Ajker Patrika

জুলাই সনদের সঙ্গে সাংবিধানিক পরিষদ নিয়ে গণভোটের প্রস্তাব ফের তুলল গণসংহতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৩: ৩২
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। ফাইল ছবি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। ফাইল ছবি

জুলাই সনদের সঙ্গে সাংবিধানিক সংস্কার পরিষদ নিয়ে গণভোটের প্রস্তাব আবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে তুলেছে গণসংহতি আন্দোলন। আজ বুধবার জুলাই সনদ নিয়ে কমিশনের সঙ্গে জরুরি সভা থেকে বের হয়ে দলের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এ তথ্য জানান।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক সাংবাদিকদের বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ ওভার-অল ঐকমত্য, নোট অব ডিসেন্টসহ এর বাস্তবায়নের পদ্ধতিসহ একটা হ্যাঁ বা না ভোটের মধ্য দিয়ে যাবে। তাহলে এই দুটো বিষয়ে গণভোটের রায় হবে। একটা হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদের অনুমোদন, আরেকটা হচ্ছে আগামী আইনসভাকে এই ক্ষমতা দেওয়া, যেখানে তারা কনস্টিটুয়েন্ট পাওয়ার ব্যবহার করে এই জুলাই জাতীয় সনদের মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক সংস্কার করতে পারবে।

তিনি বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদের অনেকগুলো প্রশ্নে আমাদের পূর্ণ ঐকমত্য আছে, অর্থাৎ রাজনৈতিক দলগুলো সর্বসম্মত ঐকমত্য পোষণ করেছে—এ রকম অসংখ্য পয়েন্ট আছে। বেশ কয়েকটি পয়েন্ট আছে, যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের বিভিন্ন অবস্থানের কারণে তারা নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে। এই যে নোট অব ডিসেন্টগুলো, এইটা এবং যে ঐকমত্য অংশ, সবটা মিলেই কিন্তু জুলাই জাতীয় সনদ। যেখানে নোট অব ডিসেন্ট আছে, সেখানে কিন্তু প্রতিটা বিষয়ের নিচেই লেখা আছে কেন, কারা কারা এই নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছেন এবং নোট অব ডিসেন্ট কীভাবে বাস্তবায়িত হবে।’

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমরা সব সময় বলেছি যে, এইটা একটা সম্মিলিত অভ্যুত্থান এবং জনগণের এই সম্মিলিত অভ্যুত্থানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনে ভূমিকা আছে। কাজেই আমাদের অগ্রসর হওয়ার পদ্ধতি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে ঐকমত্যকে। ঐকমত্যের বাইরে গিয়ে কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। সে কারণেই নোট অব ডিসেন্টে যা আছে, সেখানে কিন্তু পরিষ্কারভাবে লেখা থাকবে—কোন দল ও কী কারণে তারা নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে এবং এটার মীমাংসার পদ্ধতি কী।’

এ সমস্যার সমাধান সম্পর্কে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এটার মীমাংসার পদ্ধতি হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচনে এই যে নোট অব ডিসেন্টগুলো যাঁরা দিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের ম্যানিফেস্টোতে উল্লেখ করবেন, যেই দল ম্যান্ডেট পাবে, দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে, তারা এটা তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে পারবে, যদি কোনো দল দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, পরবর্তী আইনসভায় কিংবা সংসদে এটা আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে বাস্তবায়িত হবে। তার মানে নোট অব ডিসেন্ট, ঐকমত্য অংশসহ যে জুলাই জাতীয় সনদ, পুরো প্যাকেজ, এইটা গণভোটে যাওয়া মানে নোট অব ডিসেন্ট গণভোটে মীমাংসা হয়ে যাচ্ছে। আমাদের জনগণ এই পুরো জুলাই জাতীয় সনদ ঐকমত্য, নোট অব ডিসেন্টসহ এবং তার বাস্তবায়ন পদ্ধতিসহ পুরোটাকে হ্যাঁ অথবা না বলছে। এই হ্যাঁ বা না ভোটের মধ্য দিয়ে জুলাই জাতীয় সনদের অনুমোদন হবে।’

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় প্রসঙ্গ ছিল যে, গণভোটের মধ্য দিয়ে পরবর্তী আইনসভাকে একটা ক্ষমতা অর্পণ করা, যাকে বলে কনস্টিটুয়েন্ট পাওয়ার, অর্থাৎ এই সংবিধান জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী আইনসভার মৌলিক সংস্কার করতে পারবে। যেটা সংশোধনীর ঊর্ধ্বে। সংশোধনী হলে সেই সংশোধনীকে আদালতে গিয়ে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে। আদালত সে বিষয়ে সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষিত হলো কি না, সেটা তাঁদের রায় দিতে পারেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে যেটা হচ্ছে, গণভোটের মধ্য দিয়ে আগামী আইনসভাকে একটা কনস্টিটুয়েন্ট পাওয়ার দিচ্ছেন। সে কারণে আগামী সংসদটা হবে সংবিধান সংস্কার পরিষদের সংসদ। অর্থাৎ সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও জাতীয় সংসদ। এর মধ্যে এই যে ক্ষমতাটা গণভোটের মধ্য দিয়ে জনগণ দিল, জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে তারা মৌলিক সংস্কার করতে পারবে।’

জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ ওভার-অল ঐকমত্য, নোট অব ডিসেন্ট, এর বাস্তবায়নের পদ্ধতিসহ একটা হ্যাঁ বা না ভোটের মধ্য দিয়ে যাবে। তাহলে এই দুটো বিষয়ে গণভোটের রায় হবে। একটা হচ্ছে, জুলাই জাতীয় সনদের অনুমোদন, আরেকটা হচ্ছে আগামী আইনসভাকে এই ক্ষমতা দেওয়া, যেখানে তারা কনস্টিটুয়েন্ট পাওয়ার ব্যবহার করে এই জুলাই জাতীয় সনদের মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক সংস্কার করতে পারবে। দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে, গণভোট কবে হবে? আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি যে, গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন একই দিনে অনুষ্ঠান হওয়াটাই ভালো।’

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘গত ১৪ মাস ধরে এই জাতীয় ঐকমত্যকে আমরা একটা দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করেছি। সেই দায়িত্ব আমরা পালন করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানাই—আগামী ১৭ তারিখ এই জুলাই জাতীয় সনদে আমরা সবাই মিলে যেন স্বাক্ষর করতে পারি, সেই আহ্বান অংশগ্রহণকারী প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রতি আমরা জানাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই সনদে স্বাক্ষর নিয়ে শেষ মুহূর্তে এসে অনিশ্চয়তা, সন্ধ্যায় ‘অতি জরুরি’ বৈঠক

ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ক্রিপ্টো কেলেঙ্কারি, ১৪ বিলিয়ন ডলারের কয়েন জব্দ

আসামি গ্রেপ্তারে র‍্যাবকে ভুল তথ্য, বগুড়া ডিবির ওসিসহ ৩ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ ফ্রিজে রাখেন নজরুল: পুলিশ

৬ মাসের সংসার, ৭ দিনের চাকরি—মর্গে নিথর স্বামী-স্ত্রীর লাশ

এলাকার খবর
Loading...