নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইউনাইটেড স্টেট ইনস্টিটিউট ফর পিসের (ইউএসআইপি) প্রতিনিধিদল। আজ শুক্রবার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ভারত ও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতে হিন্দুত্ববাদের জাগরণ নিয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান কী, সেটি জানতে চেয়েছে ইউএসআইপি।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ বলেন, ‘ভারত আর চীনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্রনীতি জানতে চেয়েছে ইউএসআইপির প্রতিনিধিদল। বাংলাদেশের ফরেন পলিসি এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই উপমহাদেশের যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়েও যাচ্ছে—এসব বিষয়ে বাংলাদেশের কী ভূমিকা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কী চিন্তা করছে, এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
শাম্মী আহমেদ বলেন, ‘তাঁরা জানতে চেয়েছেন ইন্ডিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক কেমন? চায়নার সঙ্গে কেমন? সাবকন্টিনেন্টে যে দেশগুলো আছে তাদের সঙ্গে আমাদের রিলেশন কেমন? আমরা আমাদের বিষয়গুলো জানিয়েছি। বাংলাদেশে পররাষ্ট্রনীতি, আমাদের জাতির পিতা যেটা দিয়ে গেছেন, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব—কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। এটাই ফোকাস করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক বলেন, ‘তারা নিজেরাও স্বীকার করেছে, চীন একটি ইকোনমিক পাওয়ার। চীন আমাদের অর্থনৈতিক পার্টনার। তারা জানতে চাচ্ছে, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেমন। আমরা জানিয়েছি, ইন্ডিয়া আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। আমাদের দুর্দিনে ১৯৭১ সালে ভারত যেভাবে আমাদের পাশে ছিল, সেটাকে আমরা সম্মানের চোখেই দেখি।’
শাম্মী আহমেদ বলেন, ‘মিয়ানমার আমাদের ওপর ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা চাপিয়ে দিয়েছে। তারপরও আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছি। শুধু আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ নয়, গ্লোবাল ভিলেজে আমরা আলোচনা মাধ্যমে সবগুলো সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করি। অন্য কোনোভাবে আমরা করি না। পররাষ্ট্রনীতিকে আমরা ফলো করি। এই বিষয় নিয়ে মূলত আলোচনা হয়েছে।’
এদের আগ্রহ ছিল ইন্দো-চায়না রিলেশন নিয়ে, ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে একটা ব্যাপার ছিল। একই সঙ্গে ইউরোপ, আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের রিলেশন নিয়ে আলোচনার বিষয় ছিল বলে জানান শাম্মী আহমেদ।
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক বলেন, ‘ভারতের হিন্দুত্ববাদ জাগরণ নিয়ে তারা একটা প্রশ্ন করেছে। আমরা উত্তর দিয়েছি, আমরা কারও ইন্টারনাল বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করি না। আমরা কারও ইন্টারনাল ব্যাপারে কথা বলি না। আমার অন্য দেশের মতবাদকে সম্মান দিই। ইন্ডিয়াতে কী হচ্ছে না হচ্ছে, চায়নাতে কী হচ্ছে না হচ্ছে, এটা তাদের দেশের জনগণের বিষয়। আমাদের দেখার বিষয় না।’
তিনি বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি। তারা কোনো প্রশ্ন করেনি, আমরাও কোনো উত্তর দিইনি।’
বিকেল ৪টার দিকে ইউএসআইপি প্রতিনিধিদল কার্যালয়ে পৌঁছালে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইনাম আহমেদ চৌধুরী, আন্তর্জাতিক উপকমিটির সদস্য খালেদ মাসুদ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ইউএসআইপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন জেফরি ম্যাগডোনাল্ড, ডেন মার্কি ও ইশা গুপ্তা।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইউনাইটেড স্টেট ইনস্টিটিউট ফর পিসের (ইউএসআইপি) প্রতিনিধিদল। আজ শুক্রবার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ভারত ও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন এবং প্রতিবেশী দেশ ভারতে হিন্দুত্ববাদের জাগরণ নিয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান কী, সেটি জানতে চেয়েছে ইউএসআইপি।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ বলেন, ‘ভারত আর চীনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্রনীতি জানতে চেয়েছে ইউএসআইপির প্রতিনিধিদল। বাংলাদেশের ফরেন পলিসি এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই উপমহাদেশের যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়েও যাচ্ছে—এসব বিষয়ে বাংলাদেশের কী ভূমিকা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কী চিন্তা করছে, এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
শাম্মী আহমেদ বলেন, ‘তাঁরা জানতে চেয়েছেন ইন্ডিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক কেমন? চায়নার সঙ্গে কেমন? সাবকন্টিনেন্টে যে দেশগুলো আছে তাদের সঙ্গে আমাদের রিলেশন কেমন? আমরা আমাদের বিষয়গুলো জানিয়েছি। বাংলাদেশে পররাষ্ট্রনীতি, আমাদের জাতির পিতা যেটা দিয়ে গেছেন, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব—কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। এটাই ফোকাস করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক বলেন, ‘তারা নিজেরাও স্বীকার করেছে, চীন একটি ইকোনমিক পাওয়ার। চীন আমাদের অর্থনৈতিক পার্টনার। তারা জানতে চাচ্ছে, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেমন। আমরা জানিয়েছি, ইন্ডিয়া আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। আমাদের দুর্দিনে ১৯৭১ সালে ভারত যেভাবে আমাদের পাশে ছিল, সেটাকে আমরা সম্মানের চোখেই দেখি।’
শাম্মী আহমেদ বলেন, ‘মিয়ানমার আমাদের ওপর ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা চাপিয়ে দিয়েছে। তারপরও আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছি। শুধু আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ নয়, গ্লোবাল ভিলেজে আমরা আলোচনা মাধ্যমে সবগুলো সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করি। অন্য কোনোভাবে আমরা করি না। পররাষ্ট্রনীতিকে আমরা ফলো করি। এই বিষয় নিয়ে মূলত আলোচনা হয়েছে।’
এদের আগ্রহ ছিল ইন্দো-চায়না রিলেশন নিয়ে, ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে একটা ব্যাপার ছিল। একই সঙ্গে ইউরোপ, আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের রিলেশন নিয়ে আলোচনার বিষয় ছিল বলে জানান শাম্মী আহমেদ।
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক বলেন, ‘ভারতের হিন্দুত্ববাদ জাগরণ নিয়ে তারা একটা প্রশ্ন করেছে। আমরা উত্তর দিয়েছি, আমরা কারও ইন্টারনাল বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করি না। আমরা কারও ইন্টারনাল ব্যাপারে কথা বলি না। আমার অন্য দেশের মতবাদকে সম্মান দিই। ইন্ডিয়াতে কী হচ্ছে না হচ্ছে, চায়নাতে কী হচ্ছে না হচ্ছে, এটা তাদের দেশের জনগণের বিষয়। আমাদের দেখার বিষয় না।’
তিনি বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি। তারা কোনো প্রশ্ন করেনি, আমরাও কোনো উত্তর দিইনি।’
বিকেল ৪টার দিকে ইউএসআইপি প্রতিনিধিদল কার্যালয়ে পৌঁছালে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইনাম আহমেদ চৌধুরী, আন্তর্জাতিক উপকমিটির সদস্য খালেদ মাসুদ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ইউএসআইপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন জেফরি ম্যাগডোনাল্ড, ডেন মার্কি ও ইশা গুপ্তা।
ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে দেখা করে রাষ্ট্র সংস্কার, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির নেতারা। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বিকেল ৫টা থেকে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়...
১৯ ঘণ্টা আগেভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে গুলশান-২ নম্বরে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে যান আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির কেন্দ্রীয় চার নেতা। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত...
১৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ইতিহাসে আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, অনেকে ভাবছে, একটি প্রতিপক্ষ তো আর মাঠে নেই, তাই আগামী নির্বাচন কী আর কঠিন হবে। তবে আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে।
২১ ঘণ্টা আগেগত বছরের অক্টোবরের তুলনায় বর্তমানে দেশের বড় দল বিএনপির জনপ্রিয়তা কমলেও বাড়ছে তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জনপ্রিয়তা। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা যায়, ২০২৪ সালের অক্টোবরে বিএনপির জনপ্রিয়তা ছিল ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ, গত জুলাইয়ে তা ১২ শতাংশে নেমেছে..
১ দিন আগে