রেজা করিম, ঢাকা
দলের সিদ্ধান্ত না মেনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন, এমন নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে বিএনপি। এরই মধ্যে প্রথম ধাপের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ৭৬ জনকে বহিষ্কার করেছে দলটি। এমন শক্ত পদক্ষেপেও নির্বাচন থেকে সরানো যাচ্ছে না নেতাদের। নিশ্চিত বহিষ্কার হবেন জেনেও পরবর্তী ধাপের নির্বাচনগুলোতেও প্রার্থী হচ্ছেন তাঁরা।
উপজেলায় এবার নির্বাচন হচ্ছে ৪ ধাপে। প্রথম ধাপের ভোট হবে আগামী ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে। প্রথম ধাপে প্রার্থী হওয়া নেতাদের দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এরপরও দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচনের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছেন দলটির অনেক নেতা। যেকোনো মূল্যে তাঁরা নির্বাচন করতে চান।
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হচ্ছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান। গতকাল শনিবার তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বহিষ্কারে ভয় পাই না। দল বহিষ্কার করলে করবে। আমার কোনো পিছুটান নেই।’
গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি। এরপর উপজেলা নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করে তারা। সিদ্ধান্ত আসার আগে দলটি থেকে অনেকেই প্রার্থী হন। পরে তাঁদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশ আসে। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞায় সাড়া না দিয়ে প্রার্থিতা বহাল রাখেন অনেকেই। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে ২৪ এপ্রিল কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠানো হয়। এরপর গতকাল পর্যন্ত ৭৬ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তবে দলের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ওই নেতারা। শেষ সময়ে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তে অনেকটা নিরুপায় হয়ে নির্বাচনে থাকতে বাধ্য হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন কেউ কেউ। তাই তাঁরা মনে করেন, দলের নমনীয় হওয়া উচিত ছিল।
ভোটে প্রার্থী হয়ে বহিষ্কৃত হয়েছেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সরোয়ার হোসেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত আগে এলে হয়তোবা আর এগোতাম না। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও মাঠপর্যায়ের কর্মীরাও নির্বাচনে থাকতে বলেছেন। এ অবস্থায় নির্বাচন থেকে সরে আসা সম্ভব নয়।’
প্রতীক পেয়ে প্রচার শুরুর পর এখন আর বহিষ্কারাদেশ নিয়ে ভাবতেই চান না অনেকে। তাঁদের সব মনোযোগ ভোটের দিকে।চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কর্মীদের চাপেই ভোট করছি। যেহেতু মাঠে নেমেছি, আর সরে আসার সুযোগ নেই।’
দলের নির্দেশ অমান্য করে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন জেলা (উত্তর) বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রমিজ উদ্দিন লন্ডনী। তিনি বলেন, ‘দল বলছে নির্বাচনে যাবে না। দলের এ নির্দেশ অমান্য করে নির্বাচন করছি। কারণ আমার মনে হইছে নির্বাচন করতেই হবে, না কইরা উপায় নাই।’ তবে তিনি একথা বলেন, ‘কেন নির্বাচন করছি, এর ফলাফল দেখতে পাবেন ৮ তারিখে (৮ মে)।’
আবার নিজেই দল থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচন করছেন রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সাজেদুর রহমান খান মার্কনী। প্রথম ধাপের ভোটে গোদগাড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী তিনি। সাজেদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে আমি ব্যক্তিগতভাবে দলকে অনেক বুঝিয়েছি। কিন্তু দলের পক্ষ থেকে ইতিবাচক কোনো সাড়া পাইনি। অনেক তো হলো, আর কত। বুঝেশুনে প্রার্থী হয়েছি, দল থেকে পদত্যাগও করেছি।’
এদিকে, বহিষ্কার করা হলেও দলে ফেরার সুযোগ এখনো রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে তাঁদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হবে। এখনও সুযোগ আছে। যাঁরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন, দল তাঁদের বিষয়ে বিবেচনা করবে।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও বর্জনে গত বুধবার নারায়ণগঞ্জ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করেছে বিএনপি। ভোটে জনগণকে নিরুৎসাহিত করতে জেলা-উপজেলায় কর্মিসভা এবং গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণও করছেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
এর অংশ হিসেবে গতকাল গাজীপুর জেলা বিএনপি যৌথসভা করেছে। জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে সভায় দলের নেতারা বলেন, যাঁরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁদের কেউ সহায়তা করলে তাঁদেরও বহিষ্কার করা হবে।
দলের সিদ্ধান্ত না মেনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন, এমন নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে বিএনপি। এরই মধ্যে প্রথম ধাপের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ৭৬ জনকে বহিষ্কার করেছে দলটি। এমন শক্ত পদক্ষেপেও নির্বাচন থেকে সরানো যাচ্ছে না নেতাদের। নিশ্চিত বহিষ্কার হবেন জেনেও পরবর্তী ধাপের নির্বাচনগুলোতেও প্রার্থী হচ্ছেন তাঁরা।
উপজেলায় এবার নির্বাচন হচ্ছে ৪ ধাপে। প্রথম ধাপের ভোট হবে আগামী ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে। প্রথম ধাপে প্রার্থী হওয়া নেতাদের দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এরপরও দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচনের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছেন দলটির অনেক নেতা। যেকোনো মূল্যে তাঁরা নির্বাচন করতে চান।
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হচ্ছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান। গতকাল শনিবার তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বহিষ্কারে ভয় পাই না। দল বহিষ্কার করলে করবে। আমার কোনো পিছুটান নেই।’
গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি। এরপর উপজেলা নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করে তারা। সিদ্ধান্ত আসার আগে দলটি থেকে অনেকেই প্রার্থী হন। পরে তাঁদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশ আসে। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞায় সাড়া না দিয়ে প্রার্থিতা বহাল রাখেন অনেকেই। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে ২৪ এপ্রিল কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠানো হয়। এরপর গতকাল পর্যন্ত ৭৬ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তবে দলের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ওই নেতারা। শেষ সময়ে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তে অনেকটা নিরুপায় হয়ে নির্বাচনে থাকতে বাধ্য হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন কেউ কেউ। তাই তাঁরা মনে করেন, দলের নমনীয় হওয়া উচিত ছিল।
ভোটে প্রার্থী হয়ে বহিষ্কৃত হয়েছেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সরোয়ার হোসেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত আগে এলে হয়তোবা আর এগোতাম না। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও মাঠপর্যায়ের কর্মীরাও নির্বাচনে থাকতে বলেছেন। এ অবস্থায় নির্বাচন থেকে সরে আসা সম্ভব নয়।’
প্রতীক পেয়ে প্রচার শুরুর পর এখন আর বহিষ্কারাদেশ নিয়ে ভাবতেই চান না অনেকে। তাঁদের সব মনোযোগ ভোটের দিকে।চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কর্মীদের চাপেই ভোট করছি। যেহেতু মাঠে নেমেছি, আর সরে আসার সুযোগ নেই।’
দলের নির্দেশ অমান্য করে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন জেলা (উত্তর) বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রমিজ উদ্দিন লন্ডনী। তিনি বলেন, ‘দল বলছে নির্বাচনে যাবে না। দলের এ নির্দেশ অমান্য করে নির্বাচন করছি। কারণ আমার মনে হইছে নির্বাচন করতেই হবে, না কইরা উপায় নাই।’ তবে তিনি একথা বলেন, ‘কেন নির্বাচন করছি, এর ফলাফল দেখতে পাবেন ৮ তারিখে (৮ মে)।’
আবার নিজেই দল থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচন করছেন রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সাজেদুর রহমান খান মার্কনী। প্রথম ধাপের ভোটে গোদগাড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী তিনি। সাজেদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে আমি ব্যক্তিগতভাবে দলকে অনেক বুঝিয়েছি। কিন্তু দলের পক্ষ থেকে ইতিবাচক কোনো সাড়া পাইনি। অনেক তো হলো, আর কত। বুঝেশুনে প্রার্থী হয়েছি, দল থেকে পদত্যাগও করেছি।’
এদিকে, বহিষ্কার করা হলেও দলে ফেরার সুযোগ এখনো রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে তাঁদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হবে। এখনও সুযোগ আছে। যাঁরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন, দল তাঁদের বিষয়ে বিবেচনা করবে।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও বর্জনে গত বুধবার নারায়ণগঞ্জ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করেছে বিএনপি। ভোটে জনগণকে নিরুৎসাহিত করতে জেলা-উপজেলায় কর্মিসভা এবং গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণও করছেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
এর অংশ হিসেবে গতকাল গাজীপুর জেলা বিএনপি যৌথসভা করেছে। জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে সভায় দলের নেতারা বলেন, যাঁরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁদের কেউ সহায়তা করলে তাঁদেরও বহিষ্কার করা হবে।
রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার (২৩ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। সোমবার রাতে দলের যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন এ কথা জানিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘নিশ্চিতভাবে আমরা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, জাতি এগিয়ে যাচ্ছে, ঐক্যবদ্ধভাবেই এটা হচ্ছে।’ আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগেবিএনপির যেসব নেতা-কর্মীর নামে এখন পর্যন্ত অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাঁদের মধ্যে চার সহস্রাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, চাঁদাবাজের কোনো দলীয় পরিচয় নেই, চাঁদাবাজই তার পরিচয়। আর কেউ চাঁদাবাজের পক্ষ নিলে তার বিরুদ্ধেও যুদ্ধ ঘোষণা হবে।
৫ ঘণ্টা আগে