নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘১০ ডিসেম্বরকে বিএনপির সমাবেশের তারিখ হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণ হচ্ছে—যারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যার সঙ্গে যুক্ত ছিল তাদের অনেকেই এখন বিএনপি নেতা এবং যে জামায়াতে ইসলামের মূল নেতৃত্বে বুদ্ধিজীবী হত্যার মিশন শুরু হয়েছিল তারা হচ্ছে তাদের জোটের প্রধান সহযোগী। তারা নিজেরা হত্যাকারী এবং আবার নতুনভাবে হত্যাকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করার জন্যই ১০ ডিসেম্বর বেছে নিয়েছে।’
রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশার দিন বিএনপির সমাবেশ কেন’—শীর্ষক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর এ দেশে বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মিশন শুরু হয়েছিল। ১০ ডিসেম্বর সাংবাদিক সিরাজ উদ্দীন হোসেনসহ বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবীকে পাকিস্তানিরা ধরে নিয়ে যায়, যাদের পরবর্তীতে হত্যা করা হয়। অর্থাৎ, এই দিনে বুদ্ধিজীবী হত্যার মিশন শুরু হয়। ১০ ডিসেম্বরকেই বিএনপি কেন সমাবেশের জন্য বেছে নিল সেটি একটি বড় প্রশ্ন। তবে এই প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, যেখানে পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করেছিল, সেই উদ্যানে বিএনপির সমাবেশ করতে এত অনীহার কারণ—তারা তো পাকিস্তানের দোসর। পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের জায়গার চিহ্ন মুছে ফেলার জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সেখানে শিশু পার্ক বানিয়েছিলেন। সে জন্য তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেতে চায় না।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সারা দেশে বিএনপি মাঠে সমাবেশ করেছে আর ঢাকা শহরে আসার পর আর মাঠ ভালো লাগে না। তারা চায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে, যেখানে ৩০ থেকে ৫০ হাজারের বেশি লোক ধরে না অর্থাৎ তাদের সমাবেশে মানুষ হবে না, এটি একটি ভয়। আরেকটি কারণ হচ্ছে, রাস্তায় সমাবেশ করলে গাড়ি-ঘোড়া ভাঙচুর করা যাবে, প্রয়োজনমতো অগ্নিসংযোগ করা যাবে, শহরে গন্ডগোল করা যাবে, নৈরাজ্য সৃষ্টি করা যাবে।’
তবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, ডাক্তার, শিল্পী-সংস্কৃতিকর্মীরা তাদের সেই কাজ করতে দেবে না উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সারা বাংলাদেশ থেকে ঢাকা শহরে অগ্নি সন্ত্রাসীদের জড়ো করে এখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার লাইসেন্স তাদের দেওয়া হবে না। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমাদের কর্মীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছিলাম কিন্তু তাদের উসকানিমূলক বক্তব্যে আমাদের কর্মীদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। ১০ ডিসেম্বর আমাদের নেতা-কর্মীরা প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সতর্ক পাহারায় থাকবে। প্রয়োজনে আগে থেকে থাকবে।’
সরকারের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের অপচেষ্টা করে সরকারকে কঠোর হতে বাধ্য করবেন না, সরকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে কঠোর হস্তে দমন করবে—উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘দেশবাসীকে আহ্বান জানাব, ঐক্যের ভিত্তিতে সমস্ত অপশক্তিকে আমরা রুখে দেব, এই বাংলাদেশে আগুন সন্ত্রাসীদের রুখে দেব।’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘১০ ডিসেম্বরকে বিএনপির সমাবেশের তারিখ হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণ হচ্ছে—যারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যার সঙ্গে যুক্ত ছিল তাদের অনেকেই এখন বিএনপি নেতা এবং যে জামায়াতে ইসলামের মূল নেতৃত্বে বুদ্ধিজীবী হত্যার মিশন শুরু হয়েছিল তারা হচ্ছে তাদের জোটের প্রধান সহযোগী। তারা নিজেরা হত্যাকারী এবং আবার নতুনভাবে হত্যাকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করার জন্যই ১০ ডিসেম্বর বেছে নিয়েছে।’
রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশার দিন বিএনপির সমাবেশ কেন’—শীর্ষক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর এ দেশে বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মিশন শুরু হয়েছিল। ১০ ডিসেম্বর সাংবাদিক সিরাজ উদ্দীন হোসেনসহ বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবীকে পাকিস্তানিরা ধরে নিয়ে যায়, যাদের পরবর্তীতে হত্যা করা হয়। অর্থাৎ, এই দিনে বুদ্ধিজীবী হত্যার মিশন শুরু হয়। ১০ ডিসেম্বরকেই বিএনপি কেন সমাবেশের জন্য বেছে নিল সেটি একটি বড় প্রশ্ন। তবে এই প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, যেখানে পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করেছিল, সেই উদ্যানে বিএনপির সমাবেশ করতে এত অনীহার কারণ—তারা তো পাকিস্তানের দোসর। পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের জায়গার চিহ্ন মুছে ফেলার জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সেখানে শিশু পার্ক বানিয়েছিলেন। সে জন্য তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেতে চায় না।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সারা দেশে বিএনপি মাঠে সমাবেশ করেছে আর ঢাকা শহরে আসার পর আর মাঠ ভালো লাগে না। তারা চায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে, যেখানে ৩০ থেকে ৫০ হাজারের বেশি লোক ধরে না অর্থাৎ তাদের সমাবেশে মানুষ হবে না, এটি একটি ভয়। আরেকটি কারণ হচ্ছে, রাস্তায় সমাবেশ করলে গাড়ি-ঘোড়া ভাঙচুর করা যাবে, প্রয়োজনমতো অগ্নিসংযোগ করা যাবে, শহরে গন্ডগোল করা যাবে, নৈরাজ্য সৃষ্টি করা যাবে।’
তবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, ডাক্তার, শিল্পী-সংস্কৃতিকর্মীরা তাদের সেই কাজ করতে দেবে না উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সারা বাংলাদেশ থেকে ঢাকা শহরে অগ্নি সন্ত্রাসীদের জড়ো করে এখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার লাইসেন্স তাদের দেওয়া হবে না। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমাদের কর্মীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছিলাম কিন্তু তাদের উসকানিমূলক বক্তব্যে আমাদের কর্মীদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। ১০ ডিসেম্বর আমাদের নেতা-কর্মীরা প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সতর্ক পাহারায় থাকবে। প্রয়োজনে আগে থেকে থাকবে।’
সরকারের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের অপচেষ্টা করে সরকারকে কঠোর হতে বাধ্য করবেন না, সরকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে কঠোর হস্তে দমন করবে—উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘দেশবাসীকে আহ্বান জানাব, ঐক্যের ভিত্তিতে সমস্ত অপশক্তিকে আমরা রুখে দেব, এই বাংলাদেশে আগুন সন্ত্রাসীদের রুখে দেব।’

বাংলাদেশ নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, যারা পাড়া-মহল্লায় রমরমা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত, তাদের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো।
১৫ মিনিট আগে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘ঢাকায় বসে সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিকানা আমাদের কেউ দেয় নাই। জনগণের নির্বাচিত সংসদ হবে যেটা, সেই সংসদ আগামী দিনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে যাঁরা নির্বাচিত হয়ে সংসদে বসবেন, সেই সংসদ কী হবে, তারা কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেই সিদ্ধান্ত এখন আমরা দিতে পারি না
২৩ মিনিট আগে
ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে যে যুগপৎ আন্দোলন হয়েছে, তাতে প্রায় ৪২টি রাজনৈতিক দল তাদের সঙ্গে ছিল। মূলত সেই শরিক দলগুলোকে কোথায় কোথায় আসন দেওয়া সম্ভব, তা দেখতেই আসনগুলো ফাঁকা রাখা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে আগামীকাল মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে গণসমাবেশ করবে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া আট দল। এ কর্মসূচিতে হাজার হাজার নয়, বরং লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
৩ ঘণ্টা আগেচাঁদপুর প্রতিনিধি

বাংলাদেশ নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, যারা পাড়া-মহল্লায় রমরমা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত, তাদের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো।
সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এনসিপি জেলা কমিটির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বিএনপি অনেক কষ্ট করে দলটা টিকিয়ে রেখেছে। বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী তাদের নেতাদের মাধ্যমে কোণঠাসা হয়ে রয়েছে। তারা অনেক সময় আমাদের বলে, ‘‘তোমরা দেশটাকে সঠিক পথে নাও। আমাদের দলটাকে তারা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। আমরা রক্ত ও ঘাম দিয়ে আন্দোলন করেছি ভোটের অধিকার ও মানুষের স্বাধীনতার জন্য।’’’
হাসনাত বলেন, ‘বিএনপির মধ্যে অনেক ভালো মানুষ রয়েছে, যারা কোনো অপরাধমূলক কাজে জড়িত নেই, তাদের আমরা আমাদের দলে নিয়ে নেব। যারা জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বিশ্বাস করে, তারা কখনো চাঁদাবাজি করতে পারে না।’
নিজ দল সম্পর্কে এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘অনেকেই এখন চায়ের দোকানে বসে মশকরা করে এনসিপি করেন, ভোটের পর আর খবর থাকবে না। আমি তাদের বলব—ভালো কাজ অল্পসংখ্যক লোক দিয়েই শুরু হয়। অনেক সময় বলা হয়, সমাজে যারা সংখ্যায় বেশি, তারাই কল্যাণকামী। এটা ভুল। কল্যাণকামীরা সব সময়ই কমসংখ্যক হয়। হাসিনার সময় যারা লড়াই-সংগ্রাম করেছে, তাদের সংখ্যাও কম ছিল।’
নিজ দলের নেতা-কর্মীর উদ্দেশে হাসনাত বলেন, ‘জেলার আট উপজেলায় যে জনপ্রতিনিধি দরকার, সেই পরিমাণ লোক এখানে উপস্থিত হয়নি। তাহলে কীভাবে আপনারা কাজ করবেন। কোরাম করা লোকদের আমাদের প্রয়োজন নেই। ভালো ১০ জন দিয়ে এনসিপির কমিটি হবে।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা দেখছি ভালো নির্বাচন হবে। তবে অনেকেই ব্যালট না নিয়ে বুলেট বেছে নিয়েছে। তারা ভাবছে, বুলেটের ভয় দেখিয়ে দেশের মানুষকে ফ্যাসিবাদী শাসনের মতো নিয়ে যেতে পারবে। ইতিমধ্যে এনসিপির বিষয়ে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছে—যদি এনসিপিতে ভোট দাও, তাহলে নির্বাচনের পরে খবর আছে। আমরা জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই, যারা ভয় পায়, তারাই জনগণকে ভয় দেখায়। যারা ভয় দেখায়, তারা অতি নিকটবর্তী ক্ষতির মধ্যে আছে। যারা সাহসী মানুষ, তারা ভয় দেখায় না, তারা মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করে। একটি দল এখন অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে।’
এ সময় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ও কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আতাউল্লাহ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব মুহাম্মদ মিরাজ মিয়া, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ তালুকদারসহ অনেকে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রধান সমন্বয়কারী মো. মাহবুব আলম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা জাতীয় ছাত্রশক্তি নেতা মো. সাগর হোসেন।

বাংলাদেশ নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, যারা পাড়া-মহল্লায় রমরমা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত, তাদের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো।
সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এনসিপি জেলা কমিটির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বিএনপি অনেক কষ্ট করে দলটা টিকিয়ে রেখেছে। বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী তাদের নেতাদের মাধ্যমে কোণঠাসা হয়ে রয়েছে। তারা অনেক সময় আমাদের বলে, ‘‘তোমরা দেশটাকে সঠিক পথে নাও। আমাদের দলটাকে তারা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। আমরা রক্ত ও ঘাম দিয়ে আন্দোলন করেছি ভোটের অধিকার ও মানুষের স্বাধীনতার জন্য।’’’
হাসনাত বলেন, ‘বিএনপির মধ্যে অনেক ভালো মানুষ রয়েছে, যারা কোনো অপরাধমূলক কাজে জড়িত নেই, তাদের আমরা আমাদের দলে নিয়ে নেব। যারা জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বিশ্বাস করে, তারা কখনো চাঁদাবাজি করতে পারে না।’
নিজ দল সম্পর্কে এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘অনেকেই এখন চায়ের দোকানে বসে মশকরা করে এনসিপি করেন, ভোটের পর আর খবর থাকবে না। আমি তাদের বলব—ভালো কাজ অল্পসংখ্যক লোক দিয়েই শুরু হয়। অনেক সময় বলা হয়, সমাজে যারা সংখ্যায় বেশি, তারাই কল্যাণকামী। এটা ভুল। কল্যাণকামীরা সব সময়ই কমসংখ্যক হয়। হাসিনার সময় যারা লড়াই-সংগ্রাম করেছে, তাদের সংখ্যাও কম ছিল।’
নিজ দলের নেতা-কর্মীর উদ্দেশে হাসনাত বলেন, ‘জেলার আট উপজেলায় যে জনপ্রতিনিধি দরকার, সেই পরিমাণ লোক এখানে উপস্থিত হয়নি। তাহলে কীভাবে আপনারা কাজ করবেন। কোরাম করা লোকদের আমাদের প্রয়োজন নেই। ভালো ১০ জন দিয়ে এনসিপির কমিটি হবে।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা দেখছি ভালো নির্বাচন হবে। তবে অনেকেই ব্যালট না নিয়ে বুলেট বেছে নিয়েছে। তারা ভাবছে, বুলেটের ভয় দেখিয়ে দেশের মানুষকে ফ্যাসিবাদী শাসনের মতো নিয়ে যেতে পারবে। ইতিমধ্যে এনসিপির বিষয়ে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছে—যদি এনসিপিতে ভোট দাও, তাহলে নির্বাচনের পরে খবর আছে। আমরা জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই, যারা ভয় পায়, তারাই জনগণকে ভয় দেখায়। যারা ভয় দেখায়, তারা অতি নিকটবর্তী ক্ষতির মধ্যে আছে। যারা সাহসী মানুষ, তারা ভয় দেখায় না, তারা মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করে। একটি দল এখন অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে।’
এ সময় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ও কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আতাউল্লাহ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব মুহাম্মদ মিরাজ মিয়া, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ তালুকদারসহ অনেকে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রধান সমন্বয়কারী মো. মাহবুব আলম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা জাতীয় ছাত্রশক্তি নেতা মো. সাগর হোসেন।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘১০ ডিসেম্বরকে বিএনপির সমাবেশের তারিখ হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণ হচ্ছে—যারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যার সঙ্গে যুক্ত ছিল তাদের অনেকেই এখন বিএনপি নেতা এবং যে জামায়াতে
০১ ডিসেম্বর ২০২২
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘ঢাকায় বসে সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিকানা আমাদের কেউ দেয় নাই। জনগণের নির্বাচিত সংসদ হবে যেটা, সেই সংসদ আগামী দিনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে যাঁরা নির্বাচিত হয়ে সংসদে বসবেন, সেই সংসদ কী হবে, তারা কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেই সিদ্ধান্ত এখন আমরা দিতে পারি না
২৩ মিনিট আগে
ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে যে যুগপৎ আন্দোলন হয়েছে, তাতে প্রায় ৪২টি রাজনৈতিক দল তাদের সঙ্গে ছিল। মূলত সেই শরিক দলগুলোকে কোথায় কোথায় আসন দেওয়া সম্ভব, তা দেখতেই আসনগুলো ফাঁকা রাখা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে আগামীকাল মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে গণসমাবেশ করবে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া আট দল। এ কর্মসূচিতে হাজার হাজার নয়, বরং লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘ঢাকায় বসে সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিকানা আমাদের কেউ দেয় নাই। জনগণের নির্বাচিত সংসদ হবে যেটা, সেই সংসদ আগামী দিনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে যাঁরা নির্বাচিত হয়ে সংসদে বসবেন, সেই সংসদ কী হবে, তারা কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেই সিদ্ধান্ত এখন আমরা দিতে পারি না।’
রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) মিলনায়তনে সোমবার (১০ নভেম্বর) এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গণপ্রকৌশলী দিবস উপলক্ষে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়।
আমীর খসরু বলেন, ‘অনেকে চেষ্টা করছেন, সেই সিদ্ধান্তগুলো আমরা এখন নিই। আগামী দিনের সংসদ এটা বাধ্যতামূলকভাবে করতে পারে, এটা গণতন্ত্রের কোনো সংজ্ঞায় পড়ে না। সুতরাং যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, সনদ সই হয়েছে, চ্যাপ্টার ক্লোজ...লেট আস গো টু ইলেকশন। ইলেকশনে গিয়ে জনগণের কাছে নিয়ে যান, আপনাদের যদি নিজস্ব কোনো দাবিদাওয়া থাকে আগামী দিনের জন্য, দয়া করে জনগণের কাছে যান। ঢাকায় বসে এইগুলা নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি করে সময় নষ্ট না করে অন্যদের কাউকে বাধ্য না করে আপনি জনগণের কাছে যান।’
সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এত দিন জনগণের মালিকানার কথা বলেছি। এইখানে আপনি যদি মালিক হয়ে যান যে জনগণকে এত দিন মালিক বললেন, জনগণের কাছে আপনি যাচ্ছেন না। এখন আমরা নিজেরাই মালিক হয়ে যাচ্ছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, বাংলাদেশ এটা হবে, সেটা হবে, ওটা হতে হবে। তাইলে জনগণ কোথায় গেল? এখানে আমরা নিজেরাই তো মালিক হয়ে গেছি।’
খসরু আরও বলেন, আগামী দিনের বাংলাদেশে কী সিদ্ধান্ত হবে, কোনো ঐকমত্য কমিশনও সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না। কোনো রাজনৈতিক দলও সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না। দয়া করে, জনগণের কাছে যান, আগামী নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে তারপরে সংসদে যান। ঢাকায় বসে দলাদলি করে রাস্তা দখল করে জনগণকে বাইরে রাখলে হবে না। গণতন্ত্র কাজ করে জনগণের মাধ্যমে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘ঢাকায় বসে সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিকানা আমাদের কেউ দেয় নাই। জনগণের নির্বাচিত সংসদ হবে যেটা, সেই সংসদ আগামী দিনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে যাঁরা নির্বাচিত হয়ে সংসদে বসবেন, সেই সংসদ কী হবে, তারা কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেই সিদ্ধান্ত এখন আমরা দিতে পারি না।’
রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) মিলনায়তনে সোমবার (১০ নভেম্বর) এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গণপ্রকৌশলী দিবস উপলক্ষে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়।
আমীর খসরু বলেন, ‘অনেকে চেষ্টা করছেন, সেই সিদ্ধান্তগুলো আমরা এখন নিই। আগামী দিনের সংসদ এটা বাধ্যতামূলকভাবে করতে পারে, এটা গণতন্ত্রের কোনো সংজ্ঞায় পড়ে না। সুতরাং যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, সনদ সই হয়েছে, চ্যাপ্টার ক্লোজ...লেট আস গো টু ইলেকশন। ইলেকশনে গিয়ে জনগণের কাছে নিয়ে যান, আপনাদের যদি নিজস্ব কোনো দাবিদাওয়া থাকে আগামী দিনের জন্য, দয়া করে জনগণের কাছে যান। ঢাকায় বসে এইগুলা নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি করে সময় নষ্ট না করে অন্যদের কাউকে বাধ্য না করে আপনি জনগণের কাছে যান।’
সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এত দিন জনগণের মালিকানার কথা বলেছি। এইখানে আপনি যদি মালিক হয়ে যান যে জনগণকে এত দিন মালিক বললেন, জনগণের কাছে আপনি যাচ্ছেন না। এখন আমরা নিজেরাই মালিক হয়ে যাচ্ছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, বাংলাদেশ এটা হবে, সেটা হবে, ওটা হতে হবে। তাইলে জনগণ কোথায় গেল? এখানে আমরা নিজেরাই তো মালিক হয়ে গেছি।’
খসরু আরও বলেন, আগামী দিনের বাংলাদেশে কী সিদ্ধান্ত হবে, কোনো ঐকমত্য কমিশনও সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না। কোনো রাজনৈতিক দলও সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না। দয়া করে, জনগণের কাছে যান, আগামী নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে তারপরে সংসদে যান। ঢাকায় বসে দলাদলি করে রাস্তা দখল করে জনগণকে বাইরে রাখলে হবে না। গণতন্ত্র কাজ করে জনগণের মাধ্যমে।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘১০ ডিসেম্বরকে বিএনপির সমাবেশের তারিখ হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণ হচ্ছে—যারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যার সঙ্গে যুক্ত ছিল তাদের অনেকেই এখন বিএনপি নেতা এবং যে জামায়াতে
০১ ডিসেম্বর ২০২২
বাংলাদেশ নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, যারা পাড়া-মহল্লায় রমরমা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত, তাদের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো।
১৫ মিনিট আগে
ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে যে যুগপৎ আন্দোলন হয়েছে, তাতে প্রায় ৪২টি রাজনৈতিক দল তাদের সঙ্গে ছিল। মূলত সেই শরিক দলগুলোকে কোথায় কোথায় আসন দেওয়া সম্ভব, তা দেখতেই আসনগুলো ফাঁকা রাখা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে আগামীকাল মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে গণসমাবেশ করবে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া আট দল। এ কর্মসূচিতে হাজার হাজার নয়, বরং লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
৩ ঘণ্টা আগেঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

৬৩টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি জানান, ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে যে যুগপৎ আন্দোলন হয়েছে, তাতে প্রায় ৪২টি রাজনৈতিক দল তাদের সঙ্গে ছিল। মূলত সেই শরিক দলগুলোকে কোথায় কোথায় আসন দেওয়া সম্ভব, তা দেখতেই আসনগুলো ফাঁকা রাখা হয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপির মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা যখন আন্দোলন করি ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে, তখন প্রায় ৪২টি রাজনৈতিক দল আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছে। সেই রাজনৈতিক দলগুলোকে আমরা কোথায় কোথায় আসন দেওয়া সম্ভব, সেটা দেখার জন্যই মূলত এই আসনগুলোকে ব্র্যাকেট রাখা হয়েছে।’ এ সময় তিনি অন্যান্য আসনেও কিছু পরিবর্তন হতে পারে বলে উল্লেখ করেন।
নির্বাচনী প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, যারা পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) না হলে নির্বাচন হবে না বলে চাপ সৃষ্টি করছেন, তাঁরা ফ্যাসিস্টদের তৈরি করছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট তারাই তৈরি করছেন, যাঁরা বলেন পিআর দিতে হবে, তা না হলে নির্বাচন হবে না...এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাঁরা আজকে যে বিষয়গুলো নিয়ে চাপ সৃষ্টি করছেন সরকারের ওপরে; আমার বিশ্বাস, আমরা যারা শিক্ষিত লোক আছি, তারাও ঠিকমতো বুঝি না। এখন এমন একটা জিনিসকে চাপিয়ে দেওয়ার মধ্যে উদ্দেশ্য আছে। তাঁরা মনে করছেন, পিআর করলে অনেকগুলো বেশি আসন পাবেন। নট ট্রু। এটা ঠিক নয়।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, নির্বাচনের ট্রেন চালু করতে হবে। কারণ, আওয়ামী লীগ গত ১৫-১৬ বছর ধরে মানুষকে নির্বাচন বিমুখ করে রেখেছে।’
এর আগে বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের বদেশ্বর এলাকায় এক মতবিনিময় সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হাসিনা পালানোর পর এখন একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, এখন আমরা আমাদের মতো করে আলোচনার মাধ্যমে একটি সুন্দর বাংলাদেশ তৈরি করব।’
বিএনপি মহাসচিব তারেক রহমানের দেওয়া ৩১ দফা কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে বলেন, সেই বাংলাদেশে হিংসা থাকবে না, প্রতিশোধ থাকবে না এবং কেউ কাউকে ক্ষতি করার চেষ্টা করবে না।
তারেক রহমানের এই কর্মসূচির মধ্যে কীভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে, কীভাবে সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে এবং কীভাবে মায়েরা-বোনেরা সবাই ভালো থাকবেন, সেই দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

৬৩টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি জানান, ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে যে যুগপৎ আন্দোলন হয়েছে, তাতে প্রায় ৪২টি রাজনৈতিক দল তাদের সঙ্গে ছিল। মূলত সেই শরিক দলগুলোকে কোথায় কোথায় আসন দেওয়া সম্ভব, তা দেখতেই আসনগুলো ফাঁকা রাখা হয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপির মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা যখন আন্দোলন করি ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে, তখন প্রায় ৪২টি রাজনৈতিক দল আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছে। সেই রাজনৈতিক দলগুলোকে আমরা কোথায় কোথায় আসন দেওয়া সম্ভব, সেটা দেখার জন্যই মূলত এই আসনগুলোকে ব্র্যাকেট রাখা হয়েছে।’ এ সময় তিনি অন্যান্য আসনেও কিছু পরিবর্তন হতে পারে বলে উল্লেখ করেন।
নির্বাচনী প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, যারা পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) না হলে নির্বাচন হবে না বলে চাপ সৃষ্টি করছেন, তাঁরা ফ্যাসিস্টদের তৈরি করছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট তারাই তৈরি করছেন, যাঁরা বলেন পিআর দিতে হবে, তা না হলে নির্বাচন হবে না...এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাঁরা আজকে যে বিষয়গুলো নিয়ে চাপ সৃষ্টি করছেন সরকারের ওপরে; আমার বিশ্বাস, আমরা যারা শিক্ষিত লোক আছি, তারাও ঠিকমতো বুঝি না। এখন এমন একটা জিনিসকে চাপিয়ে দেওয়ার মধ্যে উদ্দেশ্য আছে। তাঁরা মনে করছেন, পিআর করলে অনেকগুলো বেশি আসন পাবেন। নট ট্রু। এটা ঠিক নয়।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, নির্বাচনের ট্রেন চালু করতে হবে। কারণ, আওয়ামী লীগ গত ১৫-১৬ বছর ধরে মানুষকে নির্বাচন বিমুখ করে রেখেছে।’
এর আগে বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের বদেশ্বর এলাকায় এক মতবিনিময় সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হাসিনা পালানোর পর এখন একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, এখন আমরা আমাদের মতো করে আলোচনার মাধ্যমে একটি সুন্দর বাংলাদেশ তৈরি করব।’
বিএনপি মহাসচিব তারেক রহমানের দেওয়া ৩১ দফা কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে বলেন, সেই বাংলাদেশে হিংসা থাকবে না, প্রতিশোধ থাকবে না এবং কেউ কাউকে ক্ষতি করার চেষ্টা করবে না।
তারেক রহমানের এই কর্মসূচির মধ্যে কীভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে, কীভাবে সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে এবং কীভাবে মায়েরা-বোনেরা সবাই ভালো থাকবেন, সেই দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘১০ ডিসেম্বরকে বিএনপির সমাবেশের তারিখ হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণ হচ্ছে—যারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যার সঙ্গে যুক্ত ছিল তাদের অনেকেই এখন বিএনপি নেতা এবং যে জামায়াতে
০১ ডিসেম্বর ২০২২
বাংলাদেশ নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, যারা পাড়া-মহল্লায় রমরমা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত, তাদের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো।
১৫ মিনিট আগে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘ঢাকায় বসে সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিকানা আমাদের কেউ দেয় নাই। জনগণের নির্বাচিত সংসদ হবে যেটা, সেই সংসদ আগামী দিনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে যাঁরা নির্বাচিত হয়ে সংসদে বসবেন, সেই সংসদ কী হবে, তারা কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেই সিদ্ধান্ত এখন আমরা দিতে পারি না
২৩ মিনিট আগে
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে আগামীকাল মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে গণসমাবেশ করবে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া আট দল। এ কর্মসূচিতে হাজার হাজার নয়, বরং লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে আগামীকাল মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে গণসমাবেশ করবে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া আট দল। এ কর্মসূচিতে হাজার হাজার নয়, বরং লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
আজ সোমবার রাজধানীর পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কার্যালয়ে বৈঠক করেন আট দলের নেতারা। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণা দেন জামায়াতের এই নেতা।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আগামীকাল হাজার হাজার নয়, লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হবে। লোকে লোকারণ্য হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। রাজধানী এবং আশপাশের মানুষই এতে যুক্ত হবে।’
আযাদ যোগ করেন, ‘আমরা দেশব্যাপী সমাবেশের ডাক দিতে পারতাম। তবে আগামীকাল শুধু রাজধানী ও আশপাশের জনবল নিয়েই সমাবেশ হবে। এতে যদি সরকার বুঝতে পারে, তাহলে আশা করি এ সমাবেশেই একটা বড় ধরনের মতামত উঠে আসবে।’
আযাদ আরও বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের চতুর্থ পর্ব শেষ হয়ে পঞ্চম পর্ব চলমান। ৬ নভেম্বর আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। একই সঙ্গে ১১ নভেম্বর আমরা গণসমাবেশ ঘোষণা করেছিলাম। আমরা জনগণের কিছু মৌলিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি। এটা কোনো জোট নয়, এটা আন্দোলনের একটা প্ল্যাটফর্ম।’
বিএনপির সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘তাঁরা বলেছেন, তাঁরা জামায়াতের ডাকে সাড়া দেবেন না। উনারা এটা প্রকাশ্যে বলে দিয়েছেন। আমরাও প্রকাশ্যে বলে দিলাম, উনারা আমাদের ডাকুক, আমরা অবশ্যই সাড়া দেব। আমরা আলোচনা এবং আন্দোলন, উভয় চেষ্টা অব্যাহত রাখব।’
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আমরা জনদুর্ভোগ সব সময় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছি। এটা আন্দোলনের একটা চলমান কর্মসূচি। দুর্ভোগের কথা আমরা বিবেচনা করেছি। আমাদের কর্মসূচির সময় বেলা ২ থেকে বিকেল ৪টা।’
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা বিফলে গেছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আযাদ বলেন, আলোচনা ভেস্তে যায়নি। আলোচনার মাধ্যে একটি চার্টার তৈরি হয়েছে এবং স্বাক্ষরিত হয়েছে। মূলত সনদ নিয়ে নয়, সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
হামিদুর রহমান আযাদ আরও বলেন, গণভোট সংবিধানে ছিল, ফ্যাসিস্টরা বাদ দিয়েছে। যাঁরা সংবিধানে গণভোট নেই বলছেন, তাঁরা ফ্যাসিস্টের কাজকে সমর্থন করছেন। সংবিধানে ৫ বছর পর নির্বাচনের কথা আছে। তাহলে কি সংবিধান অনুযায়ী ’২৬ সালে নির্বাচন হওয়ার কথা? বর্তমান সরকারও তো সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা পায়নি।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে আগামীকাল মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে গণসমাবেশ করবে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া আট দল। এ কর্মসূচিতে হাজার হাজার নয়, বরং লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
আজ সোমবার রাজধানীর পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কার্যালয়ে বৈঠক করেন আট দলের নেতারা। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণা দেন জামায়াতের এই নেতা।
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আগামীকাল হাজার হাজার নয়, লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হবে। লোকে লোকারণ্য হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। রাজধানী এবং আশপাশের মানুষই এতে যুক্ত হবে।’
আযাদ যোগ করেন, ‘আমরা দেশব্যাপী সমাবেশের ডাক দিতে পারতাম। তবে আগামীকাল শুধু রাজধানী ও আশপাশের জনবল নিয়েই সমাবেশ হবে। এতে যদি সরকার বুঝতে পারে, তাহলে আশা করি এ সমাবেশেই একটা বড় ধরনের মতামত উঠে আসবে।’
আযাদ আরও বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের চতুর্থ পর্ব শেষ হয়ে পঞ্চম পর্ব চলমান। ৬ নভেম্বর আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। একই সঙ্গে ১১ নভেম্বর আমরা গণসমাবেশ ঘোষণা করেছিলাম। আমরা জনগণের কিছু মৌলিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি। এটা কোনো জোট নয়, এটা আন্দোলনের একটা প্ল্যাটফর্ম।’
বিএনপির সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘তাঁরা বলেছেন, তাঁরা জামায়াতের ডাকে সাড়া দেবেন না। উনারা এটা প্রকাশ্যে বলে দিয়েছেন। আমরাও প্রকাশ্যে বলে দিলাম, উনারা আমাদের ডাকুক, আমরা অবশ্যই সাড়া দেব। আমরা আলোচনা এবং আন্দোলন, উভয় চেষ্টা অব্যাহত রাখব।’
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আমরা জনদুর্ভোগ সব সময় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছি। এটা আন্দোলনের একটা চলমান কর্মসূচি। দুর্ভোগের কথা আমরা বিবেচনা করেছি। আমাদের কর্মসূচির সময় বেলা ২ থেকে বিকেল ৪টা।’
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা বিফলে গেছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আযাদ বলেন, আলোচনা ভেস্তে যায়নি। আলোচনার মাধ্যে একটি চার্টার তৈরি হয়েছে এবং স্বাক্ষরিত হয়েছে। মূলত সনদ নিয়ে নয়, সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
হামিদুর রহমান আযাদ আরও বলেন, গণভোট সংবিধানে ছিল, ফ্যাসিস্টরা বাদ দিয়েছে। যাঁরা সংবিধানে গণভোট নেই বলছেন, তাঁরা ফ্যাসিস্টের কাজকে সমর্থন করছেন। সংবিধানে ৫ বছর পর নির্বাচনের কথা আছে। তাহলে কি সংবিধান অনুযায়ী ’২৬ সালে নির্বাচন হওয়ার কথা? বর্তমান সরকারও তো সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা পায়নি।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘১০ ডিসেম্বরকে বিএনপির সমাবেশের তারিখ হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণ হচ্ছে—যারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যার সঙ্গে যুক্ত ছিল তাদের অনেকেই এখন বিএনপি নেতা এবং যে জামায়াতে
০১ ডিসেম্বর ২০২২
বাংলাদেশ নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, যারা পাড়া-মহল্লায় রমরমা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত, তাদের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো।
১৫ মিনিট আগে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘ঢাকায় বসে সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিকানা আমাদের কেউ দেয় নাই। জনগণের নির্বাচিত সংসদ হবে যেটা, সেই সংসদ আগামী দিনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে যাঁরা নির্বাচিত হয়ে সংসদে বসবেন, সেই সংসদ কী হবে, তারা কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেই সিদ্ধান্ত এখন আমরা দিতে পারি না
২৩ মিনিট আগে
ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে যে যুগপৎ আন্দোলন হয়েছে, তাতে প্রায় ৪২টি রাজনৈতিক দল তাদের সঙ্গে ছিল। মূলত সেই শরিক দলগুলোকে কোথায় কোথায় আসন দেওয়া সম্ভব, তা দেখতেই আসনগুলো ফাঁকা রাখা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে