নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনামুক্ত হওয়ার দুই মাস পরে কোভিড টিকা নিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সোমবার বিকেলে মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে এ টিকা নেন তিনি। টিকার বিশেষ পছন্দ না থাকায় মডার্নার টিকা নিয়েছেন তিনি। এ সময় গাড়িতে বসেই টিকা নেন তিনি।
এর আগে বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে টিকা কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা করেন খালেদা জিয়া। ৩টা ৪৭ মিনিটে গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে পৌঁছান তিনি। টিকা নিয়ে ৪টার পরে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা করেন।
গত ১০ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৮ মে করোনামুক্ত হন তিনি। ১৯ জুন হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। বাসায় ফেরার এক মাসের মাথায় কোভিডের টিকা নিলেন তিনি।
খালেদা জিয়া টিকা নেওয়ার পরে হাসপাতাল চত্বরে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া আইন মান্যকারী একজন নাগরিক। সেই হিসেবে উনি যেটা ভালো মনে করেছেন, অর্থাৎ এখানে এসে সাধারণ মানুষের কাতারে থেকে উনি ভ্যাকসিন নিয়েছেন। হয়তো একটু পরে আসছেন। কারণ অন্য সময় আসলে ভিড় হয়তো আরও বেশি হতো। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে সেটা আরও ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারত। সেটা এড়ানোর জন্যই তিনি দেরিতে এসেছেন।’
খালেদা জিয়া কোন টিকা নিয়েছেন জানতে চাইলে এই চিকিৎসক বলেন, ‘ওনার কোনো ভ্যাকসিনের চয়েজ নাই। এখন মডার্নার ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে। সেই অনুযায়ী উনি মডার্নার ভ্যাকসিনই নিয়েছেন।’
এর আগে গত ৮ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ওয়েবসাইটে খালেদা জিয়ার জন্য টিকার নিবন্ধন করা হয়। এরপর ফিরতি এসএমএসে ১৯ জুলাই, সোমবার টিকা নেওয়ার দিন, তারিখ জানানো হয়। সেখানে টিকা কেন্দ্র হিসেবে মহাখালীর গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের নাম উল্লেখ ছিল।
করোনায় আক্রান্ত হলে শুরুতে বাসাতেই চিকিৎসা নেন খালেদা জিয়া। পরে ২৭ এপ্রিল ভর্তি হন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে। সেখানে করোনামুক্ত হলেও করোনা পরবর্তি বেশ কিছু জটিলতায় বেশ ভোগায় তাঁকে। ৫৩ দিন হাসপাতালে থাকার পর বাসায় ফেরেন। বর্তমানে বাসাতেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। তাঁর অবস্থা এখনো ভালো নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আজকের পত্রিকাকে জানান, হাসপাতাল থেকে বাসায় আনার পরে খালেদা জিয়ার অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাঁর হার্ট, কিডনি এবং লিভারের জটিলতা আগের মতই আছে। তাঁর উন্নত চিকিৎসা দরকার।
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদাকে দেশের বাইরে পাঠাতে এরই মধ্যে দুই দফায় পরিবারের পক্ষ থেকে অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
সবশেষ করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে আবেদন করা হয়। তবে সেই আবেদনে সাড়া মেলেনি। বিএনপির পক্ষ থেকেও তাঁর মুক্তির দাবি করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে কারাদণ্ড দেন আদালত। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে বাড়িতে থাকার সুযোগ পান খালেদা।
আরও পড়ুন:
কোভিড টিকা নিলেন খালেদা জিয়া
করোনামুক্ত হওয়ার দুই মাস পরে কোভিড টিকা নিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সোমবার বিকেলে মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে এ টিকা নেন তিনি। টিকার বিশেষ পছন্দ না থাকায় মডার্নার টিকা নিয়েছেন তিনি। এ সময় গাড়িতে বসেই টিকা নেন তিনি।
এর আগে বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে টিকা কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা করেন খালেদা জিয়া। ৩টা ৪৭ মিনিটে গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে পৌঁছান তিনি। টিকা নিয়ে ৪টার পরে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা করেন।
গত ১০ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৮ মে করোনামুক্ত হন তিনি। ১৯ জুন হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। বাসায় ফেরার এক মাসের মাথায় কোভিডের টিকা নিলেন তিনি।
খালেদা জিয়া টিকা নেওয়ার পরে হাসপাতাল চত্বরে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া আইন মান্যকারী একজন নাগরিক। সেই হিসেবে উনি যেটা ভালো মনে করেছেন, অর্থাৎ এখানে এসে সাধারণ মানুষের কাতারে থেকে উনি ভ্যাকসিন নিয়েছেন। হয়তো একটু পরে আসছেন। কারণ অন্য সময় আসলে ভিড় হয়তো আরও বেশি হতো। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে সেটা আরও ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারত। সেটা এড়ানোর জন্যই তিনি দেরিতে এসেছেন।’
খালেদা জিয়া কোন টিকা নিয়েছেন জানতে চাইলে এই চিকিৎসক বলেন, ‘ওনার কোনো ভ্যাকসিনের চয়েজ নাই। এখন মডার্নার ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে। সেই অনুযায়ী উনি মডার্নার ভ্যাকসিনই নিয়েছেন।’
এর আগে গত ৮ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ওয়েবসাইটে খালেদা জিয়ার জন্য টিকার নিবন্ধন করা হয়। এরপর ফিরতি এসএমএসে ১৯ জুলাই, সোমবার টিকা নেওয়ার দিন, তারিখ জানানো হয়। সেখানে টিকা কেন্দ্র হিসেবে মহাখালীর গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের নাম উল্লেখ ছিল।
করোনায় আক্রান্ত হলে শুরুতে বাসাতেই চিকিৎসা নেন খালেদা জিয়া। পরে ২৭ এপ্রিল ভর্তি হন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে। সেখানে করোনামুক্ত হলেও করোনা পরবর্তি বেশ কিছু জটিলতায় বেশ ভোগায় তাঁকে। ৫৩ দিন হাসপাতালে থাকার পর বাসায় ফেরেন। বর্তমানে বাসাতেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। তাঁর অবস্থা এখনো ভালো নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আজকের পত্রিকাকে জানান, হাসপাতাল থেকে বাসায় আনার পরে খালেদা জিয়ার অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাঁর হার্ট, কিডনি এবং লিভারের জটিলতা আগের মতই আছে। তাঁর উন্নত চিকিৎসা দরকার।
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদাকে দেশের বাইরে পাঠাতে এরই মধ্যে দুই দফায় পরিবারের পক্ষ থেকে অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
সবশেষ করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে আবেদন করা হয়। তবে সেই আবেদনে সাড়া মেলেনি। বিএনপির পক্ষ থেকেও তাঁর মুক্তির দাবি করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে কারাদণ্ড দেন আদালত। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে কারাগার থেকে বাড়িতে থাকার সুযোগ পান খালেদা।
আরও পড়ুন:
কোভিড টিকা নিলেন খালেদা জিয়া
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা নন। স্বাধীনতা অর্জনে তাঁর ভূমিকা ও ত্যাগ আমরা স্বীকার করি। তবে তাঁর শাসনামলে ঘটে যাওয়া জাতীয় ট্র্যাজেডির কথাও আমরা স্মরণ করি। শেখ মুজিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ভারতের একটি শাখা রাজ্যে পরিণত হয়। ১৯৭২ সালের জনবিরোধী সংবিধান চাপিয়ে দেওয়া হয়।
৮ ঘণ্টা আগেহারুনুর রশীদ বলেন, ‘আজকে দেশে বিনিয়োগ নাই। কর্মসংস্থান নাই। জনপ্রতিনিধি নাই। স্বাভাবিকভাবেই দেশের মানুষ নানা সংকটে আছে। যে শক্তিগুলো বিভিন্ন রকমের অছিলা করে নির্বাচনকে বানচাল ও শর্ত দিয়ে বিলম্ব করতে চায়, আমি মনে করি তারা দেশের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে আমরা লড়াই করেছি।
১০ ঘণ্টা আগেনির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, ‘এখনো গণতন্ত্র নাগালের বাইরে। আমরা চাই বিশ্বাস করতে যে নির্বাচন হবে, তবে ভোট গণনার আগে পর্যন্ত তা নিয়ে শঙ্কা থেকে যায়।’
১৩ ঘণ্টা আগেচিকিৎসার জন্য লন্ডন গেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আছেন স্ত্রী বিলকিস আখতার হোসেন ও ছোট ছেলে খন্দকার মারুফ হোসেন।
১৪ ঘণ্টা আগে