নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘সুশীল সমাজের একাংশ মানুষের মধ্যে কনফিউশন তৈরি করার চেষ্টা করছে’— বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও নির্বাচন উপলক্ষে দলের মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আজ শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের মিডিয়া সেলের অফিসে অয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, একদল রাজনীতিবিদ যারা ভোট বর্জনের রাজনীতি করছে, সুশীল সমাজের একাংশ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের গুজববাজ অপপ্রচারকারীরা মানুষের মধ্যে কনফিউশন তৈরি করার জন্য, ভিন্ন খাতে দেখানোর জন্য অপপ্রচারগুলো করার চেষ্টা করছে।
আরাফাত বলেন, ‘প্রতিটি হামলার ক্ষেত্রে যখনই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, যখনই কেউ ধরা পড়ছে পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে, হয় সে স্বেচ্ছাসেবক দলের, হয় ছাত্রদল, নাহয় যুবদল, না হলে বিএনপির কোনো না কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মী। তারা অনেকেই ধরা পড়ার পরে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিচ্ছে।’
ট্রেনে আগুনের বিষয়ে আরাফাত বলেন, ‘নির্বাচন এলেই বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন বিমুখ চিত্র কীভাবে প্রকাশ হয়ে পড়ে। গণতন্ত্রের ধারার বাইরে গিয়ে তারা আবারও ২০১৪-১৫-এর মতো পথ বেছে নিয়েছে। গতকাল শুক্রবার যশোর থেকে আসা বেনাপোল এক্সপ্রেসে নাশকতার যে আগুন জ্বলেছে—মা ও শিশুসন্তানসহ চার-চারটি তাজা প্রাণ ঝরে গেছে। আরও কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন; যাঁদের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক জ্ঞাপন করছি, আহতদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘গতকাল ও আজকে বিএনপি-জামায়াত দেশের ২০টিরও বেশি ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। রাজবাড়ীর একটি স্কুলে পাহারায় থাকা গ্রাম পুলিশের এক সদস্যকেও তারা হত্যা করেছে। রামুতে রাখাইন মন্দিরে আগুন দিয়েছে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন। ডেমরা ও কুমিল্লায় দুটি বাসে আগুন দিয়েছে তারা। ভোলাতে বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর ও হামলা করেছে। এই চিত্র শুধু গত দুই দিনের। নির্বাচনের বিরোধিতা ও সন্ত্রাসের ইতিহাস বিএনপির ডিএনএতেই আছে।’
আরাফাত বলেন, ‘পরিতাপের বিষয় হলো এই, নাশকতা তারা যে করছে এবং মানুষকে হত্যা করছে; কিন্তু তাদের সঙ্গে তাদেরই পার্টনার ইন ক্রাইম একদল মানুষ তারা এক্স, ফেসবুক ও টেলিভিশন টক শোতে এবং অনলাইন বিভিন্ন মাধ্যমে অসত্যভাবে অপপ্রচার করে সবগুলো দোষ সরকারের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করে। মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি করার চেষ্টা করে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের বিষয়ে আরাফাত বলেন, ‘পুলিশে তরফ থেকে কিছুদিন আগে ডিজি হেলথের কাছে লেখা হয়েছিল হসপিটালগুলো বিশেষভাবে সুরক্ষিত রাখার জন্য। বিএনপি যখনই কোনো কর্মসূচি দেয়, এর আগের দিন রাত্রিবেলা থেকেই শুরু হয়ে যায় নাশকতার এসব ঘটনা। পুলিশ সেকেন্ড লাইন অব ডিফেন্স হিসেবে মাথায় রাখে, যেখানে চোরাগোপ্তা হামলা যেহেতু করে—সেখানে আহতদের তাড়াতাড়ি যেন স্বাস্থ্যসেবাটা দেওয়া যায়। সেই চিঠিকে তারা সামনে এনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করেছে যে পুলিশ আগে থেকে কীভাবে জানল? আমরা তো বলি এটা সারা বাংলাদেশের মানুষ জানে। আজকে হরতাল দিয়েছে বিএনপি রাত থেকেই শুরু অগ্নিসন্ত্রাস শুরু হয়ে যাবে।’
আওয়ামী লীগের এ নেতা আরও বলেন, ‘বিএনপি ভোট বর্জনের রাজনীতি করছে। তারা বলছে মানুষ যেন ভোট দিতে না যায়। এখন তারা ভোট বর্জন করছে, তাদের যদি সে আস্থা থাকে মানুষ ভোট দেবে না—তাদের তো লিফটের বিতরণ করার প্রয়োজন নাই। ভোটের দিনে তাদের তো হরতাল দেওয়ার প্রয়োজন নাই। মানুষ তো এমনিই ভোট বর্জন করবে, তাদের কথা অনুযায়ী। তার মানে তারা নিজেরাও বিশ্বাস করে না যে মানুষ ভোট বর্জন করবে। যেহেতু তারা এটা বিশ্বাস করে না, সে জন্য তারা প্রথমে লিফলেট বিতরণ করেছে। এরপর তারা হরতালের ডাক দিয়েছে। নতুন করে নাশকতা করার মাধ্যমে, মানুষকে পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। হুমকি দিচ্ছে যেন মানুষ ভোট দিতে না আসে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, উপপ্রচার সম্পাদক আবদুল আউয়াল শামীম, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, গোলাম রব্বানী চিনু।
‘সুশীল সমাজের একাংশ মানুষের মধ্যে কনফিউশন তৈরি করার চেষ্টা করছে’— বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও নির্বাচন উপলক্ষে দলের মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আজ শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের মিডিয়া সেলের অফিসে অয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, একদল রাজনীতিবিদ যারা ভোট বর্জনের রাজনীতি করছে, সুশীল সমাজের একাংশ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের গুজববাজ অপপ্রচারকারীরা মানুষের মধ্যে কনফিউশন তৈরি করার জন্য, ভিন্ন খাতে দেখানোর জন্য অপপ্রচারগুলো করার চেষ্টা করছে।
আরাফাত বলেন, ‘প্রতিটি হামলার ক্ষেত্রে যখনই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, যখনই কেউ ধরা পড়ছে পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে, হয় সে স্বেচ্ছাসেবক দলের, হয় ছাত্রদল, নাহয় যুবদল, না হলে বিএনপির কোনো না কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মী। তারা অনেকেই ধরা পড়ার পরে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিচ্ছে।’
ট্রেনে আগুনের বিষয়ে আরাফাত বলেন, ‘নির্বাচন এলেই বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন বিমুখ চিত্র কীভাবে প্রকাশ হয়ে পড়ে। গণতন্ত্রের ধারার বাইরে গিয়ে তারা আবারও ২০১৪-১৫-এর মতো পথ বেছে নিয়েছে। গতকাল শুক্রবার যশোর থেকে আসা বেনাপোল এক্সপ্রেসে নাশকতার যে আগুন জ্বলেছে—মা ও শিশুসন্তানসহ চার-চারটি তাজা প্রাণ ঝরে গেছে। আরও কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন; যাঁদের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক জ্ঞাপন করছি, আহতদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘গতকাল ও আজকে বিএনপি-জামায়াত দেশের ২০টিরও বেশি ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। রাজবাড়ীর একটি স্কুলে পাহারায় থাকা গ্রাম পুলিশের এক সদস্যকেও তারা হত্যা করেছে। রামুতে রাখাইন মন্দিরে আগুন দিয়েছে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন। ডেমরা ও কুমিল্লায় দুটি বাসে আগুন দিয়েছে তারা। ভোলাতে বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর ও হামলা করেছে। এই চিত্র শুধু গত দুই দিনের। নির্বাচনের বিরোধিতা ও সন্ত্রাসের ইতিহাস বিএনপির ডিএনএতেই আছে।’
আরাফাত বলেন, ‘পরিতাপের বিষয় হলো এই, নাশকতা তারা যে করছে এবং মানুষকে হত্যা করছে; কিন্তু তাদের সঙ্গে তাদেরই পার্টনার ইন ক্রাইম একদল মানুষ তারা এক্স, ফেসবুক ও টেলিভিশন টক শোতে এবং অনলাইন বিভিন্ন মাধ্যমে অসত্যভাবে অপপ্রচার করে সবগুলো দোষ সরকারের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করে। মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি করার চেষ্টা করে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের বিষয়ে আরাফাত বলেন, ‘পুলিশে তরফ থেকে কিছুদিন আগে ডিজি হেলথের কাছে লেখা হয়েছিল হসপিটালগুলো বিশেষভাবে সুরক্ষিত রাখার জন্য। বিএনপি যখনই কোনো কর্মসূচি দেয়, এর আগের দিন রাত্রিবেলা থেকেই শুরু হয়ে যায় নাশকতার এসব ঘটনা। পুলিশ সেকেন্ড লাইন অব ডিফেন্স হিসেবে মাথায় রাখে, যেখানে চোরাগোপ্তা হামলা যেহেতু করে—সেখানে আহতদের তাড়াতাড়ি যেন স্বাস্থ্যসেবাটা দেওয়া যায়। সেই চিঠিকে তারা সামনে এনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করেছে যে পুলিশ আগে থেকে কীভাবে জানল? আমরা তো বলি এটা সারা বাংলাদেশের মানুষ জানে। আজকে হরতাল দিয়েছে বিএনপি রাত থেকেই শুরু অগ্নিসন্ত্রাস শুরু হয়ে যাবে।’
আওয়ামী লীগের এ নেতা আরও বলেন, ‘বিএনপি ভোট বর্জনের রাজনীতি করছে। তারা বলছে মানুষ যেন ভোট দিতে না যায়। এখন তারা ভোট বর্জন করছে, তাদের যদি সে আস্থা থাকে মানুষ ভোট দেবে না—তাদের তো লিফটের বিতরণ করার প্রয়োজন নাই। ভোটের দিনে তাদের তো হরতাল দেওয়ার প্রয়োজন নাই। মানুষ তো এমনিই ভোট বর্জন করবে, তাদের কথা অনুযায়ী। তার মানে তারা নিজেরাও বিশ্বাস করে না যে মানুষ ভোট বর্জন করবে। যেহেতু তারা এটা বিশ্বাস করে না, সে জন্য তারা প্রথমে লিফলেট বিতরণ করেছে। এরপর তারা হরতালের ডাক দিয়েছে। নতুন করে নাশকতা করার মাধ্যমে, মানুষকে পুড়িয়ে ফেলার মাধ্যমে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। হুমকি দিচ্ছে যেন মানুষ ভোট দিতে না আসে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, উপপ্রচার সম্পাদক আবদুল আউয়াল শামীম, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, গোলাম রব্বানী চিনু।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা নন। স্বাধীনতা অর্জনে তাঁর ভূমিকা ও ত্যাগ আমরা স্বীকার করি। তবে তাঁর শাসনামলে ঘটে যাওয়া জাতীয় ট্র্যাজেডির কথাও আমরা স্মরণ করি। শেখ মুজিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ভারতের একটি শাখা রাজ্যে পরিণত হয়। ১৯৭২ সালের জনবিরোধী সংবিধান চাপিয়ে দেওয়া হয়।
১৫ ঘণ্টা আগেহারুনুর রশীদ বলেন, ‘আজকে দেশে বিনিয়োগ নাই। কর্মসংস্থান নাই। জনপ্রতিনিধি নাই। স্বাভাবিকভাবেই দেশের মানুষ নানা সংকটে আছে। যে শক্তিগুলো বিভিন্ন রকমের অছিলা করে নির্বাচনকে বানচাল ও শর্ত দিয়ে বিলম্ব করতে চায়, আমি মনে করি তারা দেশের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে আমরা লড়াই করেছি।
১৭ ঘণ্টা আগেনির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, ‘এখনো গণতন্ত্র নাগালের বাইরে। আমরা চাই বিশ্বাস করতে যে নির্বাচন হবে, তবে ভোট গণনার আগে পর্যন্ত তা নিয়ে শঙ্কা থেকে যায়।’
২০ ঘণ্টা আগেচিকিৎসার জন্য লন্ডন গেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আছেন স্ত্রী বিলকিস আখতার হোসেন ও ছোট ছেলে খন্দকার মারুফ হোসেন।
২১ ঘণ্টা আগে