Ajker Patrika

সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিতে ইইউর সহযোগিতা চান জামায়াত আমির

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ০৩
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে জামায়াত আমির। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে জামায়াত আমির। ছবি: আজকের পত্রিকা

শুধু নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নয়, বরং একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) টেকনিক্যাল সহযোগিতা প্রয়োজন। ঢাকা সফররত ইইউর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলকে এমনটিই বলেছেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান।

আজ রোববার জামায়াতের বসুন্ধরার কার্যালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন জামায়াত আমির। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা জানান দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, ইইউ প্রতিনিধিদল আমিরে জামায়াতের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে মতবিনিময় করেছে। তারা জানিয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দল ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময়ই তাদের সফরের মূল উদ্দেশ্য। তারা নির্বাচনকালীন ৬৪টি জেলায় পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা করেছে এবং প্রতি জেলায় একজন প্রতিনিধি পাঠাবে। নির্বাচন শেষে পর্যবেক্ষণের বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে বলে তারা আমিরে জামায়াতকে অবহিত করেছে।

মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও জানান, বৈঠকে প্রবাসীদের ভোট ও ভোটাধিকার সম্পর্কে জানতে চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইলেকশন অবজারভেশন টিম। তখন আমিরে জামায়াত বলেন, জামায়াতই প্রথম এক কোটির বেশি প্রবাসী ভোটারের ভোটাধিকার নিয়ে দাবি তুলেছে। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন বরাবর জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ও সরকার তা গ্রহণ করে ইতিমধ্যে প্রবাসীরা যাতে ভোট দিতে পারেন, সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

জামায়াত রাষ্ট্রের দায়িত্ব পেলে মূল অ্যাজেন্ডা কী হবে—তাদের এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির তিনটি বিষয় উল্লেখ করেছেন। প্রথমত, এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে নৈতিকতা, উৎপাদনমুখী, টেকনিক্যাল, দক্ষতা, বৈষয়িক ও মানবিক—সব দিক থেকে যেন নাগরিকেরা যোগ্য হতে পারেন, সে ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা নেওয়া হবে। দ্বিতীয়ত, করাপশন ফ্রি সোসাইটি গড়ে তোলা হবে। সমাজের সর্বস্তরে দুর্নীতি চেপে বসেছে। জামায়াতে ইসলামী দায়িত্ব পেলে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ে তোলা হবে। তৃতীয় অ্যাজেন্ডা হিসেবে তিনি সামাজিক ন্যায়বিচারের কথা উল্লেখ করেন।

জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘বিগত দেড় যুগে গণতন্ত্র দমন, বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন এবং জামায়াতে ইসলামীকে সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে দেওয়া হয়নি। আমরা আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত, তবে শর্ত হচ্ছে, জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান করে তার আলোকে নির্বাচন অবশ্যই ফ্রি, ফেয়ার ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সহিংসতায় না জড়িয়ে ঐক্যবদ্ধ গণপ্রতিরোধের আহ্বান আসিফ মাহমুদের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: ফেসবুক
স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: ফেসবুক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার বিচারের দাবিতে সহিংসতায় না জড়িয়ে ঐক্যবদ্ধ গণপ্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আজ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় এ আহ্বান জানান তিনি।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের প্রতি জরুরি আহ্বান—এই দেশ আমাদের। এর সম্পদ, মর্যাদা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্বও আমাদেরই। কোনো প্রকার সহিংসতায় জড়িয়ে না পড়ে, শান্তিপূর্ণ ও ঐক্যবদ্ধ গণপ্রতিরোধের মাধ্যমে হাদি ভাইয়ের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’

সম্মুখসারির এই জুলাই যোদ্ধা আরও বলেন, ‘সারা দেশের মানুষ ওসমান হাদির জন্য রাস্তায় নেমে এসেছে। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভাজনকে উসকে দেওয়ার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল গণমাধ্যম, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, এমন অনেক জায়গায় হামলা চালিয়েছে, অগ্নিসংযোগ করেছে। আমরা স্পষ্টভাবে এর বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান ব্যক্ত করছি।’

আসিফ বলেন, ‘আমরা আশঙ্কা করছি যে, এই আন্দোলনকে বিতর্কিত করার জন্য, প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এবং জুলাই অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ প্রমাণের জন্য আজও বিভিন্ন স্থানে হামলা এবং অস্থিতিশীল করার এক ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে।’ সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসিফ বলেন, ‘আমাদের দেশের সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। কোনো গণমাধ্যম, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের যেন ক্ষতি না হয় সেটা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।’

এর আগে, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এক ফেসবুক পোস্টে সবাইকে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘জনগণের ন্যায্য বিক্ষোভকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে কিছু হঠকারী গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য জুলাই আন্দোলনের চেতনার বিরোধী।’

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘এসব গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ড বিভ্রান্তিকর এবং তারা আন্দোলনকে সহিংস পথে নেওয়ার চেষ্টা করছে।’ এ অবস্থায় সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদির আততায়ীর ও প্রতিটি মব সন্ত্রাসের বিচার করতে হবে: মির্জা ফখরুল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৩১
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার বিচারসহ প্রতিটি মব সন্ত্রাসের বিচার দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন মব সন্ত্রাস পুরো জাতিকে বিভক্ত করেছে।

আজ শুক্রবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা এক পোস্টে এই মন্তব্য করেন।

পোস্টে ডেইলি স্টার, প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম, নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবিরের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল লেখেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। এ দেশের প্রতিটি নাগরিকের জানমালের দায়িত্ব বর্তমান সরকারের। শহীদ হাদির মৃত্যুতে শোকার্ত জাতি যখন সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করছে হাদির আত্মার মাগফিরাতের জন্য, তখন ডেইলি স্টার, প্রথম আলোসহ বিভিন্ন পত্রিকা প্রতিষ্ঠান, বরেণ্য সাংবাদিক নুরুল কবিরসহ আরও অনেকের ওপর হীন হামলা সংঘটিত হলো।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সঙ্কটময় মুহূর্তকে কাজে লাগানোর জন্য যারা অপেক্ষা করে, এরা এই দেশের শত্রু। তারা অপেক্ষা করে সংকটের। আজ এই দুঃখভারাক্রান্ত মুহূর্তকে এরা ধ্বংসাত্মক কাজে রূপান্তর করল। আমি এই সন্ত্রাসের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি!’

তিনি আরও লেখেন, ‘হাদি নির্বাচনে প্রার্থী ছিল। জনগণের দরজায় গিয়েছিল। নির্বাচন হবে। বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশা আল্লাহ। হাদির আততায়ীর বিচার এবং প্রতিটি মব সন্ত্রাসের বিচার করতে হবে। প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন মব সন্ত্রাস পুরো জাতিকে বিভক্ত করেছে।’

দেশের এই পরিস্থিতিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে এবং সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব। তিনি লেখেন, ‘স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের পতনের পরে সরকারের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন করা। আমরা সকল পক্ষকে দায়িত্বশীলতার সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে আহ্বান জানাচ্ছি। অবিলম্বে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

এই সংবাদ প্রতিবেদন তৈরির পরপরই ফেসবুকে গিয়ে দেখা যায়, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভেরিফায়েড পেইজটি আর পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ওসমান হাদির মৃত্যুতে তারেক রহমানের গভীর শোক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০: ৩৬
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এই শোক জানান।

ওই পোস্টে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি শরীফ ওসমান হাদীর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে গভীরভাবে শোকাহত। আল্লাহ যেন তাঁর রুহের মাগফিরাত করে তাঁকে বেহেশত নসীব করেন। তাঁর এই অকাল শহীদি মৃত্যু আবারও মনে করিয়ে দিল— রাজনৈতিক সহিংসতা কত বড় মানবিক মূল্য দাবি করে।’

হাদি ছিলেন এক সাহসী রাজনৈতিক কর্মী এবং নির্ভীক কণ্ঠস্বর, যিনি সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে তিনি জুলাইয়ের যোদ্ধাদের অধিকার রক্ষা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধরে রাখা এবং জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

তারেক রহমান আরও বলেন, আমি তাঁর শোকাহত পরিবার, স্বজন ও সহযোদ্ধাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। একই সঙ্গে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, দ্রুত তদন্ত করে অপরাধীদের গ্রেপ্তার, শাস্তি এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করে প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে আর কোনো ঘটনা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে বা আমাদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে আঘাত না করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাতি একজন নির্ভীক কণ্ঠস্বর ও আদর্শবাদী যোদ্ধাকে হারাল: জামায়াত আমির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে এক বিবৃতিতে এমন প্রতিক্রিয়া জানান তিনি৷

বিবৃতিতে জামায়াত আমির বলেন, ওসমান হাদি মানবিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। ন্যায়, সত্য ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর শাহাদাতে জাতি একজন নির্ভীক কণ্ঠস্বর ও আদর্শবাদী যোদ্ধাকে হারাল।

শফিকুর রহমান যোগ করেন, তাঁর (ওসমান হাদি) শাহাদাতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হলো, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। তাঁর বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর নতুন প্রজন্মকে ধারণ করতে হবে এবং দলমত-নির্বিশেষে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে। তাঁর অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

শফিকুর রহমান আরও বলেন, শরিফ ওসমান হাদি ছিলেন একজন সাহসী জুলাই যোদ্ধা ও সাচ্চা দেশপ্রেমিক। তিনি অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করেননি। তাঁর কণ্ঠ ছিল সব আধিপত্যবাদী শক্তি ও অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে। তিনি ছিলেন আপসহীন এক যোদ্ধা। দুনিয়ার কোনো লোভ-লালসা তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি।

জামায়াত আমির বলেন, ‘আমি মহান আল্লাহর দরবারে তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। তাঁর মাসুম বাচ্চাসহ স্ত্রী, শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, সহযোদ্ধা ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি আল্লাহ তাআলা যেন তাঁদের সবাইকে এই বিরাট শোক সওয়ার তাওফিক দান করেন, সেই দোয়া করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত