নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারকে পরাজিত করার ‘নতুন সংগ্রাম’ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক শ্রমিক সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন। মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের এই সমাবেশ প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ এখন জনগণের বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন গণতন্ত্রের বাংলাদেশ। আজ শ্রমিক দলের সমাবেশের মধ্য দিয়ে নতুন সংগ্রাম শুরু হলো। নতুন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা অতি দ্রুত জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের (সরকার) পরাজিত করব।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মনে রাখতে হবে এ লড়াই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লড়াই। এই লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে সিদ্ধান্ত হবে যে, আগামী দিনে বাংলাদেশ স্বাধীন থাকবে কি থাকবে না। আমাদের মানুষ মুক্ত হবে কি হবে না। এবারকার লড়াই আমাদের স্বাধীনতার লড়াই। এবারকার লড়াই আমাদের মুক্তির লড়াই। এবারকার লড়াই দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বের করে আনার লড়াই। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার লড়াই। আর আমাদের শ্রমিক ভাইদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। আমাদের নিজেদের স্বার্থে, বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে, শ্রমিকের স্বার্থে, কৃষকের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে আজকে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।’
‘শ্রমিকেরা, কৃষকেরা দেশের সমগ্র মানুষ বিপদের সম্মুখীন হয়েছে—এমন দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে সবচেয়ে কষ্টে আছে শ্রমজীবী মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ। তারা দুই বেলা দু মুঠো খেতে পারে না। আজকে আমাদের স্বার্থে, শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদের পরাজিত করতে হবে।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আছেন। এটা নিয়েও তারা কত বড় অমানবিক যে, তাদের একজন মন্ত্রী বলেছে এটা নিয়ে রাজনীতি করছি আমরা। ধিক্কার দেই তাদের, যারা আজকে অসুস্থ নেত্রীকে নিয়ে এ ধরনের কথা বলতে পারে।’
সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘আবার সেই পুরোনো কায়দায় তারা (সরকার) আরেকটা নির্বাচন করতে চায়। ভোটাররা যেন ভোট দিতে না পারে, ভোট চুরি করে আবার যেন ক্ষমতায় আসতে পারে এবং তারা যেন আবার ক্ষমতা দখল করতে পারে। সে জন্য এখন থেকে হুমকি দিয়ে জনগণকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শ্রমজীবী মানুষ আজ উপেক্ষিত, প্রতারিত ও তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। শ্রমিকেরা আজ পেট ভরে ভাত খেতে পারে না। লুটপাটকারী আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেটের লোকেরা আরও ধনী হয়েছে। দেশের মানুষের আজ ভোটের অধিকার নেই।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘দেশের মানুষকে মুক্ত করতে হলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই। সামনে বেশি সময় নাই। এই সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘গণতন্ত্রকামী মানুষেরা আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই সরকারের আর নিস্তার নাই। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আজ দেশে দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এক মাঘে শীত যায় না। ১৪-১৫ বছরে দেশের মানুষের রক্ত মাংস হাড্ডি চুষে খেয়েছেন। খুব বেশি হলে ৪০ হাজার লোককে জেলে রাখতে পারবেন। আমরা দেখতে চাই, কত লোককে জেলে ঢোকাবেন। যে দেশের মানুষ বুকের রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে, তাদের জেলের ভয় দেখিয়ে লাভ নাই।’
সমাবেশে শ্রমিক দিবসের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।
বেলা আড়াইটায় শুরু হয়ে পৌনে পাঁচটায় সমাবেশ শেষ হয়। এরপর শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি দল ও দলের অঙ্গ সংগঠনের সব স্তরের নেতা-কর্মীরা অংশ নেয়। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি নাইটিঙ্গেল মোড়, কাকরাইল মোড়, শান্তিনগর হয়ে মালিবাগ মোড়, মৌচাক হয়ে মগবাজার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে নয়াপল্টনসহ বিভিন্ন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সতর্ক অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
সরকারকে পরাজিত করার ‘নতুন সংগ্রাম’ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক শ্রমিক সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন। মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের এই সমাবেশ প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ এখন জনগণের বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন গণতন্ত্রের বাংলাদেশ। আজ শ্রমিক দলের সমাবেশের মধ্য দিয়ে নতুন সংগ্রাম শুরু হলো। নতুন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা অতি দ্রুত জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের (সরকার) পরাজিত করব।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মনে রাখতে হবে এ লড়াই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লড়াই। এই লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে সিদ্ধান্ত হবে যে, আগামী দিনে বাংলাদেশ স্বাধীন থাকবে কি থাকবে না। আমাদের মানুষ মুক্ত হবে কি হবে না। এবারকার লড়াই আমাদের স্বাধীনতার লড়াই। এবারকার লড়াই আমাদের মুক্তির লড়াই। এবারকার লড়াই দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বের করে আনার লড়াই। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার লড়াই। আর আমাদের শ্রমিক ভাইদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। আমাদের নিজেদের স্বার্থে, বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে, শ্রমিকের স্বার্থে, কৃষকের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে আজকে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।’
‘শ্রমিকেরা, কৃষকেরা দেশের সমগ্র মানুষ বিপদের সম্মুখীন হয়েছে—এমন দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে সবচেয়ে কষ্টে আছে শ্রমজীবী মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ। তারা দুই বেলা দু মুঠো খেতে পারে না। আজকে আমাদের স্বার্থে, শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদের পরাজিত করতে হবে।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়া অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আছেন। এটা নিয়েও তারা কত বড় অমানবিক যে, তাদের একজন মন্ত্রী বলেছে এটা নিয়ে রাজনীতি করছি আমরা। ধিক্কার দেই তাদের, যারা আজকে অসুস্থ নেত্রীকে নিয়ে এ ধরনের কথা বলতে পারে।’
সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘আবার সেই পুরোনো কায়দায় তারা (সরকার) আরেকটা নির্বাচন করতে চায়। ভোটাররা যেন ভোট দিতে না পারে, ভোট চুরি করে আবার যেন ক্ষমতায় আসতে পারে এবং তারা যেন আবার ক্ষমতা দখল করতে পারে। সে জন্য এখন থেকে হুমকি দিয়ে জনগণকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শ্রমজীবী মানুষ আজ উপেক্ষিত, প্রতারিত ও তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। শ্রমিকেরা আজ পেট ভরে ভাত খেতে পারে না। লুটপাটকারী আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেটের লোকেরা আরও ধনী হয়েছে। দেশের মানুষের আজ ভোটের অধিকার নেই।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘দেশের মানুষকে মুক্ত করতে হলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই। সামনে বেশি সময় নাই। এই সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘গণতন্ত্রকামী মানুষেরা আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই সরকারের আর নিস্তার নাই। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আজ দেশে দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এক মাঘে শীত যায় না। ১৪-১৫ বছরে দেশের মানুষের রক্ত মাংস হাড্ডি চুষে খেয়েছেন। খুব বেশি হলে ৪০ হাজার লোককে জেলে রাখতে পারবেন। আমরা দেখতে চাই, কত লোককে জেলে ঢোকাবেন। যে দেশের মানুষ বুকের রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে, তাদের জেলের ভয় দেখিয়ে লাভ নাই।’
সমাবেশে শ্রমিক দিবসের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।
বেলা আড়াইটায় শুরু হয়ে পৌনে পাঁচটায় সমাবেশ শেষ হয়। এরপর শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি দল ও দলের অঙ্গ সংগঠনের সব স্তরের নেতা-কর্মীরা অংশ নেয়। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি নাইটিঙ্গেল মোড়, কাকরাইল মোড়, শান্তিনগর হয়ে মালিবাগ মোড়, মৌচাক হয়ে মগবাজার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে নয়াপল্টনসহ বিভিন্ন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সতর্ক অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে দেখা করে রাষ্ট্র সংস্কার, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির নেতারা। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বিকেল ৫টা থেকে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়...
১৯ ঘণ্টা আগেভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে গুলশান-২ নম্বরে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে যান আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির কেন্দ্রীয় চার নেতা। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত...
২০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ইতিহাসে আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, অনেকে ভাবছে, একটি প্রতিপক্ষ তো আর মাঠে নেই, তাই আগামী নির্বাচন কী আর কঠিন হবে। তবে আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে।
১ দিন আগেগত বছরের অক্টোবরের তুলনায় বর্তমানে দেশের বড় দল বিএনপির জনপ্রিয়তা কমলেও বাড়ছে তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জনপ্রিয়তা। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা যায়, ২০২৪ সালের অক্টোবরে বিএনপির জনপ্রিয়তা ছিল ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ, গত জুলাইয়ে তা ১২ শতাংশে নেমেছে..
১ দিন আগে