আজকের পত্রিকা ডেস্ক

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘গণতন্ত্র মানেই সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন। কিন্তু সংখ্যালঘুর কথা শুনতে হবে, পছন্দ না হলেও। সংবিধানকে সংস্কার করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ১০–এর মধ্যে ৪ দিতে চাই। এখন যারা সরকারে রয়েছে, তারা যার যার জায়গায় সেরা। কিন্তু এখন তো অন্য জায়গায় তাঁরা। আমাদের দেশে নির্বাচনে যেসব অপসংস্কৃতি রয়েছে, সেগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
আজ শুক্রবার খামারবাড়ী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘“এ”-এর জায়গা “বি” দখল করবে এবং সে জায়গায় গিয়ে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবার সময় এখন নয়। এখন সময় হচ্ছে, “এ” গেছে, তারপর সমস্ত জনগোষ্ঠীর সম্মিলিত মতের ভিত্তিতে একটা উন্নত জ্ঞানের চর্চার মধ্য দিয়ে সে রকম একটি সংস্কৃতি—দল ও দেশের জন্য গড়ে তুলব। সাধারণ মানুষ জীবন দিয়েছে। তাদের লড়াইয়ে স্লোগান উঠে এসেছে, আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ চাই। অর্থাৎ গুম, খুন, লুটতরাজ, ধর্ষণ, আয়নাঘর—এসব চলবে না। আমরা তার বদলে উৎকর্ষ কোনো জিনিস সেখানে প্রতিষ্ঠিত করব।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, ‘স্বাধীনতার পর দেশটিকে নতুনভাবে গড়ার সুযোগ এসেছিল, আমরা সেটা করতে পারিনি। কিন্তু আমাদের সামনে আবার সুযোগ এসেছে, আমাদের পারতে হবে। বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিজম আমরা কায়েম করতে দিতে পারি না। ফ্যাসিজম ফিরে আসে যখন জাতি ফ্যাসিজমের ইতিহাস ভুলে যায়। যে দেশ ঐক্যবদ্ধ থেকেছে, সেখানে ফ্যাসিজম প্রতিরোধ করতে পেরেছে। ফ্যাসিজমবিরোধী আমরা যে ঐক্য গড়েছি, সেটা সাস্টেইনেবল করতে হবে। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জাতীয় ঐক্য থাকতে হবে। মানবাধিকার, গণতন্ত্র, ভোটাধিকারের প্রশ্নেও ঐক্য থাকতে হবে।’
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন বলেন, ‘আমরা শুরুতেই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সবার আগে শিক্ষা কমিশন আশা করেছিলাম, তবে সেটা সংস্কার কমিশন নয়। বাংলাদেশকে উন্নত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে স্থায়ী শিক্ষা কমিশন করতে হবে। বিগত সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে।’
তিনি বলেন, দলগুলোতে গণতান্ত্রিক প্র্যাকটিস থাকলে মনোনয়ন–বাণিজ্য হবে না। বিএনপিতে গণতন্ত্র রয়েছে। এ কারণে বিএনপিতে মনোনয়ন–বাণিজ্য হবে না।
এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘’৫২, ’৬২, ’৬৯, ’৭১, ’৯০ প্রত্যেকটা আন্দোলনে তরুণেরা নেতৃত্ব দিয়েছিল। এবার ১৫ বছরের সংগ্রামের চূড়ান্ত রূপ দিয়েছে ছাত্ররা। তরুণদের নিয়েই আগামীর পরিবর্তন আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমরা চাই তারুণ্যনির্ভর আগামীর বাংলাদেশ গড়তে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন বলেন, ‘যে সংস্কারটুকু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করবে, আমরা সেই সংস্কার চাই। সংস্কার প্রস্তাবনা যুগপৎ আন্দোলনের দলগুলো অনেক আগে থেকেই দিচ্ছে। ২০১৬ সালে বিএনপি সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছিল। ২০১৩ সালে তারেক রহমান কোটার সংস্কার চেয়ে কথা বলেছিলেন। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ এবং পরপর দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া—এসব বিষয়ে অনেক আগেই কথা বলেছেন। আমরা ক্ষমতায় আসলে ক্ষমতাসীন দল বলব না, আমরা বলব দেশ গড়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত দল।’
তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত ভাতার ব্যবস্থা করবেন।’
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশের (পিইউএসএবি) প্রতিনিধি তানজিল মাহমুদ বলেন, ‘বিগত ৯ বছর ধরে দেশের জন্য প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা যখনই প্রয়োজন হয়েছে আন্দোলন করেছে। এবারের আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটার জন্য নামেনি। কারণ, তাদের কোটা প্রয়োজন হয় না। আমরা নেমেছি শিক্ষার্থীদের হত্যার বিচারের দাবিতে। দাবি থাকবে, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সুযোগ দিন। তাদের জাতীয় রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দিন।’
আদিবাসী প্রতিনিধি ইলিরা দেওয়ান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যেভাবে নিজেদের মতো করে রাখত, সংখ্যালঘুদের রক্ষাকারী দাবি করত। তাহলে গত ১৫ বছর কেন মন্দির রক্ষা করতে পারেনি, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি? সুতরাং, তারা মিষ্টি মিষ্টি কথা বললেও কাজ করেনি। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়তে আমরা সবাই মিলে কাজ করতে চাই।’
ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর সহযোগী অধ্যাপক অধ্যাপক নাদিন শান্তা মুরশিদ বলেন, ‘হাসিনা খুনি না হলে হয়তো আমরা তাঁর পতন দেখতে পারতাম না। কিছু মানুষ মারা গেলে মর্যাদা বাড়ে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ তেমনই।’
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘‘২৪-এর আন্দোলনে ছাত্র-জনতা যে ধরনের সংস্কার চায়, ছাত্রশিবিরও তা চায়। আমাদের ছাত্ররাজনীতিতে ছাত্রদের অধিকার নিয়ে রাজনীতি হয় না। ছাত্ররাজনীতি সংস্কারের প্রথম উদ্যোগ হতে পারে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। প্রতিবছর এ নির্বাচন হবে, যার মাধ্যমে ছাত্ররা নিজেদের নেতৃত্ব নির্বাচন করব, যারা তাদের কথা বলবে।’
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ আহমেদ বলেন, ‘শহীদের তালিকা এখনো পুরোপুরি হয়নি। তাদের পরিবারগুলো সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়নি। চার মসে সরকারের অর্জন কতটুকু? এখনো সরকার তাদের নির্বাচনের রোডম্যাপ স্পষ্ট করেনি। এটি বিভাজন তৈরি করছে। এখন যে অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে, তার দায় সরকার এড়াতে পারবে না।’
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ‘বিএনপির সহযোগী সংগঠন হলেও ছাত্রদল স্বতন্ত্রভাবে পরিচালিত হয়। আমরা বিএনপির কোনো সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দিই না। খুনি সংগঠন ছাত্রলীগ লেজুড়বৃত্তিক শব্দকে গত ১৫ বছর ধরে এত কলুষিত করেছে যে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এটা নিয়ে ভীতি তৈরি হয়েছে। ছাত্ররাজনীতির নামে নিকৃষ্ট সব নজির তারা স্থাপন করেছিল। বাংলাদেশের সব ছাত্রসংগঠনেরই মূল দল রয়েছে। বামধারার রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনগুলোরও মূল দল রয়েছে। আমরা গত কয়েক মাসে ৩০০ জনকে বহিষ্কার করেছি।’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘গণতন্ত্র মানেই সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন। কিন্তু সংখ্যালঘুর কথা শুনতে হবে, পছন্দ না হলেও। সংবিধানকে সংস্কার করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ১০–এর মধ্যে ৪ দিতে চাই। এখন যারা সরকারে রয়েছে, তারা যার যার জায়গায় সেরা। কিন্তু এখন তো অন্য জায়গায় তাঁরা। আমাদের দেশে নির্বাচনে যেসব অপসংস্কৃতি রয়েছে, সেগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
আজ শুক্রবার খামারবাড়ী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘“এ”-এর জায়গা “বি” দখল করবে এবং সে জায়গায় গিয়ে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবার সময় এখন নয়। এখন সময় হচ্ছে, “এ” গেছে, তারপর সমস্ত জনগোষ্ঠীর সম্মিলিত মতের ভিত্তিতে একটা উন্নত জ্ঞানের চর্চার মধ্য দিয়ে সে রকম একটি সংস্কৃতি—দল ও দেশের জন্য গড়ে তুলব। সাধারণ মানুষ জীবন দিয়েছে। তাদের লড়াইয়ে স্লোগান উঠে এসেছে, আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ চাই। অর্থাৎ গুম, খুন, লুটতরাজ, ধর্ষণ, আয়নাঘর—এসব চলবে না। আমরা তার বদলে উৎকর্ষ কোনো জিনিস সেখানে প্রতিষ্ঠিত করব।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, ‘স্বাধীনতার পর দেশটিকে নতুনভাবে গড়ার সুযোগ এসেছিল, আমরা সেটা করতে পারিনি। কিন্তু আমাদের সামনে আবার সুযোগ এসেছে, আমাদের পারতে হবে। বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিজম আমরা কায়েম করতে দিতে পারি না। ফ্যাসিজম ফিরে আসে যখন জাতি ফ্যাসিজমের ইতিহাস ভুলে যায়। যে দেশ ঐক্যবদ্ধ থেকেছে, সেখানে ফ্যাসিজম প্রতিরোধ করতে পেরেছে। ফ্যাসিজমবিরোধী আমরা যে ঐক্য গড়েছি, সেটা সাস্টেইনেবল করতে হবে। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জাতীয় ঐক্য থাকতে হবে। মানবাধিকার, গণতন্ত্র, ভোটাধিকারের প্রশ্নেও ঐক্য থাকতে হবে।’
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন বলেন, ‘আমরা শুরুতেই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সবার আগে শিক্ষা কমিশন আশা করেছিলাম, তবে সেটা সংস্কার কমিশন নয়। বাংলাদেশকে উন্নত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে স্থায়ী শিক্ষা কমিশন করতে হবে। বিগত সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে।’
তিনি বলেন, দলগুলোতে গণতান্ত্রিক প্র্যাকটিস থাকলে মনোনয়ন–বাণিজ্য হবে না। বিএনপিতে গণতন্ত্র রয়েছে। এ কারণে বিএনপিতে মনোনয়ন–বাণিজ্য হবে না।
এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘’৫২, ’৬২, ’৬৯, ’৭১, ’৯০ প্রত্যেকটা আন্দোলনে তরুণেরা নেতৃত্ব দিয়েছিল। এবার ১৫ বছরের সংগ্রামের চূড়ান্ত রূপ দিয়েছে ছাত্ররা। তরুণদের নিয়েই আগামীর পরিবর্তন আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমরা চাই তারুণ্যনির্ভর আগামীর বাংলাদেশ গড়তে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন বলেন, ‘যে সংস্কারটুকু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করবে, আমরা সেই সংস্কার চাই। সংস্কার প্রস্তাবনা যুগপৎ আন্দোলনের দলগুলো অনেক আগে থেকেই দিচ্ছে। ২০১৬ সালে বিএনপি সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছিল। ২০১৩ সালে তারেক রহমান কোটার সংস্কার চেয়ে কথা বলেছিলেন। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ এবং পরপর দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া—এসব বিষয়ে অনেক আগেই কথা বলেছেন। আমরা ক্ষমতায় আসলে ক্ষমতাসীন দল বলব না, আমরা বলব দেশ গড়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত দল।’
তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত ভাতার ব্যবস্থা করবেন।’
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশের (পিইউএসএবি) প্রতিনিধি তানজিল মাহমুদ বলেন, ‘বিগত ৯ বছর ধরে দেশের জন্য প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা যখনই প্রয়োজন হয়েছে আন্দোলন করেছে। এবারের আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটার জন্য নামেনি। কারণ, তাদের কোটা প্রয়োজন হয় না। আমরা নেমেছি শিক্ষার্থীদের হত্যার বিচারের দাবিতে। দাবি থাকবে, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সুযোগ দিন। তাদের জাতীয় রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দিন।’
আদিবাসী প্রতিনিধি ইলিরা দেওয়ান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যেভাবে নিজেদের মতো করে রাখত, সংখ্যালঘুদের রক্ষাকারী দাবি করত। তাহলে গত ১৫ বছর কেন মন্দির রক্ষা করতে পারেনি, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি? সুতরাং, তারা মিষ্টি মিষ্টি কথা বললেও কাজ করেনি। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়তে আমরা সবাই মিলে কাজ করতে চাই।’
ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর সহযোগী অধ্যাপক অধ্যাপক নাদিন শান্তা মুরশিদ বলেন, ‘হাসিনা খুনি না হলে হয়তো আমরা তাঁর পতন দেখতে পারতাম না। কিছু মানুষ মারা গেলে মর্যাদা বাড়ে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ তেমনই।’
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘‘২৪-এর আন্দোলনে ছাত্র-জনতা যে ধরনের সংস্কার চায়, ছাত্রশিবিরও তা চায়। আমাদের ছাত্ররাজনীতিতে ছাত্রদের অধিকার নিয়ে রাজনীতি হয় না। ছাত্ররাজনীতি সংস্কারের প্রথম উদ্যোগ হতে পারে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। প্রতিবছর এ নির্বাচন হবে, যার মাধ্যমে ছাত্ররা নিজেদের নেতৃত্ব নির্বাচন করব, যারা তাদের কথা বলবে।’
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ আহমেদ বলেন, ‘শহীদের তালিকা এখনো পুরোপুরি হয়নি। তাদের পরিবারগুলো সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়নি। চার মসে সরকারের অর্জন কতটুকু? এখনো সরকার তাদের নির্বাচনের রোডম্যাপ স্পষ্ট করেনি। এটি বিভাজন তৈরি করছে। এখন যে অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে, তার দায় সরকার এড়াতে পারবে না।’
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ‘বিএনপির সহযোগী সংগঠন হলেও ছাত্রদল স্বতন্ত্রভাবে পরিচালিত হয়। আমরা বিএনপির কোনো সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দিই না। খুনি সংগঠন ছাত্রলীগ লেজুড়বৃত্তিক শব্দকে গত ১৫ বছর ধরে এত কলুষিত করেছে যে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এটা নিয়ে ভীতি তৈরি হয়েছে। ছাত্ররাজনীতির নামে নিকৃষ্ট সব নজির তারা স্থাপন করেছিল। বাংলাদেশের সব ছাত্রসংগঠনেরই মূল দল রয়েছে। বামধারার রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনগুলোরও মূল দল রয়েছে। আমরা গত কয়েক মাসে ৩০০ জনকে বহিষ্কার করেছি।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘গণতন্ত্র মানেই সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন। কিন্তু সংখ্যালঘুর কথা শুনতে হবে, পছন্দ না হলেও। সংবিধানকে সংস্কার করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ১০–এর মধ্যে ৪ দিতে চাই। এখন যারা সরকারে রয়েছে, তারা যার যার জায়গায় সেরা। কিন্তু এখন তো অন্য জায়গায় তাঁরা। আমাদের দেশে নির্বাচনে যেসব অপসংস্কৃতি রয়েছে, সেগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
আজ শুক্রবার খামারবাড়ী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘“এ”-এর জায়গা “বি” দখল করবে এবং সে জায়গায় গিয়ে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবার সময় এখন নয়। এখন সময় হচ্ছে, “এ” গেছে, তারপর সমস্ত জনগোষ্ঠীর সম্মিলিত মতের ভিত্তিতে একটা উন্নত জ্ঞানের চর্চার মধ্য দিয়ে সে রকম একটি সংস্কৃতি—দল ও দেশের জন্য গড়ে তুলব। সাধারণ মানুষ জীবন দিয়েছে। তাদের লড়াইয়ে স্লোগান উঠে এসেছে, আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ চাই। অর্থাৎ গুম, খুন, লুটতরাজ, ধর্ষণ, আয়নাঘর—এসব চলবে না। আমরা তার বদলে উৎকর্ষ কোনো জিনিস সেখানে প্রতিষ্ঠিত করব।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, ‘স্বাধীনতার পর দেশটিকে নতুনভাবে গড়ার সুযোগ এসেছিল, আমরা সেটা করতে পারিনি। কিন্তু আমাদের সামনে আবার সুযোগ এসেছে, আমাদের পারতে হবে। বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিজম আমরা কায়েম করতে দিতে পারি না। ফ্যাসিজম ফিরে আসে যখন জাতি ফ্যাসিজমের ইতিহাস ভুলে যায়। যে দেশ ঐক্যবদ্ধ থেকেছে, সেখানে ফ্যাসিজম প্রতিরোধ করতে পেরেছে। ফ্যাসিজমবিরোধী আমরা যে ঐক্য গড়েছি, সেটা সাস্টেইনেবল করতে হবে। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জাতীয় ঐক্য থাকতে হবে। মানবাধিকার, গণতন্ত্র, ভোটাধিকারের প্রশ্নেও ঐক্য থাকতে হবে।’
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন বলেন, ‘আমরা শুরুতেই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সবার আগে শিক্ষা কমিশন আশা করেছিলাম, তবে সেটা সংস্কার কমিশন নয়। বাংলাদেশকে উন্নত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে স্থায়ী শিক্ষা কমিশন করতে হবে। বিগত সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে।’
তিনি বলেন, দলগুলোতে গণতান্ত্রিক প্র্যাকটিস থাকলে মনোনয়ন–বাণিজ্য হবে না। বিএনপিতে গণতন্ত্র রয়েছে। এ কারণে বিএনপিতে মনোনয়ন–বাণিজ্য হবে না।
এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘’৫২, ’৬২, ’৬৯, ’৭১, ’৯০ প্রত্যেকটা আন্দোলনে তরুণেরা নেতৃত্ব দিয়েছিল। এবার ১৫ বছরের সংগ্রামের চূড়ান্ত রূপ দিয়েছে ছাত্ররা। তরুণদের নিয়েই আগামীর পরিবর্তন আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমরা চাই তারুণ্যনির্ভর আগামীর বাংলাদেশ গড়তে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন বলেন, ‘যে সংস্কারটুকু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করবে, আমরা সেই সংস্কার চাই। সংস্কার প্রস্তাবনা যুগপৎ আন্দোলনের দলগুলো অনেক আগে থেকেই দিচ্ছে। ২০১৬ সালে বিএনপি সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছিল। ২০১৩ সালে তারেক রহমান কোটার সংস্কার চেয়ে কথা বলেছিলেন। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ এবং পরপর দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া—এসব বিষয়ে অনেক আগেই কথা বলেছেন। আমরা ক্ষমতায় আসলে ক্ষমতাসীন দল বলব না, আমরা বলব দেশ গড়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত দল।’
তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত ভাতার ব্যবস্থা করবেন।’
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশের (পিইউএসএবি) প্রতিনিধি তানজিল মাহমুদ বলেন, ‘বিগত ৯ বছর ধরে দেশের জন্য প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা যখনই প্রয়োজন হয়েছে আন্দোলন করেছে। এবারের আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটার জন্য নামেনি। কারণ, তাদের কোটা প্রয়োজন হয় না। আমরা নেমেছি শিক্ষার্থীদের হত্যার বিচারের দাবিতে। দাবি থাকবে, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সুযোগ দিন। তাদের জাতীয় রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দিন।’
আদিবাসী প্রতিনিধি ইলিরা দেওয়ান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যেভাবে নিজেদের মতো করে রাখত, সংখ্যালঘুদের রক্ষাকারী দাবি করত। তাহলে গত ১৫ বছর কেন মন্দির রক্ষা করতে পারেনি, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি? সুতরাং, তারা মিষ্টি মিষ্টি কথা বললেও কাজ করেনি। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়তে আমরা সবাই মিলে কাজ করতে চাই।’
ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর সহযোগী অধ্যাপক অধ্যাপক নাদিন শান্তা মুরশিদ বলেন, ‘হাসিনা খুনি না হলে হয়তো আমরা তাঁর পতন দেখতে পারতাম না। কিছু মানুষ মারা গেলে মর্যাদা বাড়ে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ তেমনই।’
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘‘২৪-এর আন্দোলনে ছাত্র-জনতা যে ধরনের সংস্কার চায়, ছাত্রশিবিরও তা চায়। আমাদের ছাত্ররাজনীতিতে ছাত্রদের অধিকার নিয়ে রাজনীতি হয় না। ছাত্ররাজনীতি সংস্কারের প্রথম উদ্যোগ হতে পারে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। প্রতিবছর এ নির্বাচন হবে, যার মাধ্যমে ছাত্ররা নিজেদের নেতৃত্ব নির্বাচন করব, যারা তাদের কথা বলবে।’
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ আহমেদ বলেন, ‘শহীদের তালিকা এখনো পুরোপুরি হয়নি। তাদের পরিবারগুলো সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়নি। চার মসে সরকারের অর্জন কতটুকু? এখনো সরকার তাদের নির্বাচনের রোডম্যাপ স্পষ্ট করেনি। এটি বিভাজন তৈরি করছে। এখন যে অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে, তার দায় সরকার এড়াতে পারবে না।’
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ‘বিএনপির সহযোগী সংগঠন হলেও ছাত্রদল স্বতন্ত্রভাবে পরিচালিত হয়। আমরা বিএনপির কোনো সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দিই না। খুনি সংগঠন ছাত্রলীগ লেজুড়বৃত্তিক শব্দকে গত ১৫ বছর ধরে এত কলুষিত করেছে যে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এটা নিয়ে ভীতি তৈরি হয়েছে। ছাত্ররাজনীতির নামে নিকৃষ্ট সব নজির তারা স্থাপন করেছিল। বাংলাদেশের সব ছাত্রসংগঠনেরই মূল দল রয়েছে। বামধারার রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনগুলোরও মূল দল রয়েছে। আমরা গত কয়েক মাসে ৩০০ জনকে বহিষ্কার করেছি।’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘গণতন্ত্র মানেই সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন। কিন্তু সংখ্যালঘুর কথা শুনতে হবে, পছন্দ না হলেও। সংবিধানকে সংস্কার করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ১০–এর মধ্যে ৪ দিতে চাই। এখন যারা সরকারে রয়েছে, তারা যার যার জায়গায় সেরা। কিন্তু এখন তো অন্য জায়গায় তাঁরা। আমাদের দেশে নির্বাচনে যেসব অপসংস্কৃতি রয়েছে, সেগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
আজ শুক্রবার খামারবাড়ী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘“এ”-এর জায়গা “বি” দখল করবে এবং সে জায়গায় গিয়ে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবার সময় এখন নয়। এখন সময় হচ্ছে, “এ” গেছে, তারপর সমস্ত জনগোষ্ঠীর সম্মিলিত মতের ভিত্তিতে একটা উন্নত জ্ঞানের চর্চার মধ্য দিয়ে সে রকম একটি সংস্কৃতি—দল ও দেশের জন্য গড়ে তুলব। সাধারণ মানুষ জীবন দিয়েছে। তাদের লড়াইয়ে স্লোগান উঠে এসেছে, আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ চাই। অর্থাৎ গুম, খুন, লুটতরাজ, ধর্ষণ, আয়নাঘর—এসব চলবে না। আমরা তার বদলে উৎকর্ষ কোনো জিনিস সেখানে প্রতিষ্ঠিত করব।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, ‘স্বাধীনতার পর দেশটিকে নতুনভাবে গড়ার সুযোগ এসেছিল, আমরা সেটা করতে পারিনি। কিন্তু আমাদের সামনে আবার সুযোগ এসেছে, আমাদের পারতে হবে। বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিজম আমরা কায়েম করতে দিতে পারি না। ফ্যাসিজম ফিরে আসে যখন জাতি ফ্যাসিজমের ইতিহাস ভুলে যায়। যে দেশ ঐক্যবদ্ধ থেকেছে, সেখানে ফ্যাসিজম প্রতিরোধ করতে পেরেছে। ফ্যাসিজমবিরোধী আমরা যে ঐক্য গড়েছি, সেটা সাস্টেইনেবল করতে হবে। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জাতীয় ঐক্য থাকতে হবে। মানবাধিকার, গণতন্ত্র, ভোটাধিকারের প্রশ্নেও ঐক্য থাকতে হবে।’
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন বলেন, ‘আমরা শুরুতেই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সবার আগে শিক্ষা কমিশন আশা করেছিলাম, তবে সেটা সংস্কার কমিশন নয়। বাংলাদেশকে উন্নত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে স্থায়ী শিক্ষা কমিশন করতে হবে। বিগত সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে।’
তিনি বলেন, দলগুলোতে গণতান্ত্রিক প্র্যাকটিস থাকলে মনোনয়ন–বাণিজ্য হবে না। বিএনপিতে গণতন্ত্র রয়েছে। এ কারণে বিএনপিতে মনোনয়ন–বাণিজ্য হবে না।
এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘’৫২, ’৬২, ’৬৯, ’৭১, ’৯০ প্রত্যেকটা আন্দোলনে তরুণেরা নেতৃত্ব দিয়েছিল। এবার ১৫ বছরের সংগ্রামের চূড়ান্ত রূপ দিয়েছে ছাত্ররা। তরুণদের নিয়েই আগামীর পরিবর্তন আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমরা চাই তারুণ্যনির্ভর আগামীর বাংলাদেশ গড়তে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন বলেন, ‘যে সংস্কারটুকু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করবে, আমরা সেই সংস্কার চাই। সংস্কার প্রস্তাবনা যুগপৎ আন্দোলনের দলগুলো অনেক আগে থেকেই দিচ্ছে। ২০১৬ সালে বিএনপি সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছিল। ২০১৩ সালে তারেক রহমান কোটার সংস্কার চেয়ে কথা বলেছিলেন। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ এবং পরপর দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া—এসব বিষয়ে অনেক আগেই কথা বলেছেন। আমরা ক্ষমতায় আসলে ক্ষমতাসীন দল বলব না, আমরা বলব দেশ গড়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত দল।’
তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত ভাতার ব্যবস্থা করবেন।’
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশের (পিইউএসএবি) প্রতিনিধি তানজিল মাহমুদ বলেন, ‘বিগত ৯ বছর ধরে দেশের জন্য প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা যখনই প্রয়োজন হয়েছে আন্দোলন করেছে। এবারের আন্দোলনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটার জন্য নামেনি। কারণ, তাদের কোটা প্রয়োজন হয় না। আমরা নেমেছি শিক্ষার্থীদের হত্যার বিচারের দাবিতে। দাবি থাকবে, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সুযোগ দিন। তাদের জাতীয় রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দিন।’
আদিবাসী প্রতিনিধি ইলিরা দেওয়ান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যেভাবে নিজেদের মতো করে রাখত, সংখ্যালঘুদের রক্ষাকারী দাবি করত। তাহলে গত ১৫ বছর কেন মন্দির রক্ষা করতে পারেনি, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি? সুতরাং, তারা মিষ্টি মিষ্টি কথা বললেও কাজ করেনি। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়তে আমরা সবাই মিলে কাজ করতে চাই।’
ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর সহযোগী অধ্যাপক অধ্যাপক নাদিন শান্তা মুরশিদ বলেন, ‘হাসিনা খুনি না হলে হয়তো আমরা তাঁর পতন দেখতে পারতাম না। কিছু মানুষ মারা গেলে মর্যাদা বাড়ে। আবু সাঈদ, মুগ্ধ তেমনই।’
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘‘২৪-এর আন্দোলনে ছাত্র-জনতা যে ধরনের সংস্কার চায়, ছাত্রশিবিরও তা চায়। আমাদের ছাত্ররাজনীতিতে ছাত্রদের অধিকার নিয়ে রাজনীতি হয় না। ছাত্ররাজনীতি সংস্কারের প্রথম উদ্যোগ হতে পারে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। প্রতিবছর এ নির্বাচন হবে, যার মাধ্যমে ছাত্ররা নিজেদের নেতৃত্ব নির্বাচন করব, যারা তাদের কথা বলবে।’
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ আহমেদ বলেন, ‘শহীদের তালিকা এখনো পুরোপুরি হয়নি। তাদের পরিবারগুলো সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়নি। চার মসে সরকারের অর্জন কতটুকু? এখনো সরকার তাদের নির্বাচনের রোডম্যাপ স্পষ্ট করেনি। এটি বিভাজন তৈরি করছে। এখন যে অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে, তার দায় সরকার এড়াতে পারবে না।’
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ‘বিএনপির সহযোগী সংগঠন হলেও ছাত্রদল স্বতন্ত্রভাবে পরিচালিত হয়। আমরা বিএনপির কোনো সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দিই না। খুনি সংগঠন ছাত্রলীগ লেজুড়বৃত্তিক শব্দকে গত ১৫ বছর ধরে এত কলুষিত করেছে যে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এটা নিয়ে ভীতি তৈরি হয়েছে। ছাত্ররাজনীতির নামে নিকৃষ্ট সব নজির তারা স্থাপন করেছিল। বাংলাদেশের সব ছাত্রসংগঠনেরই মূল দল রয়েছে। বামধারার রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনগুলোরও মূল দল রয়েছে। আমরা গত কয়েক মাসে ৩০০ জনকে বহিষ্কার করেছি।’

আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস ঠেকাতে হাসনাত আবদুল্লাহ একাই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এনসিপির স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের নিয়ে গঠিত ‘ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) আত্মপ্রকাশ’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলে
১ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারকে হুমকি-ধমকি না দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পথে অগ্রসর হতে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৩ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধিদল। আজ বুধবার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
রিজভী বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যে বিপুল প্রাণশক্তি ও আত্মত্যাগের নিদর্শন এ দেশের ছাত্র-তরুণ-শ্রমিকেরা দেখিয়েছে, এরপরে আর কোনো বৈরিতা থাকার কথা নয়। সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঝগড়াঝাঁটি, তর্কবিতর্ক সবকিছুর মধ্য দিয়ে একটা জায়গায় উপনীত হতে হবে যে, আমরা এ রাষ্ট্রকে বিনির্মাণ করব গণতান্ত্রিক চেতনার মধ্য
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস ঠেকাতে হাসনাত আবদুল্লাহ একাই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এনসিপির স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের নিয়ে গঠিত ‘ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) আত্মপ্রকাশ’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জুলাইয়ের চেতনায় উদ্বুদ্ধ নতুন এ সংগঠনে চিকিৎসকদের পাশাপাশি নার্স, টেকনোলজিস্ট, জনস্বাস্থ্যবিদ ও ফিজিওথেরাপিস্ট রয়েছেন। কমিটি ঘোষণা করেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ। এ সময় আরও ছিলেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা।
সভায় নাসীরুদ্দীন বলেন, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) নাকি আওয়ামী লীগের লকডাউন। আগামীকাল সব দল মাঠে থাকবে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসকে ঠেকাতে হাসনাত আবদুল্লাহ একাই যথেষ্ট।
একটি দল ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে বেরিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন এনসিপির এ নেতা। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হতে চাইলেও একটি দল এই প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে গেছে। বাংলাদেশের বড়সংখ্যক মানুষ সংস্কার চায় বলেই ১০০ বছর চেষ্টা করেও বিএনপি গণভোট ঠেকাতে পারবে না।
সভায় তাসনিম জারা বলেন, ‘স্বৈরাচারের সময়ে জুলাই বিপ্লবে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতে নিষেধ করা হয়। অথচ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজই ছিল মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া। সেখানে রাজনৈতিক পরিচয়নির্ভর করার কথা নয়। এই যে স্বাস্থ্য খাতেও রাজনৈতিক ছায়া, এটি আমরা কখনোই চাই না। স্বাস্থ্য খাতের আমূল পরিবর্তন দরকার। এই সময়ে এসেও আমাদের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের মেঝেতে থাকতে হয়। এ দেশে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া শুধু ক্ষমতাধরদের জন্য সহজ, কিন্তু এটি তো হওয়ার কথা ছিল না। স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও এমন চিত্র দুঃখজনক। এই ভঙ্গুর অবস্থা থেকে আমাদের পুরো চিত্র বদলে ফেলতে হবে।’
তাসনিম জারা আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাবনা দিয়েছে, তার কোনোটাই আমরা বাস্তবায়ন করতে দেখিনি। আমাদের প্রাথমিক চিকিৎসাব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। রোগী ধনী, গরিব যে-ই হোক, সেবা পাওয়াটাই মুখ্য হবে।’

আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস ঠেকাতে হাসনাত আবদুল্লাহ একাই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এনসিপির স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের নিয়ে গঠিত ‘ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) আত্মপ্রকাশ’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জুলাইয়ের চেতনায় উদ্বুদ্ধ নতুন এ সংগঠনে চিকিৎসকদের পাশাপাশি নার্স, টেকনোলজিস্ট, জনস্বাস্থ্যবিদ ও ফিজিওথেরাপিস্ট রয়েছেন। কমিটি ঘোষণা করেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ। এ সময় আরও ছিলেন এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা।
সভায় নাসীরুদ্দীন বলেন, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) নাকি আওয়ামী লীগের লকডাউন। আগামীকাল সব দল মাঠে থাকবে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসকে ঠেকাতে হাসনাত আবদুল্লাহ একাই যথেষ্ট।
একটি দল ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে বেরিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন এনসিপির এ নেতা। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হতে চাইলেও একটি দল এই প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে গেছে। বাংলাদেশের বড়সংখ্যক মানুষ সংস্কার চায় বলেই ১০০ বছর চেষ্টা করেও বিএনপি গণভোট ঠেকাতে পারবে না।
সভায় তাসনিম জারা বলেন, ‘স্বৈরাচারের সময়ে জুলাই বিপ্লবে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতে নিষেধ করা হয়। অথচ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজই ছিল মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া। সেখানে রাজনৈতিক পরিচয়নির্ভর করার কথা নয়। এই যে স্বাস্থ্য খাতেও রাজনৈতিক ছায়া, এটি আমরা কখনোই চাই না। স্বাস্থ্য খাতের আমূল পরিবর্তন দরকার। এই সময়ে এসেও আমাদের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের মেঝেতে থাকতে হয়। এ দেশে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া শুধু ক্ষমতাধরদের জন্য সহজ, কিন্তু এটি তো হওয়ার কথা ছিল না। স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও এমন চিত্র দুঃখজনক। এই ভঙ্গুর অবস্থা থেকে আমাদের পুরো চিত্র বদলে ফেলতে হবে।’
তাসনিম জারা আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাবনা দিয়েছে, তার কোনোটাই আমরা বাস্তবায়ন করতে দেখিনি। আমাদের প্রাথমিক চিকিৎসাব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। রোগী ধনী, গরিব যে-ই হোক, সেবা পাওয়াটাই মুখ্য হবে।’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘গণতন্ত্র মানেই সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন। কিন্তু সংখ্যালঘুর কথা শুনতে হবে, পছন্দ না হলেও। সংবিধানকে সংস্কার করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ১০–এর মধ্যে ৪ দিতে চাই। এখন যারা সরকারে রয়েছে, তারা যার যার জায়গায় সেরা। কিন্তু এখনতো অন্য জায়গায় তারা। আমাদের
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারকে হুমকি-ধমকি না দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পথে অগ্রসর হতে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৩ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধিদল। আজ বুধবার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
রিজভী বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যে বিপুল প্রাণশক্তি ও আত্মত্যাগের নিদর্শন এ দেশের ছাত্র-তরুণ-শ্রমিকেরা দেখিয়েছে, এরপরে আর কোনো বৈরিতা থাকার কথা নয়। সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঝগড়াঝাঁটি, তর্কবিতর্ক সবকিছুর মধ্য দিয়ে একটা জায়গায় উপনীত হতে হবে যে, আমরা এ রাষ্ট্রকে বিনির্মাণ করব গণতান্ত্রিক চেতনার মধ্য
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারকে হুমকি-ধমকি না দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পথে অগ্রসর হতে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমার দলের পক্ষ থেকে আবারও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সহযোগীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই—চলুন, বর্তমান দুর্বল অন্তর্বর্তী সরকারকে হুমকি-ধমকি না দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জনগণের মুখোমুখি হই।’
আজ বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই আহ্বান জানান। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে বিএনপি।
তারেক রহমান বলেন, জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র যখন প্রস্তুত হচ্ছে, তখন কয়েকটি রাজনৈতিক দল অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কার্যত গণতন্ত্রকামী জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধেই মনে হয় অবস্থান নিচ্ছে বা নিয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মনে হয় একটি কথা গুরুত্বসহকারে মনে রাখা উচিত। নিজ দলের বাইরের সমর্থকদের বাইরে এক বিশালসংখ্যক অরাজনৈতিক জনগোষ্ঠী রয়েছে। এই জনগোষ্ঠীর দিকে নজর দেওয়া প্রতিটি রাজনৈতিক দলের পবিত্র দায়িত্ব বলে মনে করি। মাসের পর মাস আলোচনা হয়েছে, কিন্তু এই বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট আলোচনা কতটুকু হয়েছে, সেটি এখন বড় প্রশ্ন।’
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিরাজমান সংকটকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি মনে করি, এই সংকট তৈরি করা হয়েছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে। অর্থাৎ বাংলাদেশের গণতন্ত্রে উত্তরণের যে পথ, সেই পথকে বাধাগ্রস্ত করা; বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে সংস্কারের জন্য যে নির্বাচন হওয়া দরকার, সেই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা; জনগণের ভবিষ্যৎকে একটা অনিশ্চিত অবস্থায় ফেলা।’
সংকট মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসুন, আমরা সবাই আজকে এই জায়গা থেকে একমত হয়ে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেইসব চক্রান্তকে রুখে দিয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে সুগম করি।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, সেলিমা রহমান, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ মাহবুব উল্লাহ, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ প্রমুখ।

অন্তর্বর্তী সরকারকে হুমকি-ধমকি না দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পথে অগ্রসর হতে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমার দলের পক্ষ থেকে আবারও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সহযোগীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই—চলুন, বর্তমান দুর্বল অন্তর্বর্তী সরকারকে হুমকি-ধমকি না দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জনগণের মুখোমুখি হই।’
আজ বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই আহ্বান জানান। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে বিএনপি।
তারেক রহমান বলেন, জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র যখন প্রস্তুত হচ্ছে, তখন কয়েকটি রাজনৈতিক দল অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কার্যত গণতন্ত্রকামী জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধেই মনে হয় অবস্থান নিচ্ছে বা নিয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মনে হয় একটি কথা গুরুত্বসহকারে মনে রাখা উচিত। নিজ দলের বাইরের সমর্থকদের বাইরে এক বিশালসংখ্যক অরাজনৈতিক জনগোষ্ঠী রয়েছে। এই জনগোষ্ঠীর দিকে নজর দেওয়া প্রতিটি রাজনৈতিক দলের পবিত্র দায়িত্ব বলে মনে করি। মাসের পর মাস আলোচনা হয়েছে, কিন্তু এই বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট আলোচনা কতটুকু হয়েছে, সেটি এখন বড় প্রশ্ন।’
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিরাজমান সংকটকে ‘অপ্রয়োজনীয়’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি মনে করি, এই সংকট তৈরি করা হয়েছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে। অর্থাৎ বাংলাদেশের গণতন্ত্রে উত্তরণের যে পথ, সেই পথকে বাধাগ্রস্ত করা; বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে সংস্কারের জন্য যে নির্বাচন হওয়া দরকার, সেই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা; জনগণের ভবিষ্যৎকে একটা অনিশ্চিত অবস্থায় ফেলা।’
সংকট মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসুন, আমরা সবাই আজকে এই জায়গা থেকে একমত হয়ে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেইসব চক্রান্তকে রুখে দিয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে সুগম করি।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, সেলিমা রহমান, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ মাহবুব উল্লাহ, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ প্রমুখ।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘গণতন্ত্র মানেই সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন। কিন্তু সংখ্যালঘুর কথা শুনতে হবে, পছন্দ না হলেও। সংবিধানকে সংস্কার করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ১০–এর মধ্যে ৪ দিতে চাই। এখন যারা সরকারে রয়েছে, তারা যার যার জায়গায় সেরা। কিন্তু এখনতো অন্য জায়গায় তারা। আমাদের
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস ঠেকাতে হাসনাত আবদুল্লাহ একাই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এনসিপির স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের নিয়ে গঠিত ‘ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) আত্মপ্রকাশ’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলে
১ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধিদল। আজ বুধবার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
রিজভী বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যে বিপুল প্রাণশক্তি ও আত্মত্যাগের নিদর্শন এ দেশের ছাত্র-তরুণ-শ্রমিকেরা দেখিয়েছে, এরপরে আর কোনো বৈরিতা থাকার কথা নয়। সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঝগড়াঝাঁটি, তর্কবিতর্ক সবকিছুর মধ্য দিয়ে একটা জায়গায় উপনীত হতে হবে যে, আমরা এ রাষ্ট্রকে বিনির্মাণ করব গণতান্ত্রিক চেতনার মধ্য
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধিদল। আজ বুধবার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জামায়াতের প্রচার বিভাগ জানায়, বৈঠকে আইএমএফের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন অ্যাডভাইজার টু দ্য বাংলাদেশ মিশন চিফ ক্রিস পাপাজর্জিউ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইএমএফের ঢাকার আবাসিক প্রতিনিধি ম্যাক্সিম ক্রিশকো, ডেপুটি চিফ অব মিশন আইভো ক্রেজনার ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক তাওহিদ এলাহি।
জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদলে ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, শিক্ষাবিদ ড. আবদুর রব ও শফিউল্লাহ।
জামায়াত জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশের টেকসই অর্থনীতি, বিভিন্ন আর্থিক খাত, করব্যবস্থা ও সামাজিক খাতের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধিদল। আজ বুধবার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জামায়াতের প্রচার বিভাগ জানায়, বৈঠকে আইএমএফের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন অ্যাডভাইজার টু দ্য বাংলাদেশ মিশন চিফ ক্রিস পাপাজর্জিউ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইএমএফের ঢাকার আবাসিক প্রতিনিধি ম্যাক্সিম ক্রিশকো, ডেপুটি চিফ অব মিশন আইভো ক্রেজনার ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক তাওহিদ এলাহি।
জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদলে ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, শিক্ষাবিদ ড. আবদুর রব ও শফিউল্লাহ।
জামায়াত জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশের টেকসই অর্থনীতি, বিভিন্ন আর্থিক খাত, করব্যবস্থা ও সামাজিক খাতের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘গণতন্ত্র মানেই সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন। কিন্তু সংখ্যালঘুর কথা শুনতে হবে, পছন্দ না হলেও। সংবিধানকে সংস্কার করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ১০–এর মধ্যে ৪ দিতে চাই। এখন যারা সরকারে রয়েছে, তারা যার যার জায়গায় সেরা। কিন্তু এখনতো অন্য জায়গায় তারা। আমাদের
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস ঠেকাতে হাসনাত আবদুল্লাহ একাই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এনসিপির স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের নিয়ে গঠিত ‘ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) আত্মপ্রকাশ’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলে
১ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারকে হুমকি-ধমকি না দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পথে অগ্রসর হতে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৩ ঘণ্টা আগে
রিজভী বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যে বিপুল প্রাণশক্তি ও আত্মত্যাগের নিদর্শন এ দেশের ছাত্র-তরুণ-শ্রমিকেরা দেখিয়েছে, এরপরে আর কোনো বৈরিতা থাকার কথা নয়। সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঝগড়াঝাঁটি, তর্কবিতর্ক সবকিছুর মধ্য দিয়ে একটা জায়গায় উপনীত হতে হবে যে, আমরা এ রাষ্ট্রকে বিনির্মাণ করব গণতান্ত্রিক চেতনার মধ্য
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রশ্ন তুলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনার জন্য ভেতর থেকে কারা কাজ করছে? সরকারই-বা এত দিন নীরব বসে থাকল কেন? সরকারের ভেতরেই ভূত আছে। সরকার আসল শত্রুপক্ষকে চিহ্নিত না করে বিএনপির বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে গেছে। সবাই নয়, কেউ কেউ।’
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে আজ বুধবার জিয়াউর রহমান আর্কাইভের উদ্যোগে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে প্রকাশনা ও আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যে বিপুল প্রাণশক্তি ও আত্মত্যাগের নিদর্শন এ দেশের ছাত্র-তরুণ-শ্রমিকেরা দেখিয়েছে, এরপরে আর কোনো বৈরিতা থাকার কথা নয়। সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঝগড়াঝাঁটি, তর্কবিতর্ক সবকিছুর মধ্য দিয়ে একটা জায়গায় উপনীত হতে হবে যে—আমরা এ রাষ্ট্রকে বিনির্মাণ করব গণতান্ত্রিক চেতনার মধ্য দিয়ে। এই চেতনার মূল ভিত্তি হবে আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে শক্তিশালী রাখা। এই মূল স্পিরিট যদি ঠিক থাকে, জুলাই সনদ নিয়ে, এর বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া নিয়ে কী হবে, তা নিয়ে এত বিবাদ-বিসম্বাদ কেন? এটা হওয়ার কথা নয়।’
রিজভী বলেন, ‘“জুলাই সনদ আইনিপ্রক্রিয়ায় না হলে হবে না”—যাঁরা এ কথা বলছেন, তাঁরা এতই আইন বিশেষজ্ঞ, তাহলে শেখ হাসিনার আমলে যে এত বেআইনি কাজ হলো, তখন বুক চিতিয়ে আরও ভালো করে দাঁড়াননি কেন? আজকে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে, নাহলে নাকি নির্বাচন হবে ২০২৯ সালে! এক রাজনৈতিক দলের নেতা এ কথা বলেছেন।’
সম্প্রতি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হওয়া নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, বোমা বানাচ্ছেন। গাড়িতে আগুন দিচ্ছেন। এতে প্রমাণিত—তাদের অমানবিক নিষ্ঠুরতার যে চেহারা, এটা অনেক আগে থেকেই ছিল। রাষ্ট্রক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বাসে আগুন, মানুষ পুড়িয়ে মেরে বিরোধী দলের ওপর তারা চাপাত।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রশ্ন তুলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনার জন্য ভেতর থেকে কারা কাজ করছে? সরকারই-বা এত দিন নীরব বসে থাকল কেন? সরকারের ভেতরেই ভূত আছে। সরকার আসল শত্রুপক্ষকে চিহ্নিত না করে বিএনপির বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে গেছে। সবাই নয়, কেউ কেউ।’
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে আজ বুধবার জিয়াউর রহমান আর্কাইভের উদ্যোগে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে প্রকাশনা ও আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যে বিপুল প্রাণশক্তি ও আত্মত্যাগের নিদর্শন এ দেশের ছাত্র-তরুণ-শ্রমিকেরা দেখিয়েছে, এরপরে আর কোনো বৈরিতা থাকার কথা নয়। সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঝগড়াঝাঁটি, তর্কবিতর্ক সবকিছুর মধ্য দিয়ে একটা জায়গায় উপনীত হতে হবে যে—আমরা এ রাষ্ট্রকে বিনির্মাণ করব গণতান্ত্রিক চেতনার মধ্য দিয়ে। এই চেতনার মূল ভিত্তি হবে আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে শক্তিশালী রাখা। এই মূল স্পিরিট যদি ঠিক থাকে, জুলাই সনদ নিয়ে, এর বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া নিয়ে কী হবে, তা নিয়ে এত বিবাদ-বিসম্বাদ কেন? এটা হওয়ার কথা নয়।’
রিজভী বলেন, ‘“জুলাই সনদ আইনিপ্রক্রিয়ায় না হলে হবে না”—যাঁরা এ কথা বলছেন, তাঁরা এতই আইন বিশেষজ্ঞ, তাহলে শেখ হাসিনার আমলে যে এত বেআইনি কাজ হলো, তখন বুক চিতিয়ে আরও ভালো করে দাঁড়াননি কেন? আজকে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে, নাহলে নাকি নির্বাচন হবে ২০২৯ সালে! এক রাজনৈতিক দলের নেতা এ কথা বলেছেন।’
সম্প্রতি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হওয়া নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, বোমা বানাচ্ছেন। গাড়িতে আগুন দিচ্ছেন। এতে প্রমাণিত—তাদের অমানবিক নিষ্ঠুরতার যে চেহারা, এটা অনেক আগে থেকেই ছিল। রাষ্ট্রক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বাসে আগুন, মানুষ পুড়িয়ে মেরে বিরোধী দলের ওপর তারা চাপাত।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘গণতন্ত্র মানেই সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন। কিন্তু সংখ্যালঘুর কথা শুনতে হবে, পছন্দ না হলেও। সংবিধানকে সংস্কার করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ১০–এর মধ্যে ৪ দিতে চাই। এখন যারা সরকারে রয়েছে, তারা যার যার জায়গায় সেরা। কিন্তু এখনতো অন্য জায়গায় তারা। আমাদের
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস ঠেকাতে হাসনাত আবদুল্লাহ একাই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। আজ বুধবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এনসিপির স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের নিয়ে গঠিত ‘ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) আত্মপ্রকাশ’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলে
১ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারকে হুমকি-ধমকি না দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পথে অগ্রসর হতে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৩ ঘণ্টা আগে
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধিদল। আজ বুধবার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৩ ঘণ্টা আগে