নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

উন্নয়নমূলক কাজে সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্ত হওয়ার বিরোধিতা করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। কাজটি স্থানীয় সরকারের হলেও বিদ্যমান অবস্থায় এমপিরা এসব কাজ নিয়ন্ত্রণ করেন। যাতে নানান অনিয়মের অভিযোগ আছে। একই সঙ্গে দলটি এমপিদের ‘থোক বরাদ্দ’ বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপ শেষে এসব কথা বলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। আজ সকাল ১০টার কিছু পরে শুরু হয়ে এ সংলাপ শেষ হয় বেলা ২টা ১০ মিনিটের দিকে। সাইফুল হকের নেতৃত্বে দলটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন।
আইন ও বিধি অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের মূল কাজ হচ্ছে আইন প্রণয়ন করা। নানান সময় অভিযোগ উঠেছে এমপিরা মূল কাজকে এড়িয়ে স্থানীয় সরকারের নানান উন্নয়নকাজের নিয়ন্ত্রণ নেন। যাতে তাঁদের ঘিরে নানান সিন্ডিকেটের কথাও আলোচনা আছে।
উন্নয়নকাজে সংসদ সদস্যরা নীতিগতভাবে যুক্ত থাকতে পারবেন না মন্তব্য করে সাইফুল হক বলেন, উন্নয়নের কাজটা হচ্ছে স্থানীয় সরকারের। তাঁরা থাকলে ডিক্টেট করেন, কন্ট্রোল করেন এবং অনেক কিছু তাঁরা করেন। আরেকটা হলো বিভিন্ন সময় দেখেছি ‘থোক বরাদ্দের’ নামে সংসদ সদস্যদের অর্থ দেওয়া হয়। এ টাকাগুলোর অপচয় হয়, দলীয় কাজে ব্যয় হয়। এ ধরনের অনেকগুলো ক্ষেত্র আছে। সেগুলো বন্ধ করলে অপ্রদর্শিত অর্থ ব্যয় করার যে প্রবণতা বন্ধ করা সম্ভব।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ১২১টিতে একমত, ২২টি দ্বিমত এবং ২৩ প্রস্তাবে আংশিকভাবে একমত বলে কমিশনকে লিখিতভাবে জানিয়েছে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সংখ্যানুপাতিকে উচ্চকক্ষ, সংসদ, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ চার বছরের প্রস্তাবে একমত হয়েছে। একই সঙ্গে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগও চার বছরের জন্য করার প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা। একজন সর্বোচ্চ দুবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের এমন প্রস্তাবে বিষয়ে সাইফুল হক বলেন, ‘দুবার ও দুই মেয়াদ নিয়ে বিভ্রান্তি আছে। তা দূর করতে কমিশনকে বলেছি।’
১৬ বছর ধরে চলা আন্দোলন প্রধানত মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য করা হয়েছে দাবি করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারলে ন্যূনতম বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সনদ তৈরি সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি। সাইফুল হক বলেন, ‘তারপরে আমরা নির্বাচনে যেতে পারি। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের ঘোর বিরোধিতা করেছি।’
জাতীয় সাংবিধানিক কমিশনের (এনসিসি) প্রস্তাবে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি একমত বলে জানান সাইফুল হক। তবে দলটি এনসিসিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিকে রাখার পক্ষে দ্বিমত জানিয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁদের বিতর্কে জড়িয়ে ফেলাটা ঠিক হবে না। কিছু জায়গা রাখা দরকার। আরেকটা কারণ হলো তাঁরা যদি কোনো বৈঠকে উপস্থিত থাকেন, তাহলে এনসিসির বাকি সদস্যের পক্ষে খোলামেলা আলোচনা, মতামত দেওয়াতে মনস্তাত্ত্বিকভাবে কঠিন হয়ে পড়তে পারে। গুরুত্ব নিয়োগ যেহেতু এনসিসি থেকে আসবে তাই রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিকে এনসিসির বাইরে রাখা বাঞ্ছনীয়।
সংসদ সদস্যদের অর্থবিল ও আস্থা ভোটে দলীয় সিদ্ধান্তে ভোট দেওয়ার পক্ষে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। সাইফুল হক বলেন, অনেকেই বলছেন জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন ছাড়া। বিষয়টি এত অস্পষ্ট। যেকোনো কিছুকে জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা রোধ করে দেওয়া যাবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংবিধানের বিষয়ে প্রস্তাব দিলে কীভাবে বাস্তবায়ন হবে এমন প্রশ্নে সাইফুল হক বলেন, জাতীয় সনদে স্বাক্ষরের পরে নির্বাচিত সংসদ সংস্কার, পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা কোন অনুচ্ছেদ পুনর্লিখন করতে হলে করবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় সংলাপে অংশ নেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান।
গণতান্ত্রিক দলগুলোর ঐক্যের ওপর নির্ভর করবে সংলাপের সাফল্য বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে সূচনা বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ‘অনেক বিষয়ে ঐকমত্য আছে। বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্ন মত দেখতে পাই, সেগুলো আলোচনার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হব। গণতান্ত্রিক সমাজ অবশ্যই ভিন্ন ভিন্ন মতের সমাজ। আমরা সকলেই এক ভাষায় কথা বলব না। তবে আমাদের লক্ষ্য এক। সেই জায়গায় ঐক্যবদ্ধ আছি এবং থাকব। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যের ওপর নির্ভর করবে আমরা কতটুকু সাফল্য অর্জন করতে পারব।’

উন্নয়নমূলক কাজে সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্ত হওয়ার বিরোধিতা করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। কাজটি স্থানীয় সরকারের হলেও বিদ্যমান অবস্থায় এমপিরা এসব কাজ নিয়ন্ত্রণ করেন। যাতে নানান অনিয়মের অভিযোগ আছে। একই সঙ্গে দলটি এমপিদের ‘থোক বরাদ্দ’ বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপ শেষে এসব কথা বলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। আজ সকাল ১০টার কিছু পরে শুরু হয়ে এ সংলাপ শেষ হয় বেলা ২টা ১০ মিনিটের দিকে। সাইফুল হকের নেতৃত্বে দলটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন।
আইন ও বিধি অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের মূল কাজ হচ্ছে আইন প্রণয়ন করা। নানান সময় অভিযোগ উঠেছে এমপিরা মূল কাজকে এড়িয়ে স্থানীয় সরকারের নানান উন্নয়নকাজের নিয়ন্ত্রণ নেন। যাতে তাঁদের ঘিরে নানান সিন্ডিকেটের কথাও আলোচনা আছে।
উন্নয়নকাজে সংসদ সদস্যরা নীতিগতভাবে যুক্ত থাকতে পারবেন না মন্তব্য করে সাইফুল হক বলেন, উন্নয়নের কাজটা হচ্ছে স্থানীয় সরকারের। তাঁরা থাকলে ডিক্টেট করেন, কন্ট্রোল করেন এবং অনেক কিছু তাঁরা করেন। আরেকটা হলো বিভিন্ন সময় দেখেছি ‘থোক বরাদ্দের’ নামে সংসদ সদস্যদের অর্থ দেওয়া হয়। এ টাকাগুলোর অপচয় হয়, দলীয় কাজে ব্যয় হয়। এ ধরনের অনেকগুলো ক্ষেত্র আছে। সেগুলো বন্ধ করলে অপ্রদর্শিত অর্থ ব্যয় করার যে প্রবণতা বন্ধ করা সম্ভব।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ১২১টিতে একমত, ২২টি দ্বিমত এবং ২৩ প্রস্তাবে আংশিকভাবে একমত বলে কমিশনকে লিখিতভাবে জানিয়েছে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সংখ্যানুপাতিকে উচ্চকক্ষ, সংসদ, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ চার বছরের প্রস্তাবে একমত হয়েছে। একই সঙ্গে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগও চার বছরের জন্য করার প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা। একজন সর্বোচ্চ দুবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের এমন প্রস্তাবে বিষয়ে সাইফুল হক বলেন, ‘দুবার ও দুই মেয়াদ নিয়ে বিভ্রান্তি আছে। তা দূর করতে কমিশনকে বলেছি।’
১৬ বছর ধরে চলা আন্দোলন প্রধানত মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য করা হয়েছে দাবি করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারলে ন্যূনতম বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সনদ তৈরি সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি। সাইফুল হক বলেন, ‘তারপরে আমরা নির্বাচনে যেতে পারি। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের ঘোর বিরোধিতা করেছি।’
জাতীয় সাংবিধানিক কমিশনের (এনসিসি) প্রস্তাবে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি একমত বলে জানান সাইফুল হক। তবে দলটি এনসিসিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিকে রাখার পক্ষে দ্বিমত জানিয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁদের বিতর্কে জড়িয়ে ফেলাটা ঠিক হবে না। কিছু জায়গা রাখা দরকার। আরেকটা কারণ হলো তাঁরা যদি কোনো বৈঠকে উপস্থিত থাকেন, তাহলে এনসিসির বাকি সদস্যের পক্ষে খোলামেলা আলোচনা, মতামত দেওয়াতে মনস্তাত্ত্বিকভাবে কঠিন হয়ে পড়তে পারে। গুরুত্ব নিয়োগ যেহেতু এনসিসি থেকে আসবে তাই রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিকে এনসিসির বাইরে রাখা বাঞ্ছনীয়।
সংসদ সদস্যদের অর্থবিল ও আস্থা ভোটে দলীয় সিদ্ধান্তে ভোট দেওয়ার পক্ষে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। সাইফুল হক বলেন, অনেকেই বলছেন জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন ছাড়া। বিষয়টি এত অস্পষ্ট। যেকোনো কিছুকে জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা রোধ করে দেওয়া যাবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংবিধানের বিষয়ে প্রস্তাব দিলে কীভাবে বাস্তবায়ন হবে এমন প্রশ্নে সাইফুল হক বলেন, জাতীয় সনদে স্বাক্ষরের পরে নির্বাচিত সংসদ সংস্কার, পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা কোন অনুচ্ছেদ পুনর্লিখন করতে হলে করবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় সংলাপে অংশ নেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান।
গণতান্ত্রিক দলগুলোর ঐক্যের ওপর নির্ভর করবে সংলাপের সাফল্য বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে সূচনা বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ‘অনেক বিষয়ে ঐকমত্য আছে। বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্ন মত দেখতে পাই, সেগুলো আলোচনার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হব। গণতান্ত্রিক সমাজ অবশ্যই ভিন্ন ভিন্ন মতের সমাজ। আমরা সকলেই এক ভাষায় কথা বলব না। তবে আমাদের লক্ষ্য এক। সেই জায়গায় ঐক্যবদ্ধ আছি এবং থাকব। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যের ওপর নির্ভর করবে আমরা কতটুকু সাফল্য অর্জন করতে পারব।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

উন্নয়নমূলক কাজে সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্ত হওয়ার বিরোধিতা করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। কাজটি স্থানীয় সরকারের হলেও বিদ্যমান অবস্থায় এমপিরা এসব কাজ নিয়ন্ত্রণ করেন। যাতে নানান অনিয়মের অভিযোগ আছে। একই সঙ্গে দলটি এমপিদের ‘থোক বরাদ্দ’ বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপ শেষে এসব কথা বলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। আজ সকাল ১০টার কিছু পরে শুরু হয়ে এ সংলাপ শেষ হয় বেলা ২টা ১০ মিনিটের দিকে। সাইফুল হকের নেতৃত্বে দলটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন।
আইন ও বিধি অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের মূল কাজ হচ্ছে আইন প্রণয়ন করা। নানান সময় অভিযোগ উঠেছে এমপিরা মূল কাজকে এড়িয়ে স্থানীয় সরকারের নানান উন্নয়নকাজের নিয়ন্ত্রণ নেন। যাতে তাঁদের ঘিরে নানান সিন্ডিকেটের কথাও আলোচনা আছে।
উন্নয়নকাজে সংসদ সদস্যরা নীতিগতভাবে যুক্ত থাকতে পারবেন না মন্তব্য করে সাইফুল হক বলেন, উন্নয়নের কাজটা হচ্ছে স্থানীয় সরকারের। তাঁরা থাকলে ডিক্টেট করেন, কন্ট্রোল করেন এবং অনেক কিছু তাঁরা করেন। আরেকটা হলো বিভিন্ন সময় দেখেছি ‘থোক বরাদ্দের’ নামে সংসদ সদস্যদের অর্থ দেওয়া হয়। এ টাকাগুলোর অপচয় হয়, দলীয় কাজে ব্যয় হয়। এ ধরনের অনেকগুলো ক্ষেত্র আছে। সেগুলো বন্ধ করলে অপ্রদর্শিত অর্থ ব্যয় করার যে প্রবণতা বন্ধ করা সম্ভব।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ১২১টিতে একমত, ২২টি দ্বিমত এবং ২৩ প্রস্তাবে আংশিকভাবে একমত বলে কমিশনকে লিখিতভাবে জানিয়েছে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সংখ্যানুপাতিকে উচ্চকক্ষ, সংসদ, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ চার বছরের প্রস্তাবে একমত হয়েছে। একই সঙ্গে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগও চার বছরের জন্য করার প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা। একজন সর্বোচ্চ দুবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের এমন প্রস্তাবে বিষয়ে সাইফুল হক বলেন, ‘দুবার ও দুই মেয়াদ নিয়ে বিভ্রান্তি আছে। তা দূর করতে কমিশনকে বলেছি।’
১৬ বছর ধরে চলা আন্দোলন প্রধানত মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য করা হয়েছে দাবি করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারলে ন্যূনতম বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সনদ তৈরি সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি। সাইফুল হক বলেন, ‘তারপরে আমরা নির্বাচনে যেতে পারি। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের ঘোর বিরোধিতা করেছি।’
জাতীয় সাংবিধানিক কমিশনের (এনসিসি) প্রস্তাবে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি একমত বলে জানান সাইফুল হক। তবে দলটি এনসিসিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিকে রাখার পক্ষে দ্বিমত জানিয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁদের বিতর্কে জড়িয়ে ফেলাটা ঠিক হবে না। কিছু জায়গা রাখা দরকার। আরেকটা কারণ হলো তাঁরা যদি কোনো বৈঠকে উপস্থিত থাকেন, তাহলে এনসিসির বাকি সদস্যের পক্ষে খোলামেলা আলোচনা, মতামত দেওয়াতে মনস্তাত্ত্বিকভাবে কঠিন হয়ে পড়তে পারে। গুরুত্ব নিয়োগ যেহেতু এনসিসি থেকে আসবে তাই রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিকে এনসিসির বাইরে রাখা বাঞ্ছনীয়।
সংসদ সদস্যদের অর্থবিল ও আস্থা ভোটে দলীয় সিদ্ধান্তে ভোট দেওয়ার পক্ষে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। সাইফুল হক বলেন, অনেকেই বলছেন জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন ছাড়া। বিষয়টি এত অস্পষ্ট। যেকোনো কিছুকে জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা রোধ করে দেওয়া যাবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংবিধানের বিষয়ে প্রস্তাব দিলে কীভাবে বাস্তবায়ন হবে এমন প্রশ্নে সাইফুল হক বলেন, জাতীয় সনদে স্বাক্ষরের পরে নির্বাচিত সংসদ সংস্কার, পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা কোন অনুচ্ছেদ পুনর্লিখন করতে হলে করবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় সংলাপে অংশ নেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান।
গণতান্ত্রিক দলগুলোর ঐক্যের ওপর নির্ভর করবে সংলাপের সাফল্য বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে সূচনা বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ‘অনেক বিষয়ে ঐকমত্য আছে। বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্ন মত দেখতে পাই, সেগুলো আলোচনার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হব। গণতান্ত্রিক সমাজ অবশ্যই ভিন্ন ভিন্ন মতের সমাজ। আমরা সকলেই এক ভাষায় কথা বলব না। তবে আমাদের লক্ষ্য এক। সেই জায়গায় ঐক্যবদ্ধ আছি এবং থাকব। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যের ওপর নির্ভর করবে আমরা কতটুকু সাফল্য অর্জন করতে পারব।’

উন্নয়নমূলক কাজে সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্ত হওয়ার বিরোধিতা করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। কাজটি স্থানীয় সরকারের হলেও বিদ্যমান অবস্থায় এমপিরা এসব কাজ নিয়ন্ত্রণ করেন। যাতে নানান অনিয়মের অভিযোগ আছে। একই সঙ্গে দলটি এমপিদের ‘থোক বরাদ্দ’ বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপ শেষে এসব কথা বলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। আজ সকাল ১০টার কিছু পরে শুরু হয়ে এ সংলাপ শেষ হয় বেলা ২টা ১০ মিনিটের দিকে। সাইফুল হকের নেতৃত্বে দলটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন।
আইন ও বিধি অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের মূল কাজ হচ্ছে আইন প্রণয়ন করা। নানান সময় অভিযোগ উঠেছে এমপিরা মূল কাজকে এড়িয়ে স্থানীয় সরকারের নানান উন্নয়নকাজের নিয়ন্ত্রণ নেন। যাতে তাঁদের ঘিরে নানান সিন্ডিকেটের কথাও আলোচনা আছে।
উন্নয়নকাজে সংসদ সদস্যরা নীতিগতভাবে যুক্ত থাকতে পারবেন না মন্তব্য করে সাইফুল হক বলেন, উন্নয়নের কাজটা হচ্ছে স্থানীয় সরকারের। তাঁরা থাকলে ডিক্টেট করেন, কন্ট্রোল করেন এবং অনেক কিছু তাঁরা করেন। আরেকটা হলো বিভিন্ন সময় দেখেছি ‘থোক বরাদ্দের’ নামে সংসদ সদস্যদের অর্থ দেওয়া হয়। এ টাকাগুলোর অপচয় হয়, দলীয় কাজে ব্যয় হয়। এ ধরনের অনেকগুলো ক্ষেত্র আছে। সেগুলো বন্ধ করলে অপ্রদর্শিত অর্থ ব্যয় করার যে প্রবণতা বন্ধ করা সম্ভব।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ১২১টিতে একমত, ২২টি দ্বিমত এবং ২৩ প্রস্তাবে আংশিকভাবে একমত বলে কমিশনকে লিখিতভাবে জানিয়েছে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সংখ্যানুপাতিকে উচ্চকক্ষ, সংসদ, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ চার বছরের প্রস্তাবে একমত হয়েছে। একই সঙ্গে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগও চার বছরের জন্য করার প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা। একজন সর্বোচ্চ দুবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের এমন প্রস্তাবে বিষয়ে সাইফুল হক বলেন, ‘দুবার ও দুই মেয়াদ নিয়ে বিভ্রান্তি আছে। তা দূর করতে কমিশনকে বলেছি।’
১৬ বছর ধরে চলা আন্দোলন প্রধানত মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য করা হয়েছে দাবি করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারলে ন্যূনতম বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সনদ তৈরি সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি। সাইফুল হক বলেন, ‘তারপরে আমরা নির্বাচনে যেতে পারি। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের ঘোর বিরোধিতা করেছি।’
জাতীয় সাংবিধানিক কমিশনের (এনসিসি) প্রস্তাবে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি একমত বলে জানান সাইফুল হক। তবে দলটি এনসিসিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিকে রাখার পক্ষে দ্বিমত জানিয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁদের বিতর্কে জড়িয়ে ফেলাটা ঠিক হবে না। কিছু জায়গা রাখা দরকার। আরেকটা কারণ হলো তাঁরা যদি কোনো বৈঠকে উপস্থিত থাকেন, তাহলে এনসিসির বাকি সদস্যের পক্ষে খোলামেলা আলোচনা, মতামত দেওয়াতে মনস্তাত্ত্বিকভাবে কঠিন হয়ে পড়তে পারে। গুরুত্ব নিয়োগ যেহেতু এনসিসি থেকে আসবে তাই রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিকে এনসিসির বাইরে রাখা বাঞ্ছনীয়।
সংসদ সদস্যদের অর্থবিল ও আস্থা ভোটে দলীয় সিদ্ধান্তে ভোট দেওয়ার পক্ষে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। সাইফুল হক বলেন, অনেকেই বলছেন জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন ছাড়া। বিষয়টি এত অস্পষ্ট। যেকোনো কিছুকে জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা রোধ করে দেওয়া যাবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংবিধানের বিষয়ে প্রস্তাব দিলে কীভাবে বাস্তবায়ন হবে এমন প্রশ্নে সাইফুল হক বলেন, জাতীয় সনদে স্বাক্ষরের পরে নির্বাচিত সংসদ সংস্কার, পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা কোন অনুচ্ছেদ পুনর্লিখন করতে হলে করবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় সংলাপে অংশ নেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান।
গণতান্ত্রিক দলগুলোর ঐক্যের ওপর নির্ভর করবে সংলাপের সাফল্য বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে সূচনা বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ‘অনেক বিষয়ে ঐকমত্য আছে। বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্ন মত দেখতে পাই, সেগুলো আলোচনার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হব। গণতান্ত্রিক সমাজ অবশ্যই ভিন্ন ভিন্ন মতের সমাজ। আমরা সকলেই এক ভাষায় কথা বলব না। তবে আমাদের লক্ষ্য এক। সেই জায়গায় ঐক্যবদ্ধ আছি এবং থাকব। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যের ওপর নির্ভর করবে আমরা কতটুকু সাফল্য অর্জন করতে পারব।’

মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।
১ ঘণ্টা আগে
মির্জা ফখরুল লিখেছেন, আমি যখন ১৯৮৭তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!
১ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
নিজের সফরের বিষয়ে শফিকুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কে বিভিন্ন স্তরের সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বলে তিনি জানান।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকার ‘দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
রাজধানীর নয়াপল্টনে আজ মঙ্গলবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।’
তিনি বলেন, ‘দেশটা কার? কে দেশটা চালায়? দেখার লোক নাই। সবাই শুধু ব্যস্ত সংস্কারে। কী সংস্কার করছেন—এটাই তো বুঝতে পারলাম না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। রাস্তায় নামলে হাঁটা যায় না। একটা শ্রেণি দেশে নতুন জুটেছে। এরা দেশকে লুটেপুটে খাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা এই বাংলাদেশকেই চায়নি কোনো দিন, তারা বাংলাদেশের শাসনভার চায়। তারা নানা সময়ে এ দেশের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। এখন তারা লম্বা লম্বা কথা বলে।’
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা নির্দিষ্ট কোনো দলকে নয়; তাঁরা দেশপ্রেমিক প্রার্থীকেই ভোট দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মির্জা আব্বাস।

অন্তর্বর্তী সরকার ‘দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
রাজধানীর নয়াপল্টনে আজ মঙ্গলবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।’
তিনি বলেন, ‘দেশটা কার? কে দেশটা চালায়? দেখার লোক নাই। সবাই শুধু ব্যস্ত সংস্কারে। কী সংস্কার করছেন—এটাই তো বুঝতে পারলাম না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। রাস্তায় নামলে হাঁটা যায় না। একটা শ্রেণি দেশে নতুন জুটেছে। এরা দেশকে লুটেপুটে খাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা এই বাংলাদেশকেই চায়নি কোনো দিন, তারা বাংলাদেশের শাসনভার চায়। তারা নানা সময়ে এ দেশের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। এখন তারা লম্বা লম্বা কথা বলে।’
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা নির্দিষ্ট কোনো দলকে নয়; তাঁরা দেশপ্রেমিক প্রার্থীকেই ভোট দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মির্জা আব্বাস।

উন্নয়নমূলক কাজে সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্ত হওয়ার বিরোধিতা করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। কাজটি স্থানীয় সরকারের হলেও বিদ্যমান অবস্থায় এমপিরা এসব কাজ নিয়ন্ত্রণ করেন। যাতে নানান অনিয়মের অভিযোগ আছে। একই সঙ্গে দলটি এমপিদের ‘থোক বরাদ্দ’ বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে।
২৯ এপ্রিল ২০২৫
মির্জা ফখরুল লিখেছেন, আমি যখন ১৯৮৭তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!
১ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
নিজের সফরের বিষয়ে শফিকুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কে বিভিন্ন স্তরের সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বলে তিনি জানান।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন জীবনের শেষ নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও যাঁরা এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি, তাঁদের দল যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান দেবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। আজ মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন হয়তো আমার শেষ নির্বাচন! যারা মনোনয়ন পায়নি, বিশ্বাস রাখুন, ইনশা আল্লাহ দল আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান দেবে!’
সবার কাছে দোয়া চেয়ে বিএনপি মহাসচিব পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘আপনারা সবাই আমার জন্য দুআ করবেন, আমাদের দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর জন্য দুআ করবেন! আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকব এবং কাজ করব! বিএনপির সেই যোগ্যতা আছে দেশকে মর্যাদার সঙ্গে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার! ইনশা আল্লাহ! আপনারা পাশে থেকেন।’
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, ‘মহান আল্লাহর রহমতে বিএনপি আমাকে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মনোনীত করেছে! আমি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, এবং সকল নেতা এবং নেত্রীকে আমার কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। দলের সকল কর্মীকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আজীবন আমার সঙ্গে থাকার জন্য!’
নিজের রাজনৈতিক জীবনের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, ‘আমরা যারা সারাজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে গেছি, আমাদের নিজেদের একটা গল্প থাকে! অনেকেই তা জানে না! আমি যখন ১৯৮৭তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমার মেয়ে দুটোর হাত ধরে সেই নিয়ে গেছে স্কুলে, ডাক্তারের কাছে! মনে পরে আমার বড় মেয়ের একটা অপারেশন হবে, আমি সারা রাত গাড়িতে ছিলাম, ঢাকার পথে! যাতে মেয়ের পাশে থাকতে পারি! গল্পগুলো অন্য কোনও দিন বলব যদি আল্লাহ চান! এরকম গল্প আমাদের হাজার হাজার নেতা কর্মীর আছে!’

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন জীবনের শেষ নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও যাঁরা এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি, তাঁদের দল যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান দেবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। আজ মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন হয়তো আমার শেষ নির্বাচন! যারা মনোনয়ন পায়নি, বিশ্বাস রাখুন, ইনশা আল্লাহ দল আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান দেবে!’
সবার কাছে দোয়া চেয়ে বিএনপি মহাসচিব পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘আপনারা সবাই আমার জন্য দুআ করবেন, আমাদের দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর জন্য দুআ করবেন! আমরা সবাই মিলে আপনাদের পাশে থাকব এবং কাজ করব! বিএনপির সেই যোগ্যতা আছে দেশকে মর্যাদার সঙ্গে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার! ইনশা আল্লাহ! আপনারা পাশে থেকেন।’
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, ‘মহান আল্লাহর রহমতে বিএনপি আমাকে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে মনোনীত করেছে! আমি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, এবং সকল নেতা এবং নেত্রীকে আমার কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। দলের সকল কর্মীকে জানাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আজীবন আমার সঙ্গে থাকার জন্য!’
নিজের রাজনৈতিক জীবনের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, ‘আমরা যারা সারাজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে গেছি, আমাদের নিজেদের একটা গল্প থাকে! অনেকেই তা জানে না! আমি যখন ১৯৮৭তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমার মেয়ে দুটোর হাত ধরে সেই নিয়ে গেছে স্কুলে, ডাক্তারের কাছে! মনে পরে আমার বড় মেয়ের একটা অপারেশন হবে, আমি সারা রাত গাড়িতে ছিলাম, ঢাকার পথে! যাতে মেয়ের পাশে থাকতে পারি! গল্পগুলো অন্য কোনও দিন বলব যদি আল্লাহ চান! এরকম গল্প আমাদের হাজার হাজার নেতা কর্মীর আছে!’

উন্নয়নমূলক কাজে সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্ত হওয়ার বিরোধিতা করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। কাজটি স্থানীয় সরকারের হলেও বিদ্যমান অবস্থায় এমপিরা এসব কাজ নিয়ন্ত্রণ করেন। যাতে নানান অনিয়মের অভিযোগ আছে। একই সঙ্গে দলটি এমপিদের ‘থোক বরাদ্দ’ বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে।
২৯ এপ্রিল ২০২৫
মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।
১ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
নিজের সফরের বিষয়ে শফিকুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কে বিভিন্ন স্তরের সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বলে তিনি জানান।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মিসরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মিসরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।

উন্নয়নমূলক কাজে সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্ত হওয়ার বিরোধিতা করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। কাজটি স্থানীয় সরকারের হলেও বিদ্যমান অবস্থায় এমপিরা এসব কাজ নিয়ন্ত্রণ করেন। যাতে নানান অনিয়মের অভিযোগ আছে। একই সঙ্গে দলটি এমপিদের ‘থোক বরাদ্দ’ বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে।
২৯ এপ্রিল ২০২৫
মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।
১ ঘণ্টা আগে
মির্জা ফখরুল লিখেছেন, আমি যখন ১৯৮৭তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!
১ ঘণ্টা আগে
নিজের সফরের বিষয়ে শফিকুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কে বিভিন্ন স্তরের সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বলে তিনি জানান।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জামায়াতে ইসলামী জোটবদ্ধভাবেই আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে উল্লেখ করে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে আমরা, দেশবাসী সবাই নির্বাচন দেখতে চাই।’
আজ মঙ্গলবার সকালে ওমরাহ পালন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও তুরস্ক সফর শেষে ঢাকায় ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
নিজের সফরের বিষয়ে শফিকুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কে বিভিন্ন স্তরের সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বলে তিনি জানান।
নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপিও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেনি। আমি দেখেছি, ২৩৭টি আসনে তাঁরা তালিকা প্রকাশ করেছেন, আর প্রশ্নোত্তরে বলেছেন, এটি চূড়ান্ত নয়। এর মধ্যেও পরিবর্তন আসতে পারে। আমরা কিন্তু এক বছর আগেই এই তালিকা আঞ্চলিকভাবে জানিয়ে দিয়েছি। চূড়ান্ত তালিকাটা সময়মতো আমরা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ঘোষণা করব। যেহেতু আমরা একা ইলেকশন করব না, আরও অনেককে আমরা ধারণ করব, দেশ এবং জাতির স্বার্থে সব দিক বিবেচনা করেই চূড়ান্তভাবে যথাসময়ে আমরা প্রার্থী ঘোষণা করব।’
প্রবাসীদের ভোটার করার উদ্যোগের জন্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এই প্রথমবারের মতো ব্যাপকভিত্তিক আমাদের প্রবাসীদের ভোটার করার উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু সেখানে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। ভোটার হওয়ার জন্য অক্টোবরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এ জন্য যে সফটওয়্যার ইনস্টল করা হয়েছে, তা প্রোপারলি ফাংশন করে নাই, যার কারণে আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও অনেকেই ভোটার হতে পারেননি। আমাদের দাবি থাকবে নির্বাচন কমিশনের কাছে কমপক্ষে আরও ১৫ দিন এই সময় বর্ধিত করা হোক এবং যে জটিলতাগুলো রয়েছে, সেগুলো সহজ করে তাদের ভোটার হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হোক।’
দলগুলোর মতানৈক্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের মধ্যে মতানৈক্য থাকবে, তবে দোয়া করেন মতবিরোধ যেন না হয়। মতের ভিন্নতা থাকবে। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। সব দল তো এক দল নয়। সবগুলো দল ভিন্ন ভিন্ন। তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতেও পার্থক্য থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। আমরা সবার মতকে শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখি। তবে আমরা নিজেরা যে মতটা প্রকাশ করি, আমরা চেষ্টা করি চিন্তাভাবনা করে জাতির স্বার্থেই সে মতগুলো প্রকাশ করার। অতএব মতানৈক্য এটা ডেমোক্রেসির সৌন্দর্য। এটার জন্য এখানে বিরোধ লেগে গেছে অথবা দেশ একেবারে অস্থির হয়ে গেছে, আমরা এইটা চিন্তা করতে রাজি নই।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘সরকার অনুরোধ করেছে, এক সপ্তাহ সময়ের ভেতরে রাজনৈতিক দলগুলা বসে যদি একটা কনসেনসাসে (ঐকমত্যে) পৌঁছাতে পারে, সরকারের জন্য এটা ভালো এবং আমরাই সবার আগে আমাদের নায়েবে আমিরের পক্ষ থেকে আহ্বান জানিয়েছি যে আসুন, আমরা খোলামেলা আলোচনা করে একটা সমাধানে পৌঁছাই দেশ এবং জাতির স্বার্থে। আমরা আশা করি, অন্যরা আমাদের এই আহ্বানে সাড়া দেবেন।’
জামায়াত আমিরকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মা’ছুম, রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, আবদুল হালিম প্রমুখ।

জামায়াতে ইসলামী জোটবদ্ধভাবেই আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে উল্লেখ করে দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে আমরা, দেশবাসী সবাই নির্বাচন দেখতে চাই।’
আজ মঙ্গলবার সকালে ওমরাহ পালন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও তুরস্ক সফর শেষে ঢাকায় ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
নিজের সফরের বিষয়ে শফিকুর রহমান জানান, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্কে বিভিন্ন স্তরের সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বলে তিনি জানান।
নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপিও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেনি। আমি দেখেছি, ২৩৭টি আসনে তাঁরা তালিকা প্রকাশ করেছেন, আর প্রশ্নোত্তরে বলেছেন, এটি চূড়ান্ত নয়। এর মধ্যেও পরিবর্তন আসতে পারে। আমরা কিন্তু এক বছর আগেই এই তালিকা আঞ্চলিকভাবে জানিয়ে দিয়েছি। চূড়ান্ত তালিকাটা সময়মতো আমরা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ঘোষণা করব। যেহেতু আমরা একা ইলেকশন করব না, আরও অনেককে আমরা ধারণ করব, দেশ এবং জাতির স্বার্থে সব দিক বিবেচনা করেই চূড়ান্তভাবে যথাসময়ে আমরা প্রার্থী ঘোষণা করব।’
প্রবাসীদের ভোটার করার উদ্যোগের জন্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এই প্রথমবারের মতো ব্যাপকভিত্তিক আমাদের প্রবাসীদের ভোটার করার উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু সেখানে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। ভোটার হওয়ার জন্য অক্টোবরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এ জন্য যে সফটওয়্যার ইনস্টল করা হয়েছে, তা প্রোপারলি ফাংশন করে নাই, যার কারণে আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও অনেকেই ভোটার হতে পারেননি। আমাদের দাবি থাকবে নির্বাচন কমিশনের কাছে কমপক্ষে আরও ১৫ দিন এই সময় বর্ধিত করা হোক এবং যে জটিলতাগুলো রয়েছে, সেগুলো সহজ করে তাদের ভোটার হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হোক।’
দলগুলোর মতানৈক্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের মধ্যে মতানৈক্য থাকবে, তবে দোয়া করেন মতবিরোধ যেন না হয়। মতের ভিন্নতা থাকবে। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। সব দল তো এক দল নয়। সবগুলো দল ভিন্ন ভিন্ন। তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতেও পার্থক্য থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। আমরা সবার মতকে শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখি। তবে আমরা নিজেরা যে মতটা প্রকাশ করি, আমরা চেষ্টা করি চিন্তাভাবনা করে জাতির স্বার্থেই সে মতগুলো প্রকাশ করার। অতএব মতানৈক্য এটা ডেমোক্রেসির সৌন্দর্য। এটার জন্য এখানে বিরোধ লেগে গেছে অথবা দেশ একেবারে অস্থির হয়ে গেছে, আমরা এইটা চিন্তা করতে রাজি নই।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘সরকার অনুরোধ করেছে, এক সপ্তাহ সময়ের ভেতরে রাজনৈতিক দলগুলা বসে যদি একটা কনসেনসাসে (ঐকমত্যে) পৌঁছাতে পারে, সরকারের জন্য এটা ভালো এবং আমরাই সবার আগে আমাদের নায়েবে আমিরের পক্ষ থেকে আহ্বান জানিয়েছি যে আসুন, আমরা খোলামেলা আলোচনা করে একটা সমাধানে পৌঁছাই দেশ এবং জাতির স্বার্থে। আমরা আশা করি, অন্যরা আমাদের এই আহ্বানে সাড়া দেবেন।’
জামায়াত আমিরকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মা’ছুম, রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, আবদুল হালিম প্রমুখ।

উন্নয়নমূলক কাজে সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্ত হওয়ার বিরোধিতা করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। কাজটি স্থানীয় সরকারের হলেও বিদ্যমান অবস্থায় এমপিরা এসব কাজ নিয়ন্ত্রণ করেন। যাতে নানান অনিয়মের অভিযোগ আছে। একই সঙ্গে দলটি এমপিদের ‘থোক বরাদ্দ’ বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে।
২৯ এপ্রিল ২০২৫
মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান সরকারের নিজস্ব কোনো শক্তি নাই। দুটি দলের ওপর ভর করে টিকে আছে। এটা তাদের কার্যক্রম দেখলে বোঝা যায়। ওই দুটি দল যা বলে, এই সরকার তা-ই করে।
১ ঘণ্টা আগে
মির্জা ফখরুল লিখেছেন, আমি যখন ১৯৮৭তে সিদ্ধান্ত নেই, আবার রাজনীতিতে ফিরব, আমার মেয়ে দুটো একদমই ছোট ছিল! ঢাকায় পড়ত। আমার স্ত্রীর বয়স অনেক কম ছিল! সে প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল! বুঝতে পারছিল কি ভয়াবহ অনিশ্চিত জীবনে পা দিতে যাচ্ছে!
১ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন মিসরের রাষ্ট্রদূত। এর পর বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে