নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ কেন ঘোষণা করা হচ্ছে না, সেই জায়গাটা এখনো স্পষ্ট নয়। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের তোপখানা রোডে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নির্বাচনের জায়গাটা সুনির্দিষ্ট হওয়া দরকার। এতে অনেক রকম আশঙ্কা, অনাস্থার জন্ম নিচ্ছে! ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই, আপনারা সকল দলের সঙ্গে আলোচনা করে যে সময়টাকে যথার্থ মনে করেন, সেই জায়গায় একটা সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দরকার। রোডম্যাপ কেন ঘোষণা করা হচ্ছে না, সেই জায়গাটা এখনো স্পষ্ট নয়। রোডম্যাপ নিয়ে স্পষ্ট জায়গা তৈরি করাই এখন সরকারের কর্তব্য।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘যে সমস্ত সংস্কার সংবিধান সম্মত নয়, তার অনেকগুলোই কিন্তু সরকার নির্বাহী আদেশ করতে পারে। সেই বিষয়গুলোতে সরকারের তেমন অগ্রগতি আমরা দেখিনি।’
সাকি বলেন, ‘জনগণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যে দলকে সমর্থন করবেন, সেই দলই আগামী দিনে দায়িত্বটা পাবে। ফলে রাষ্ট্র পরিচালনা বলেন, কী ধরনের রাষ্ট্র বা কোন ধরনের ব্যবস্থা এখানে প্রতিষ্ঠা হবে—সেটার ক্ষেত্রে জনগণের অংশগ্রহণের জায়গাটা খুবই জরুরি। ফলে নির্বাচনের একটা সুনির্দিষ্ট রোড ম্যাপ থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন নির্বাচনের একটা টাইমলাইন তারা (সরকার) ঘোষণা করেছে ডিসেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত। কিন্তু এখানে সুনির্দিষ্ট সময় নেই। ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন হলে একরকম প্রস্তুতি, জুন মাসে নির্বাচন হলে আরেক রকম প্রস্তুতি হবে। এখানে প্রস্তুতির পার্থক্য আছে। সুতরাং, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকেও প্রস্তুতিগত প্রশ্ন আছে।’ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা রাজনৈতিক অর্থনৈতিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটেও গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমাদের যে সমর্থন তা বর্তমান সরকার কাজে লাগাতে পারেনি। সরকারের সদিচ্ছাগত ঘাটতি নেই, আন্তরিকতারও ঘাটতি নেই। কিন্তু আমাদের কাছে মনে হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই তাদের অভিজ্ঞতা, দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার ঘাটতি লক্ষ করেছি। সেই কারণে গত কয়েক দিনে যে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার মুখোমুখি আমাদের দাঁড়াতে হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকারের প্রতি আমাদের সমর্থন আছে এবং আমরা তা পুনর্ব্যক্ত করতে চাই। এই সরকার ব্যর্থ হলে তার কিছু দায়ভার আমাদের ওপরেও পড়বে। চরিত্রের দিক থেকে তারা একটি দলনিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু আমরা যদি পেছনে তাকাই, সরকার সমস্ত ক্ষেত্রে তার এই দলনিরপেক্ষ চরিত্র-বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ন রাখতে পারছে না। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের দূরত্ব তৈরি হয়েছে।’
সাইফুল হক বলেন, ‘বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচনের বিষয়ে আমরা সুনির্দিষ্ট পথনকশা দেখতে চাই। সরকার যদি আগামী তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে, তাহলে বিদ্যমান সংকট থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারব।’
ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘জাতির ক্রান্তিকালে আমরা সব সময় জনগণের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব। ৫ আগস্টের পর আমরা নতুন করে বাংলাদেশ সাজানোর যে স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই স্বপ্নকে সামনে রেখেই আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দল বর্তমান সরকারকে সমর্থন দিয়েছি, আস্থা রেখেছি। ভবিষ্যতেও রাখতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করব, সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর যাতে কোনো দূরত্ব সৃষ্টি না হয়। জুলাই গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ—এই তিনটাই এখন দেশের জন্য সবচেয়ে জরুরি। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করব, আপনার কাজ আপনি করুন। সেনাবাহিনীকে বলব, সরকার আর দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর মধ্যে যাতে কোনো ভুল-বোঝাবুঝি সৃষ্টি না হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।
বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ কেন ঘোষণা করা হচ্ছে না, সেই জায়গাটা এখনো স্পষ্ট নয়। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের তোপখানা রোডে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নির্বাচনের জায়গাটা সুনির্দিষ্ট হওয়া দরকার। এতে অনেক রকম আশঙ্কা, অনাস্থার জন্ম নিচ্ছে! ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই, আপনারা সকল দলের সঙ্গে আলোচনা করে যে সময়টাকে যথার্থ মনে করেন, সেই জায়গায় একটা সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দরকার। রোডম্যাপ কেন ঘোষণা করা হচ্ছে না, সেই জায়গাটা এখনো স্পষ্ট নয়। রোডম্যাপ নিয়ে স্পষ্ট জায়গা তৈরি করাই এখন সরকারের কর্তব্য।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘যে সমস্ত সংস্কার সংবিধান সম্মত নয়, তার অনেকগুলোই কিন্তু সরকার নির্বাহী আদেশ করতে পারে। সেই বিষয়গুলোতে সরকারের তেমন অগ্রগতি আমরা দেখিনি।’
সাকি বলেন, ‘জনগণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যে দলকে সমর্থন করবেন, সেই দলই আগামী দিনে দায়িত্বটা পাবে। ফলে রাষ্ট্র পরিচালনা বলেন, কী ধরনের রাষ্ট্র বা কোন ধরনের ব্যবস্থা এখানে প্রতিষ্ঠা হবে—সেটার ক্ষেত্রে জনগণের অংশগ্রহণের জায়গাটা খুবই জরুরি। ফলে নির্বাচনের একটা সুনির্দিষ্ট রোড ম্যাপ থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন নির্বাচনের একটা টাইমলাইন তারা (সরকার) ঘোষণা করেছে ডিসেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত। কিন্তু এখানে সুনির্দিষ্ট সময় নেই। ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন হলে একরকম প্রস্তুতি, জুন মাসে নির্বাচন হলে আরেক রকম প্রস্তুতি হবে। এখানে প্রস্তুতির পার্থক্য আছে। সুতরাং, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকেও প্রস্তুতিগত প্রশ্ন আছে।’ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা রাজনৈতিক অর্থনৈতিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটেও গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমাদের যে সমর্থন তা বর্তমান সরকার কাজে লাগাতে পারেনি। সরকারের সদিচ্ছাগত ঘাটতি নেই, আন্তরিকতারও ঘাটতি নেই। কিন্তু আমাদের কাছে মনে হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই তাদের অভিজ্ঞতা, দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার ঘাটতি লক্ষ করেছি। সেই কারণে গত কয়েক দিনে যে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার মুখোমুখি আমাদের দাঁড়াতে হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকারের প্রতি আমাদের সমর্থন আছে এবং আমরা তা পুনর্ব্যক্ত করতে চাই। এই সরকার ব্যর্থ হলে তার কিছু দায়ভার আমাদের ওপরেও পড়বে। চরিত্রের দিক থেকে তারা একটি দলনিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু আমরা যদি পেছনে তাকাই, সরকার সমস্ত ক্ষেত্রে তার এই দলনিরপেক্ষ চরিত্র-বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ন রাখতে পারছে না। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের দূরত্ব তৈরি হয়েছে।’
সাইফুল হক বলেন, ‘বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচনের বিষয়ে আমরা সুনির্দিষ্ট পথনকশা দেখতে চাই। সরকার যদি আগামী তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে, তাহলে বিদ্যমান সংকট থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারব।’
ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান ও গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘জাতির ক্রান্তিকালে আমরা সব সময় জনগণের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব। ৫ আগস্টের পর আমরা নতুন করে বাংলাদেশ সাজানোর যে স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই স্বপ্নকে সামনে রেখেই আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দল বর্তমান সরকারকে সমর্থন দিয়েছি, আস্থা রেখেছি। ভবিষ্যতেও রাখতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করব, সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর যাতে কোনো দূরত্ব সৃষ্টি না হয়। জুলাই গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ—এই তিনটাই এখন দেশের জন্য সবচেয়ে জরুরি। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করব, আপনার কাজ আপনি করুন। সেনাবাহিনীকে বলব, সরকার আর দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর মধ্যে যাতে কোনো ভুল-বোঝাবুঝি সৃষ্টি না হয়।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ।
জাতীয় নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হলে রাজনৈতিক দলগুলো ও বিনিয়োগকারী উভয়ই প্রস্তুতি নিতে পারবে। আজ রোববার (২৫ মে) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিক
২ ঘণ্টা আগেআমিরে শরীয়ত মাওলানা আবু জাফর কাশেমী ও মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম নেতৃত্বাধীন কমিটি অনুমোদন দিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের একটি অংশ। আজ রোববার (২৫ মে) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে দলটির এই অংশের নেতারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে
৩ ঘণ্টা আগেদ্বিতীয় দফায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল-সংগঠনের নেতারা। আজ রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যার পর থেকে এই নেতারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে আসতে থাকেন।
৩ ঘণ্টা আগেতারেক রহমান বলেন, দেশের জনগণ সরকারের করুণার পাত্র নয়। সরকার অবশ্যই জনগণের ন্যায্য দাবি মানতে ও শুনতে বাধ্য। এখানে সরকারের মান-অভিমান কিংবা রাগ-বিরাগের কোনো সুযোগ নেই।
৪ ঘণ্টা আগে