নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে বিরাজমান সংকট থেকে উত্তরণে দ্রুত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার তাগিদ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, নির্বাচন বিলম্ব করলে সংকট বাড়বে।
আজ শনিবার রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। ‘সংস্কার ও নির্বাচন: প্রেক্ষিত জাতীয় ঐক্য’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে ডেমোক্রেসি ডায়াস বাংলাদেশ।
আমীর খসরু বলেন, ‘গত ১৫-১৬ বছর ধরে একটি প্রতিনিধিত্বহীন সরকার দেশ চালিয়েছে, যার কারণেই বাংলাদেশ আজ সংকটের মুখে। শেখ হাসিনার স্বৈরাচার সরকার পতনের ১৪ মাস পরেও কেন সংস্কার নিয়ে আলোচনা চলছে? এর কারণ, ১৪ মাস পরেও বাংলাদেশ একটি প্রতিনিধিত্বহীন দেশ হিসেবে পরিচিত।
‘ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত, যে দেশগুলো দ্রুত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে পেরেছে, সেগুলোর অবস্থান ভালো। অন্যদিকে, যারা তর্ক-বিতর্ক ও বিভিন্ন ইস্যু সামনে এনে নির্বাচন বিলম্বিত করেছে, সেসব দেশে গৃহযুদ্ধ, সামাজিক বিভক্তি এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটেছে।’
তিনি বলেন, ‘১৪ মাস পরেও এখনো তর্ক-বিতর্ক চলছে। অথচ আমাদের পাশেই একটি দেশে বিপ্লব বা অভ্যুত্থান হওয়ার পর দায়িত্ব নিয়ে প্রথম কাজ হিসেবে তারা একটি নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে। অভ্যুত্থানকারীরাও যার যার কাজে ফিরে যাচ্ছেন।
‘বাংলাদেশের মানুষের প্রথম প্রত্যাশা হলো, তারা একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার দেখতে চায়। তারা একটি প্রতিনিধিত্বশীল সরকার এবং সংসদ দেখতে চায়, যেই সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে ও জবাবদিহি করবে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশন হয়েছে। আমাদের কোনো আপত্তি নেই। ঐকমত্য যতটুকু হয়েছে, তা ভালো। কিন্তু ঐকমত্যের বাইরে গিয়ে আবার কেন এত আলোচনা করতে হচ্ছে? কেন পিআর নিয়ে আলোচনা করতে হবে?
‘আগে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দেশে ফিরিয়ে আনি, যেটার অনুপস্থিতিতে আজকে বাংলাদেশে এই খারাপ অবস্থা হয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার পর প্রত্যেকটি দলের অধিকার থাকবে, তারা সংসদের ভেতরে এবং বাইরে তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে প্রতিনিয়ত জনগণের কাছে যেতে পারবে, জনমত সৃষ্টি করতে পারবে। এটাই তো গণতন্ত্র। জনমত সৃষ্টি করে আপনার দাবি প্রতিষ্ঠিত করুন। কিন্তু জনমত সৃষ্টি না করে যদি আপনি ঐকমত্যের কথা বলে অন্যান্য দাবি তুলে আজকে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেন, তাহলে তো সেটা কাজ করবে না।’
সেমিনারে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সোহরাব হোসেন বলেন, ‘হাসিনার সময় গণমাধ্যম যেমন হয়রানির শিকার হতো জেল-জুলুমের মাধ্যমে, এখনো হয়রানি হচ্ছে, কিন্তু অন্যভাবে। এ ছাড়া দেশ নানামুখী সংকটে আছে। ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেছেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে যদি নির্বাচন না হয়, তাহলে সংকট আরও বাড়বে। তাই বলতে চাই, নির্বাচনকে যেন বিলম্বিত করে আমরা এই সংকটকে যেন আর না বাড়াই।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর আমরা দুটি বিষয়ে জোর দিয়েছি। একটি হচ্ছে সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য ও অন্যটি নির্বাচনের বিষয়ে। বর্তমানে অনেক রাজনৈতিক দল আগাম প্রতিশ্রুতি দেওয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চাচ্ছে। তবে ক্ষমতায় যাওয়ার পর যদি এসব বাস্তবায়ন না করে, তাহলে এটি হবে রাজনৈতিক পরাজয়।’
তিনি বলেন, ‘সংসদের নিম্নকক্ষে পিআরের কোনো বাস্তবতা নেই। তবে উচ্চকক্ষের পিআর বিষয়ে আমরা অধিক আলোচনা করতে পারি।’
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, ‘যখন আলোচনার টেবিলে পিআর নিয়ে কথা হচ্ছে, তখন রাজপথে এ নিয়ে আন্দোলন কতটা যৌক্তিক? যে সকল রাজনৈতিক দল এসব করছে, তাদের এর জন্য দায় নিতে হবে।
‘আজকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও বৈষম্য করছে। কারণ, জাতিসংঘের অধিবেশনে মাত্র তিনটি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে যাওয়া হয়। অভ্যুত্থানের সময় তো শুধু এই তিন দল ছিল না, অন্য দলগুলোও ছিল।’
সেমিনারে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ডেমোক্রেসি ডায়াস বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এ সময় রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ।
দেশে বিরাজমান সংকট থেকে উত্তরণে দ্রুত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার তাগিদ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, নির্বাচন বিলম্ব করলে সংকট বাড়বে।
আজ শনিবার রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। ‘সংস্কার ও নির্বাচন: প্রেক্ষিত জাতীয় ঐক্য’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে ডেমোক্রেসি ডায়াস বাংলাদেশ।
আমীর খসরু বলেন, ‘গত ১৫-১৬ বছর ধরে একটি প্রতিনিধিত্বহীন সরকার দেশ চালিয়েছে, যার কারণেই বাংলাদেশ আজ সংকটের মুখে। শেখ হাসিনার স্বৈরাচার সরকার পতনের ১৪ মাস পরেও কেন সংস্কার নিয়ে আলোচনা চলছে? এর কারণ, ১৪ মাস পরেও বাংলাদেশ একটি প্রতিনিধিত্বহীন দেশ হিসেবে পরিচিত।
‘ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত, যে দেশগুলো দ্রুত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে পেরেছে, সেগুলোর অবস্থান ভালো। অন্যদিকে, যারা তর্ক-বিতর্ক ও বিভিন্ন ইস্যু সামনে এনে নির্বাচন বিলম্বিত করেছে, সেসব দেশে গৃহযুদ্ধ, সামাজিক বিভক্তি এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটেছে।’
তিনি বলেন, ‘১৪ মাস পরেও এখনো তর্ক-বিতর্ক চলছে। অথচ আমাদের পাশেই একটি দেশে বিপ্লব বা অভ্যুত্থান হওয়ার পর দায়িত্ব নিয়ে প্রথম কাজ হিসেবে তারা একটি নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে। অভ্যুত্থানকারীরাও যার যার কাজে ফিরে যাচ্ছেন।
‘বাংলাদেশের মানুষের প্রথম প্রত্যাশা হলো, তারা একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার দেখতে চায়। তারা একটি প্রতিনিধিত্বশীল সরকার এবং সংসদ দেখতে চায়, যেই সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে ও জবাবদিহি করবে।’
সংস্কার প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশন হয়েছে। আমাদের কোনো আপত্তি নেই। ঐকমত্য যতটুকু হয়েছে, তা ভালো। কিন্তু ঐকমত্যের বাইরে গিয়ে আবার কেন এত আলোচনা করতে হচ্ছে? কেন পিআর নিয়ে আলোচনা করতে হবে?
‘আগে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দেশে ফিরিয়ে আনি, যেটার অনুপস্থিতিতে আজকে বাংলাদেশে এই খারাপ অবস্থা হয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার পর প্রত্যেকটি দলের অধিকার থাকবে, তারা সংসদের ভেতরে এবং বাইরে তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে প্রতিনিয়ত জনগণের কাছে যেতে পারবে, জনমত সৃষ্টি করতে পারবে। এটাই তো গণতন্ত্র। জনমত সৃষ্টি করে আপনার দাবি প্রতিষ্ঠিত করুন। কিন্তু জনমত সৃষ্টি না করে যদি আপনি ঐকমত্যের কথা বলে অন্যান্য দাবি তুলে আজকে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেন, তাহলে তো সেটা কাজ করবে না।’
সেমিনারে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সোহরাব হোসেন বলেন, ‘হাসিনার সময় গণমাধ্যম যেমন হয়রানির শিকার হতো জেল-জুলুমের মাধ্যমে, এখনো হয়রানি হচ্ছে, কিন্তু অন্যভাবে। এ ছাড়া দেশ নানামুখী সংকটে আছে। ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেছেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে যদি নির্বাচন না হয়, তাহলে সংকট আরও বাড়বে। তাই বলতে চাই, নির্বাচনকে যেন বিলম্বিত করে আমরা এই সংকটকে যেন আর না বাড়াই।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর আমরা দুটি বিষয়ে জোর দিয়েছি। একটি হচ্ছে সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য ও অন্যটি নির্বাচনের বিষয়ে। বর্তমানে অনেক রাজনৈতিক দল আগাম প্রতিশ্রুতি দেওয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চাচ্ছে। তবে ক্ষমতায় যাওয়ার পর যদি এসব বাস্তবায়ন না করে, তাহলে এটি হবে রাজনৈতিক পরাজয়।’
তিনি বলেন, ‘সংসদের নিম্নকক্ষে পিআরের কোনো বাস্তবতা নেই। তবে উচ্চকক্ষের পিআর বিষয়ে আমরা অধিক আলোচনা করতে পারি।’
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, ‘যখন আলোচনার টেবিলে পিআর নিয়ে কথা হচ্ছে, তখন রাজপথে এ নিয়ে আন্দোলন কতটা যৌক্তিক? যে সকল রাজনৈতিক দল এসব করছে, তাদের এর জন্য দায় নিতে হবে।
‘আজকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও বৈষম্য করছে। কারণ, জাতিসংঘের অধিবেশনে মাত্র তিনটি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে যাওয়া হয়। অভ্যুত্থানের সময় তো শুধু এই তিন দল ছিল না, অন্য দলগুলোও ছিল।’
সেমিনারে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ডেমোক্রেসি ডায়াস বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এ সময় রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, একটি দায়িত্বশীল পত্রিকা সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভাজনের সময় খুব জরুরি। গণমাধ্যমের কণ্ঠস্বর ক্ষীণ হলেও সত্য বলার একটি স্পেস থাকা দরকার। আওয়ামী লীগ সরকার গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে প্রতিটি গুম-খুনকে আড়াল করেছে এবং ভিন্নমতের মানুষকে ‘জঙ্গি’ আখ্যা দিয়ে দমন করেছে।
৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতারা। আজ শনিবার রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ন ট্রেড সেন্টারে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৮ ঘণ্টা আগেদুর্নীতিতে টানা ৫ বছর চ্যাম্পিয়ন হওয়া একটি দল এবার ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই পাথর-বালু লুটেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, দলটি ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দেশের মালিক বনে গেছে।
৯ ঘণ্টা আগেগণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) ও দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গত ৯ আগস্ট জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন হয়েছে বলে দাবি করে একাংশের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, ‘সেই কাউন্সিলে আমি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছি।
১০ ঘণ্টা আগে