Ajker Patrika

জামায়াত নির্বাচনের বিরোধিতা করে নিজেদের ক্ষমতা এনজয় করছে: শাহ আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আজ শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সিপিবির ত্রয়োদশ কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য দেন মো. শাহ আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সিপিবির ত্রয়োদশ কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য দেন মো. শাহ আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক শক্তি নানা অছিলায় এ নির্বাচনের বিরোধিতা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মো. শাহ আলম। তিনি বলেছেন, ‘বিভিন্নভাবে এই মৌলবাদী শক্তি, বিশেষ করে, জামায়াত, স্টেট পাওয়ারের মধ্যে আরেকটা পাওয়ার সৃষ্টি করে ফেলেছে। তাই নির্বাচনের বিরোধিতা করে তারা তাদের যে ক্ষমতা, তারা সেটা এনজয় করছে।’

আজ শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সিপিবির ত্রয়োদশ কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিকেলে জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সিপিবির ত্রয়োদশ কংগ্রেসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এরপর কংগ্রেস উপলক্ষে দেশ-বিদেশ থেকে পাঠানো বামপন্থী সংগঠনসমূহের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠ করা হয়।

এ ছাড়া উদ্বোধনী সভায় প্রবীণদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা স্মারক দেন দলের নেতারা।

মো. শাহ আলম বলেন, ‘হাসিনা আমাদের দেশের নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছিল। দেশের মানুষ এখন নির্বাচন চাচ্ছে। প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তি নানা অছিলায় এই নির্বাচনের বিরোধিতা করছে। এই নির্বাচন যদি না হয়, তাহলে এই যে রাজনৈতিক শক্তির যে ভারসাম্য বাংলাদেশে বর্তমানে চলছে, তাহলে বাংলাদেশ কোথায় যাবে? দেশ তালেবানি ও মৌলবাদী রাষ্ট্রের দিকে চলে যাবে। অলরেডি আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার লক্ষণ দেখেন, সেখানে জিতেছে। জাহাঙ্গীরনগর দেখেন, রাজশাহী ইউনিভার্সিটি দেখবেন, চাকসু দেখবেন। বিভিন্নভাবে এই মৌলবাদী শক্তি, বিশেষ করে, জামায়াত, স্টেট পাওয়ারের মধ্যে আরেকটা পাওয়ার সৃষ্টি করে ফেলেছে। তাই নির্বাচনের বিরোধিতা করে তারা তাদের যে ক্ষমতা, তারা সেটা এনজয় করছে।’

সিপিবি সভাপতি আরও বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সাধারণ লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র ও বৈষম্যবিরোধিতা। পাঁচ আগস্টের পর আমরা দেখলাম, ছাত্র আন্দোলনের মূল নেতৃত্ব থেকে ’৭২-এর সংবিধান পাল্টে দিতে হবে, চার মূলনীতি বাতিল করতে হবে—এই সমস্ত বিতর্কিত দাবি নিয়ে সামনে আসা হলো। ফলে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যে বিভেদ সৃষ্টি হলো। জুলাই-আগস্টে দাবি ছিল এক দফা, এক দাবি: শেখ হাসিনা কবে যাবে? কিন্তু পরেই দাবি এসে গেল, ৭২-এর সংবিধান পাল্টে দিতে হবে, চার মূলনীতি বাতিল করতে হবে, জাতীয় সংগীত বাতিল করতে হবে।’

শাহ আলম আরও বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের পর যারা জাতীয় সংগীত বাতিল করতে হবে, ৭২-এর সংবিধান বাতিল করতে হবে, চার মূলনীতি বাতিল করতে হবে এবং সামনের যে নির্বাচন, সেটাকে নানা কৌশলে বিতর্কিত করছে, তারাই এখন গণতন্ত্রের শত্রু। গণতন্ত্রের শত্রু হলো সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। আগস্ট পর্যন্ত শত্রু ছিল শেখ হাসিনার সরকার। এখন শত্রু যে পাল্টে গেছে, সেটুকু আজকে আমাদের বুঝতে হবে। এই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু রাষ্ট্রক্ষমতার শ্রেণি চরিত্রের কোনো পরিবর্তন হয়নি। দেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা হয়নি, বিপ্লব হয়নি। একটি গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে। এই জায়গায়, এই ডাইমেনশনটা আজকে আমাদের পরিষ্কারভাবে বুঝতে হবে।’

সভায় উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ত্রয়োদশ কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু সাঈদ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আফগানিস্তানের বাগরাম ঘাঁটি ফেরত চান ট্রাম্প, লক্ষ্য চীনের পারমাণবিক স্থাপনা

মাঝ আকাশে হাত ভাঙল বিমানের কেবিন ক্রুর, অঙ্গহানির আশঙ্কা

বাংলাদেশ ভ্রমণে উচ্চমাত্রার সতর্কতা জারি করল কানাডা

এরদোয়ানকে খলিফা উমর (রা.)-এর সঙ্গে খ্রিষ্টানদের চুক্তিপত্রের প্রতিলিপি উপহার দিলেন জেরুজালেমের পাদরি

রাজশাহীতে পিস্তল হাতে ভাইরাল ছাত্রলীগ নেতা, পুলিশের দাবি—নজরে আসেনি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত