Ajker Patrika

মেজরিটি-মাইনরিটির কোনো সংঘাত আর দেখতে চাই না: জামায়াত আমির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
তৃতীয় মেয়াদে আমির হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ভাষণ দেন শফিকুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
তৃতীয় মেয়াদে আমির হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ভাষণ দেন শফিকুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘নতুন বাংলাদেশের যে প্রত্যাশা জেগে উঠেছে, এই বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করব। এখানে কোনো রাজনৈতিক বিভাজন আর মেজরিটি ও মাইনরিটির কোনো সংঘাত আমরা আর দেখতে চাই না। উন্নত দেশগুলোতে মেজরিটি-মাইনরিটি বলে কিছু নাই। তারা ইউনাইটেড নেশন, ঐক্যবদ্ধ জাতি। আমাদের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে এটি সৃষ্টি করা হয়েছে, যাতে জাতিকে মুখোমুখি করে রাখা যায়। আমরা এটা মানি না, এটা মানতে চাই না।’

আজ শুক্রবার রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে টানা তৃতীয় মেয়াদে আমির হিসেবে শপথ নেন শফিকুর রহমান। শপথপরবর্তী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। দলের সহকারী সেক্রেটারি ও জামায়াতের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম মাছুম তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান।

শপথ অনুষ্ঠানে জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে, আসমানের নিচে যাঁরাই জন্মগ্রহণ করবেন, যাঁরাই বসবাস করবেন, যাঁরাই এ দেশের নাগরিক—আমাদের সংবিধান তাঁদের সকলকে সমান অধিকার নিশ্চিত করবে ইনশা আল্লাহ। আমরা এখানে ওই ধরনের কোনো বিভাজন আর মেনে নেব না। এর ভিত্তিতে আমরা আর কোনো সংঘর্ষে জড়ানোর নাটক কাউকে করতে দেব না।’

শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা ইতিহাসের একটা গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে এসে দাঁড়িয়েছি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার কথা। আল্লাহ তাআলার দরবারে দোয়া করি, আল্লাহ তাআলা তাঁর বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সীমাহীন দয়া করে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা যেন করে দেন এবং এই ক্ষেত্রে আমরা যারা রাজনৈতিক দলগুলো আছি, দলের স্বার্থকে না দেখে জনগণের ভোটের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আমরা যেন খোলা অন্তরে আগামীর রাজনীতি করতে পারি। আল্লাহ যেন এই তৌফিক দান করেন।’

দলীয় সহকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘কোনো দল কিংবা ব্যক্তির অন্ধ প্রেমে আমরা কেউ মশগুল হব না। আমাদের প্রেম-ভালোবাসা আল্লাহর জন্য, তারপরে এই জমিনের জন্য, তারপরে এ দেশের জন্য। এই ভালোবাসা হবে আপসহীন। এখানে কোনো কিন্তু-বাট নাই। এটা সকল বাট-কিন্তুর ঊর্ধ্বে।’

শফিকুর রহমান আহ্বান করেন, ‘দেশপ্রেম অন্তরে ধারণ করে আমরা যেন সত্যিকার অর্থে আগামী নির্বাচনকে অর্থবহ করে তুলতে পারি। আমরা যেন প্রমাণ করি, যেই বাংলাদেশ আগের যে বিধ্বস্ত রাজনীতি ছিল, রাজনীতির যে অপসংস্কৃতি ছিল, সেই কালো ছায়া থেকে বেরিয়ে এসেছে, একটি নতুন বাংলাদেশ জন্ম নিয়েছে, যেই বাংলাদেশের প্রত্যাশা করে ১৮ কোটি মানুষ দেশে-বিদেশে বসে আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ