ঢাবি সংবাদদাতা
গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলায় নিহত শহীদ আবুল কাশেমের কফিন নিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে কফিন মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা। আজ বুধবার রাত ৯টার পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ আবুল কাশেমের জানাজা শেষে মিছিলটি শুরু হয়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়ক হয়ে মিছিলটি শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকেরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি আইনি প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ করার এবং বিচার নিশ্চিতের দাবি করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আজ ফ্যাসিবাদের প্রামাণ্য দলিল আয়নাঘর সবার সামনে এসেছে। জাতিসংঘ গণহত্যার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এত কিছুর পর আওয়ামী লীগের হাতে আমার বিপ্লবী ভাইয়ের শাহাদত আমাদেরই ব্যর্থতা। আমরা এত দিনে সুবিচার নিশ্চিত করতে পারিনি; আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারিনি।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘স্বৈরাচার পতনের ৬ মাস পরেও আমাদের সহযোদ্ধাদের কুপিয়ে আহত করা হয়। এমনভাবে আহত করা হয়েছে, আমাদের সে ভাই শহীদ হয়ে গেলেন। গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ এই দুঃসাহস দেখাচ্ছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিগত দেড় দশকে এ দেশে যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে, এই লাশ ত্রাসের ধারাবাহিকতা।’
তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ে শেখ হাসিনার নির্দেশে গণহত্যা হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি আওয়ামী লীগ। এত কিছুর পর আওয়ামী লীগ এ দেশে রাজনীতি করার বিন্দু পরিমাণ অধিকার রাখে না। শহীদের লাশের শপথ করে বলছি, শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাব।’
তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগের সকল অপরাধ ও গণহত্যার বিচার করতে হবে এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে। জাতিসংঘ আজ গণহত্যার প্রমাণ বিশ্ববাসীর সামনে হাজির করেছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সকল শক্তি কাজে লাগিয়ে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল বলেন, ‘আজ বিপ্লবীদের কেন শহীদ হতে হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারকে এর জবাব দিতে হবে। আমরা জুলাইয়ের একজন সৈনিক বেঁচে থাকলেও আওয়ামী লীগের কবর রচনা করতে লড়াই চালিয়ে যাব। আওয়ামী লীগকে শুধু নিষিদ্ধ করলে হবে না; যারা বিভিন্নভাবে তাদের পক্ষ নিচ্ছে, প্রত্যেককে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে হবে। যদি সরকার তা না করে, বিপ্লবী ছাত্র-জনতা বিপ্লবকে সম্পন্ন করতে সে দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নেবে।’
তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে শেখ হাসিনা দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে এ দেশকে ভাড়া দিয়ে রেখেছে। ৫ আগস্টের বিজয়ের পর এ ভূখণ্ডের দখল আমরা পেয়েছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে এই ভূখণ্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ, আব্দুল কাদের, রিফাত রশিদ প্রমুখ নেতা। মিছিল শেষে শহীদ আবুল কাশেমের মৃতদেহ গাজীপুরের নিজ বাড়িতে দাফনের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।
গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলায় নিহত শহীদ আবুল কাশেমের কফিন নিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে কফিন মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা। আজ বুধবার রাত ৯টার পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ আবুল কাশেমের জানাজা শেষে মিছিলটি শুরু হয়। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়ক হয়ে মিছিলটি শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকেরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি আইনি প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ করার এবং বিচার নিশ্চিতের দাবি করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আজ ফ্যাসিবাদের প্রামাণ্য দলিল আয়নাঘর সবার সামনে এসেছে। জাতিসংঘ গণহত্যার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এত কিছুর পর আওয়ামী লীগের হাতে আমার বিপ্লবী ভাইয়ের শাহাদত আমাদেরই ব্যর্থতা। আমরা এত দিনে সুবিচার নিশ্চিত করতে পারিনি; আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারিনি।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘স্বৈরাচার পতনের ৬ মাস পরেও আমাদের সহযোদ্ধাদের কুপিয়ে আহত করা হয়। এমনভাবে আহত করা হয়েছে, আমাদের সে ভাই শহীদ হয়ে গেলেন। গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ এই দুঃসাহস দেখাচ্ছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিগত দেড় দশকে এ দেশে যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে, এই লাশ ত্রাসের ধারাবাহিকতা।’
তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ে শেখ হাসিনার নির্দেশে গণহত্যা হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি আওয়ামী লীগ। এত কিছুর পর আওয়ামী লীগ এ দেশে রাজনীতি করার বিন্দু পরিমাণ অধিকার রাখে না। শহীদের লাশের শপথ করে বলছি, শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাব।’
তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগের সকল অপরাধ ও গণহত্যার বিচার করতে হবে এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে। জাতিসংঘ আজ গণহত্যার প্রমাণ বিশ্ববাসীর সামনে হাজির করেছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সকল শক্তি কাজে লাগিয়ে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল বলেন, ‘আজ বিপ্লবীদের কেন শহীদ হতে হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারকে এর জবাব দিতে হবে। আমরা জুলাইয়ের একজন সৈনিক বেঁচে থাকলেও আওয়ামী লীগের কবর রচনা করতে লড়াই চালিয়ে যাব। আওয়ামী লীগকে শুধু নিষিদ্ধ করলে হবে না; যারা বিভিন্নভাবে তাদের পক্ষ নিচ্ছে, প্রত্যেককে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে হবে। যদি সরকার তা না করে, বিপ্লবী ছাত্র-জনতা বিপ্লবকে সম্পন্ন করতে সে দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নেবে।’
তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে শেখ হাসিনা দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে এ দেশকে ভাড়া দিয়ে রেখেছে। ৫ আগস্টের বিজয়ের পর এ ভূখণ্ডের দখল আমরা পেয়েছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে এই ভূখণ্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ, আব্দুল কাদের, রিফাত রশিদ প্রমুখ নেতা। মিছিল শেষে শহীদ আবুল কাশেমের মৃতদেহ গাজীপুরের নিজ বাড়িতে দাফনের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষে দেশে ফিরে দলের নেতাকর্মীদের বার্তা দিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘বার্তা একটাই, আমাদের এখন গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার জন্য, আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে আমাদের গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা
৫ ঘণ্টা আগেদলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা বরাদ্দ প্রসঙ্গে দীর্ঘ ব্যাখ্যা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সেখানে অভিযোগ করা হয়, শাপলা প্রতীক না দেওয়া এনসিপির প্রতি বিরূপ মনোভাব ও স্বেচ্ছাচারী দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ। দলটি মনে করে, প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের একরোখা কার্যকলাপে তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে
৮ ঘণ্টা আগেসাবেক মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি নাকি অবনতি হয়েছে—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে ভর্তি। তাঁর শারীরিক অবস্থার খুব যে উন্নতি হয়েছে, তা বলা যাবে না; আবার অবনতিও হয়নি। অপরিবর্তিত অবস্থায় আছেন।
৮ ঘণ্টা আগেসৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, স্বাধীনতার পর যারা দেশ শাসন করেছে, তারা বারবার দেশকে চোরের দিক থেকে চ্যাম্পিয়ন করেছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেগমপাড়া তৈরি করা হয়েছে। দেশকে গুম-খুনের রাজ্যে পরিণত করা হয়েছে। বিশ্বের মাঝে দেশকে লজ্জাজনক অবস্থায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল।
৯ ঘণ্টা আগে