Ajker Patrika

যেকোনো কারখানায় শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন করা যাবে: আইনমন্ত্রী 

নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
যেকোনো কারখানায় শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন করা যাবে: আইনমন্ত্রী 

এখন থেকে যেকোনো কারখানায় শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন করা যাবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। আজ সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান আইনমন্ত্রী।

আইনমন্ত্রী বলেন, মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দল মূলত বাংলাদেশের শ্রম আইন, শ্রমিকদের অধিকার এবং এ নিয়ে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার কী কাজ করছে—তা নিয়ে আলোচনা করেছে। তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ছিল—বাংলাদেশ শ্রমিক আইনের যে সংশোধন হচ্ছে, সেটার বর্তমান পরিস্থিতি কী, কী করা হচ্ছে? ১১টি বিষয়ে তাঁদের জানার ইচ্ছা ছিল। এ ব্যাপারে কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে সে বিষয়ে তাঁরা জানতে চেয়েছেন।

আনিসুল হক বলেন, ‘মার্কিন প্রতিনিধি দলের প্রথম জিজ্ঞাসা ছিল থ্রেসহোল্ড (ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার) নিয়ে। অর্থাৎ ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের জন্য কত শতাংশ শ্রমিক প্রয়োজন, সেটা নিয়ে। প্রথমে ২০১৬ সালের দিকে ৩০ শতাংশ ছিল। ২০১৭ সালে যখন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সম্মেলনে যাই, তখন এই থ্রেশহোল্ড ২০ শতাংশে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তখন আমি বলেছিলাম, এটা আমরা আরও কমাব, তবে সেটা ধীরে ধীরে। এবার যখন সংশোধনী হয়, তখন প্রথম প্রস্তাব ছিল এটাকে ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নিয়ে আসব। কিন্তু সেখানে একটা ক্যাভিয়েট (শর্ত) ছিল, এটা শুধু যেসব কারখানায় তিন হাজার বা তার চেয়ে বেশি শ্রমিক কর্মরত, তাঁদের জন্য প্রযোজ্য হবে।’

আনিসুলক হক আরও বলেন, ‘কিন্তু সেই সীমাও উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। শ্রম আইন নিয়ে সমস্যা যখন হয়েছিল, রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ফেরত আনা হয়েছিল, তার পরের আলোচনায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি—আমরা এটা সবার জন্য করব, কোনো ক্যাপ (সীমা) থাকবে না। সেটাও আমরা মার্কিন প্রতিনিধিদের জানিয়েছি। তারপরে বাংলাদেশ শ্রমিক আইন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ যেটা হচ্ছে, সেখানে প্রযোজ্য হবে। আগে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন লেবার অ্যাক্টে প্রযোজ্য হওয়ার কথা ছিল। সেই সংশোধনী আমরা করেছি। যে এগারোটি বিষয় তাঁরা জানতে চেয়েছিলেন, তাতে এগুলো ছিল।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেটা এরই মধ্যে শেষ করেছি, সেটা সম্পর্কে তাঁদের বলেছি। যেটা নিয়ে কাজ করেছি, সেটাও বলেছি। যেমন, শ্রমিক অধিকার নিয়ে। এটা চলমান কাজ। শ্রমিকদের অধিকার দিন দিন বাড়বে, কমবে না।’ তবে শ্রমিকদের অধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো দেশ থেকে কী পাওয়া হচ্ছে, সেটা বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না বলে জানান আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘কোনো দেশ কী আমাদের দেবে, কী আমাদের দেবে না—সেটার ওপর নির্ভর করে আমরা শ্রমিকদের অধিকারের ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করব না।

আইনমন্ত্রী বলেন, সব সময় শ্রমিকদের অধিকার যা আছে, তার থেকে বেশি যাতে তাঁরা পায় এবং অধিকার বাস্তবায়ন করা, তাঁরা যাতে সেটা ভোগ করতে পারে, সেটা নিশ্চিত এই সরকার করবে।

বাংলাদেশের শ্রম আইন ও অধিকারের বিষয়ে শোনার পর মার্কিন প্রতিনিধিরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে মন্তব্য করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ জাতীয় ঐক্য বিনষ্টের ধারাবাহিকতা: রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ জাতীয় ঐক্য বিনষ্টের ধারাবাহিকতা: রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্যই জরুরি বলে জানিয়েছে দলটি।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের মিডিয়া সম্পাদক এহসান আহমেদের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্যই জরুরি এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য খুব ক্ষতিকর কিছু নেই। দলীয় স্বার্থে কিছু ছাড় দিয়ে হলেও এবং রাজনৈতিক ইগো পরিত্যাগ করে, জাতীর মুখের দিকে চেয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ মেনে নেওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।

অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে জাতীয় ঐক্য সমুন্নত রেখে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন সম্পন্ন করা প্রধান লক্ষ্য ছিল উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জনগণের জানমাল-জবান ও সম্মানের অধিকার নিরঙ্কুশ করার লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, সরকার জাতীয় ঐক্য বিনষ্টে শুরু থেকেই মুখ্য ভূমিকা রাখছে। তারই ধারাবাহিকতা আমরা দেখছি জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ ও প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে।’

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন শুরু থেকেই দলগুলোর মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে সংস্কারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, ‘৯০ ও ৭০-এর অভিজ্ঞতা আমাদের শেখায়—জনগণ রক্ত দিয়ে যে পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি করে, রাজনৈতিক দলগুলোর দলীয় স্বার্থের ফাঁদে তার প্রায় সবই বিনষ্ট হয়ে যায়।’

আরও বলা হয়, ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন গণভোটের সময়, উচ্চকক্ষে ভোটের আনুপাতিক হারে আসন বরাদ্দ, সংবিধান সংস্কার পরিষদ ইত্যাদির পক্ষে শুরু থেকেই মতামত জানিয়ে আসছিল। বস্তুত ‘‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’’ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের একটি মৌলিক প্রস্তাব। কিন্তু সঙ্গে আমরা অধিকতর গুরুত্ব দিয়েছিলাম, জাতীয় ঐক্য নিশ্চিত না হলে ভালো উদ্যোগও ব্যর্থ হতে পারে, হিতে বিপরীত হতে পারে। এ ধরনের ব্যর্থতার ভার বহন করার সক্ষমতা এই জাতির আর নেই।’

কিন্তু সরকার দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন না করেই, দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য নিশ্চিত না করেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারির ফলে সামনের দিনে এই সনদ বাস্তবায়ন না হওয়ার একটা আশঙ্কা শুরু থেকেই জন্ম নিয়েছে বলে বিবৃতিতে জানায় দলটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আমাদের জীবন কোনো পরিবারের কাছে বর্গা দিতে চাই না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
এনসিপি মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের সমালোচনা করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, ‘আমরা আমাদের জীবন কোনো পরিবারের কাছে বর্গা দিতে চাই না। পরিবারের কাছে বর্গা দিয়ে আমরা আবার কারও দাস হতে চাই না।’

রাজধানীর বাংলামোটরে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘জুলাই সনদ: কৃষক বঞ্চনা ও ন্যায্যতার প্রশ্ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘আমাদের যারা আসল বাপ, আমাদের যারা জন্ম দিয়েছে—তারা হলো কৃষক। সত্যিকার অর্থে আমরা তাদের সমস্যা সমাধানের রাজনীতি করতে চাই। আমরা আমাদের জীবন কোনো পরিবারের কাছে বর্গা দিতে চাই না। পরিবারের কাছে বর্গা দিয়ে আমরা আবার কারও দাস হতে চাই না।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকে ইঙ্গিত করে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘একজন রাষ্ট্রনায়ক—যিনি ভবিষ্যতে হতে যাচ্ছেন—উনি বলেছেন, গণভোটের চেয়ে আলুর দামটা বেশি প্রাসঙ্গিক। উনার হয়তো অজ্ঞতা রয়েছে। উনি যদি বুঝতেন যে, উনি যাকে এমপি নমিনেশন দিচ্ছেন, সেই লোকটাই কৃষকদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে আলুর দামটা বাড়াচ্ছে।’

সংবিধান সংস্কার প্রসঙ্গে এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘আমাদের এখানে গত ৫৩ বছরে যে ফ্যামিলিগুলোর রাজত্ব কায়েম হয়েছিল, সেই জমিদারি প্রথার উচ্ছেদ করার জন্যই ঐকমত্য কমিশন গঠন হয়েছিল। জমিদারির দলিল এখানে রয়েছে—আমাদের সংবিধান। জমিদারদের স্বার্থসংশ্লিষ্টতার প্রেক্ষাপটে আমাদের এই সংবিধান বানানো হয়েছিল। এখানে রাজনৈতিক জমিদারি রয়েছে, ব্যবসায়িক জমিদারি রয়েছে—সর্বক্ষেত্রে জমিদারি রয়েছে। এই জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ করার জন্য আমাদের সংবিধানকে অবশ্যই সংস্কার করতে হবে।’

এ সময় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘আমাদের একদিকে হলো জামায়াতের ভাইয়েরা, আরেক দিকে হলো বিএনপির ভাইয়েরা। একজন আজকে কর্মসূচি দেয়, আরেকজন কালকে কর্মসূচি দেয় এবং নিজেদের এই তর্কযুদ্ধে পড়ে মাঝখানে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ঢোকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এ জন্য আমরা বলি, আমরা যদি সংবিধান ঠিক না করতে পারি, সংস্কার না করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার যে রেজিমটা ছিল, সেটা বারবার ফেরত আসার চেষ্টা করবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের ‘নৈতিক ভিত্তি নেই’ উল্লেখ করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান থেকে যখন সরকার গঠন হয়েছিল, যখন ১০৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে আগের সংবিধানে প্রত্যাবর্তন করে—এটা আইনিভাবে সঠিক কাজ হলেও এই সরকারের নৈতিক ভিত্তি বলে কিছু নেই। আপনি যদি বলেন, এই সরকারের নৈতিক ভিত্তি কী? এই সরকারের নৈতিক ভিত্তি ছিল গণ-অভ্যুত্থান। এই সরকারের নৈতিক ভিত্তি ছিল বিপ্লব। এই সরকারকে যদি গণ-অভ্যুত্থান ও বিপ্লবের কথা বলতে হয়, তাহলে সরকারের জনগণের সম্মুখে থেকেই শপথ পাঠ করা উচিত ছিল।’

আলোচনা সভায় এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা বলেন, বর্তমান সংবিধানে যে পদ্ধতিগুলো আছে, সেগুলোর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী সরকারের প্রতিটি শাখাকে কুক্ষিগত ও রাজনীতিকীকরণ করতে পারেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু যাঁরা ক্ষমতার কাছাকাছি আছেন, ক্ষমতায় আছেন—শুধু তাঁদেরই সুবিধা দেয়। যাঁরা ক্ষমতার বলয়ের বাইরে আছেন, তাঁদের দেয় না।

সভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, যুগ্ম সদস্যসচিব প্রীতম দাশ, কৃষক উইংয়ের যুগ্ম সমন্বয়কারী হাফসা জাহান প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভিন্নমত সত্ত্বেও প্রধান উপদেষ্টার ভাষণকে স্বাগত জানাল এবি পার্টি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ভিন্নমত সত্ত্বেও প্রধান উপদেষ্টার ভাষণকে স্বাগত জানাল এবি পার্টি

জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশের কিছু বিষয়ে ভিন্নমত থাকলেও তাঁকে স্বাগত জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘আমরা জাতির বৃহত্তর স্বার্থে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে মেনে নেওয়ার পক্ষে। আমাদের যার যা মত থাকুক না কেন, সরকার বা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যেহেতু সব দিক বিবেচনা করে একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন, উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক ভোটের হিসাবে আসন নির্ধারণ এবং গণভোটে একমত ও ভিন্নমতকে অন্তর্ভুক্ত করে ব‍্যালট তৈরিসহ চূড়ান্ত কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা মনে করি, এটা এখন একটি অপেক্ষাকৃত গ্রহণযোগ্য সমাধান।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সার্বিক বিচারে এই ঘোষণাকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখি। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছিলাম, রাজনৈতিক দলগুলো যেহেতু পর্যাপ্ত যুক্তিতর্ক ও আলোচনা ইতিমধ্যে শেষ করেছেন, তাই এখন সরকারের একটা সমাধানমূলক সিদ্ধান্ত দেওয়া এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সেটা মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোনো পথ নেই।’

নেতারা আশা প্রকাশ করেন, বিএনপি, জামায়াতসহ সব রাজনৈতিক দল বিভক্তি পরিহার করে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও আনন্দমুখর পরিবেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং দেশকে একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পথে পরিচালনা করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের রূপরেখা নেই: জাপা নেতা আনিসুল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। ফাইল ছবি
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। ফাইল ছবি

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের রূপরেখা নেই’ বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেছেন, সাধারণ মানুষ আশা করেছিল, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে কীভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকবে।

রাজধানীর গুলশানে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় পার্টির একাংশের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের বাসভবনে অনুষ্ঠিত জরুরি প্রেসিডিয়াম বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জাতীয় সংসদ নির্বাচন কীভাবে অংশগ্রহণমূলক হবে, সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট রূপরেখা নেই। বিশেষ করে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বিঘ্নে ভোটের প্রচার চালানো, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি—এসব নির্বাচনসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সে ধরনের কোনো নির্দেশনা না থাকায় আমরা আশাহত হয়েছি।’

জাপার এ নেতা বলেন, যেসব রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে জুলাই–আগস্টে হত্যাকাণ্ডের মিথ্যা মামলা করা হয়েছে, সে মামলা প্রত্যাহারের ব্যাপারেও প্রধান উপদেষ্টা কিছু বলেননি। অথচ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এসব মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করা জরুরি।

বৈঠকে দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘জাতীয় পার্টি সব সময়ই নির্বাচনমুখী দল। আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা অর্জনের সুযোগ নেই। তাই আমাদের সব সময় নির্বাচনের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে সেই নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক। কোনো কারণে নির্বাচন যদি অংশগ্রহণমূলক না হয়, তাহলে নির্বাচনের পর গঠিত সংসদ ক্ষণস্থায়ী হতে পারে।’

রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, দেশে চিরস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়, সে ব্যাপারে সরকারের আন্তরিক পদক্ষেপ জরুরি। পাশাপাশি দেশের সক্রিয় ও বড় রাজনৈতিক দলগুলোকেও উদারতা প্রদর্শন করতে হবে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত