Ajker Patrika

ভালো নির্বাচনের জন্য সংস্কার প্রয়োজন: মান্না

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভালো নির্বাচনের জন্য সংস্কার প্রয়োজন: মান্না

গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘ন্যূনতম ঐক্যের চেষ্টা তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) করতে হবে। ভালো নির্বাচনের জন্য আমাদের সংস্কার প্রয়োজন। যত দূর পর্যন্ত জাতীয় ঐক্য করতে পারব, তত দূর সংস্কার করতে হবে। বাকি যেগুলো ব্যাপার আছে আগামীতে যে সংসদ গঠিত হবে, নির্বাচনের মাধ্যমে সেই নির্বাচিত সরকার করবে।’ 

আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে গণতন্ত্র মঞ্চের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। নেতৃত্ব দেন গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন—বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা আকবর খান, আবুল হাসান রুবেল, আবু ইউসুফ সেলিম ও ইমরান ইমন। 

ভালো নির্বাচনের ওপর প্রধান উপদেষ্টাসহ উপদেষ্টা পরিষদের সম্মান নির্ভর করছে উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘মানুষের যদি মনে হয় আপনাদের লিপ্সা আছে, যদি মনে হয় অতীতের মতো ন্যায়-অন্যায় বাছবেন না, অর্থের ধান্দা করবেন, দুর্নীতি বেড়ে যায় তা আপনাদের ওপর বর্তাবে। আপনি বলবেন, জানিনি, বুঝিনি সেটা হবে না। প্রয়োজনে আমাদের সঙ্গে কথা বলেন। আমরা সমাজের একেবারে নিম্নস্তর পর্যন্ত কাজ করি। আমরা মনে করি, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই পুরো সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।’ 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে আলাপ হয়েছে। দুর্গাপূজা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পারে। গার্মেন্টস এলাকায় যে অসন্তোষ, এগুলোর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। পূজার ব্যাপারে আমরা বলেছি, দরকার হলে জনগণের সঙ্গে মিশে কাজ করব।’ 

সরকারকে প্রো-অ্যাকটিভ হওয়ার পরামর্শ দিয়ে এই রাজনীতিবিদ বলেন, যাতে তার প্রশাসন যেমন—জেলা প্রশাসক, থানার ওসি, ইউএনও যারা দায়িত্বে, তাঁরা যেন সরাসরি জবাবদিহিমূলক একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আসে। বেশির ভাগ সময় ঘটনা ঘটে গেছে কিন্তু যিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ছিলেন তিনি কোনো কাজই করেননি। এবার এটা হতে পারবে না। আগেই তাদের জানিয়ে দেওয়া হোক, যদি কোনো ধরনের ঘটনা ঘটে এ ব্যাপারে তার যদি কোনো অবহেলা পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাতে তিনি আগে থেকে সতর্ক হোন। 

আশুলিয়া গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন বিস্তৃত হতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, প্রয়োজনবোধে সরকার যেন শ্রমিকদের আশ্বস্ত করে। প্রয়োজন হলে ঋণ দিতে হবে। 
 
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দল, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা। আমরা মনে করি একটা কাঠামো তৈরি করা দরকার। জাতীয় রাজনৈতিক কাউন্সিল হতে পারে। যেখানে অংশীজনেরা বসবেন। 

সাম্প্রদায়িক হামলা, মাজারে হামলা, নারীর ওপর হামলা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলোকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সম্পর্কে যে প্রচারণ চলছে, সে ক্ষেত্রে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা, সামগ্রিকভাবে এ ভূমিকা নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। সামনে কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে পাব। আমরা মনে করি গণতান্ত্রিক নির্বাচন, দেশে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, প্রতিষ্ঠান, আইন সংস্কার এগুলো গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সংস্কার ছাড়া নির্বাচনকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর কিছুই নেই। এই দেশে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের সংস্কার ও নতুন নির্বাচন একে অপরের পরিপূরক। গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য জরুরি।’ 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের বাজারে ঊর্ধ্বগতির ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছি। পুরানে সিন্ডিকেট আবার যে নতুন চেহারায় আবির্ভূত হয়েছে, সেটা নিয়ে আমরা উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছি। তারা বলেছেন, চারটা কাজকে অগ্রাধিকারের মধ্যে নিয়েছেন। সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ তাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে উল্লেখ করেছেন। আমরা দেখতে চাই মানুষ যেন এর সুফল পায়। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য যাতে বন্ধ হয়।’ 

সংস্কার কমিশন আগামীকাল রোববার থেকে কাজ শুরু করবে বলে বৈঠকে জানানো হয়েছে বলে জানান সাইফুল হক। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দূরত্বের জায়গা দেখা যাচ্ছে, এটা আমাদের ধারণা। সরকার সংস্কার বা যতগুলো উদ্যোগ বলি সেটা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একটা অরগানিক যোগাযোগের মধ্যে দিয়ে, বোঝাপড়া, সমঝোতার মাধ্যমে সরকার যাতে এগোতে পারে। সংস্কার কমিশন কাজ শেষের পরে কোন কোন কাজগুলো এ আমলে করবেন, এ আমলে তা নিয়ে ঐকমত্যের জায়গা আছে। আর কোনগুলো পরবর্তী নির্বাচিত সংসদ করবে তাও আলাপ আলোচনা করে ঠিক করব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাশ্মীরের চিকিৎসক জঙ্গি সংগঠন জইশের সদস্য, হরিয়ানায় তাঁর বাসায় মিলল ৩ টন বিস্ফোরক

রাজধানীর সাত এলাকায় ১২ ককটেল বিস্ফোরণ, তিন গাড়িতে আগুন

হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হয় ছাত্রলীগ নেতাকে, থানায় দিতে গিয়ে ৩ অপহরণকারী গ্রেপ্তার

ধীরে ধীরে চলছিল গাড়িটি, ট্রাফিক সিগন্যালে থামতেই বিকট বিস্ফোরণ

তুমুল হট্টগোলে পাকিস্তানের সংবিধান সংশোধন, সেনাপ্রধান আসিম মুনির আরো ক্ষমতাধর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

বিরাজমান পরিস্থিতি এবং সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে অবহিত করতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হবে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান। সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে বলে জানান শায়রুল।

এর আগে সোমবার রাত সোয়া ৯টার দিকে স্থায়ী কমিটির সভা শুরু হয়। রাত সোয়া ১১টায় এই সভা শেষ হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাশ্মীরের চিকিৎসক জঙ্গি সংগঠন জইশের সদস্য, হরিয়ানায় তাঁর বাসায় মিলল ৩ টন বিস্ফোরক

রাজধানীর সাত এলাকায় ১২ ককটেল বিস্ফোরণ, তিন গাড়িতে আগুন

হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হয় ছাত্রলীগ নেতাকে, থানায় দিতে গিয়ে ৩ অপহরণকারী গ্রেপ্তার

ধীরে ধীরে চলছিল গাড়িটি, ট্রাফিক সিগন্যালে থামতেই বিকট বিস্ফোরণ

তুমুল হট্টগোলে পাকিস্তানের সংবিধান সংশোধন, সেনাপ্রধান আসিম মুনির আরো ক্ষমতাধর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চাঁদাবাজদের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো: হাসনাত আবদুল্লাহ

চাঁদপুর প্রতিনিধি
সভায় বক্তব্য দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সভায় বক্তব্য দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশ নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, যারা পাড়া-মহল্লায় রমরমা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত, তাদের সঙ্গে জোট করে নির্বাচন করার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো।

সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এনসিপি জেলা কমিটির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বিএনপি অনেক কষ্ট করে দলটা টিকিয়ে রেখেছে। বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী তাদের নেতাদের মাধ্যমে কোণঠাসা হয়ে রয়েছে। তারা অনেক সময় আমাদের বলে, ‘‘তোমরা দেশটাকে সঠিক পথে নাও। আমাদের দলটাকে তারা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। আমরা রক্ত ও ঘাম দিয়ে আন্দোলন করেছি ভোটের অধিকার ও মানুষের স্বাধীনতার জন্য।’’’

হাসনাত বলেন, ‘বিএনপির মধ্যে অনেক ভালো মানুষ রয়েছে, যারা কোনো অপরাধমূলক কাজে জড়িত নেই, তাদের আমরা আমাদের দলে নিয়ে নেব। যারা জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বিশ্বাস করে, তারা কখনো চাঁদাবাজি করতে পারে না।’

নিজ দল সম্পর্কে এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘অনেকেই এখন চায়ের দোকানে বসে মশকরা করে এনসিপি করেন, ভোটের পর আর খবর থাকবে না। আমি তাদের বলব—ভালো কাজ অল্পসংখ্যক লোক দিয়েই শুরু হয়। অনেক সময় বলা হয়, সমাজে যারা সংখ্যায় বেশি, তারাই কল্যাণকামী। এটা ভুল। কল্যাণকামীরা সব সময়ই কমসংখ্যক হয়। হাসিনার সময় যারা লড়াই-সংগ্রাম করেছে, তাদের সংখ্যাও কম ছিল।’

নিজ দলের নেতা-কর্মীর উদ্দেশে হাসনাত বলেন, ‘জেলার আট উপজেলায় যে জনপ্রতিনিধি দরকার, সেই পরিমাণ লোক এখানে উপস্থিত হয়নি। তাহলে কীভাবে আপনারা কাজ করবেন। কোরাম করা লোকদের আমাদের প্রয়োজন নেই। ভালো ১০ জন দিয়ে এনসিপির কমিটি হবে।’

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা দেখছি ভালো নির্বাচন হবে। তবে অনেকেই ব্যালট না নিয়ে বুলেট বেছে নিয়েছে। তারা ভাবছে, বুলেটের ভয় দেখিয়ে দেশের মানুষকে ফ্যাসিবাদী শাসনের মতো নিয়ে যেতে পারবে। ইতিমধ্যে এনসিপির বিষয়ে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছে—যদি এনসিপিতে ভোট দাও, তাহলে নির্বাচনের পরে খবর আছে। আমরা জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই, যারা ভয় পায়, তারাই জনগণকে ভয় দেখায়। যারা ভয় দেখায়, তারা অতি নিকটবর্তী ক্ষতির মধ্যে আছে। যারা সাহসী মানুষ, তারা ভয় দেখায় না, তারা মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করে। একটি দল এখন অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে।’

এ সময় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ও কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আতাউল্লাহ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব মুহাম্মদ মিরাজ মিয়া, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আরিফ তালুকদারসহ অনেকে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রধান সমন্বয়কারী মো. মাহবুব আলম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা জাতীয় ছাত্রশক্তি নেতা মো. সাগর হোসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাশ্মীরের চিকিৎসক জঙ্গি সংগঠন জইশের সদস্য, হরিয়ানায় তাঁর বাসায় মিলল ৩ টন বিস্ফোরক

রাজধানীর সাত এলাকায় ১২ ককটেল বিস্ফোরণ, তিন গাড়িতে আগুন

হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হয় ছাত্রলীগ নেতাকে, থানায় দিতে গিয়ে ৩ অপহরণকারী গ্রেপ্তার

ধীরে ধীরে চলছিল গাড়িটি, ট্রাফিক সিগন্যালে থামতেই বিকট বিস্ফোরণ

তুমুল হট্টগোলে পাকিস্তানের সংবিধান সংশোধন, সেনাপ্রধান আসিম মুনির আরো ক্ষমতাধর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় ঝগড়াঝাঁটি না করে জনগণের কাছে যান: আমীর খসরু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘ঢাকায় বসে সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিকানা আমাদের কেউ দেয় নাই। জনগণের নির্বাচিত সংসদ হবে যেটা, সেই সংসদ আগামী দিনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে যাঁরা নির্বাচিত হয়ে সংসদে বসবেন, সেই সংসদ কী হবে, তারা কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেই সিদ্ধান্ত এখন আমরা দিতে পারি না।’

রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) মিলনায়তনে সোমবার (১০ নভেম্বর) এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গণপ্রকৌশলী দিবস উপলক্ষে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়।

আমীর খসরু বলেন, ‘অনেকে চেষ্টা করছেন, সেই সিদ্ধান্তগুলো আমরা এখন নিই। আগামী দিনের সংসদ এটা বাধ্যতামূলকভাবে করতে পারে, এটা গণতন্ত্রের কোনো সংজ্ঞায় পড়ে না। সুতরাং যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, সনদ সই হয়েছে, চ্যাপ্টার ক্লোজ...লেট আস গো টু ইলেকশন। ইলেকশনে গিয়ে জনগণের কাছে নিয়ে যান, আপনাদের যদি নিজস্ব কোনো দাবিদাওয়া থাকে আগামী দিনের জন্য, দয়া করে জনগণের কাছে যান। ঢাকায় বসে এইগুলা নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি করে সময় নষ্ট না করে অন্যদের কাউকে বাধ্য না করে আপনি জনগণের কাছে যান।’

সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এত দিন জনগণের মালিকানার কথা বলেছি। এইখানে আপনি যদি মালিক হয়ে যান যে জনগণকে এত দিন মালিক বললেন, জনগণের কাছে আপনি যাচ্ছেন না। এখন আমরা নিজেরাই মালিক হয়ে যাচ্ছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, বাংলাদেশ এটা হবে, সেটা হবে, ওটা হতে হবে। তাইলে জনগণ কোথায় গেল? এখানে আমরা নিজেরাই তো মালিক হয়ে গেছি।’

খসরু আরও বলেন, আগামী দিনের বাংলাদেশে কী সিদ্ধান্ত হবে, কোনো ঐকমত্য কমিশনও সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না। কোনো রাজনৈতিক দলও সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না। দয়া করে, জনগণের কাছে যান, আগামী নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে তারপরে সংসদে যান। ঢাকায় বসে দলাদলি করে রাস্তা দখল করে জনগণকে বাইরে রাখলে হবে না। গণতন্ত্র কাজ করে জনগণের মাধ্যমে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাশ্মীরের চিকিৎসক জঙ্গি সংগঠন জইশের সদস্য, হরিয়ানায় তাঁর বাসায় মিলল ৩ টন বিস্ফোরক

রাজধানীর সাত এলাকায় ১২ ককটেল বিস্ফোরণ, তিন গাড়িতে আগুন

হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হয় ছাত্রলীগ নেতাকে, থানায় দিতে গিয়ে ৩ অপহরণকারী গ্রেপ্তার

ধীরে ধীরে চলছিল গাড়িটি, ট্রাফিক সিগন্যালে থামতেই বিকট বিস্ফোরণ

তুমুল হট্টগোলে পাকিস্তানের সংবিধান সংশোধন, সেনাপ্রধান আসিম মুনির আরো ক্ষমতাধর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শরিকদের জন্যই ৬৩টি আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে: মির্জা ফখরুল

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে মতবিনিময়কালে বিএনপির মহাসচিব। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে মতবিনিময়কালে বিএনপির মহাসচিব। ছবি: আজকের পত্রিকা

৬৩টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি জানান, ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে যে যুগপৎ আন্দোলন হয়েছে, তাতে প্রায় ৪২টি রাজনৈতিক দল তাদের সঙ্গে ছিল। মূলত সেই শরিক দলগুলোকে কোথায় কোথায় আসন দেওয়া সম্ভব, তা দেখতেই আসনগুলো ফাঁকা রাখা হয়েছে।

আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপির মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা যখন আন্দোলন করি ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে, তখন প্রায় ৪২টি রাজনৈতিক দল আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছে। সেই রাজনৈতিক দলগুলোকে আমরা কোথায় কোথায় আসন দেওয়া সম্ভব, সেটা দেখার জন্যই মূলত এই আসনগুলোকে ব্র্যাকেট রাখা হয়েছে।’ এ সময় তিনি অন্যান্য আসনেও কিছু পরিবর্তন হতে পারে বলে উল্লেখ করেন।

নির্বাচনী প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, যারা পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) না হলে নির্বাচন হবে না বলে চাপ সৃষ্টি করছেন, তাঁরা ফ্যাসিস্টদের তৈরি করছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট তারাই তৈরি করছেন, যাঁরা বলেন পিআর দিতে হবে, তা না হলে নির্বাচন হবে না...এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাঁরা আজকে যে বিষয়গুলো নিয়ে চাপ সৃষ্টি করছেন সরকারের ওপরে; আমার বিশ্বাস, আমরা যারা শিক্ষিত লোক আছি, তারাও ঠিকমতো বুঝি না। এখন এমন একটা জিনিসকে চাপিয়ে দেওয়ার মধ্যে উদ্দেশ্য আছে। তাঁরা মনে করছেন, পিআর করলে অনেকগুলো বেশি আসন পাবেন। নট ট্রু। এটা ঠিক নয়।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, নির্বাচনের ট্রেন চালু করতে হবে। কারণ, আওয়ামী লীগ গত ১৫-১৬ বছর ধরে মানুষকে নির্বাচন বিমুখ করে রেখেছে।’

এর আগে বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের বদেশ্বর এলাকায় এক মতবিনিময় সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হাসিনা পালানোর পর এখন একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, এখন আমরা আমাদের মতো করে আলোচনার মাধ্যমে একটি সুন্দর বাংলাদেশ তৈরি করব।’

বিএনপি মহাসচিব তারেক রহমানের দেওয়া ৩১ দফা কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে বলেন, সেই বাংলাদেশে হিংসা থাকবে না, প্রতিশোধ থাকবে না এবং কেউ কাউকে ক্ষতি করার চেষ্টা করবে না।

তারেক রহমানের এই কর্মসূচির মধ্যে কীভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে, কীভাবে সাধারণ মানুষের উপকারে আসবে এবং কীভাবে মায়েরা-বোনেরা সবাই ভালো থাকবেন, সেই দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাশ্মীরের চিকিৎসক জঙ্গি সংগঠন জইশের সদস্য, হরিয়ানায় তাঁর বাসায় মিলল ৩ টন বিস্ফোরক

রাজধানীর সাত এলাকায় ১২ ককটেল বিস্ফোরণ, তিন গাড়িতে আগুন

হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হয় ছাত্রলীগ নেতাকে, থানায় দিতে গিয়ে ৩ অপহরণকারী গ্রেপ্তার

ধীরে ধীরে চলছিল গাড়িটি, ট্রাফিক সিগন্যালে থামতেই বিকট বিস্ফোরণ

তুমুল হট্টগোলে পাকিস্তানের সংবিধান সংশোধন, সেনাপ্রধান আসিম মুনির আরো ক্ষমতাধর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত