদ ভুলে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘দলের সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত বলে গণ্য করবেন।’

রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।

দলের পক্ষ থেকে শিগগির পর্যায়ক্রমে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দল যাঁকেই যে আসনে মনোনয়ন দেবে, অনুগ্রহপূর্বক তাঁকে বিজয়ী করে আনার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে প্রত্যেকে, বিএনপির প্রতিটি মানুষ দয়া করে কাজ করবেন।’

তারেক রহমান আরও বলেন, ‘আপনারা যাঁরা জনসমর্থন পেতে নিজ নিজ এলাকায় জনসংযোগ করছেন, আপনারা সবাই কিন্তু শহীদ জিয়ার অনুসারী, খালেদা জিয়ার সৈনিক, বিএনপির কর্মী, ধানের শীষের সমর্থক। মনে রাখবেন, ধানের শীষ জিতলে আপনি জিতেছেন বা জিতছেন, জিতবেন, বিজয়ী হবেন।’

নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বিএনপি সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বলে জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে বিএনপিদলীয় প্রার্থী কিংবা বিএনপিসমর্থিত প্রার্থীর মনোনয়নপ্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে। জনসমর্থিত এবং জনপ্রিয় দল হওয়ার কারণে প্রতিটি নির্বাচনী আসনে বিএনপির একাধিক যোগ্য লোক মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন; কিন্তু প্রত্যেককে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়।

এ ছাড়া ভিন্ন রাজনৈতিক দলের, যাঁরা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সঙ্গে ছিলেন, এমন প্রার্থীকেও বিএনপি সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেন জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এ বাস্তবতার কারণে অনেক আসনে হয়তো বিএনপির যোগ্য অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বঞ্চিত হবেন।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘মনে রাখবেন—আপনাদের চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার কিন্তু ওত পেতে রয়েছে। সুতরাং আপনাদের নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ, বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে করে প্রতিপক্ষ আপনাদের মধ্যকার বিরোধের সুযোগ নিতে পারে।’

শুধু বিএনপির বিজয় ঠেকাতে গিয়ে পতিত পলাতক স্বৈরাচার সরকার দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে গত ১৫ বছরে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছিল। উদ্বেগ এবং আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও বর্তমানে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার এবং অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময় কোনো কোনো বিষয়ে জনমনে জিজ্ঞাসা বাড়ছে—যথাসময়ে কী নির্বাচন হবে? কিন্তু এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সৃষ্ট জনমনে সংশয়-সন্দেহ গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে হয়তোবা সংকটাপন্ন করে তুলতে পারে।’

ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘কৌশল এবং অপকৌশলের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে ব্যর্থ হলে কোনো অগণতান্ত্রিক বা অপশক্তির কাছে শেষ পর্যন্ত বিনা শর্তে আত্মসমর্থনের পথে হাঁটতে হয় কি না—বাংলাদেশের এ মুহূর্তে মাঠে থাকা সব গণতান্ত্রিক দলকে এমন বিপদের কথাও স্মরণে রাখতে আমি বিনীত অনুরোধ করছি।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ অনেকে বক্তব্য দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে কার্যক্রম পুনরায় সচল করা হয়েছে। আজ রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, চব্বিশের জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান যে আকাঙ্ক্ষা ও উদ্দেশ্য নিয়ে সংঘটিত হয়েছিল, তার পূর্ণ বাস্তবায়ন এখনো হয়নি। বরং দেখা যাচ্ছে, জুলাইয়ের শহীদ পরিবার ও আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন যেমন নিশ্চিত করা হয়নি, তেমনি তাদের নিরাপত্তাও যথাযথভাবে নিশ্চিত করতে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সরকার। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ ছাড়া জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পর্কেও কোনো সুস্পষ্ট রোডম্যাপ আমরা এখনো প্রত্যক্ষ করেনি, যা হাজারও শহীদ ও আহতদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা অন্তর্বর্তী সরকারের চরম ব্যর্থতা।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের বৈপ্লবিক রূপান্তর নিশ্চিতে এবং ঐতিহাসিক এক দফা, অর্থাৎ ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণের নিমিত্তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মহানগর, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সব ইউনিট কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হলো। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটকে সাংগঠনিক কার্যক্রম পুনরায় সচল করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে এবং সারা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়, মহানগর ও জেলা ইউনিটকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি পুনর্গঠন সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে রয়েছে, নেতা-কর্মীদের তারেক রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ১৬
বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন তারেক রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন তারেক রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

নেতা-কর্মীদের বিভেদ ও বিরোধ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে রয়েছে। সে জন্য নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ বা বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রতিপক্ষ সে সুযোগ নিতে পারে।

রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে আজ রোববার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বিএনপি সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বলে জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে বিএনপিদলীয় প্রার্থী কিংবা বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীর মনোনয়নপ্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে। জনসমর্থিত ও জনপ্রিয় দল হওয়ার কারণে প্রতিটি নির্বাচনী আসনে বিএনপির একাধিক যোগ্য লোক মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন, কিন্তু প্রত্যেককে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়।

এ ছাড়া ভিন্ন রাজনৈতিক দলের যাঁরা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সঙ্গে ছিলেন, এমন প্রার্থীকেও বিএনপি সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এ বাস্তবতার কারণে অনেক আসনে হয়তো বিএনপির যোগ্য অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বঞ্চিত হবেন।

ব্যক্তিস্বার্থ ও বিভেদ ভুলে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত বলে গণ্য করবেন।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘মনে রাখবেন—আপনাদের চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার কিন্তু ওত পেতে রয়েছে। সুতরাং, আপনাদের নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ, বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রতিপক্ষ আপনাদের মধ্যকার বিরোধের সুযোগ নিতে পারে।’

দলের পক্ষ থেকে শিগগির পর্যায়ক্রমে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দল যাকেই যে আসনে মনোনয়ন দেবে, অনুগ্রহপূর্বক তাকে বিজয়ী করে আনার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে প্রত্যেকে, বিএনপির প্রতিটি মানুষ দয়া করে কাজ করবেন।’

শুধু বিএনপির বিজয় ঠেকাতে গিয়ে পতিত পলাতক স্বৈরাচার সরকার দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, দেশের নির্বাচনব্যবস্থাকে গত ১৫ বছরে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছিল। উদ্বেগ ও আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও বর্তমানে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার ও অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময় কোনো কোনো বিষয়ে জনমনে জিজ্ঞাসা বাড়ছে—যথাসময়ে কি নির্বাচন হবে? কিন্তু এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সৃষ্ট জনমনে সংশয়-সন্দেহ গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে হয়তোবা সংকটাপন্ন করে তুলতে পারে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ অনেকে বক্তব্য দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনামের পদত্যাগ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
হাসান ইনাম। ছবি: সংগৃহীত
হাসান ইনাম। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার তিনি সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।

হাসান ইনাম পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, ‘আমি গত ৪ মাস জুলাই থেকে গণ-অভ্যুত্থানের সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি। আমি এই সংগঠনকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক পরিসরে তুলে ধরার জন্য একদল কর্মঠ কর্মী নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করেছি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় নানা পরিসরে কাজে লিপ্ত থেকে আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ অনুভব করছি।’

পদত্যাগপত্রে হাসান ইনাম সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের পদে বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক মুঈনুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

তিনি আরও লিখেছেন, ‘সংগঠনের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারা দেশের সব কমিটি পুনর্গঠনের ঘোষণা দেখার পর মনে হচ্ছে দেশব্যাপী পরিব্যাপ্ত সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার মতো মানসিক অবস্থায় আমি এখন নেই। তাই আমি স্বেচ্ছায়, স্বপ্রণোদিতভাবে এই দায়িত্ব থেকে ইস্তফা নিচ্ছি।’

তবে, পদত্যাগ করলেও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের লক্ষ্য অর্জনের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন হাসান ইনাম। তিনি বলেন, ‘তবে জুলাইকে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমার যে লড়াই, সেটি চলমান থাকবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সংগঠনে সাধারণ সম্পাদক ভিন্ন অন্য কোনো পরিচয়ে বা বেনামে আমি সংগঠনের এ-সংক্রান্ত কাজে নিজেকে জড়িত রাখতে ইচ্ছুক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দৌড়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে, বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানাতে বলল সরকার

আজকের রাশিফল: প্রেম এলে না করবেন না, বিনিয়োগটা মুলতবি রাখুন

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার দুদিন পরই নারীকেই পিটিয়ে হত্যা করেছে ভবঘুরে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত