Ajker Patrika

ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট আদায়ে অনড় বিএনপি

  • সরকারকে চাপে রাখা হবে, তবে শক্ত কর্মসূচি নয়।
  • শক্ত কর্মসূচি দিলে হিতে বিপরীত হওয়ার শঙ্কা আছে।
  • সমমনা দলগুলোর সঙ্গে মিলে ঠিক হবে কর্মসূচি।
  • ১২ দলীয় জোট ও এলডিপির সঙ্গে বৈঠক আজ।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫: ১৮
ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট আদায়ে অনড় বিএনপি

সংস্কার কমবেশির শর্ত দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দিক থেকে ঘুরেফিরে বারবার বলা হচ্ছে, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে হতে পারে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কিন্তু জুন পর্যন্ত সময় দিতে নারাজ বিএনপি। দলটির দাবি, সংস্কারের জন্য নির্বাচন বিলম্ব করার কোনো কারণ নেই। ডিসেম্বরের মধ্যে তারা নির্বাচন চায়। এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সরকারকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে।

তবে দাবি আদায়ে শক্ত কোনো কর্মসূচি দিলে তাতে যেন হিতে বিপরীত না হয়, সেটাও খেয়াল রাখতে হচ্ছে বিএনপির। সরকার চাপে থাকবে কিন্তু তা কোনো ক্ষতির কারণ হবে না—এমন কর্মসূচির কথাই ভাবা হচ্ছে। এ নিয়ে কৌশল নির্ধারণে নিজেদের সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে তারা। এ জন্য আজ শনিবার বিকেলে ও সন্ধ্যায় ১২ দলীয় জোট ও এলডিপির সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি। পর্যায়ক্রমে অন্য দলগুলোর সঙ্গেও বৈঠক হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠক করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে আলোচনা হয়। এর পাশাপাশি আরও নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক সূত্র বলছে, সংস্কার কার্যক্রম ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক নিয়ে আলোচনা করেন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। সিদ্ধান্ত হয়, নির্বাচনের রোডম্যাপ আদায়ে সরকারকে চাপে রাখা হবে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচিও দেওয়া হবে। বৈঠকে দলের নেতারা বলেন, দাবি আদায়ে শক্ত কর্মসূচি দিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কাজে ক্ষতির কারণ হবে না—এমন কর্মসূচি নির্ধারণে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেন নেতারা।

অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সুনির্দিষ্ট একটি রোডম্যাপ চেয়ে আসছে বিএনপি। এই দাবির সঙ্গে এককাট্টা রয়েছে বিএনপির সমমনা দলগুলোও। সময় গড়ানোর সঙ্গে বিএনপি ও সমমনাদের দাবি জোরালো হলেও এখনো পর্যন্ত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেনি সরকার। উপরন্তু নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সরকারের কোনো কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তিসহ অনেকের বক্তব্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় নির্বাচন বিলম্বের আশঙ্কা ঘনীভূত হয়েছে বিএনপিতে। এ নিয়ে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেও অনেকবার অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা।

এমন এক পরিস্থিতিতে বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, নানাজনের নানা বক্তব্যে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে, সে বিষয়ে পরিষ্কার হতেই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছে বিএনপির প্রতিনিধিদল। ওই সাক্ষাতে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাওয়া হয় দলের পক্ষ থেকে। বিপরীতে সুনির্দিষ্ট সময় উল্লেখ না করে আবারও চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে হতাশার কথা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ না দিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন শেষ করার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। আমরা এই বক্তব্যে একেবারেই সন্তুষ্ট নই।’

বিএনপির দাবি অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে দেশ বিপর্যয়ের দিকে যাওয়ার শঙ্কার কথাও বলেন তিনি। ফখরুল বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার করে বলেছি যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন যদি না হয়, তাহলে দেশে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সামাজিক পরিস্থিতি হবে, সেটা আরও খারাপের দিকে যাবে এবং সেটা তখন নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন হবে।’

তবে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছিলেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন মানে, ইচ্ছা করে দেরি করে বা জুন মাসে নির্বাচন করা হবে, সেটা না। ডিসেম্বর থেকে জুন মানে হচ্ছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন করার চেষ্টা থাকবে। ডিসেম্বরে সম্ভব হলে ডিসেম্বরে, জানুয়ারিতে সম্ভব হলে জানুয়ারিতেই নির্বাচন হবে বলে বিএনপিকে বোঝানো হয়েছে।

বিএনপির সূত্রও বলছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সবশেষ বৈঠকের পর নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে আশঙ্কার মেঘ অনেকটা কেটে গেছে। নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা যা বলেছেন, তাতে বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা আশ্বস্ত হয়েছেন। এখন নির্বাচনের অনুষ্ঠানের সময় যতটা এগিয়ে নিয়ে আসা যায়, সে নিয়ে সরকারকে চাপ দেবেন তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে বিএনপি আশ্বস্ত হলেও এখনো বিভিন্ন মহলের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। নির্বাচন বিলম্বে হলে অনেকের সুবিধা হবে। তারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাদের দিক থেকে নির্বাচন বিলম্বিত করতে সরকারের ওপর এক ধরনের চাপও আছে। দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে অনেকবার কথা বলেছেন নীতিনির্ধারকেরা। এই অবস্থায় সরকারের ওপর দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে চাপ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ডিসেম্বরকে শেষ সময় ধরেছে বিএনপি

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘আমরা সরকারের ওপর ভরসা রাখতে চাই। দেশকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরাতে দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে তারা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। প্রত্যাশিত সেই নির্বাচন বিলম্ব হলে দলীয় ফোরামে আলোচনার মাধ্যমে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে গেলেন বিএনপি নেতা মোশাররফ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ রোববার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা করেছেন তিনি।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান। তিনি জানান, সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটালে চিকিৎসা নেবেন খন্দকার মোশাররফ।

এর আগে গত ২১ জানুয়ারি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন এই বিএনপি নেতা। তাঁর সুস্থতার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া প্রার্থনা করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সুদানে ৬ সেনা নিহতের ঘটনায় তারেক রহমানের শোক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১: ৫১
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শনিবার রাতে নিজের এক ফেসবুক পোস্টে এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর বর্বর হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত এবং ৩ জন নারী সেনাসদস্যসহ আরও ৮ জনের আহত হওয়ার খবরে আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও শোকাহত।

তারেক রহমান বলেন, জাতিসংঘের পতাকা তলে বিশ্বশান্তি রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জীবন উৎসর্গকারী আমাদের বীর সেনাসদস্যরা জাতির গর্ব। তাদের এই আত্মত্যাগ বাংলাদেশের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমি নিহত শান্তিরক্ষীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আহত সেনাসদস্যদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি এবং এই দুঃসময়ে তাদের পাশে থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও কার্যকর ভূমিকা জরুরি উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, একজন সেনা কর্মকর্তার গর্বিত সন্তান হিসেবে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অসাধারণ পেশাদারিত্ব, সাহস আর আত্মত্যাগ আমাকে সবসময় গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। চলমান পরিস্থিতিতে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও কার্যকর ভূমিকা জরুরি বলে আমি মনে করি। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের বীর সেনাসদস্যদের শহীদ হিসেবে কবুল করুন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য দান করুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৫৭
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তাঁর পরিচালিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘এই মুহূর্তে আমরা একটি সংকটজনক সময় পার করছি। আমাদের ভলান্টিয়ার ও সেন্টার ম্যানেজমেন্টের সদস্যরা হসপিটাল এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সহযোগিতায় ব্যস্ত সময় পার করছে। এমতাবস্থায় ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হতে পারে এই আশঙ্কায় আগামী এক সপ্তাহের জন্য সেন্টারের সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।’

পোস্টে আরও লেখা হয়, ‘আমরা আপনাদের কাছে দোয়া চাই। ইনশাআল্লাহ, খুব শীগ্রই আমরা এই সংকটাপন্ন মুহূর্ত কাটিয়ে উঠতে পারবো এবং ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের কার্যক্রম যথানিয়মে পরিচালিত হবে।’

ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম, যা গত জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পর গড়ে ওঠে। এর কার্যক্রম রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় পরিচালিত হয়।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনের বক্স কালভার্ট এলাকায় নির্বাচনি প্রচারের সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন শরিফ ওসমান হাদি। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এআই দিয়ে তৈরি ছবি বুঝতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করলেন রিজভী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪৯
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি

অনিচ্ছাকৃত ভুল বক্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

রুহুল কবির রিজভীর বিবৃতি। ছবি: ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট
রুহুল কবির রিজভীর বিবৃতি। ছবি: ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরটিভির লোগো ব্যবহার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয় এবং এ ছাড়াও শরিফ ওসমান হাদিকে আক্রমণকারী একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গে ডাকসুর ভিপির চা খাওয়ার দৃশ্যটিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ দুইটি বিষয় ছিল ভিত্তিহীন এবং এআই জেনারেটেড।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ফ্যাক্ট চেক না করে উল্লিখিত বিষয় দুটি নিয়ে আজ দুপুরে নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি সভায় বক্তব্য রাখি। এই অনিচ্ছাকৃত ভুল বক্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’

আজ ফেসবুক পোস্টে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম। তিনি পোস্টে বলেন, ‘আমাকে নিয়ে আজকে বিএনপির সমাবেশে জনাব রুহুল কবির রিজভী প্রদত্ত বক্তব্যে ভুয়া ছবি নির্ভর যে মিথ্যা অভিযোগ (আমার সাথে শুটার একই টেবিলে চা খাচ্ছেন দাবিতে) তুলেছেন, তা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে দল হিসেবে বিএনপি এবং ব্যক্তি রিজভী নিজেকে অপতথ্য ছড়ানোর অপরাধ থেকে দায়মুক্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এর আগে, আজ দুপুরে বিএনপির সমাবেশে রুহুল কবির রিজভীর বলেছেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলায় শনাক্ত ব্যক্তি ছাত্রলীগের নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি সাদিক কায়েম এর সঙ্গে একই টেবিলে চা খাচ্ছেন, এর বিচার কে করবে?’

উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত