নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে (রমজানের আগে) হওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। এই সময়ের মধ্যে সংস্কারগুলো ও বিচারের দৃশ্যমান প্রক্রিয়া জনমনে আস্থা সৃষ্টির পর্যায়ে না এলে তা সর্বোচ্চ এপ্রিল পার হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আজ শনিবার দুপুরে মগবাজারস্থ আল-ফালাহ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দুই দিনব্যাপী জেলা ও মহানগরী আমির সম্মেলনে এ কথা বলেন শফিকুর রহমান। সন্ধ্যায় দলের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের মুজিবুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা এ বছর ডিসেম্বর থেকে আগামী ২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার কথা বলেছেন। ফেব্রুয়ারির শেষে এবং মার্চের তিন ভাগের দুই ভাগ সময়জুড়ে রোজা থাকবে, তার পরেই ঈদ। এই সময় কোনো নির্বাচনের সময় নয়। দুটি সময় আমরা নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত মনে করি। একটি হচ্ছে, ফেব্রুয়ারি মাস রোজা শুরুর আগে। আরেকটা হচ্ছে যদি কোনো কারণে এই সময়ের ভেতরে সংস্কারগুলো ও বিচারের দৃশ্যমান প্রক্রিয়া জনমনে আস্থা সৃষ্টির পর্যায়ে না আসে, তাহলে ম্যাক্সিমাম এপ্রিল পার হওয়া উচিত নয়।’
জামায়াতের আমির বলেন, ‘অবশ্যই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হতে হবে। এই সুষ্ঠু ও বস্তুনিষ্ঠতার স্বার্থে কতিপয় সংস্কার অবশ্যই করতে হবে। এ বিষয় আমরা আমাদের সুপারিশমালা সংশ্লিষ্ট কমিশনগুলোর কাছে পেশ করেছি। আমরা সব দলের প্রতি আহ্বান জানাব, রাজনীতি নিজের জন্য নয়, রাজনীতি দেশ ও জনগণের জন্য। আমরা যত বেশি সহযোগিতা করব, তত বেশি জাতি উপকৃত হবে। ততটাই আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে।’
আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্বশীল ব্যবস্থায় নির্বাচনের দাবি করে জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘বিশ্বের ৬২টি দেশ এটা অনুসরণ করে। বেশির ভাগ দেশ হচ্ছে উন্নত দেশ বলে যারা পরিচিত তারা সুফল পেয়েছে। এটা যারা একবার শুরু করেছে, তারা আর বাদ দেয়নি। যে যত পার্সেন্ট ভোট পাবে, সে তত আসন পাবে। এতে কোনো দলকে ছোট ও বড় বলার কারও সাহস হবে না। দল ছোট হোক বড় হোক, দল দলই এবং কোনো দল কারও দয়ার পাত্র হবে না।’
আওয়ামী লীগের যাঁরা প্রধান অপরাধী তাঁদের বিচারের আওতায় এনে দৃশ্যমান বিচার জাতির সামনে উপস্থাপন করতে হবে উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা সরকারের একটা দুর্বলতা লক্ষ করি, বিচারের ক্ষেত্রে আমরা আরও গতি চাই। সরকার বেশি তৎপর হয়ে এই কাজটা করবে, এটা আমরা দেখতে চাই। যদি তাদের বিচার হয়, তাহলে আগামী নির্বাচনেও কালো টাকা ও পেশিশক্তির প্রভাব খাটাতে পারবে না।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশে যদি অস্থিরতা বিরাজ করে, যদি দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ে, তাহলে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হব। এ জন্য এখানে নাগরিক হিসেবে আমাদের সবার দায় রয়েছে। তবে পরিবর্তনকামী একটি গঠনমূলক দল হিসেবে জামায়াতের দায় অনেক বেশি।’
আমিরে জামায়াত বলেন, ‘২০১১ সালের এপ্রিল মাসের পর দীর্ঘ ১৪ বছরে এ ধরনের প্রোগ্রাম করার সুযোগ পাইনি। আল্লাহ তাআলা আমাদের আবার এই সুযোগ করে দিয়েছেন। এ জন্য মহান মনিবের দরবারে লাখো শুকরিয়া আদায় করি আলহামদুলিল্লাহ। এ পরিবর্তনের পর আমাদের প্রথম কাজ ছিল শহীদ পরিবারের কাছে যাওয়া এবং দাঁড়ানো। দল হিসেবে নিশ্চয়ই আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। তারপরও মানবিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমরা চেষ্টা করেছি শহীদ পরিবারের কাছে যাওয়ার।’
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রসঙ্গে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিস্মিত, আমাদের বিদ্যমান কালচার-তমদ্দুনের সম্পূর্ণ বিপক্ষে। তারা কিছু সুপারিশমালায় এনেছে, এগুলো বিবেচনা করার প্রশ্নই আসে না। শুধু তাই নয়, তাদের কিছু কিছু সুপারিশ আল্লাহর বিধানের বিপক্ষে দাঁড় করিয়ে পেশ করা হয়েছে। তাদের এই সুপারিশ গ্রহণ করলে কুরআন পরিবর্তন হয়ে যাবে।’
সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই সম্মেলন পরিচালনা করেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটি এম মা’ছুম, ড. হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, মাওলানা মো. শাহজাহান, অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়েরসহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী ও কর্মপরিষদ সদস্য, জেলা ও মহানগরী আমিরেরা।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে (রমজানের আগে) হওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। এই সময়ের মধ্যে সংস্কারগুলো ও বিচারের দৃশ্যমান প্রক্রিয়া জনমনে আস্থা সৃষ্টির পর্যায়ে না এলে তা সর্বোচ্চ এপ্রিল পার হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আজ শনিবার দুপুরে মগবাজারস্থ আল-ফালাহ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দুই দিনব্যাপী জেলা ও মহানগরী আমির সম্মেলনে এ কথা বলেন শফিকুর রহমান। সন্ধ্যায় দলের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের মুজিবুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা এ বছর ডিসেম্বর থেকে আগামী ২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার কথা বলেছেন। ফেব্রুয়ারির শেষে এবং মার্চের তিন ভাগের দুই ভাগ সময়জুড়ে রোজা থাকবে, তার পরেই ঈদ। এই সময় কোনো নির্বাচনের সময় নয়। দুটি সময় আমরা নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত মনে করি। একটি হচ্ছে, ফেব্রুয়ারি মাস রোজা শুরুর আগে। আরেকটা হচ্ছে যদি কোনো কারণে এই সময়ের ভেতরে সংস্কারগুলো ও বিচারের দৃশ্যমান প্রক্রিয়া জনমনে আস্থা সৃষ্টির পর্যায়ে না আসে, তাহলে ম্যাক্সিমাম এপ্রিল পার হওয়া উচিত নয়।’
জামায়াতের আমির বলেন, ‘অবশ্যই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হতে হবে। এই সুষ্ঠু ও বস্তুনিষ্ঠতার স্বার্থে কতিপয় সংস্কার অবশ্যই করতে হবে। এ বিষয় আমরা আমাদের সুপারিশমালা সংশ্লিষ্ট কমিশনগুলোর কাছে পেশ করেছি। আমরা সব দলের প্রতি আহ্বান জানাব, রাজনীতি নিজের জন্য নয়, রাজনীতি দেশ ও জনগণের জন্য। আমরা যত বেশি সহযোগিতা করব, তত বেশি জাতি উপকৃত হবে। ততটাই আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে।’
আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্বশীল ব্যবস্থায় নির্বাচনের দাবি করে জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘বিশ্বের ৬২টি দেশ এটা অনুসরণ করে। বেশির ভাগ দেশ হচ্ছে উন্নত দেশ বলে যারা পরিচিত তারা সুফল পেয়েছে। এটা যারা একবার শুরু করেছে, তারা আর বাদ দেয়নি। যে যত পার্সেন্ট ভোট পাবে, সে তত আসন পাবে। এতে কোনো দলকে ছোট ও বড় বলার কারও সাহস হবে না। দল ছোট হোক বড় হোক, দল দলই এবং কোনো দল কারও দয়ার পাত্র হবে না।’
আওয়ামী লীগের যাঁরা প্রধান অপরাধী তাঁদের বিচারের আওতায় এনে দৃশ্যমান বিচার জাতির সামনে উপস্থাপন করতে হবে উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা সরকারের একটা দুর্বলতা লক্ষ করি, বিচারের ক্ষেত্রে আমরা আরও গতি চাই। সরকার বেশি তৎপর হয়ে এই কাজটা করবে, এটা আমরা দেখতে চাই। যদি তাদের বিচার হয়, তাহলে আগামী নির্বাচনেও কালো টাকা ও পেশিশক্তির প্রভাব খাটাতে পারবে না।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশে যদি অস্থিরতা বিরাজ করে, যদি দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ে, তাহলে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হব। এ জন্য এখানে নাগরিক হিসেবে আমাদের সবার দায় রয়েছে। তবে পরিবর্তনকামী একটি গঠনমূলক দল হিসেবে জামায়াতের দায় অনেক বেশি।’
আমিরে জামায়াত বলেন, ‘২০১১ সালের এপ্রিল মাসের পর দীর্ঘ ১৪ বছরে এ ধরনের প্রোগ্রাম করার সুযোগ পাইনি। আল্লাহ তাআলা আমাদের আবার এই সুযোগ করে দিয়েছেন। এ জন্য মহান মনিবের দরবারে লাখো শুকরিয়া আদায় করি আলহামদুলিল্লাহ। এ পরিবর্তনের পর আমাদের প্রথম কাজ ছিল শহীদ পরিবারের কাছে যাওয়া এবং দাঁড়ানো। দল হিসেবে নিশ্চয়ই আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। তারপরও মানবিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমরা চেষ্টা করেছি শহীদ পরিবারের কাছে যাওয়ার।’
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রসঙ্গে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিস্মিত, আমাদের বিদ্যমান কালচার-তমদ্দুনের সম্পূর্ণ বিপক্ষে। তারা কিছু সুপারিশমালায় এনেছে, এগুলো বিবেচনা করার প্রশ্নই আসে না। শুধু তাই নয়, তাদের কিছু কিছু সুপারিশ আল্লাহর বিধানের বিপক্ষে দাঁড় করিয়ে পেশ করা হয়েছে। তাদের এই সুপারিশ গ্রহণ করলে কুরআন পরিবর্তন হয়ে যাবে।’
সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই সম্মেলন পরিচালনা করেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটি এম মা’ছুম, ড. হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, মাওলানা মো. শাহজাহান, অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়েরসহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী ও কর্মপরিষদ সদস্য, জেলা ও মহানগরী আমিরেরা।
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের পর দেশ একটি নির্বাচনী টানেলে প্রবেশ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ রোববার (২২ জুন) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগেএনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এনসিপির পক্ষ থেকে নিবন্ধন শর্তের চেয়েও বেশি কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সব শর্ত পূরণ করে আমরা আবেদন জমা দিয়েছি। ২৫টি জেলা, ১০৫টি উপজেলা কমিটি ও প্রতিটি উপজেলায় ২০০ জন সমর্থক, অফিস চুক্তিসহ গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়ে আমরা আশাব
২ ঘণ্টা আগেগণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ রোববার (২২ জুন) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
২ ঘণ্টা আগেপাটওয়ারী বলেন, ‘যেভাবে ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের মানুষের জয় হয়েছিল, তেমনি আগামী পার্লামেন্ট নির্বাচনে এনসিপির শাপলা প্রতীকে দেশের মানুষ ভোটের বিপ্লব ঘটাবে। এনসিপির নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠন হবে।’
৩ ঘণ্টা আগে