Ajker Patrika

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক বিকাশকে রুদ্ধ করতে চায় ভারত: গণতন্ত্র মঞ্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৭ জুন ২০২৪, ২১: ২৯
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক বিকাশকে রুদ্ধ করতে চায় ভারত: গণতন্ত্র মঞ্চ

ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকসমূহকে ‘অসম’ উল্লেখ করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক বিকাশকে রুদ্ধ করতে চায় ভারত। সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্নকারী এসব সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। 

একই সঙ্গে সার্বভৌমত্ববিরোধী অসম চুক্তির প্রতিবাদে আগামী ৫ জুলাই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ছয় দলের এই জোট। 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পল্টনের তোপখানা রোডে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মঞ্চের সমন্বয়ক এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। 

জোনায়েদ সাকি বলেন, ভারতের সঙ্গে হওয়া এসব চুক্তির কোনোটাই বাংলাদেশকে লাভবান করবে না, বরং বাংলাদেশের নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবে। বাংলাদেশের জনগণ কোনোভাবেই নিজের অর্থ খরচ করে পরের জন্য এই ঝুঁকি নিতে পারে না। ইন্ডিয়ান রাষ্ট্র অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক বিকাশকে রুদ্ধ করতে চায়। 

জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়াকে একটা পিপলস ফেডারেশন ইউনিয়নে পরিণত করার ক্ষেত্রে স্বাধীন ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু ইন্ডিয়া তা হতে দিতে চায় না। এ জন্যই তারা সার্ককে পরিকল্পিতভাবে অকার্যকর করে রেখেছে। 

সাকি বলেন, এই চুক্তির বিনিময়ে তাঁরা গদিতে থাকতে চান। ভারতকে নানাভাবে ট্রানজিট-করিডর কিংবা সমুদ্রবিজ্ঞান ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যৌথ গবেষণা ইত্যাদি চুক্তির নামে প্রকারান্তরে মোংলা বন্দরে ভারত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ডামি সরকার ভারতের সহায়তায় নিজেদের গদি রক্ষা করতে চায়। 

সংবাদ সম্মেলনে অন্যরা বলেন, ‘গঙ্গা চুক্তি ছাড়া আরও যে ৫৩টি যৌথ নদী আছে, সেগুলোর কোনোটা নিয়ে আমরা চুক্তি করতে পারিনি। তিস্তার চুক্তি ২০১১ সালে প্রস্তুত হলেও তা স্বাক্ষর হয়নি। এই চুক্তি বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের দাবি। এ চুক্তির বিষয়ে ভারতের দিক থেকেও অঙ্গীকার ছিল। কিন্তু এবার ঘোষণায় এ চুক্তি নিয়ে কোনো কিছু উল্লেখ নেই।’ 

তাঁরা আরও বলেন, এই সফরে তিস্তার পানিবণ্টন নয়, তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে কথা হয়েছে। যাদের হাতে তিস্তা ধ্বংস হয়েছে, তাদেরই তিস্তা ব্যবস্থাপনার অংশীদার করার আলাপ করে এসেছেন উনি। প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের সমঝোতা স্মারক ও চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে চীন-ভারতের আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক ব্যাটল গ্রাউন্ড তৈরি করে ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বের’ সাংবিধানিক পররাষ্ট্রনীতি উপেক্ষা করেছেন। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারি প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত