Ajker Patrika

ভোটের আগেই সহিংসতা, বিব্রত ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভোটের আগেই সহিংসতা, বিব্রত ইসি

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ চলতি মাসেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে মনোনয়ন দাখিল ও অন্য কার্যক্রমও শেষ হয়েছে। ভোটের দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে পরিস্থিতি ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, বাড়ছে সহিংসতা। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও নিহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সহিংস এসব ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিব্রত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। 

আজ মঙ্গলবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের জাতীয় নির্বাচন ভবনে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

সিইসি বলেন, 'নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে সেটা ঠিক, আমরা সেটি প্রত্যক্ষ করেছি। নির্বাচনের ব্যাপারে মাঠপর্যায়ে কী ধরনের নির্দেশনা দেওয়া দরকার সেটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি। আমরা আশা করি আগামী ৪ নভেম্বর বিস্তারিত আলোচনা করব। অনেকগুলো ঘটনা ঘটে গেছে। যেগুলো নিয়ে আমরা বিব্রত। সেটা নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করে মাঠপর্যায়ে দিকনির্দেশনা দেব।' 
 
নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা কেন ঘটছে? মাঠপর্যায়ে কি কমিশনের নিয়ন্ত্রণ নেই? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, 'আমাদের নিয়ন্ত্রণ আছে। কিন্তু মাঠপর্যায়ে যদি সহনশীলতা না থাকে, তাহলে তো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। আমরা বারবার বলি নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে, প্রতিযোগিতামূলক হবে, কিন্তু প্রতিহিংসামূলক হবে না। আমরা আপনাদের মাধ্যমে জানাতে চাই, নির্বাচনে যে সহিংস ঘটনা ঘটছে, সেটা সকলের প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।' 
 
অপর এক প্রশ্নের জবাবে নুরুল হুদা বলেন, 'অভিযোগ এলেই আমরা ব্যবস্থা নেই। কিন্তু তাৎক্ষণিক কোনো ফৌজদারি ঘটনা ঘটলে, সেটা আমরা এখানে বসে কিছু করতে পারি না। এগুলো পূর্ব পরিকল্পিত হয় না বা প্রশাসন তা আগে থেকেই জানতে পারে না। ফৌজদারি ঘটনাগুলো ঘটলে তা মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আমাদের কঠোর নির্দেশনা আছে।' 
 
শরিয়তপুরে কয়েকজন প্রার্থীর স্বাক্ষর জাল করে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার অভিযোগের বিষয়ে সিইসি বলেন, 'এই বিষয়ে কমিশনের একজন যুগ্ম-সচিবকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদনটা পেলেই আমরা সঠিক যে অবস্থান সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেব। সাত দিনের মধ্যে আমরা এটি জানতে পারব।' 
 
রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পজেটিভলি দেখছেন কিনা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, 'আমরা খুব পজেটিভলি দেখছি না। দুঃখজনক হলেও সত্যি। এই সমস্ত বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় ভূমিকা থাকা দরকার। নির্বাচনের বিষয়টি শুধু নির্বাচন কমিশনের না, এটা সকলেরই। আমরা তার ব্যবস্থাপনায় থাকি শুধু। সুতরাং তারা আরও প্রো-অ্যাকটিভ যদি হয়, তাহলে এগুলো আরও কমে আসবে।'

নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, 'আমাদের একটাই বক্তব্য সেটা হলো নির্বাচনের যেই সমস্ত বিষয়গুলো আপনারা উল্লেখ করেছেন, যেই ধাপগুলো মূলত নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা। আপনাদের মাধ্যমে তাদের কাছে আমরা সোজা বার্তা দিতে চাই। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে পরে কিন্তু এর দায় তাদের ওপরেই বর্তাবে। আমরা তাদেরও জবাবদিহির আওতায় আনবো।' 

এ সময় নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব.), ইসি সচিব মো. হুমাযুন কবীর খোন্দকার, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর, আইডিইএ প্রকল্প-২ এর প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।  

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অপারেশন সিঁদুরে নিহত প্রায় দেড় শ সেনার তালিকা প্রকাশ করে মুছে ফেলল পাকিস্তানি টিভি

ঢাবিতে পাঁচ প্যানেলে ভোটের যুদ্ধ

দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এনসিপির মাহিন সরকারকে বহিষ্কার

যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকারকে বহিষ্কারের কারণ জানাল এনসিপি

আদালতে আসামির স্বীকারোক্তি—১০ লাখ টাকা লোন দেয়নি বলে ব্যাংকে চুরির সিদ্ধান্ত নিই

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত