নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকার পরিকল্পিতভাবে গায়েবি মামলা করে বিরোধী দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করার মধ্য দিয়ে দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অবিলম্বে নেতাদের মুক্তি দিয়ে নির্বাচন কমিশন বাতিল করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিয়ে সবাইকে নিয়ে নির্বাচনের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা শুরু করতে হবে বলে জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোটসহ বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ ও এক দফা দাবিতে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তাঁরা।
আলোচনা সভায় এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবর রহমান মঞ্জু বলেন, গত কয়েক দিনে শুধু ঢাকাতেই ২ হাজার ৫৬১ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এদের সবাইকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। দেশে যারা নাই, তাদের নামেও গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। ৬৮ কারাগারের ধারণক্ষমতা ৪৩ হাজার, কিন্তু বন্দী আছে ৮৮ হাজার মানুষ।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির সভাপতি ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য একটা, শেখ হাসিনার পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। যতই দমন-পীড়ন করুন ততই আন্দোলনের গতি বাড়বে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘মানুষ এখনই এই সরকারের বিদায় দেখতে চায়। মানুষের ঘরে দুই দিন খাওয়ার মতো খাবারের সংস্থান নাই। বড় বড় ব্রিজ, মেট্রোরেল তাদের কাছে দীর্ঘশ্বাস।’
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রেখে মাঠে নামেন, দেখা যাবে কার মেরুদণ্ডে কত জোর। আওয়ামী লীগ আজ রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠান নিজেদের পক্ষে ব্যবহার করে পৈশাচিক উল্লাস করছে।’
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘এই স্বৈরাচারী শাসক আমাদের বিশ্বাসের উপযুক্ত নয়। ২৮ অক্টোবর তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বিএনপির সমাবেশকে পণ্ড করেছে। বিরোধী দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে সরকার দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
সভাপতির বক্তব্যে ১২ দলীয় জোটের প্রধান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘এই ফরমায়েশি নির্বাচন কমিশন বাতিল করতে হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন। আপনার কাছে দাবি, অবিলম্বে এই নির্বাচন কমিশন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করুন।’
সভায় অন্য বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠুভাবে ভোট ডাকাতি হয়, কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। তাই সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নাই।
লক্ষ্মীপুর উপনির্বাচনের উদাহরণ টেনে নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগের এক নেতা নৌকা মার্কার ব্যালটে ৫৭ সেকেন্ডে ৪৭ ভোটে সিল মেরে রেকর্ড করেছেন। আগামী নির্বাচনে এই সরকার আরও ভয়ংকর নির্বাচন করতে চায়। এই সরকার বিগত ১৫ বছর ধরে দেশ এবং দেশের জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। তাই যে দল বা ব্যক্তি এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, তারা জাতীয় বেইমান হিসেবে চিহ্নিত হবে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান প্রমুখ।
সরকার পরিকল্পিতভাবে গায়েবি মামলা করে বিরোধী দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করার মধ্য দিয়ে দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অবিলম্বে নেতাদের মুক্তি দিয়ে নির্বাচন কমিশন বাতিল করতে হবে। সংসদ ভেঙে দিয়ে সবাইকে নিয়ে নির্বাচনের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা শুরু করতে হবে বলে জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোটসহ বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ ও এক দফা দাবিতে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তাঁরা।
আলোচনা সভায় এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবর রহমান মঞ্জু বলেন, গত কয়েক দিনে শুধু ঢাকাতেই ২ হাজার ৫৬১ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এদের সবাইকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। দেশে যারা নাই, তাদের নামেও গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। ৬৮ কারাগারের ধারণক্ষমতা ৪৩ হাজার, কিন্তু বন্দী আছে ৮৮ হাজার মানুষ।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির সভাপতি ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য একটা, শেখ হাসিনার পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। যতই দমন-পীড়ন করুন ততই আন্দোলনের গতি বাড়বে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘মানুষ এখনই এই সরকারের বিদায় দেখতে চায়। মানুষের ঘরে দুই দিন খাওয়ার মতো খাবারের সংস্থান নাই। বড় বড় ব্রিজ, মেট্রোরেল তাদের কাছে দীর্ঘশ্বাস।’
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রেখে মাঠে নামেন, দেখা যাবে কার মেরুদণ্ডে কত জোর। আওয়ামী লীগ আজ রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠান নিজেদের পক্ষে ব্যবহার করে পৈশাচিক উল্লাস করছে।’
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘এই স্বৈরাচারী শাসক আমাদের বিশ্বাসের উপযুক্ত নয়। ২৮ অক্টোবর তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বিএনপির সমাবেশকে পণ্ড করেছে। বিরোধী দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে সরকার দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
সভাপতির বক্তব্যে ১২ দলীয় জোটের প্রধান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘এই ফরমায়েশি নির্বাচন কমিশন বাতিল করতে হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন। আপনার কাছে দাবি, অবিলম্বে এই নির্বাচন কমিশন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করুন।’
সভায় অন্য বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠুভাবে ভোট ডাকাতি হয়, কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। তাই সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নাই।
লক্ষ্মীপুর উপনির্বাচনের উদাহরণ টেনে নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগের এক নেতা নৌকা মার্কার ব্যালটে ৫৭ সেকেন্ডে ৪৭ ভোটে সিল মেরে রেকর্ড করেছেন। আগামী নির্বাচনে এই সরকার আরও ভয়ংকর নির্বাচন করতে চায়। এই সরকার বিগত ১৫ বছর ধরে দেশ এবং দেশের জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। তাই যে দল বা ব্যক্তি এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, তারা জাতীয় বেইমান হিসেবে চিহ্নিত হবে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান প্রমুখ।
ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে দেখা করে রাষ্ট্র সংস্কার, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির নেতারা। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বিকেল ৫টা থেকে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়...
১৯ ঘণ্টা আগেভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে গুলশান-২ নম্বরে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে যান আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির কেন্দ্রীয় চার নেতা। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত...
১৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ইতিহাসে আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, অনেকে ভাবছে, একটি প্রতিপক্ষ তো আর মাঠে নেই, তাই আগামী নির্বাচন কী আর কঠিন হবে। তবে আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে।
২১ ঘণ্টা আগেগত বছরের অক্টোবরের তুলনায় বর্তমানে দেশের বড় দল বিএনপির জনপ্রিয়তা কমলেও বাড়ছে তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জনপ্রিয়তা। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা যায়, ২০২৪ সালের অক্টোবরে বিএনপির জনপ্রিয়তা ছিল ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ, গত জুলাইয়ে তা ১২ শতাংশে নেমেছে..
১ দিন আগে