Ajker Patrika

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন বিবেচনার সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১৫: ৩৬
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন বিবেচনার সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন বিবেচনার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ রোববার মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। 

আনিসুল হক বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি আবেদন করা হয়েছিল। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ৪০১ ধারা অনুযায়ী তাঁকে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এই আবেদন একবার নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। এটি নিয়ে দ্বিতীয়বার আর কোনো কথা বলার সুযোগ নেই।

মন্ত্রী আরও বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী একটি আবেদন নিষ্পত্তি হওয়ার পর দ্বিতীয়বার আর কোনো কথা বলার সুযোগ নেই। ২০২০ সালে পরিবারের পক্ষ থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে বাসায় রেখে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অষ্টমবারের মতো তাঁর মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

এ বিষয়ে গতকাল শনিবার বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী সরকার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছে। ওই ধারাতেই বলা আছে, নির্বাহী আদেশে শর্ত ছাড়া মুক্তি দেওয়ার কথা। এখন সরকারই শর্তহীনভাবে মুক্তি দিয়ে খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে। 

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী সরকার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছে। একই ক্ষমতাবলে সরকার তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিতে পারে। এর জন্য আদালতে যেতে হবে এটি ঠিক না। কেননা, ৪০১ ধারায় সরকারকে সব রকম ক্ষমতা দেওয়া আছে।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হলে কারাগারে যেতে হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তাঁর সাজার রায় আসে। 

দেশে করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাঁকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। শর্ত দেওয়া হয়, তাঁকে দেশেই থাকতে হবে। 

কারাগার থেকে বেরিয়ে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা ফিরোজায় ওঠেন, এখনো সেখানেই থাকছেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়াকে কয়েক দফায় ঢাকার বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। 

খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে ব্লক, আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এর আগে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাঁর ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথাও জানান চিকিৎসকেরা। এখনো খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন। গতকাল শুক্রবার তাঁকে কেবিন থেকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। এরপর আবার কেবিনে আনা হয়। গত কয়েক দিন তাঁকে বেশ কয়েকবার কেবিন থেকে সিসিইউতে নিতে হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইরানের পতন হলে, এরপরই রাশিয়া—অভিমত রুশ বিশ্লেষকদের

ইসরায়েলে ২০ লাখ রুশভাষীর বাস, রাশিয়াকে তাঁদের কথা ভাবতে হয়: পুতিন

হরমুজ প্রণালিতে প্রবেশ করে ইউটার্ন নিল দুটি জাহাজ

লাইভ-২ (২৩ জুন, ২০২৫) ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কাঁপল ইসরায়েল, তেহরানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি থেকে বিদায় নিচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত