Ajker Patrika

’৭১ ও ’২৪-এর গণহত্যাকারী এক হওয়ার চেষ্টা করছে: শামসুজ্জামান দুদু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। ছবি: সংগৃহীত

একাত্তর আর চব্বিশের দুই গণহত্যাকারী এক হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। আজ শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটরিয়ামে ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিম্যাব) প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘’২৬-এর ফেব্রুয়ারি মাসে সবকিছুর ফয়সালা হয়ে যাবে। একটা শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি আমরা অতিক্রম করছি। আমরা একটা কঠিন মুহূর্ত অতিক্রম করছি।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা বাংলাদেশ চায় নাই, যারা গণহত্যা চালিয়েছিল মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ জিয়াউর রহমানের সৈনিকদের ওপরে, তারা এবং চব্বিশে আওয়ামী লীগ যে গণহত্যা চালিয়েছিল, ৫০ বছর আগে আর ৫০ বছর পরে। এই দুই গণহত্যাকারী কোথায় যেন একটু মিলার চেষ্টা করছে। বাতাসে ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে, তারা এক হচ্ছে। গণহত্যাকারীরা হলো অশুভ শক্তি। এই অশুভ শক্তির একজন অপ্রকাশ্যে আছে। একজন প্রকাশ্যে আছে।’

বিএনপির এই নেতার অভিযোগ, জাতীয়তাবাদী শক্তি নির্বাচনে ভালো করবে, অশুভ শক্তিরা সেটা মানতে না পেরে নির্বাচন ঠেকানোর নতুন নতুন বয়ান তৈরি করছে। নির্বাচন বন্ধ হলে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে। আর এর সুযোগ নেবে আধিপত্যবাদী শক্তি। তারা কখনোই বাংলাদেশের ভালো চায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, নার্স, ডাক্তার কিংবা ডিপ্লোমাধারী যাঁরা আছেন, তাঁদের অবদান সমাজ অস্বীকার করতে পারে না। কিন্তু প্রাপ্য সম্মান ও মর্যাদা দেওয়ার সময়ে কোথাও না কোথাও ঘাটতি থেকে যায়। প্রকৌশলী, ডাক্তার, কৃষিবিদদের গুরুত্ব স্বীকার করা হলেও নিচের স্তরে যাঁরা আছেন, বিশেষ করে ডিপ্লোমাধারীরা দাবি তুললে তা অনেক সময় গ্রহণ করতে চান না। এতে অপ্রয়োজনীয় অসন্তোষ তৈরি হয়।

প্রত্যেকের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করলেই দ্বন্দ্ব এড়ানো সম্ভব বলে জানান এই নেতা।

প্রতিনিধি সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএমএ) সাবেক সভাপতি সামছুল হুদা। আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএসের সাবেক পরিচালক ডা. শাহ আলী আকবর আশরাফী প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত