নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের উপযোগী কমিশন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে অতি দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে গণফোরাম। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে আর কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। তবে সংবিধানসহ রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত কমিশনগুলোর বিষয়ে বাহাত্তরের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের দলটি লিখিত প্রস্তাব দেবে।
প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় বেলা ৩টা শুরু হওয়া সংলাপ শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান গণফোরামের সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান মোস্তফা মহসীন মন্টু। তাঁর নেতৃত্বে গণফোরামের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেন।
সংলাপে নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে কীনা এমন প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, ‘আমরা কোনো তারিখ উল্লেখ করেনি; বলেছি, সংস্কার শেষ অতিদ্রুত নির্বাচন দেওয়ার জন্য। তবে সংস্কার শেষ না হলে সব একই হবে, ‘নির্বাচনের আগে থাকি রাম, নির্বাচনের পরে হই রাবণ’। ওই ধরনের নির্বাচন কমিশন চাই না। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কমিশন চাই।’
সংবিধান সংশোধনের জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুয়েকদিনের মধ্যে আলোচনা করে লিখিত আকারে দেব।
৭ মার্চ ও ১৫ আগস্টসহ আটটি জাতীয় দিবস বাতিল করার সরকারের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, ‘জাতীয় দিবস ছাড়া কোনো দিবসই রাখা উচিত না।’
সংবিধান, বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ড. কামাল হোসেন কথা বলেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাজারে পরিস্থিতি নিয়ে জোর দিয়েছি। সিন্ডিকেটকে অবশ্যই ভাঙতে হবে।’
তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার ও তাদের বিদেশি এজেন্টরা বাংলাদেশটাকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। এর থেকে দেশকে উদ্ধারের জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, ‘গণফোরাম অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। সবাইকে একমত হয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। এ সরকার জনগণের সরকার। এ সরকারকে রক্ষার স্বার্থে অর্থাৎ আমাদের নিজেদের রক্ষার স্বার্থে ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে।’
ড. কামাল হোসেন ছাড়াও প্রতিনিধি দলে ছিলেন গণফোরামের সমন্বয় কমিটির কো-চেয়ারম্যান এস এম আলতাফ হোসেন, সুব্রত চৌধুরী, সদস্যসচিব মিজানুর রহমান, সদস্য একেএম জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিউদ্দিন আবদুল কাদের, মোশতাক আহমেদ ও সুরাইয়া বেগম।
গণফোরাম নেতা মিজানুর রহমান বলেন, ‘সংলাপ ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা নির্বাচন ব্যবস্থা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন সংস্কারসহ বেশ কিছু ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছি। সরকার সেটা ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করেছে।
মোস্তফা মহসীন মন্টু আরও বলেন, আমরা সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করব। তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) যেকোনো বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা চাইবেন। আমরা যেটা উপলব্ধি করব, সেটাই পরামর্শ দেব। জনগণের জন্য দরজা খোলা আছে বলে প্রধান উপদেষ্টা আমাদের বলেছেন।
গণফোরামের এই নেতা বলেন, পাচার হয়ে যাওয়া লক্ষ কোটি টাকা ফেরত আনতে হবে। দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে। সেটা উত্তরণের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সেটা কোনো দলীয় চিন্তা চেতনা নয়, জাতীয় ঐকমত্যের চিন্তায় এগোতে হবে।
নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে জানিয়ে মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন কমিশন করতে হবে। এটার জন্য সার্চ কমিটি বা কিছু করার প্রয়োজন আছে, ভালো লোক নিয়োগ দেওয়ার দরকার আছে। যাতে অতীতের মত কোনো সমস্যা না হয়।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের উপযোগী কমিশন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে অতি দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে গণফোরাম। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে আর কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। তবে সংবিধানসহ রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত কমিশনগুলোর বিষয়ে বাহাত্তরের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের দলটি লিখিত প্রস্তাব দেবে।
প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় বেলা ৩টা শুরু হওয়া সংলাপ শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান গণফোরামের সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান মোস্তফা মহসীন মন্টু। তাঁর নেতৃত্বে গণফোরামের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেন।
সংলাপে নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে কীনা এমন প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, ‘আমরা কোনো তারিখ উল্লেখ করেনি; বলেছি, সংস্কার শেষ অতিদ্রুত নির্বাচন দেওয়ার জন্য। তবে সংস্কার শেষ না হলে সব একই হবে, ‘নির্বাচনের আগে থাকি রাম, নির্বাচনের পরে হই রাবণ’। ওই ধরনের নির্বাচন কমিশন চাই না। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কমিশন চাই।’
সংবিধান সংশোধনের জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুয়েকদিনের মধ্যে আলোচনা করে লিখিত আকারে দেব।
৭ মার্চ ও ১৫ আগস্টসহ আটটি জাতীয় দিবস বাতিল করার সরকারের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, ‘জাতীয় দিবস ছাড়া কোনো দিবসই রাখা উচিত না।’
সংবিধান, বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ড. কামাল হোসেন কথা বলেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাজারে পরিস্থিতি নিয়ে জোর দিয়েছি। সিন্ডিকেটকে অবশ্যই ভাঙতে হবে।’
তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার ও তাদের বিদেশি এজেন্টরা বাংলাদেশটাকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। এর থেকে দেশকে উদ্ধারের জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, ‘গণফোরাম অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। সবাইকে একমত হয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। এ সরকার জনগণের সরকার। এ সরকারকে রক্ষার স্বার্থে অর্থাৎ আমাদের নিজেদের রক্ষার স্বার্থে ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে।’
ড. কামাল হোসেন ছাড়াও প্রতিনিধি দলে ছিলেন গণফোরামের সমন্বয় কমিটির কো-চেয়ারম্যান এস এম আলতাফ হোসেন, সুব্রত চৌধুরী, সদস্যসচিব মিজানুর রহমান, সদস্য একেএম জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিউদ্দিন আবদুল কাদের, মোশতাক আহমেদ ও সুরাইয়া বেগম।
গণফোরাম নেতা মিজানুর রহমান বলেন, ‘সংলাপ ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা নির্বাচন ব্যবস্থা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন সংস্কারসহ বেশ কিছু ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছি। সরকার সেটা ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করেছে।
মোস্তফা মহসীন মন্টু আরও বলেন, আমরা সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করব। তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) যেকোনো বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা চাইবেন। আমরা যেটা উপলব্ধি করব, সেটাই পরামর্শ দেব। জনগণের জন্য দরজা খোলা আছে বলে প্রধান উপদেষ্টা আমাদের বলেছেন।
গণফোরামের এই নেতা বলেন, পাচার হয়ে যাওয়া লক্ষ কোটি টাকা ফেরত আনতে হবে। দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে। সেটা উত্তরণের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সেটা কোনো দলীয় চিন্তা চেতনা নয়, জাতীয় ঐকমত্যের চিন্তায় এগোতে হবে।
নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে জানিয়ে মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন কমিশন করতে হবে। এটার জন্য সার্চ কমিটি বা কিছু করার প্রয়োজন আছে, ভালো লোক নিয়োগ দেওয়ার দরকার আছে। যাতে অতীতের মত কোনো সমস্যা না হয়।
ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে দেখা করে রাষ্ট্র সংস্কার, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান তুলে ধরেছেন দলটির নেতারা। আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বিকেল ৫টা থেকে এক ঘণ্টার বৈঠক হয়...
৪ ঘণ্টা আগেভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে গুলশান-২ নম্বরে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে যান আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ দলটির কেন্দ্রীয় চার নেতা। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত...
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ইতিহাসে আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, অনেকে ভাবছে, একটি প্রতিপক্ষ তো আর মাঠে নেই, তাই আগামী নির্বাচন কী আর কঠিন হবে। তবে আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে।
৬ ঘণ্টা আগেগত বছরের অক্টোবরের তুলনায় বর্তমানে দেশের বড় দল বিএনপির জনপ্রিয়তা কমলেও বাড়ছে তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জনপ্রিয়তা। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা যায়, ২০২৪ সালের অক্টোবরে বিএনপির জনপ্রিয়তা ছিল ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ, গত জুলাইয়ে তা ১২ শতাংশে নেমেছে..
৮ ঘণ্টা আগে