Ajker Patrika

আ.লীগকে নিষিদ্ধ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই: সারজিস

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের মালিগাঁও তেঁতুলতলা দুর্গাপূজার মণ্ডপে এনসিপি নেতা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পঞ্চগড়ের মালিগাঁও তেঁতুলতলা দুর্গাপূজার মণ্ডপে এনসিপি নেতা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আওয়ামী লীগ দল আইনগত প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ হবে এবং করতে হবে, এটা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। আজ বুধবার পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার মালিগাঁও তেঁতুলতলা দুর্গাপূজার মণ্ডপ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সারজিস আলম বলেন, আইনগতভাবে সব যোগ্যতা পূরণ করেও শাপলা প্রতীক থেকে বঞ্চিত হওয়াটা অন্যায় ও বৈষম্যমূলক। তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি চাপ কিংবা ভয়ের কারণে স্বেচ্ছাচারিতার পথে হাঁটে, তাহলে এনসিপি তাদের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করবে।

এনসিপির উত্তরাঞ্চলের এ নেতা বলেন, ‘আমরা শুরু থেকে স্পষ্ট করেছি—শাপলা প্রতীক পেতে আমাদের কোনো আইনগত বাধা ছিল না। আমরা শাপলা প্রতীকটা চেয়েছি। এখন আমাদের যেটা মনে হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন কোনো একটা কিছুর ভয়ে কিংবা চাপে তারা এই স্বেচ্ছাচারিতা ও বৈষম্যমূলক আচরণটা করছে যে—তারা আমাদের শাপলা প্রতীকটা দেবে না।’

সারজিস বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে এখন নিবন্ধন করার সব যোগ্যতা অর্জন করেছি। এটা পেতে আমাদের কোনো বাধা নেই। আমরা আমাদের যাত্রা শুরু করেছি এক বছর কিন্তু হয়নি, তাতেই আমাদের মার্কা নিয়ে একটা বড় গোষ্ঠীর বিশাল বড় মাথাব্যথা। তারা মার্কার যে ভার, এই চাপটাই নিতে পারছে না।

‘একটা অভ্যুত্থানপরবর্তী বাংলাদেশে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান যদি এ রকম স্বেচ্ছাচারী আচরণ করে এবং আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, তাদের দ্বারা এই দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তারা যদি এইটা বহাল রাখে, আগামী দিনে এই নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচনে যেতে এনসিপি অনাস্থা প্রকাশ করবে।’

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সচল করা হতে পারে—প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, ‘তিনি যদি এখন বিভিন্ন কারণে আন্তর্জাতিক মহলে মানে বাংলাদেশের মানুষের এত ত্যাগ-তিতিক্ষা সবকিছু ভুলে গিয়ে, এত রক্ত বিসর্জন, প্রাণ বিসর্জন ভুলে গিয়ে নিজের ইমেজের চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স করার জন্য সুশীল সাজতে শুরু করেন, এই অভ্যুত্থানের মতো এত বড় ঘটনা ভুলে গিয়ে তিনি যদি এই স্টেটমেন্ট আসলে দিয়ে থাকেন যে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম আবার সচল করা হতে পারে, তাহলে আমরা শুধু এ কথাই বলি—বাংলাদেশের মানুষ ছাড় দিতে পারে, কিন্তু ছেড়ে দেবে না।

এত বড় একটা দেশ, এত মানুষের আকাঙ্ক্ষা, অভ্যুত্থান—সবকিছু স্যাক্রিফাইস করে। আন্তর্জাতিক মহলে নিজের ইমেজের চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স করতে হবে—এ রকম মানুষকে আমরা প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ওই জায়গায় ওই চোখে দেখে ওখানে বসানো হয়নি।’

এনসিপি নেতা আরও বলেন, ‘খুনি শেখ হাসিনা’—এই লেখা বাংলাদেশের দেয়ালে দেয়ালে লেখা হয়ে গিয়েছে। যারা এখন অন্তর্বর্তী সরকারের সুবিধাভোগী, তারা তাদের জায়গা থেকে এটা ভুলে যেতে পারে। যে মা তার পোলার লাশ নিজের হাতে ছুঁয়েছে, ওই মা কিন্তু এটা ভুলতে পারবে না। ওই মা যত দিন না ভুলবে আমরা এই অভ্যুত্থানে রাজপথে লড়াই করেছিলাম, আমরা এইটা ভুলব না, ভুলতে দেবও না।

‘আমরা স্পষ্ট করে একটা কথা বলি। এই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের আর কোনো রাজনীতি চলবে না। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হয়েছে। আওয়ামী লীগ দল হিসেবে আইনগত প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ হবে এবং করতে হবে, এটা ছাড়া অন্য কোনো অপশন নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত