Ajker Patrika

অচিরেই নির্বাচনের পথে যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ: তারেক রহমান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০: ২৮
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফাইল ছবি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ফাইল ছবি

নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, সকল অস্পষ্টতা কাটিয়ে অচিরেই নির্বাচনের রোডম্যাপে যাত্রা শুরু করবে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। সেই যাত্রায় আপনাদের বিশ্বস্ত সঙ্গী হচ্ছে দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ। সুতরাং, জনগণের সঙ্গে থাকুন এবং জনগণকে সঙ্গে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন।’

আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তারেক রহমান। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে রোডম্যাপের বিষয়ে উপদেষ্টাদের ‘অস্বস্তি’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনার রোডম্যাপ ঘোষণার কথা শুনলেই যদি উপদেষ্টাদের চেহারায় অস্বস্তির ছাপ ফুটে ওঠে, সেটি হবে অবশ্যই গণ আকাঙ্ক্ষা বিরোধী।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী করতে চাইছে, রাষ্ট্র মেরামতের জন্য সরকারের আর কত মাস বা কত সময় প্রয়োজন, সেটি জানার অধিকার জনগণের রয়েছে। সরকার জনগণের সামনে তাদের আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনার রোডম্যাপ ঘোষণা করলে জনগণের কাছে সরকারের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রশাসনিক কার্যক্রমেও গতিশীলতা বাড়বে।’ তিনি বলেন, ‘সরকার তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে যত বেশি জনগণের কাছে স্বচ্ছ থাকবে, জনগণও সরকারের প্রতি সমর্থনের হাত তত প্রসারিত রাখবে।’

চলমান নাগরিক দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘জনজীবনে নিত্য দুর্ভোগ কিংবা বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি শুধু সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করে, তাহলে জনগণের কাছে সংস্কার আগে নাকি সংসার আগে—এই প্রশ্নটি মুখ্য হয়ে উঠতে পারে। দুর্ভোগ মেনে নিলেও জনগণ এখনো সরকারের বিরুদ্ধে উচ্চবাচ্য করছে না। কারণ, জনগণ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সফল দেখতে চায়। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিজেরা নিজেদের সফল দেখতে চায় কি না—তা তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।’

সংস্কার নিয়ে বলতে গিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের মনে রাখা দরকার, জনগণ শক্তিশালী না থাকলে জাতীয় ঐক্য শক্তিশালী হয় না। রাষ্ট্র এবং রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের জন্য সংস্কারের বিকল্প নেই। তবে একই সঙ্গে এটাও মনে রাখা জরুরি, কেউ স্বৈরাচার কিংবা ফ্যাসিস্ট হতে চাইলে সংবিধান বা প্রবিধান বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। রাষ্ট্র এবং সরকারকে ফ্যাসিবাদ বা স্বৈরাচার থেকে সুরক্ষিত রাখতে চাইলে সুসংবদ্ধ বিধিবিধানের চেয়ে রাষ্ট্র ও রাজনীতির প্রতিদিনের কার্যক্রমে, নাগরিক জীবনের প্রতিদিনের চালচিত্রে গণতান্ত্রিক রাজনীতি সংস্কৃতির চর্চা অত্যন্ত জরুরি। এই চর্চার মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজ থেকে ফ্যাসিবাদের উপাদান দূরীভূত করা সম্ভব।

সভাপতির বক্তব্য দিতে গিয়ে শুরুতেই তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসা নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজ আমাদের মাঝে এখানে ডিজিটালি অংশ নিয়েছেন। আমরা আশা করি অতি দ্রুত তিনি সশরীরে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।’ বক্তব্যের শেষ প্রান্তে এসে এ প্রসঙ্গে তিনি আবার বলেন, ‘দেশের প্রত্যেক নাগরিক চায় তারেক রহমান দেশে ফিরে আসুক।’

নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংস্কারের পথ সুগম করার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির ৩১ দফার পরে আর কোনো সংস্কার বাকি থাকে না। আসুন আমরা ৩১ দফা কর্মসূচিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাই। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন যেটা—অতি দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এই সংস্কারের পথকে সুগম করা। সেই কাজটা করাই হবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় কাজ, সবচেয়ে বড় দাবি।’

সংস্কার প্রসঙ্গে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কারের কথা অনেকেই এখন বলছেন। কিন্তু এই দেশে প্রথম সংস্কার শুরু করেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। শিল্প, শিক্ষা, কৃষিসহ সব সেক্টরে তিনি সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। আজকে অনেকে অনেক কথা বলেন। তাদের বলব—দয়া করে পেছনে ফিরে দেখেন। এই দেশে যা কিছু নতুন, সংস্কার কাজ— সেটা বিএনপিই শুরু করেছে।’

তিনি বলেন, ‘পদ-গুণে বুদ্ধিমান আর কথায় শক্তিমান—তাঁরা যখন আমাদের সংস্কার বিষয়ে শিক্ষা দিতে আসেন।’

আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করতে গিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে আমাদের চিনে রাখতে হবে য, এই আওয়ামী লীগ সেই আওয়ামী লীগ, যারা আমাদের স্বপ্নগুলোকে ধ্বংস করেছে। এ কথা আমাদের মনে রাখতে হবে।’

নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একটি কথা মনে রাখতে হবে—আপনাদের আচরণের ওপর নির্ভর করবে যে আগামী দিনে আপনারা জনগণের ভালোবাসা পাবেন কী পাবেন না।’

বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, যুবদলের এম মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এস এম জিলানী, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রয়োজনে নির্বাচন দুই মাস পরে করেন, কিন্তু গণভোট ছাড়া হবে না: গাজী আতাউর রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
পল্টনে সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
পল্টনে সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

শিগগিরই গণভোটের তারিখ ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান। তিনি বলেন, ‘দ্রুতই গণভোটের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট এক সঙ্গে হবে না। দুইটার তফসিলও এক সঙ্গে হবে না। আমরা নভেম্বরে গণভোটের বিষয় বারংবার বলেছি। যদি নভেম্বর গণভোট করতে না পারেন তাহলে যেদিনই দেন গণভোট আগে হতে হবে। প্রয়োজনে জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে না, দুই মাস পরে করেন। কিন্তু গণভোট ছাড়া কোনো জাতীয় নির্বাচন হবে না। রাষ্ট্র সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।’

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টনে পাঁচ দাবিতে স্মারকলিপি প্রদানের আগে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘বিএনপি সংস্কারকে বারংবার বাধাগ্রস্ত করেছে। তারা রাষ্ট্র সংস্কার চায় না, সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি চায় না। তাদের সিনিয়র নেতাদের কথাবার্তায় এটা বারংবার স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের পরে দেশকে আর কোনো অবস্থায় আগের পরিস্থিতিতে ফিরে যেতে দেওয়া যাবে না। তাই সংস্কার করতেই হবে। সে জন্য অবিলম্বে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ দিতে হবে এবং জুলাই সনদের আইনিভিত্তি নিশ্চিত করতে তফসিলের আগেই গণভোট দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর আমাদের রাজপথে নামতে হবে, দাবি আদায়ে আন্দোলন করতে হবে তা আমরা ভাবি নাই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের বাধ্য করেছে। তাদের তিনটা অঙ্গীকার ছিল। আমরা বলব, সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করুন। সংস্কারের জন্য কমিশন হয়েছে, ঐকমত্য কমিশন হয়েছে, জুলাই সনদ হয়েছে, সনদে সাক্ষর হয়েছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের ব্যাপারে সবাই একমত হয়েছে, সংস্কার বাস্তবায়নে গণভোটের বিষয়েও সকলে একমত হয়েছে; এখন গড়িমসি কীসের? আগামী ১০ তারিখের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি না হলে আমরা ঢাকায় লোকে লোকারণ্য করে সমাবেশ করব ইনশা আল্লাহ।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা আরও বলেন, ‘যারা বলে সংস্কার চায় না, তাদের সঙ্গে সমঝোতা করতে বলেন? যারা দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, যারা পুরোনো বন্দোবস্ত টিকিয়ে রাখতে চায়, তাদের সঙ্গে সমঝোতা করতে বলেন? এটা তামাশা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এক দিনে যে পরিমাণ চাঁদাবাজি হয়, তা দিয়ে প্রতিদিন একটা গণভোট করা যাবে: তাহের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪২
রাজধানীর পল্টন মোড়ে জমায়েতে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর পল্টন মোড়ে জমায়েতে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশে এক দিনে যে পরিমাণ চাঁদাবাজি হয়, তা দিয়ে প্রতিদিন একটা করে গণভোটের আয়োজন করা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঁচ দফা দাবিতে আট দলের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার আগে রাজধানীর পল্টন মোড়ে এসব কথা বলেন তিনি।

আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আরও বলেন, ‘গণভোট দিতে হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও গণভোটের সময় থাকবে। এক দিনে যে পরিমাণ চাঁদাবাজি হয়, তা দিয়ে প্রতিদিন একটা গণভোট দেওয়া যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রাজপথে এসেছি। প্রয়োজনে আবারও রক্ত দেব। জুলাইয়ের অর্জন সনদকে ব্যর্থ হতে দেব না।’

সরকার চালাকি শুরু করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা চালাকি করলেও আমরা আমাদের দাবি আদায় করব, দাবি আদায়ে বাধ্য করা হবে।’

সময়ক্ষেপণ সরকারকে বিপদে ফেলবে বলে মন্তব্য করেন নায়েবে আমির।

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে তার ভূমিকা পালন করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার জন্য বললেই হবে না। বড় দলকে বলব, আপনারা আলোচনার জন্য কমিটি গঠন করুন। দ্রুত বিএনপির পক্ষ থেকে আলোচনার জন্য আসুন।’

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নার জামিন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম পান্না। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম পান্না। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের বেঞ্চ পৃথক শুনানির মাধ্যমে তাঁদের ছয় মাসের জামিন দেন।

লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না এবং মঞ্জুরুল আলমের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম ইব্রাহিম খলিল।

গত ২৯ আগস্ট রাজধানীর শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও ঢাবি অধ্যাপক কার্জনসহ ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর থেকে কারাগারে রয়েছেন লতিফ সিদ্দিকী।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২৮ আগস্ট রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির অডিটোরিয়ামে ‘মঞ্চ ৭১’ এর ব্যানারে একটি গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত থেকে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী দেশকে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অস্থিতিশীল করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দেন এবং অন্যদের প্ররোচিত করেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া ৭০ থেকে ৮০ জনের মধ্যে ১৬ জনকে আটক করে পুলিশ।

এ ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন এসআই আমিরুল ইসলাম। পরে এ মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যমুনায় স্মারকলিপি নিয়ে জামায়াতসহ ৮ দলের প্রতিনিধিরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ২৭
স্মারকলিপি জমা দিতে যমুনার পথে জামায়াতসহ ৮টি দলের প্রতিনিধি দল। ছবি: আজকের পত্রিকা
স্মারকলিপি জমা দিতে যমুনার পথে জামায়াতসহ ৮টি দলের প্রতিনিধি দল। ছবি: আজকের পত্রিকা

নির্বাচনের আগে গণভোট ও জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারিসহ পাঁচ দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি জমা দিতে যমুনায় গিয়েছে জামায়াতে ইসলামীসহ আট দলের একটি প্রতিনিধিদল।

আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পল্টন থেকে মিছিল নিয়ে মৎস্য ভবন মোড় পর্যন্ত আসেন ৮ দলের নেতা-কর্মীরা। পরে সেখান থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলটি স্মারকলিপি নিয়ে যমুনায় প্রবেশ করে।

প্রতিনিধিদলে রয়েছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ফজলে বারী মাসউদসহ অন্যান্য দলের শীর্ষ নেতারা।

এর আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বর এবং কাকরাইল মোড়ে জড়ো হন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা। সকাল ১০টায় বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে মিছিল নিয়ে আসেন তাঁরা।

স্মারকলিপি জমা দিতে যমুনার পথে জামায়াতসহ ৮টি দলের প্রতিনিধি দল। ছবি: আজকের পত্রিকা
স্মারকলিপি জমা দিতে যমুনার পথে জামায়াতসহ ৮টি দলের প্রতিনিধি দল। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের প্রচার সম্পাদক আব্দুস সাত্তার সুমন জানান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে পল্টন মোড় অভিমুখে মিছিল শুরু হয়। জামায়াতের অন্যান্য শাখাও যুক্ত হয় এই মিছিলে। সেখানে অন্যান্য ইসলামী দল একত্রে উপস্থিত হয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি পেশ করতে যান তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত