Ajker Patrika

বিবিসি বাংলাকে নাহিদ ইসলাম

বিএনপির কথার টোন আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে

আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১: ০০
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। ফাইল ছবি
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। ফাইল ছবি

বিবিসি বাংলার সঙ্গে কথোপকথনে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ‘বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কথাবার্তায় মিল’ খুঁজে পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বিএনপির ‘নিরপেক্ষ সরকারের’ দাবিকে ‘এক–এগারোর’ পুনরাবৃত্তি ডেকে আনার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন। নাহিদ ইসলাম আরও বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ। বিএনপি কেন তা মনে করছে না, তা স্পষ্ট করা উচিত।

এর আগে গত বুধবার বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, সরকার নিরপেক্ষ না থাকলে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দরকার হবে।

মূলত এখান থেকেই পাল্টাপাল্টি বক্তব্য চলছে। সরকারের দুই তরুণ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর প্রতিক্রিয়ার পরও পাল্টাপাল্টি প্রতিক্রিয়া অব্যাহত।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা মির্জা আব্বাস এক–এগারোর পুনরাবৃত্তির দাবি অস্বীকার করে বলেছেন, বিএনপিই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এক–এগারোতে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ও অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থানের সাদৃশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির নেতারা। রুহুল কবির রিজভী সরকারকে ‘গড়িমসি’র অভিযোগ এনে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনার কথার প্রতিধ্বনি করছে।

এর জবাবে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) নাহিদ ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, নির্বাচন ও সংস্কারের জন্য সময় প্রয়োজন এবং ধৈর্য ধরে ঐকমত্যে পৌঁছানো উচিত। সংঘাত এড়িয়ে একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন তিনি। নাহিদ এও বলেছেন যে, তিনি রাজনৈতিক দলে যোগ দিলে সরকার থেকে বের হয়ে যাবেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিরপেক্ষ সরকারের দাবিকে আরেকটা এক এগারো সরকার গঠনের ইঙ্গিত হিসেবে ফেসবুক পোস্টে করেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

এ প্রসঙ্গে নাহিদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘এক এগারো এবং মাইনাস টু–এর আলাপটা কিন্তু সর্বপ্রথম বিএনপিই রাজনীতির মাঠে এনেছে কিছুদিন আগে।’

অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি ও অংশীজনদের সমর্থনেই সরকার গঠন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বিএনপি মহাসচিবের ‘নিরপেক্ষতা’ সম্পর্কিত বক্তব্য নিয়ে ‘সন্দেহ’ প্রকাশ করেন।

নাহিদের ভাষায়, এই সরকারকে অস্থিতিশীল করতে বা সরাতে, দেশি–বিদেশি চক্রান্তের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক অবস্থানের সঙ্গেও সাদৃশ্য দেখছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সে কিন্তু স্ট্যাটাস দিয়েছে যে, এটা অবৈধ ও অনির্বাচিত সরকার, একটা নিরপেক্ষ সরকার লাগবে, এর আন্ডারে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব না। সো একই টোনে আমরা যখন কথা বলতে দেখছি, এটা কিন্তু একটা সন্দেহের তৈরি করে।’

আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ থেকে শুক্রবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘অনির্বাচিত ও অসাংবিধানিক সরকার’ উল্লেখ করে এই সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে না এবং পরবর্তী নির্বাচন ‘একটি নতুন (তত্ত্বাবধায়ক) সরকারের অধীনে হতে হবে’, আরাফাতকে উদ্ধৃত করে এমন পোস্ট দেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে নাহিদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘আমি মনে করি না যে এটা তারা (বিএনপি) ওই উদ্দেশ্য থেকে বলেছে, কিন্তু তাদের কথার টোনটা কিন্তু আওয়ামী লীগের সেই টোনের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।’

নাহিদ বলেন, ‘বিচার কার্যক্রম, সংস্কার, ও নির্বাচন এসবগুলোই বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার হলেও ‘বিএনপি কেন জানি মনে করে এই সরকারটা হয়েছে কেবল একটি নির্বাচন দেওয়ার জন্য।’

আর নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে তো আমরা নিরপেক্ষই মনে করছি। বিএনপি কেন মনে করছে না নিরপেক্ষ আচরণ, বিএনপির এটা স্পষ্ট করা উচিত।’

নির্বাচনের সময় এগিয়ে এলে এসব বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে বলা সম্ভব বা কোনো অভিযোগ থাকলে নিরপেক্ষতার স্বার্থে কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সেটা তখন সরকার বিবেচনায় নিতে পারবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

নাহিদ বলেন, ‘প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বা সাংবিধানিক পদে যদি বিএনপিপন্থী লোকজন থাকে, সেটাও নিরপেক্ষতা লাগবে কিনা, তাহলে সেটাও বিবেচনা করতে হবে। কিন্তু এখন তো এটার সময় আসেনি।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অবশ্য বিবিসির সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এই সরকার পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারলে তবেই নির্বাচন পরিচালনা পর্যন্ত থাকবে। তা না হলে নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে। তবে এই সরকারের ‘নিরপেক্ষতা’ এখনো কোনো প্রশ্ন নেই বলেও উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।

মির্জা ফখরুল অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন না তুললেও বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা নানা সময় নানা কথা বলেছেন। সর্বশেষ শুক্রবারও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘যখন শুনি আগে সংস্কার পরে নির্বাচন, এ যেন মনে হয় শেখ হাসিনার কথারই প্রতিধ্বনি। কারণ, শেখ হাসিনা বলতেন আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র।’

মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘অনেকে বলেন বিএনপি শুধু নির্বাচন-নির্বাচন করে। আরে ভাই নির্বাচন-নির্বাচন করি না। খামাখা এসমস্ত আজেবাজে কথা আপনারা বইলেন না।’

‘দ্রুত নির্বাচন’ দেওয়ার কথা বিএনপির পক্ষ থেকে প্রায় প্রতিদিনই বলা হচ্ছে। আগামী জুলাই–আগস্টেও নির্বাচন করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ নিয়ে অবশ্য নাহিদ ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, এ বছরের শেষ থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচনের যে সম্ভাব্য সময়সীমা প্রধান উপদেষ্টা দিয়েছেন তাতে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদকাল এবং নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। সে পর্যন্ত ধৈর্য রেখে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সামনে এগোনো প্রয়োজন।

নাহিদ বলেন, ‘যখন গুম বা জুলাই গণহত্যার বিচার কার্যক্রম এগোনো হচ্ছে এবং সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে, হয়তো সামনের মাসেই হয়তো আলোচনা, নেগোসিয়েশন, বারগেনিং (দর-কষাকষি) শুরু হবে, বিএনপির বা অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কারের আলাপগুলোতে মনোযোগী হওয়া উচিত, বিচার কার্যক্রমে সহযোগিতা করা উচিত, সেসময় তারা বলছে, এ সরকারের চেয়ে নিরপেক্ষ একটা সরকার প্রয়োজন।’

এইভাবে কথার লড়াই চললেও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা এবং বিএনপির নেতারা বরাবর সংঘাত বা বিভেদ সৃষ্টি না করে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা বলছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘সমঝোতামূলক রূপরেখা’ তৈরিতে কমিটি করল জামায়াত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
‘সমঝোতামূলক রূপরেখা’ তৈরিতে কমিটি করল জামায়াত

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের বিষয়ে ‘সমঝোতামূলক রূপরেখা’ তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জামায়াতে ইসলামী।

গতকাল মঙ্গলবার দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে এই কমিটি গঠন করা হয়। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জামায়াতে ইসলামী জানায়, অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন, নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেকের দলকে নিবন্ধন দেওয়ার দাবি জানালেন গণঅধিকারের রাশেদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই তালিকায় ‘আমজনতার দল’ না থাকায় নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকের সামনে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে আমরণ অনশনে বসেছে দলটির সদস্যসচিব তারেক রহমান।

আজ বুধবার তারেকের অনশনের প্রতি সংহতি জানাতে আসেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। এ সময় তিনি বলেন, “তারেক রহমান ভাই যে আন্দোলন করছেন এই আন্দোলন যৌক্তিক এবং তাঁর দল আমজনতার দলকে অবশ্যই নিবন্ধন দিতে হবে। ”

রাশেদ খাঁন বলেন, “রাজপথের লড়াকু সৈনিক ভারতীয় আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে যিনি সব সময় রাজপথে লড়াই করেছেন আপনাদের পরিচিত মুখ আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান ভাই। তিনি প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে নির্বাচন কমিশনের মূল ফটকের সামনে তাঁর দলের নিবন্ধনের দাবিতে অনশন করছেন। আমরা রাজপথে তাঁর বিভিন্ন সময় আন্দোলন সংগ্রাম দেখেছি। ”

তিনি বলেন, “গতকাল আমরা দেখেছি তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এনসিপি নিবন্ধন পেয়েছে, আমরা তাদের শুভকামনা জানাই। কিন্তু বাকি দু’টি দল কীভাবে নিবন্ধন পেয়েছে সেটি নিয়ে প্রশ্ন আছে। আমরা মনে করি নিবন্ধন পাওয়ার ক্ষেত্রে এক নম্বর শর্ত হতে হবে রাজপথের সক্রিয়তা। কিন্তু এই সক্রিয়তা বিবেচনা না করে শুধুমাত্র কমিটি দিয়েছে, বাসা-বাড়িকে অফিস হিসেবে দেখিয়ে; তারা এই ছলে বলে কৌশলে নিবন্ধন পাবে—সেটি আমরা কোনোভাবেই মানতে পারি না। ”

রাশেদ খাঁন বলেন, “আমরা দেখেছি ২৪-এর ডামি নির্বাচনের আগে কীভাবে বিএনএম, সুপ্রিম পার্টিসহ কয়েকটি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে আমরা অনুরোধ জানিয়েছিলাম এই সকল ভুঁইফোড় দলকে যারা আগে ডিজিএফআই’র মাধ্যমে নিবন্ধন পেয়েছে এদের অবশই নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। তাদেরকে বাতিল করা হয়নি। উল্টো আমরা দেখলাম গণ-অভ্যুত্থানের পরে রাজপথের সক্রিয় দলগুলোকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। ”

আলোচিত ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের গড়া বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, ডেসটিনি প্রায় ৪২ লাখ গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ করেছিল। সেই দলও দেখলাম নিবন্ধন পেল। আমার প্রশ্ন হলো—এই দল কীভাবে নিবন্ধন পেল? ২৪-এর গণ–অভ্যুত্থানের আগে আমরা এই দলকে কখনোই রাজপথে দেখি নাই। হঠাৎ করে জেল থেকে বের হলো। দল গঠন করল। কমিটি দিল। বাসাবাড়িকে অফিস হিসেবে দেখিয়ে দিল। তারা নিবন্ধন পেল। কিন্তু তারেক রহমান যাকে আপনারা সকলে চিনেন, রাজপথের জ্বালাময়ী বক্তব্য সকলে শুনেছেন, সব সময় সংগ্রাম করেছেন। তাঁর দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। ”

রাশেদ খাঁন বলেন, “আমার ব্যক্তিগত জায়গা থেকে তারেক রহমানের সঙ্গে সংহতি জানানোর জন্য আমি এখানে এসেছি। এখন প্রধান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলব। তিনি (তারেক রহমান) অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। প্রায় ২০ ঘণ্টার অধিক সময় তিনি পাড়ি দিয়েছেন। এখানে সারা রাত তিনি শুয়েছিলেন। মশার কামড় খেয়েছেন। এইভাবে একজন রাজপথের সংগ্রামী নেতা তিনি রাস্তায় শুয়ে থাকবেন। আর নির্বাচন কমিশনার তাঁরা কোনো মন্তব্য করবেন না—সেটি হতে পারে না। তাঁদের মন্তব্য জানার জন্য, তাঁরা কী ভাবছেন, কী করবেন—সেটি জানার জন্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলার জন্য এই মুহূর্তে আমি যাব। ”

এ সময় তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমান ভাইয়ের যে আন্দোলন, সেই আন্দোলনের প্রতি আমার সংহতি রয়েছে। আমি মনে করি, তারেক রহমান ভাই যে আন্দোলন করছেন, এই আন্দোলন যৌক্তিক এবং তাঁর দল আমজনতার দলকে অবশ্যই নিবন্ধন দিতে হবে। ”

উল্লেখ্য, গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, চূড়ান্ত পর্যালোচনা শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দাবি-আপত্তি আসলে তা নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত নিবন্ধন দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এনসিপি: নাহিদ

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ০৪
সিদ্দিরগঞ্জে জুলাই শহীদ সালাহউদ্দীনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন নাহিদ ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিদ্দিরগঞ্জে জুলাই শহীদ সালাহউদ্দীনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন নাহিদ ইসলাম। ছবি: আজকের পত্রিকা

এককভাবেই জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তাদের লক্ষ্য ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়া।

আজ বুধবার সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকার জুলাই শহীদ সালাউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি যে আমরা এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং আমাদের ৩০০ আসনেই লক্ষ্য। তবে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখায় খালেদা জিয়ার সম্মানে আমরা ওই সব আসনে প্রার্থী দেব না। এ ছাড়া আমরা সব আসনেই শাপলা কলি মার্কার প্রার্থী দেব।’

ভোটারদের উদ্দেশে নাহিদ বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান করেছি যে যারা গডফাদারগিরি করে, তারাই নির্বাচনে দাঁড়ায়—এই সংস্কৃতিকে আমরা চ্যালেঞ্জ করতে চাই। একজন এলাকার সাধারণ মানুষ, গ্রহণযোগ্য মানুষ, যাকে মানুষ কাছে পাবে এবং শিক্ষকদের আমরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদে দেখতে চাই।’

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘এখন যেহেতু নির্বাচনী ঢাকঢোল বাজছে, এতে যেন আমরা আমাদের আহত এবং শহীদ ভাইদের ভুলে না যাই। তাহলে সালাউদ্দিন ভাইয়ের মতো আরও অনেকে মৃত্যুবরণ করবে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের যে স্বাস্থ্য সুবিধার কথা বলা হয়েছে, সেটাতেও অনেক অভিযোগ আছে।’

বক্তব্য শেষে নাহিদ ইসলাম গাজী সালাউদ্দিনের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল-আমীন, কেন্দ্রীয় সংগঠক শওকত আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য আহমেদুর রহমান তনু, জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি তুহিন খান প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পদত্যাগ করে ভোটে দাঁড়াবেন অ্যাটর্নি জেনারেল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪৬
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ফাইল ছবি
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ফাইল ছবি

পদ ছেড়ে দিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে প্রার্থী হবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

আজ বুধবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, 'আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি ভোট করব, আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে যেয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে তখন করব।'

এরপর তাহলে কে এই দায়িত্বে আসবেন এমন প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘বাংলাদেশ যাকে মনে করে।’

বিএনপির মনোনয়ন পাচ্ছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমি আশাবাদী।’

গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত