Ajker Patrika

ডাকসু-জাকসু নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে: জাহিদ হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। ফাইল ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে ‘প্রশ্ন’ উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

আজ শুক্রবার দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদের যে নির্বাচন হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) যে জাকসু নির্বাচন হয়েছে, সেখানে শুধু ছাত্রদলের কথা কেন বলেন? সেখানে বিভিন্ন প্যানেল, স্বতন্ত্র প্রার্থী, এমনকি শিক্ষকেরা পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। নিশ্চয়ই সেখানে কোনো না কোনো কারণ আছে। কাজেই আমার বক্তব্য থাকবে অত্যন্ত সুস্পষ্ট।

‘দেশের মানুষ ২০০৯-এ ভোট দিতে পারে নাই। ’১৪-তে ভোটারবিহীন নির্বাচন হয়েছে, ’১৮-তে দিনের ভোট রাতে হয়েছে, ’২৪-এ আমি-ডামি নির্বাচন হয়েছে। কাজেই বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখতে চায়। যারা এ সমস্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট, তাদের উচিত হবে, এমন কোনো নির্বাচন আয়োজন না করা, যে নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রশ্ন আসবে, মানুষ দ্বিধাগ্রস্ত হবে, নির্বাচন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী দলসমূহ সরে যাবে।’

ডাকসু নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম এবং জাকসুতে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন জাহিদ হোসেন।

স্বৈরাচার ফেরার পথ ‘বিভক্তিতে সুগম’ হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, কোনো বিভেদ-বিভাজন আপনাকে-আমাকে শক্তিশালী করবে না। মনে রাখতে হবে, ঐক্যবদ্ধভাবে থাকলেই স্বৈরাচার ফেরত আসার পথ সুগম হবে না। কিন্তু কেউ যদি স্বৈরাচারকে পুনর্বাসিত করতে চান, তাহলে এই ধরনের প্রহসনমূলক ব্যবস্থার আয়োজন করবেন, যেটি সত্যিকার অর্থে শেষ বিচারে ভালো বলে পরিগণিত হবে না।’

এ সময় সব দলের প্রতি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এখনো সময় আছে, সবার প্রতি আহ্বান, আপনারা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হন। গণতন্ত্রের জন্য যাঁরা লড়াই করেছেন, তাঁরা কোনো অবস্থাতেই বিভাজনের রাজনীতিতে যাবেন না। ঐক্যের রাজনীতিতে আসুন। জনগণের মনের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করুন। জনগণের ওপর দায়িত্ব দিন।

‘যারা এই সকল প্রক্রিয়ার (নির্বাচন প্রক্রিয়া) সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাঁদের বলব, বামেও যাবেন না, ডানেও যাবে না। মধ্যবর্তী অবস্থা অবলম্বন করুন এবং ভোটারদের সঙ্গে, জনগণের সঙ্গে, পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলুন। কোনো দিকে হেলে পড়ার দরকার নেই। আপনি আপনার নিরপেক্ষতা দিয়েই প্রমাণ করবেন এবং আগামী দিনের ভবিষ্যৎ স্বীকৃতি দেবে, আপনার অবস্থান কী ছিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত