নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালা পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয়, ভবিষ্যতে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নিয়োগের অযৌক্তিক প্রচেষ্টা রয়েছে। এ ছাড়া সংবিধান ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো পর্যালোচনা করলে প্রতীয়মান হয়, রাজনীতিবিদরা অপাঙ্ক্তেয় এবং অনির্বাচিত লোকদের দিয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি করাই শ্রেয়।
আজ শনিবার বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। এই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের জনগণ অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ-উত্তর রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে নানা প্রস্তাব উঠে এসেছে সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের মাধ্যমে। তবে এর মূল ভিত্তি রচনা করেছে বিএনপি প্রস্তাবিত ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গণতান্ত্রিক সংস্কার কর্মসূচি, যা ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই উপস্থাপিত হয়েছিল।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতান্ত্রিক শক্তির অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃহত্তর ঐক্যের মাধ্যমে সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী, এসব প্রস্তাবের সাংবিধানিক ও আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য একটি নির্বাচিত সংসদই উপযুক্ত ফোরাম। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যই দেশকে এগিয়ে নেওয়ার মূল চালিকাশক্তি। এই ঐক্য অক্ষুণ্ন রেখে রাষ্ট্র পরিচালনার বিকল্প নেই।’
মির্জা ফখরুল সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘আমরা এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারি না, যা ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য ও গণঐক্যে ফাটল ধরাবে। সুতরাং, অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার অবস্থান বজায় রাখতে হবে। কোনো পক্ষ যেন রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে না পারে, সে বিষয়ে সরকারকে সজাগ থাকতে হবে।’
বর্তমানে আলোচিত বিষয় ‘সংস্কার আগে না নির্বাচন আগে’—এই বিতর্ককে ‘অনাবশ্যক’ উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার ও নির্বাচন—দুটোই একসঙ্গে চলতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি ‘সংস্কার সনদ’ প্রণয়ন করা যেতে পারে, যা নির্বাচিত সরকার বাস্তবায়ন করবে।’
তিনি বলেন, ‘এখন অন্তর্বর্তী সরকারের করণীয় হলো, প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে দ্রুত একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।’
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টার রাজনৈতিক দল গঠনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার কারণে জনমনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনকে ব্যবহার করার লক্ষণ ও প্রমাণ ক্রমেই প্রকাশ পাচ্ছে, যা গণতন্ত্রের জন্য সুখকর নয়।’
বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ও সুপারিশমালা নিয়ে দলীয় পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পাঠানোর স্প্রেডশিটে যে অপশন বা পছন্দগুলোর ঘরে টিক চিহ্ন দিতে বলা হয়েছে, তাতে একটি বিষয় প্রতিভাত হয়েছে যে, যে বিষয়গুলো প্রস্তাব আকারে আসতে পারত তা প্রস্তাব না রেখে লিডিং কোশ্চেন আকারে হ্যাঁ, না, উত্তর দিতে বলা হয়েছে। যেমন—প্রস্তাবগুলো গণপরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন চাই কি না। হ্যাঁ অথবা না বলুন। কিন্তু প্রথমে সিদ্ধান্ত আসতে হবে যে, গণপরিষদের প্রস্তাবে আমরা একমত কি না। একইভাবে ‘গণভোট’, ‘গণপরিষদ ও আইন সভা’ হিসেবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন চাই কি না ইত্যাদি হ্যাঁ/না বলুন।
সংবিধানের ‘প্রস্তাবনার’ (Preamble) মতো অতিগুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংস্কার কমিশনের সুপারিশে থাকলেও তা স্প্রেডশিটে উল্লেখ করা হয়নি। স্প্রেডশিটে ৭০টির মতো প্রস্তাব উল্লেখ করা হলেও মূল প্রতিবেদনে সুপারিশের সংখ্যা ১২৩টির মতো।
একইভাবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের মূল প্রতিবেদনে ১৫০টির মতো সুপারিশ তুলে ধরা হলেও স্প্রেডশিটে মাত্র ২৭টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে অধিকাংশই সংবিধান সংস্কারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাই আমরা মনে করছি, স্প্রেডশিটের সঙ্গে মূল সুপারিশমালার ওপর আমাদের মতামত সংযুক্ত করে দিলে বিভ্রান্তি এড়ানো যাবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের স্প্রেডশিটের অবস্থা এবং কমিশন সদস্যদের বিভিন্ন সময়ের বক্তব্য ও বিশেষ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের বক্তব্য-বিবৃতির মধ্যে মিল পাওয়া যায়, যাতে জনমনে প্রশ্নের জন্ম হতে পারে যে, সব বিষয় যেন একটি পূর্বনির্ধারিত কর্মপরিকল্পনার অংশ, যা গণতন্ত্রের স্বার্থের পক্ষে কি না, বলা মুশকিল। সুপারিশমালাসমূহ পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, এতে ভবিষ্যতে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নিয়োগের অযৌক্তিক প্রচেষ্টা রয়েছে, যা অনভিপ্রেত।
সুপারিশমালায় সাংবিধানিক কমিশনসহ (এনসিসি) নতুন নতুন বিভিন্ন কমিশনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ সমস্ত কমিশনের এখতিয়ার, কর্মকাণ্ডের যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, তাতে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, আইন বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগকে যতটা সম্ভব আন্ডারমাইন করা এবং ক্ষমতাহীন করাই উদ্দেশ্য, যার ফলে একটি দুর্বল ও প্রায় অকার্যকর সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।
রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক চরিত্র, জনগণের মালিকানার প্রতিফলন হয় নির্বাচিত সংসদ ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে। কিন্তু সংবিধান ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো পর্যালোচনা করলে প্রতীয়মান হয় যে, রাজনীতিবিদরা অপাঙ্ক্তেয় এবং অনির্বাচিত লোকদের দিয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি করাই শ্রেয়।
বিএনপি মহাসচিবের মতে, জনগণের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি এবং ধর্মবোধ এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়েই বিভিন্ন সংস্কার ও সাংবিধানিক সংশোধনী প্রণীত হওয়া বাঞ্ছনীয়।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য ধরে রেখে, দীর্ঘ ১৬ বছরের আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের স্বপ্ন অনুযায়ী একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাই বর্তমান সময়ের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’

অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালা পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয়, ভবিষ্যতে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নিয়োগের অযৌক্তিক প্রচেষ্টা রয়েছে। এ ছাড়া সংবিধান ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো পর্যালোচনা করলে প্রতীয়মান হয়, রাজনীতিবিদরা অপাঙ্ক্তেয় এবং অনির্বাচিত লোকদের দিয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি করাই শ্রেয়।
আজ শনিবার বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। এই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের জনগণ অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ-উত্তর রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে নানা প্রস্তাব উঠে এসেছে সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের মাধ্যমে। তবে এর মূল ভিত্তি রচনা করেছে বিএনপি প্রস্তাবিত ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গণতান্ত্রিক সংস্কার কর্মসূচি, যা ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই উপস্থাপিত হয়েছিল।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতান্ত্রিক শক্তির অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃহত্তর ঐক্যের মাধ্যমে সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী, এসব প্রস্তাবের সাংবিধানিক ও আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য একটি নির্বাচিত সংসদই উপযুক্ত ফোরাম। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যই দেশকে এগিয়ে নেওয়ার মূল চালিকাশক্তি। এই ঐক্য অক্ষুণ্ন রেখে রাষ্ট্র পরিচালনার বিকল্প নেই।’
মির্জা ফখরুল সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘আমরা এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারি না, যা ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য ও গণঐক্যে ফাটল ধরাবে। সুতরাং, অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার অবস্থান বজায় রাখতে হবে। কোনো পক্ষ যেন রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে না পারে, সে বিষয়ে সরকারকে সজাগ থাকতে হবে।’
বর্তমানে আলোচিত বিষয় ‘সংস্কার আগে না নির্বাচন আগে’—এই বিতর্ককে ‘অনাবশ্যক’ উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার ও নির্বাচন—দুটোই একসঙ্গে চলতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি ‘সংস্কার সনদ’ প্রণয়ন করা যেতে পারে, যা নির্বাচিত সরকার বাস্তবায়ন করবে।’
তিনি বলেন, ‘এখন অন্তর্বর্তী সরকারের করণীয় হলো, প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে দ্রুত একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।’
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টার রাজনৈতিক দল গঠনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার কারণে জনমনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনকে ব্যবহার করার লক্ষণ ও প্রমাণ ক্রমেই প্রকাশ পাচ্ছে, যা গণতন্ত্রের জন্য সুখকর নয়।’
বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ও সুপারিশমালা নিয়ে দলীয় পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পাঠানোর স্প্রেডশিটে যে অপশন বা পছন্দগুলোর ঘরে টিক চিহ্ন দিতে বলা হয়েছে, তাতে একটি বিষয় প্রতিভাত হয়েছে যে, যে বিষয়গুলো প্রস্তাব আকারে আসতে পারত তা প্রস্তাব না রেখে লিডিং কোশ্চেন আকারে হ্যাঁ, না, উত্তর দিতে বলা হয়েছে। যেমন—প্রস্তাবগুলো গণপরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন চাই কি না। হ্যাঁ অথবা না বলুন। কিন্তু প্রথমে সিদ্ধান্ত আসতে হবে যে, গণপরিষদের প্রস্তাবে আমরা একমত কি না। একইভাবে ‘গণভোট’, ‘গণপরিষদ ও আইন সভা’ হিসেবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন চাই কি না ইত্যাদি হ্যাঁ/না বলুন।
সংবিধানের ‘প্রস্তাবনার’ (Preamble) মতো অতিগুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংস্কার কমিশনের সুপারিশে থাকলেও তা স্প্রেডশিটে উল্লেখ করা হয়নি। স্প্রেডশিটে ৭০টির মতো প্রস্তাব উল্লেখ করা হলেও মূল প্রতিবেদনে সুপারিশের সংখ্যা ১২৩টির মতো।
একইভাবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের মূল প্রতিবেদনে ১৫০টির মতো সুপারিশ তুলে ধরা হলেও স্প্রেডশিটে মাত্র ২৭টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে অধিকাংশই সংবিধান সংস্কারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাই আমরা মনে করছি, স্প্রেডশিটের সঙ্গে মূল সুপারিশমালার ওপর আমাদের মতামত সংযুক্ত করে দিলে বিভ্রান্তি এড়ানো যাবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের স্প্রেডশিটের অবস্থা এবং কমিশন সদস্যদের বিভিন্ন সময়ের বক্তব্য ও বিশেষ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের বক্তব্য-বিবৃতির মধ্যে মিল পাওয়া যায়, যাতে জনমনে প্রশ্নের জন্ম হতে পারে যে, সব বিষয় যেন একটি পূর্বনির্ধারিত কর্মপরিকল্পনার অংশ, যা গণতন্ত্রের স্বার্থের পক্ষে কি না, বলা মুশকিল। সুপারিশমালাসমূহ পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, এতে ভবিষ্যতে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নিয়োগের অযৌক্তিক প্রচেষ্টা রয়েছে, যা অনভিপ্রেত।
সুপারিশমালায় সাংবিধানিক কমিশনসহ (এনসিসি) নতুন নতুন বিভিন্ন কমিশনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ সমস্ত কমিশনের এখতিয়ার, কর্মকাণ্ডের যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, তাতে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, আইন বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগকে যতটা সম্ভব আন্ডারমাইন করা এবং ক্ষমতাহীন করাই উদ্দেশ্য, যার ফলে একটি দুর্বল ও প্রায় অকার্যকর সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।
রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক চরিত্র, জনগণের মালিকানার প্রতিফলন হয় নির্বাচিত সংসদ ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে। কিন্তু সংবিধান ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো পর্যালোচনা করলে প্রতীয়মান হয় যে, রাজনীতিবিদরা অপাঙ্ক্তেয় এবং অনির্বাচিত লোকদের দিয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি করাই শ্রেয়।
বিএনপি মহাসচিবের মতে, জনগণের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি এবং ধর্মবোধ এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়েই বিভিন্ন সংস্কার ও সাংবিধানিক সংশোধনী প্রণীত হওয়া বাঞ্ছনীয়।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য ধরে রেখে, দীর্ঘ ১৬ বছরের আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের স্বপ্ন অনুযায়ী একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাই বর্তমান সময়ের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালা পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয়, ভবিষ্যতে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নিয়োগের অযৌক্তিক প্রচেষ্টা রয়েছে। এ ছাড়া সংবিধান ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো পর্যালোচনা করলে প্রতীয়মান হয়, রাজনীতিবিদরা অপাঙ্ক্তেয় এবং অনির্বাচিত লোকদের দিয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি করাই শ্রেয়।
আজ শনিবার বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। এই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের জনগণ অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ-উত্তর রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে নানা প্রস্তাব উঠে এসেছে সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের মাধ্যমে। তবে এর মূল ভিত্তি রচনা করেছে বিএনপি প্রস্তাবিত ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গণতান্ত্রিক সংস্কার কর্মসূচি, যা ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই উপস্থাপিত হয়েছিল।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতান্ত্রিক শক্তির অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃহত্তর ঐক্যের মাধ্যমে সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী, এসব প্রস্তাবের সাংবিধানিক ও আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য একটি নির্বাচিত সংসদই উপযুক্ত ফোরাম। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যই দেশকে এগিয়ে নেওয়ার মূল চালিকাশক্তি। এই ঐক্য অক্ষুণ্ন রেখে রাষ্ট্র পরিচালনার বিকল্প নেই।’
মির্জা ফখরুল সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘আমরা এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারি না, যা ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য ও গণঐক্যে ফাটল ধরাবে। সুতরাং, অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার অবস্থান বজায় রাখতে হবে। কোনো পক্ষ যেন রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে না পারে, সে বিষয়ে সরকারকে সজাগ থাকতে হবে।’
বর্তমানে আলোচিত বিষয় ‘সংস্কার আগে না নির্বাচন আগে’—এই বিতর্ককে ‘অনাবশ্যক’ উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার ও নির্বাচন—দুটোই একসঙ্গে চলতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি ‘সংস্কার সনদ’ প্রণয়ন করা যেতে পারে, যা নির্বাচিত সরকার বাস্তবায়ন করবে।’
তিনি বলেন, ‘এখন অন্তর্বর্তী সরকারের করণীয় হলো, প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে দ্রুত একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।’
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টার রাজনৈতিক দল গঠনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার কারণে জনমনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনকে ব্যবহার করার লক্ষণ ও প্রমাণ ক্রমেই প্রকাশ পাচ্ছে, যা গণতন্ত্রের জন্য সুখকর নয়।’
বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ও সুপারিশমালা নিয়ে দলীয় পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পাঠানোর স্প্রেডশিটে যে অপশন বা পছন্দগুলোর ঘরে টিক চিহ্ন দিতে বলা হয়েছে, তাতে একটি বিষয় প্রতিভাত হয়েছে যে, যে বিষয়গুলো প্রস্তাব আকারে আসতে পারত তা প্রস্তাব না রেখে লিডিং কোশ্চেন আকারে হ্যাঁ, না, উত্তর দিতে বলা হয়েছে। যেমন—প্রস্তাবগুলো গণপরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন চাই কি না। হ্যাঁ অথবা না বলুন। কিন্তু প্রথমে সিদ্ধান্ত আসতে হবে যে, গণপরিষদের প্রস্তাবে আমরা একমত কি না। একইভাবে ‘গণভোট’, ‘গণপরিষদ ও আইন সভা’ হিসেবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন চাই কি না ইত্যাদি হ্যাঁ/না বলুন।
সংবিধানের ‘প্রস্তাবনার’ (Preamble) মতো অতিগুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংস্কার কমিশনের সুপারিশে থাকলেও তা স্প্রেডশিটে উল্লেখ করা হয়নি। স্প্রেডশিটে ৭০টির মতো প্রস্তাব উল্লেখ করা হলেও মূল প্রতিবেদনে সুপারিশের সংখ্যা ১২৩টির মতো।
একইভাবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের মূল প্রতিবেদনে ১৫০টির মতো সুপারিশ তুলে ধরা হলেও স্প্রেডশিটে মাত্র ২৭টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে অধিকাংশই সংবিধান সংস্কারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাই আমরা মনে করছি, স্প্রেডশিটের সঙ্গে মূল সুপারিশমালার ওপর আমাদের মতামত সংযুক্ত করে দিলে বিভ্রান্তি এড়ানো যাবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের স্প্রেডশিটের অবস্থা এবং কমিশন সদস্যদের বিভিন্ন সময়ের বক্তব্য ও বিশেষ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের বক্তব্য-বিবৃতির মধ্যে মিল পাওয়া যায়, যাতে জনমনে প্রশ্নের জন্ম হতে পারে যে, সব বিষয় যেন একটি পূর্বনির্ধারিত কর্মপরিকল্পনার অংশ, যা গণতন্ত্রের স্বার্থের পক্ষে কি না, বলা মুশকিল। সুপারিশমালাসমূহ পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, এতে ভবিষ্যতে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নিয়োগের অযৌক্তিক প্রচেষ্টা রয়েছে, যা অনভিপ্রেত।
সুপারিশমালায় সাংবিধানিক কমিশনসহ (এনসিসি) নতুন নতুন বিভিন্ন কমিশনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ সমস্ত কমিশনের এখতিয়ার, কর্মকাণ্ডের যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, তাতে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, আইন বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগকে যতটা সম্ভব আন্ডারমাইন করা এবং ক্ষমতাহীন করাই উদ্দেশ্য, যার ফলে একটি দুর্বল ও প্রায় অকার্যকর সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।
রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক চরিত্র, জনগণের মালিকানার প্রতিফলন হয় নির্বাচিত সংসদ ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে। কিন্তু সংবিধান ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো পর্যালোচনা করলে প্রতীয়মান হয় যে, রাজনীতিবিদরা অপাঙ্ক্তেয় এবং অনির্বাচিত লোকদের দিয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি করাই শ্রেয়।
বিএনপি মহাসচিবের মতে, জনগণের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি এবং ধর্মবোধ এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়েই বিভিন্ন সংস্কার ও সাংবিধানিক সংশোধনী প্রণীত হওয়া বাঞ্ছনীয়।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য ধরে রেখে, দীর্ঘ ১৬ বছরের আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের স্বপ্ন অনুযায়ী একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাই বর্তমান সময়ের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’

অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালা পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয়, ভবিষ্যতে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নিয়োগের অযৌক্তিক প্রচেষ্টা রয়েছে। এ ছাড়া সংবিধান ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো পর্যালোচনা করলে প্রতীয়মান হয়, রাজনীতিবিদরা অপাঙ্ক্তেয় এবং অনির্বাচিত লোকদের দিয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি করাই শ্রেয়।
আজ শনিবার বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। এই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের জনগণ অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ-উত্তর রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে নানা প্রস্তাব উঠে এসেছে সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের মাধ্যমে। তবে এর মূল ভিত্তি রচনা করেছে বিএনপি প্রস্তাবিত ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গণতান্ত্রিক সংস্কার কর্মসূচি, যা ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই উপস্থাপিত হয়েছিল।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতান্ত্রিক শক্তির অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃহত্তর ঐক্যের মাধ্যমে সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী, এসব প্রস্তাবের সাংবিধানিক ও আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য একটি নির্বাচিত সংসদই উপযুক্ত ফোরাম। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যই দেশকে এগিয়ে নেওয়ার মূল চালিকাশক্তি। এই ঐক্য অক্ষুণ্ন রেখে রাষ্ট্র পরিচালনার বিকল্প নেই।’
মির্জা ফখরুল সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘আমরা এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারি না, যা ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য ও গণঐক্যে ফাটল ধরাবে। সুতরাং, অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার অবস্থান বজায় রাখতে হবে। কোনো পক্ষ যেন রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে না পারে, সে বিষয়ে সরকারকে সজাগ থাকতে হবে।’
বর্তমানে আলোচিত বিষয় ‘সংস্কার আগে না নির্বাচন আগে’—এই বিতর্ককে ‘অনাবশ্যক’ উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার ও নির্বাচন—দুটোই একসঙ্গে চলতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি ‘সংস্কার সনদ’ প্রণয়ন করা যেতে পারে, যা নির্বাচিত সরকার বাস্তবায়ন করবে।’
তিনি বলেন, ‘এখন অন্তর্বর্তী সরকারের করণীয় হলো, প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে দ্রুত একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।’
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টার রাজনৈতিক দল গঠনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার কারণে জনমনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনকে ব্যবহার করার লক্ষণ ও প্রমাণ ক্রমেই প্রকাশ পাচ্ছে, যা গণতন্ত্রের জন্য সুখকর নয়।’
বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ও সুপারিশমালা নিয়ে দলীয় পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পাঠানোর স্প্রেডশিটে যে অপশন বা পছন্দগুলোর ঘরে টিক চিহ্ন দিতে বলা হয়েছে, তাতে একটি বিষয় প্রতিভাত হয়েছে যে, যে বিষয়গুলো প্রস্তাব আকারে আসতে পারত তা প্রস্তাব না রেখে লিডিং কোশ্চেন আকারে হ্যাঁ, না, উত্তর দিতে বলা হয়েছে। যেমন—প্রস্তাবগুলো গণপরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন চাই কি না। হ্যাঁ অথবা না বলুন। কিন্তু প্রথমে সিদ্ধান্ত আসতে হবে যে, গণপরিষদের প্রস্তাবে আমরা একমত কি না। একইভাবে ‘গণভোট’, ‘গণপরিষদ ও আইন সভা’ হিসেবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন চাই কি না ইত্যাদি হ্যাঁ/না বলুন।
সংবিধানের ‘প্রস্তাবনার’ (Preamble) মতো অতিগুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংস্কার কমিশনের সুপারিশে থাকলেও তা স্প্রেডশিটে উল্লেখ করা হয়নি। স্প্রেডশিটে ৭০টির মতো প্রস্তাব উল্লেখ করা হলেও মূল প্রতিবেদনে সুপারিশের সংখ্যা ১২৩টির মতো।
একইভাবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের মূল প্রতিবেদনে ১৫০টির মতো সুপারিশ তুলে ধরা হলেও স্প্রেডশিটে মাত্র ২৭টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে অধিকাংশই সংবিধান সংস্কারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাই আমরা মনে করছি, স্প্রেডশিটের সঙ্গে মূল সুপারিশমালার ওপর আমাদের মতামত সংযুক্ত করে দিলে বিভ্রান্তি এড়ানো যাবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের স্প্রেডশিটের অবস্থা এবং কমিশন সদস্যদের বিভিন্ন সময়ের বক্তব্য ও বিশেষ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের বক্তব্য-বিবৃতির মধ্যে মিল পাওয়া যায়, যাতে জনমনে প্রশ্নের জন্ম হতে পারে যে, সব বিষয় যেন একটি পূর্বনির্ধারিত কর্মপরিকল্পনার অংশ, যা গণতন্ত্রের স্বার্থের পক্ষে কি না, বলা মুশকিল। সুপারিশমালাসমূহ পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় যে, এতে ভবিষ্যতে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নিয়োগের অযৌক্তিক প্রচেষ্টা রয়েছে, যা অনভিপ্রেত।
সুপারিশমালায় সাংবিধানিক কমিশনসহ (এনসিসি) নতুন নতুন বিভিন্ন কমিশনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ সমস্ত কমিশনের এখতিয়ার, কর্মকাণ্ডের যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, তাতে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, আইন বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগকে যতটা সম্ভব আন্ডারমাইন করা এবং ক্ষমতাহীন করাই উদ্দেশ্য, যার ফলে একটি দুর্বল ও প্রায় অকার্যকর সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।
রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক চরিত্র, জনগণের মালিকানার প্রতিফলন হয় নির্বাচিত সংসদ ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে। কিন্তু সংবিধান ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো পর্যালোচনা করলে প্রতীয়মান হয় যে, রাজনীতিবিদরা অপাঙ্ক্তেয় এবং অনির্বাচিত লোকদের দিয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি করাই শ্রেয়।
বিএনপি মহাসচিবের মতে, জনগণের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি এবং ধর্মবোধ এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়েই বিভিন্ন সংস্কার ও সাংবিধানিক সংশোধনী প্রণীত হওয়া বাঞ্ছনীয়।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য ধরে রেখে, দীর্ঘ ১৬ বছরের আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের স্বপ্ন অনুযায়ী একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাই বর্তমান সময়ের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’

দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) আজিজুর রহমান রিজভীকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯৪টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে গণসংহতি আন্দোলন। দলটির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে নির্বাচন করবেন। এই আসনে বিএনপি এখনো কোনো প্রার্থী মনোনয়ন দেয়নি।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৯৪টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে গণসংহতি আন্দোলন। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।
২ ঘণ্টা আগে
‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চায় এনসিপি, চায় মন্ত্রিসভায়ও হিস্যা’—এই শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দলটির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে সংবাদটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) আজিজুর রহমান রিজভীকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘আজিজুর রহমান রিজভীর বিরুদ্ধে গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের একটি ঘটনায় অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে এবং ওই ঘটনায় তাঁর আচরণ সংগঠনের নীতিবিরুদ্ধ বলে আমাদের নিকট প্রতীয়মান হয়েছে। এমতাবস্থায় তাঁকে দলের সব দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হলো।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একই সাথে তাঁকে কেন দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, তার যথাযথ ব্যাখ্যা আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল-আমিন বরাবর দাখিলের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) আজিজুর রহমান রিজভীকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘আজিজুর রহমান রিজভীর বিরুদ্ধে গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের একটি ঘটনায় অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে এবং ওই ঘটনায় তাঁর আচরণ সংগঠনের নীতিবিরুদ্ধ বলে আমাদের নিকট প্রতীয়মান হয়েছে। এমতাবস্থায় তাঁকে দলের সব দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হলো।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একই সাথে তাঁকে কেন দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, তার যথাযথ ব্যাখ্যা আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল-আমিন বরাবর দাখিলের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পাঠানোর স্প্রেডশিটে যে অপশন বা পছন্দগুলোর ঘরে টিক চিহ্ন দিতে বলা হয়েছে তাতে একটি বিষয় প্রতিভাত হয়েছে যে, যে বিষয়গুলো প্রস্তাব আকারে আসতে পারত তা প্রস্তাব না রেখে লিডিং কোশ্চেন আকারে হ্যাঁ, না, উত্তর দিতে বলা হয়েছে।
২২ মার্চ ২০২৫
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯৪টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে গণসংহতি আন্দোলন। দলটির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে নির্বাচন করবেন। এই আসনে বিএনপি এখনো কোনো প্রার্থী মনোনয়ন দেয়নি।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৯৪টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে গণসংহতি আন্দোলন। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।
২ ঘণ্টা আগে
‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চায় এনসিপি, চায় মন্ত্রিসভায়ও হিস্যা’—এই শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দলটির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে সংবাদটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯৪টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে গণসংহতি আন্দোলন। দলটির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে নির্বাচন করবেন। এই আসনে বিএনপি এখনো কোনো প্রার্থী মনোনয়ন দেয়নি।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।
সংবাদ সম্মেলনে জোনায়েদ সাকি বলেন, নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য একটা অপরিহার্য ব্যাপার। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে আবশ্যিকভাবে নির্বাচন লাগবে।
সাকি বলেন, ‘গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থীরা নিজ দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করবেন। কিন্তু কোনো দল যদি কোনো জোটের প্রতীকে নির্বাচন করতে চায়, সেই সুযোগটা রাখাও আমরা সমীচীন মনে করি।’
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, সংশোধিত আরপিওতে প্রার্থীদের জামানতের টাকার অঙ্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে নির্বাচন পদ্ধতি ক্রমাগত অর্থনির্ভর হচ্ছে এবং যাদের অর্থের দিক থেকে কম সক্ষমতা আছে, তাদের জন্য বিষয়গুলো কঠিন হয়ে উঠছে।
সাকি বলেন, ‘আমরা একটা ঐতিহাসিক কালে আছি। ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান পুরো বাংলাদেশকে আবার একটা পুনর্গঠনের দাবি নিয়ে সামনে এসেছে। সেই পুনর্গঠন কালটাতেও ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এই ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য হচ্ছে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য, যেটা রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা অর্জন করব। এবং এসবের মধ্য দিয়ে একটা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক নতুন বন্দোবস্ত আমরা কায়েম করতে চাই।’
পরে গণসংহতি আন্দোলনের ৫৫ সদস্যবিশিষ্ট নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচিতি ও ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেন আবুল হাসান রুবেল। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের এক দশক পূর্তিতে ১৪ নভেম্বর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে দলীয় সমাবেশ ও মাথাল র্যালি কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য দেওয়ান আবদুর রশীদ নীলু, তাসলিমা আখতার, হাসান মারুফ রুমী ও মনির উদ্দীন পাপ্পু; কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বাচ্চু ভুইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দীপক কুমার রায় প্রমুখ।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯৪টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে গণসংহতি আন্দোলন। দলটির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে নির্বাচন করবেন। এই আসনে বিএনপি এখনো কোনো প্রার্থী মনোনয়ন দেয়নি।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।
সংবাদ সম্মেলনে জোনায়েদ সাকি বলেন, নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য একটা অপরিহার্য ব্যাপার। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে আবশ্যিকভাবে নির্বাচন লাগবে।
সাকি বলেন, ‘গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থীরা নিজ দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করবেন। কিন্তু কোনো দল যদি কোনো জোটের প্রতীকে নির্বাচন করতে চায়, সেই সুযোগটা রাখাও আমরা সমীচীন মনে করি।’
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, সংশোধিত আরপিওতে প্রার্থীদের জামানতের টাকার অঙ্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে নির্বাচন পদ্ধতি ক্রমাগত অর্থনির্ভর হচ্ছে এবং যাদের অর্থের দিক থেকে কম সক্ষমতা আছে, তাদের জন্য বিষয়গুলো কঠিন হয়ে উঠছে।
সাকি বলেন, ‘আমরা একটা ঐতিহাসিক কালে আছি। ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান পুরো বাংলাদেশকে আবার একটা পুনর্গঠনের দাবি নিয়ে সামনে এসেছে। সেই পুনর্গঠন কালটাতেও ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এই ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য হচ্ছে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য, যেটা রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা অর্জন করব। এবং এসবের মধ্য দিয়ে একটা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক নতুন বন্দোবস্ত আমরা কায়েম করতে চাই।’
পরে গণসংহতি আন্দোলনের ৫৫ সদস্যবিশিষ্ট নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচিতি ও ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেন আবুল হাসান রুবেল। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের এক দশক পূর্তিতে ১৪ নভেম্বর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে দলীয় সমাবেশ ও মাথাল র্যালি কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য দেওয়ান আবদুর রশীদ নীলু, তাসলিমা আখতার, হাসান মারুফ রুমী ও মনির উদ্দীন পাপ্পু; কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বাচ্চু ভুইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দীপক কুমার রায় প্রমুখ।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পাঠানোর স্প্রেডশিটে যে অপশন বা পছন্দগুলোর ঘরে টিক চিহ্ন দিতে বলা হয়েছে তাতে একটি বিষয় প্রতিভাত হয়েছে যে, যে বিষয়গুলো প্রস্তাব আকারে আসতে পারত তা প্রস্তাব না রেখে লিডিং কোশ্চেন আকারে হ্যাঁ, না, উত্তর দিতে বলা হয়েছে।
২২ মার্চ ২০২৫
দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) আজিজুর রহমান রিজভীকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৯৪টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে গণসংহতি আন্দোলন। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।
২ ঘণ্টা আগে
‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চায় এনসিপি, চায় মন্ত্রিসভায়ও হিস্যা’—এই শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দলটির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে সংবাদটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৯৪টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে গণসংহতি আন্দোলন। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।
সংবাদ সম্মেলনে জোনায়েদ সাকি বলেন, নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য একটা অপরিহার্য ব্যাপার। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে আবশ্যিকভাবে নির্বাচন লাগবে।
সাকি আরও বলেন, ‘গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থীরা নিজদলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করবেন। কিন্তু কোনো দল যদি কোনো জোটের প্রতীকে নির্বাচন করতে চায়, সেই সুযোগ রাখাও আমরা সমীচীন মনে করি।’
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ‘সংশোধিত আরপিওতে প্রার্থীদের জামানতের টাকার অঙ্ক বাড়ানো হয়েছে। এটা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে, নির্বাচন পদ্ধতি ক্রমাগত অর্থনির্ভর হচ্ছে এবং যাদের অর্থের দিক থেকে কম সক্ষমতা আছে, তাদের জন্য বিষয়গুলো কঠিন হয়ে উঠছে।
সাকি বলেন, ‘আমরা একটা ঐতিহাসিককালে আছি। ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান পুরো বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের দাবি সামনে নিয়ে এসেছে। সেই পুনর্গঠনকালটাতেও ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এই ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য হচ্ছে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য, যেটা রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা অর্জন করব এবং এসবের মধ্য দিয়ে একটা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক নতুন বন্দোবস্ত আমরা কায়েম করতে চাই।’
পরে গণসংহতি আন্দোলনের ৫৫ সদস্যবিশিষ্ট নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচিতি ও ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেন আবুল হাসান রুবেল। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের এক দশক পূর্তিতে আগামী ১৪ নভেম্বর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে দলীয় সমাবেশ ও মাথাল র্যালি কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য দেওয়ান আবদুর রশীদ নীলু, তাসলিমা আখতার, হাসান মারুফ রুমী ও মনির উদ্দীন পাপ্পু; কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দীপক কুমার রায় প্রমুখ।
সংসদীয় আসনভিত্তিক গণসংহতি আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন—জোনায়েদ সাকি (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬), আবুল হাসান রুবেল (পাবনা-৪ ও ঢাকা-১০), তাসলিমা আখতার (ঢাকা-১২), হাসান মারুফ রুমী (চট্টগ্রাম-৯), দেওয়ান আবদুর রশীদ নীলু (বরিশাল-৫), তরিকুল সুজন (নারায়ণগঞ্জ-৫), মনির উদ্দীন পাপ্পু (ঢাকা-৭), বাচ্চু ভূঁইয়া (ঢাকা-৩), জুলহাসনাইন বাবু (পাবনা-২), অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ (রাজশাহী-২), দীপক কুমার রায় (লালমনিরহাট-২ ও ৩), আলিফ দেওয়ান (টাঙ্গাইল-৬), সেন্টু আলী (নাটোর-১), এ কে এম শামসুল আলম (ময়মনসিংহ-১০), মোফাখখারুল ইসলাম মুন (রংপুর-২), তৌহিদুর রহমান (রংপুর-৩), সৈয়দ সাইফুল ইসলাম (মৌলভীবাজার-৪), মোস্তাফিজুর রহমান রাজীব (ময়মনসিংহ-৪), সৈকত আরিফ (মো. তোসাদ্দেক হোসাইন) (নওগাঁ-৫), জাহিদুল আলম আল-জাহিদ (চট্টগ্রাম-৪), নাসির উদ্দীন তালুকদার (চট্টগ্রাম-৬), মো. আশরাফুল ইসলাম (ঠাকুরগাঁও-২), মিজানুর রহমান (ঢাকা-১), মুনীর চৌধুরী সোহেল (খুলনা-২), জুয়েল রানা (রাজশাহী-৩), নুরুদ্দীন (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন (খুলনা-১), নাহিদা শাহান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), অ্যাডভোকেট রিয়াজুল ইসলাম (পিরোজপুর-৩), তানভীর আহমেদ (ঢাকা-১৯), সাজেদুর রহমান সাজু (পঞ্চগড়-১), তাহসিন মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৩), মনিরুল হুদা বাবন (ঢাকা-১৩), আব্দুল জলিল (ঢাকা-২), সৈয়দ সালাহউদ্দীন (শিমুল) (চট্টগ্রাম-১১), আল-আমিন শেখ (খুলনা-১), হাসান আল মেহেদী (লক্ষ্মীপুর-২), আরমানুল হক (কক্সবাজার-১), নাজমা বেগম (নারায়ণগঞ্জ-১), জাহিদ সুজন (নারায়ণগঞ্জ-৪), ফাতেমা রহমান বিথি (টাঙ্গাইল-৫), জিন্নাত আরা সুমু (রাজশাহী-২), সাকিবুল ইসলাম (বরিশাল-১), মহব্বত হোসেন মিলন (নীলফামারী-১), মো. রুবেল মিয়া (হিমু ভাই) (ঢাকা-৮), অঞ্জন দাস (নারায়ণগঞ্জ-৩), ময়েজ উদ্দীন (ঢাকা-৫), এস এম ওয়াশিফ ফায়সাল (কুষ্টিয়া-৩), মোফাখারুল ইসলাম মানিক (নওগাঁ-৪), আবু সাকের মোহাম্মদ জাকারিয়া (গাজিপুর-৬), আব্দুর রশীদ (বগুড়া-৪), আরিফুল ইসলাম (জয়পুরহাট-২), সুলতান মাহমুদ শিশির (দিনাজপুর-৫), গোলাম মোস্তফা (গাইবান্ধা-১), তাহমিদা ইসলাম তানিয়া (নাটোর-৪), দ্বিজেন্দ্রনাথ রায় (দিনাজপুর-৪), সাইফুর রহমান দুলাল (কুড়িগ্রাম-১), রুস্তম আলী (কুড়িগ্রাম-২), বেলায়েত শিকদার (শরিয়তপুর-৩), আজহারুল ইসলাম (পাবনা-৫), আমজাদ হোসেন (গাজীপুর-২), অ্যাডভোকেট খালিদ সাইফুল্লাহ (গাজীপুর-৩), এফ এম নুরুল ইসলাম (ঢাকা-১৪), প্রদীপ রায় (নীলফামারী-৩), ইলিয়াস জামান (মুন্সিগঞ্জ-৩), মাহবুব রতন (ঢাকা-১৫), ইমরাদ জুলকারনাইন ইমন (কুমিল্লা-৬), মো. বিপ্লব খান (মুন্সিগঞ্জ-২), আবু রায়হান খান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩), সাইফুল্লাহ সিদ্দিক রুমন (ঢাকা-১৬), আমজাদ হোসেন (পটুয়াখালী-২), জুনেদ আহমেদ (মৌলভীবাজার-৩), আলফাত হোসেন (সাতক্ষীরা-৪), নজরুল ইসলাম (ঝিনাইদহ-১), কায়কোবাদ সাগর (ফেনী-২), জহির রায়হান সাগর (কুমিল্লা-৯), প্রভাষক রিপন চক্রবর্তী (বান্দরবান-১), মো. সেলিমুজ্জামান (ঢাকা-৮), মো. রিপন (ফেনী-২), অপুর্ব নাথ (চট্টগ্রাম-১০), কেরামত আলী (জামালপুর-৬), আবু বক্কর রিপন (ঢাকা-৬), অধ্যাপক আব্দুল কাদের (মানিকগঞ্জ-৩), গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. খালেদ হোসাইন (অব.) (ময়মনসিংহ-১১), জাহাঙ্গির আলম পালোয়ান (গাজীপুর-৪), রফিকুল ইসলাম রাসেল (মাদারীপুর-২), মো. আবদুল কাদের খান (ঝালকাঠি-২), মো. আব্দুল কাদের (রংপুর-৪), মো. নজরুল ইসলাম সরকার (ময়মনসিংহ-৫), আল-আমীন রহমান (কিশোরগঞ্জ-৫), লোকমান হোসেন (গাজীপুর-৫), রেক্সোনা পারভিন (নড়াইল-১), অ্যাডভোকেট বিলকিস নাসিমা রহমান তুহিন (ঢাকা-১৮) ও মিজানুর রহীম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-২)।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৯৪টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে গণসংহতি আন্দোলন। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।
সংবাদ সম্মেলনে জোনায়েদ সাকি বলেন, নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য একটা অপরিহার্য ব্যাপার। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে আবশ্যিকভাবে নির্বাচন লাগবে।
সাকি আরও বলেন, ‘গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থীরা নিজদলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করবেন। কিন্তু কোনো দল যদি কোনো জোটের প্রতীকে নির্বাচন করতে চায়, সেই সুযোগ রাখাও আমরা সমীচীন মনে করি।’
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ‘সংশোধিত আরপিওতে প্রার্থীদের জামানতের টাকার অঙ্ক বাড়ানো হয়েছে। এটা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে, নির্বাচন পদ্ধতি ক্রমাগত অর্থনির্ভর হচ্ছে এবং যাদের অর্থের দিক থেকে কম সক্ষমতা আছে, তাদের জন্য বিষয়গুলো কঠিন হয়ে উঠছে।
সাকি বলেন, ‘আমরা একটা ঐতিহাসিককালে আছি। ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান পুরো বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের দাবি সামনে নিয়ে এসেছে। সেই পুনর্গঠনকালটাতেও ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এই ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য হচ্ছে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য, যেটা রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা অর্জন করব এবং এসবের মধ্য দিয়ে একটা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক নতুন বন্দোবস্ত আমরা কায়েম করতে চাই।’
পরে গণসংহতি আন্দোলনের ৫৫ সদস্যবিশিষ্ট নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচিতি ও ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেন আবুল হাসান রুবেল। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের এক দশক পূর্তিতে আগামী ১৪ নভেম্বর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে দলীয় সমাবেশ ও মাথাল র্যালি কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য দেওয়ান আবদুর রশীদ নীলু, তাসলিমা আখতার, হাসান মারুফ রুমী ও মনির উদ্দীন পাপ্পু; কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দীপক কুমার রায় প্রমুখ।
সংসদীয় আসনভিত্তিক গণসংহতি আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন—জোনায়েদ সাকি (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬), আবুল হাসান রুবেল (পাবনা-৪ ও ঢাকা-১০), তাসলিমা আখতার (ঢাকা-১২), হাসান মারুফ রুমী (চট্টগ্রাম-৯), দেওয়ান আবদুর রশীদ নীলু (বরিশাল-৫), তরিকুল সুজন (নারায়ণগঞ্জ-৫), মনির উদ্দীন পাপ্পু (ঢাকা-৭), বাচ্চু ভূঁইয়া (ঢাকা-৩), জুলহাসনাইন বাবু (পাবনা-২), অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ (রাজশাহী-২), দীপক কুমার রায় (লালমনিরহাট-২ ও ৩), আলিফ দেওয়ান (টাঙ্গাইল-৬), সেন্টু আলী (নাটোর-১), এ কে এম শামসুল আলম (ময়মনসিংহ-১০), মোফাখখারুল ইসলাম মুন (রংপুর-২), তৌহিদুর রহমান (রংপুর-৩), সৈয়দ সাইফুল ইসলাম (মৌলভীবাজার-৪), মোস্তাফিজুর রহমান রাজীব (ময়মনসিংহ-৪), সৈকত আরিফ (মো. তোসাদ্দেক হোসাইন) (নওগাঁ-৫), জাহিদুল আলম আল-জাহিদ (চট্টগ্রাম-৪), নাসির উদ্দীন তালুকদার (চট্টগ্রাম-৬), মো. আশরাফুল ইসলাম (ঠাকুরগাঁও-২), মিজানুর রহমান (ঢাকা-১), মুনীর চৌধুরী সোহেল (খুলনা-২), জুয়েল রানা (রাজশাহী-৩), নুরুদ্দীন (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন (খুলনা-১), নাহিদা শাহান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), অ্যাডভোকেট রিয়াজুল ইসলাম (পিরোজপুর-৩), তানভীর আহমেদ (ঢাকা-১৯), সাজেদুর রহমান সাজু (পঞ্চগড়-১), তাহসিন মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৩), মনিরুল হুদা বাবন (ঢাকা-১৩), আব্দুল জলিল (ঢাকা-২), সৈয়দ সালাহউদ্দীন (শিমুল) (চট্টগ্রাম-১১), আল-আমিন শেখ (খুলনা-১), হাসান আল মেহেদী (লক্ষ্মীপুর-২), আরমানুল হক (কক্সবাজার-১), নাজমা বেগম (নারায়ণগঞ্জ-১), জাহিদ সুজন (নারায়ণগঞ্জ-৪), ফাতেমা রহমান বিথি (টাঙ্গাইল-৫), জিন্নাত আরা সুমু (রাজশাহী-২), সাকিবুল ইসলাম (বরিশাল-১), মহব্বত হোসেন মিলন (নীলফামারী-১), মো. রুবেল মিয়া (হিমু ভাই) (ঢাকা-৮), অঞ্জন দাস (নারায়ণগঞ্জ-৩), ময়েজ উদ্দীন (ঢাকা-৫), এস এম ওয়াশিফ ফায়সাল (কুষ্টিয়া-৩), মোফাখারুল ইসলাম মানিক (নওগাঁ-৪), আবু সাকের মোহাম্মদ জাকারিয়া (গাজিপুর-৬), আব্দুর রশীদ (বগুড়া-৪), আরিফুল ইসলাম (জয়পুরহাট-২), সুলতান মাহমুদ শিশির (দিনাজপুর-৫), গোলাম মোস্তফা (গাইবান্ধা-১), তাহমিদা ইসলাম তানিয়া (নাটোর-৪), দ্বিজেন্দ্রনাথ রায় (দিনাজপুর-৪), সাইফুর রহমান দুলাল (কুড়িগ্রাম-১), রুস্তম আলী (কুড়িগ্রাম-২), বেলায়েত শিকদার (শরিয়তপুর-৩), আজহারুল ইসলাম (পাবনা-৫), আমজাদ হোসেন (গাজীপুর-২), অ্যাডভোকেট খালিদ সাইফুল্লাহ (গাজীপুর-৩), এফ এম নুরুল ইসলাম (ঢাকা-১৪), প্রদীপ রায় (নীলফামারী-৩), ইলিয়াস জামান (মুন্সিগঞ্জ-৩), মাহবুব রতন (ঢাকা-১৫), ইমরাদ জুলকারনাইন ইমন (কুমিল্লা-৬), মো. বিপ্লব খান (মুন্সিগঞ্জ-২), আবু রায়হান খান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩), সাইফুল্লাহ সিদ্দিক রুমন (ঢাকা-১৬), আমজাদ হোসেন (পটুয়াখালী-২), জুনেদ আহমেদ (মৌলভীবাজার-৩), আলফাত হোসেন (সাতক্ষীরা-৪), নজরুল ইসলাম (ঝিনাইদহ-১), কায়কোবাদ সাগর (ফেনী-২), জহির রায়হান সাগর (কুমিল্লা-৯), প্রভাষক রিপন চক্রবর্তী (বান্দরবান-১), মো. সেলিমুজ্জামান (ঢাকা-৮), মো. রিপন (ফেনী-২), অপুর্ব নাথ (চট্টগ্রাম-১০), কেরামত আলী (জামালপুর-৬), আবু বক্কর রিপন (ঢাকা-৬), অধ্যাপক আব্দুল কাদের (মানিকগঞ্জ-৩), গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. খালেদ হোসাইন (অব.) (ময়মনসিংহ-১১), জাহাঙ্গির আলম পালোয়ান (গাজীপুর-৪), রফিকুল ইসলাম রাসেল (মাদারীপুর-২), মো. আবদুল কাদের খান (ঝালকাঠি-২), মো. আব্দুল কাদের (রংপুর-৪), মো. নজরুল ইসলাম সরকার (ময়মনসিংহ-৫), আল-আমীন রহমান (কিশোরগঞ্জ-৫), লোকমান হোসেন (গাজীপুর-৫), রেক্সোনা পারভিন (নড়াইল-১), অ্যাডভোকেট বিলকিস নাসিমা রহমান তুহিন (ঢাকা-১৮) ও মিজানুর রহীম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-২)।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পাঠানোর স্প্রেডশিটে যে অপশন বা পছন্দগুলোর ঘরে টিক চিহ্ন দিতে বলা হয়েছে তাতে একটি বিষয় প্রতিভাত হয়েছে যে, যে বিষয়গুলো প্রস্তাব আকারে আসতে পারত তা প্রস্তাব না রেখে লিডিং কোশ্চেন আকারে হ্যাঁ, না, উত্তর দিতে বলা হয়েছে।
২২ মার্চ ২০২৫
দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) আজিজুর রহমান রিজভীকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯৪টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে গণসংহতি আন্দোলন। দলটির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে নির্বাচন করবেন। এই আসনে বিএনপি এখনো কোনো প্রার্থী মনোনয়ন দেয়নি।
২ ঘণ্টা আগে
‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চায় এনসিপি, চায় মন্ত্রিসভায়ও হিস্যা’—এই শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দলটির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে সংবাদটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চায় এনসিপি, চায় মন্ত্রিসভায়ও হিস্যা’—এই শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দলটির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে সংবাদটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দেওয়া হয়।
আজ একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদকে তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চায় এনসিপি, চায় মন্ত্রিসভায়ও হিস্যা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা ও মন্ত্রিসভায় হিস্যা চাওয়ার খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এনসিপি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট, আসন সমঝোতা বা ক্ষমতা ভাগাভাগি বিষয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত নেয়নি। এমন কোনো প্রস্তাবও দলের নীতিনির্ধারণী পর্ষদে কখনো গৃহীত হয়নি।
এনসিপি বিশ্বাস করে, দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি হবে জনগণের অধিকার, জবাবদিহি, সংস্কার ও গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের। সে লক্ষ্যেই দলটি সারা দেশে সাংগঠনিক প্রস্তুতি ও প্রার্থী যাচাইপ্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে উল্লিখিত তথাকথিত ‘সূত্র’ সম্পূর্ণ অনুমাননির্ভর এবং সাংবাদিকতার মৌলিক নীতির পরিপন্থী। এতে জনগণ বিভ্রান্ত হয়েছে এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
এনসিপি অবিলম্বে সেই সংবাদপত্রকে প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশ ও সংশোধনী প্রকাশের আহ্বান জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা পুনরায় স্পষ্ট করছি, এনসিপি কোনো দলের কাছে আসন বা মন্ত্রিসভায় অংশগ্রহণের দাবি তোলেনি। আমরা জনগণের আস্থায় একটি বাংলাদেশপন্থী, দায়িত্বশীল ও স্বতন্ত্র রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চায় এনসিপি, চায় মন্ত্রিসভায়ও হিস্যা’—এই শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দলটির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে সংবাদটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দেওয়া হয়।
আজ একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদকে তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চায় এনসিপি, চায় মন্ত্রিসভায়ও হিস্যা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা ও মন্ত্রিসভায় হিস্যা চাওয়ার খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এনসিপি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট, আসন সমঝোতা বা ক্ষমতা ভাগাভাগি বিষয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত নেয়নি। এমন কোনো প্রস্তাবও দলের নীতিনির্ধারণী পর্ষদে কখনো গৃহীত হয়নি।
এনসিপি বিশ্বাস করে, দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি হবে জনগণের অধিকার, জবাবদিহি, সংস্কার ও গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের। সে লক্ষ্যেই দলটি সারা দেশে সাংগঠনিক প্রস্তুতি ও প্রার্থী যাচাইপ্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে উল্লিখিত তথাকথিত ‘সূত্র’ সম্পূর্ণ অনুমাননির্ভর এবং সাংবাদিকতার মৌলিক নীতির পরিপন্থী। এতে জনগণ বিভ্রান্ত হয়েছে এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
এনসিপি অবিলম্বে সেই সংবাদপত্রকে প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশ ও সংশোধনী প্রকাশের আহ্বান জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা পুনরায় স্পষ্ট করছি, এনসিপি কোনো দলের কাছে আসন বা মন্ত্রিসভায় অংশগ্রহণের দাবি তোলেনি। আমরা জনগণের আস্থায় একটি বাংলাদেশপন্থী, দায়িত্বশীল ও স্বতন্ত্র রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পাঠানোর স্প্রেডশিটে যে অপশন বা পছন্দগুলোর ঘরে টিক চিহ্ন দিতে বলা হয়েছে তাতে একটি বিষয় প্রতিভাত হয়েছে যে, যে বিষয়গুলো প্রস্তাব আকারে আসতে পারত তা প্রস্তাব না রেখে লিডিং কোশ্চেন আকারে হ্যাঁ, না, উত্তর দিতে বলা হয়েছে।
২২ মার্চ ২০২৫
দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) আজিজুর রহমান রিজভীকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯৪টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে গণসংহতি আন্দোলন। দলটির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে নির্বাচন করবেন। এই আসনে বিএনপি এখনো কোনো প্রার্থী মনোনয়ন দেয়নি।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৯৪টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে গণসংহতি আন্দোলন। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।
২ ঘণ্টা আগে