মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
আওয়ামী লীগের ঘাপটি মেরে থাকা দোসরেরাই শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ বুধবার সকালে মানিকগঞ্জ সদরের ঘোষের বাজার এলাকায় পুড়ে যাওয়া বাড়ি পরিদর্শনকালে তিনি এ দাবি করেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী বলেন, ‘চারুকলা অনুষদের আয়োজনে প্রতিবছর যে অনুষ্ঠান হয়, এবার কিন্তু তা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে স্বস্তির সঙ্গে হয়েছে। আন্দোলন-সংগ্রামের নানা ধরনের মোটিফ তৈরি করে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে যিনি পালিয়ে আছেন, তাঁর নির্দেশে এখানে ঘাপটি মেরে থাকা দোসরেরা এ কাজ করেছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘মানবেন্দ্রকে কিনতে পারেনি ফ্যাসিস্টরা। মানবেন্দ্র তাঁর সব প্রতিভা দিয়ে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনের কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ছিলেন। এই কারণে তাঁকে টার্গেট করেছে। আল্লাহ হয়তো তাঁকে প্রাণে বাঁচিয়েছেন, তাঁর পরিবারকে বাঁচিয়েছেন। হয়তো সম্পদের ওপর দিয়ে গেছে। টার্গেট করে আগুন দিয়েছে। মানবেন্দ্রের শ্রম দিয়ে বানানো সব শিল্পকর্ম তারা ধ্বংস করেছে।’
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ওরা হলো লুটেরা, ওরা দেশের টাকা পাচার করে। ওদের কাছে শিল্পের কী দাম? সংস্কৃতির কী দাম? সাহিত্যের কী দাম? ওদের কাছে কোনো কিছুর দাম নেই। ওদের একটাই লক্ষ্য, একটাই আরাধনা; সেটা হচ্ছে, বাংলাদেশের ক্ষমতা তারা চিরদিন আঁকড়ে রাখবে। তাদের ছেলের নামে, মেয়ের নামে, ভাগনির নামে দুবাইতে ফ্ল্যাট হবে, লন্ডনে বাড়ি হবে, মালয়েশিয়ায় বাড়ি হবে, কানাডায় বাড়ি হবে বাংলাদেশের জনগণের টাকা দিয়ে। তাদের সেই বাড়ি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ধূলিসাৎ করে দিয়েছে এ দেশের ছাত্র-জনতা। সেই সংগ্রামে যেহেতু মানবেন্দ্রের মতো শিল্পীদের সহযোগিতা ছিল, এ কারণে তাদের টার্গেট করে করে এখন গ্রামের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘সমস্ত গণতন্ত্রকামী মানুষ আপনাদের সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু সাংবিধানিক বা আইনগতভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো ভিত্তি নেই। তবে যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, তারা প্রত্যেকেই আপনাদের সমর্থন করেছে। সে অনুযায়ী আপনারা দেশ চালাচ্ছেন। এখন আওয়ামী লীগের কী হবে, আওয়ামী লীগ কীভাবে রাজনীতি করবে, সেটা নির্ধারণ করার দায়িত্ব তো আপনাদের। কারণ, প্রশাসন আপনাদের হাতে, অন্য সব রাষ্ট্রযন্ত্র আপনাদের হাতে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘অনেকে পালিয়ে গেছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বা অন্য কোনো দেশে। তারা প্রশ্রয় পাচ্ছে কার দ্বারা? এটা তো এখান যাঁরা প্রশাসনে আছেন, তাঁদের জানার কথা। কোথায় এসব ভয়ংকর সন্ত্রাসী লুকিয়ে আছে, যারা ১৫ বছর ধরে শেখ হাসিনাকে পাহারা দিয়েছে ও বিনিময়ে অন্যের বাড়িঘর দখল, ব্যাংক লুট, অন্যের সম্পত্তি লুট ও টাকা পাচার করেছে। তারা আজ এই জনসমুদ্রের কোথাও লুকিয়ে আছে। এটা অন্তর্বর্তী সরকার যদি খুঁজে বের করতে না পারে, তাহলে তো এই সরকারকে মানুষ ব্যর্থ সরকার বলবে।’
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আজাদ হোসেন খান, গোলাম আবেদীন কায়সার, আ ফ ম নূরতাজ আলম বাহার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, পয়লা বৈশাখ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফ তৈরির শিল্পী মানবেন্দ্রের বাড়ি ১৬ এপ্রিল রাতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মানবেন্দ্রের করা মামলায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানার পুলিশ।
আওয়ামী লীগের ঘাপটি মেরে থাকা দোসরেরাই শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ বুধবার সকালে মানিকগঞ্জ সদরের ঘোষের বাজার এলাকায় পুড়ে যাওয়া বাড়ি পরিদর্শনকালে তিনি এ দাবি করেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী বলেন, ‘চারুকলা অনুষদের আয়োজনে প্রতিবছর যে অনুষ্ঠান হয়, এবার কিন্তু তা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে স্বস্তির সঙ্গে হয়েছে। আন্দোলন-সংগ্রামের নানা ধরনের মোটিফ তৈরি করে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে যিনি পালিয়ে আছেন, তাঁর নির্দেশে এখানে ঘাপটি মেরে থাকা দোসরেরা এ কাজ করেছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘মানবেন্দ্রকে কিনতে পারেনি ফ্যাসিস্টরা। মানবেন্দ্র তাঁর সব প্রতিভা দিয়ে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনের কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ছিলেন। এই কারণে তাঁকে টার্গেট করেছে। আল্লাহ হয়তো তাঁকে প্রাণে বাঁচিয়েছেন, তাঁর পরিবারকে বাঁচিয়েছেন। হয়তো সম্পদের ওপর দিয়ে গেছে। টার্গেট করে আগুন দিয়েছে। মানবেন্দ্রের শ্রম দিয়ে বানানো সব শিল্পকর্ম তারা ধ্বংস করেছে।’
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ওরা হলো লুটেরা, ওরা দেশের টাকা পাচার করে। ওদের কাছে শিল্পের কী দাম? সংস্কৃতির কী দাম? সাহিত্যের কী দাম? ওদের কাছে কোনো কিছুর দাম নেই। ওদের একটাই লক্ষ্য, একটাই আরাধনা; সেটা হচ্ছে, বাংলাদেশের ক্ষমতা তারা চিরদিন আঁকড়ে রাখবে। তাদের ছেলের নামে, মেয়ের নামে, ভাগনির নামে দুবাইতে ফ্ল্যাট হবে, লন্ডনে বাড়ি হবে, মালয়েশিয়ায় বাড়ি হবে, কানাডায় বাড়ি হবে বাংলাদেশের জনগণের টাকা দিয়ে। তাদের সেই বাড়ি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ধূলিসাৎ করে দিয়েছে এ দেশের ছাত্র-জনতা। সেই সংগ্রামে যেহেতু মানবেন্দ্রের মতো শিল্পীদের সহযোগিতা ছিল, এ কারণে তাদের টার্গেট করে করে এখন গ্রামের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘সমস্ত গণতন্ত্রকামী মানুষ আপনাদের সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু সাংবিধানিক বা আইনগতভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো ভিত্তি নেই। তবে যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, তারা প্রত্যেকেই আপনাদের সমর্থন করেছে। সে অনুযায়ী আপনারা দেশ চালাচ্ছেন। এখন আওয়ামী লীগের কী হবে, আওয়ামী লীগ কীভাবে রাজনীতি করবে, সেটা নির্ধারণ করার দায়িত্ব তো আপনাদের। কারণ, প্রশাসন আপনাদের হাতে, অন্য সব রাষ্ট্রযন্ত্র আপনাদের হাতে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘অনেকে পালিয়ে গেছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বা অন্য কোনো দেশে। তারা প্রশ্রয় পাচ্ছে কার দ্বারা? এটা তো এখান যাঁরা প্রশাসনে আছেন, তাঁদের জানার কথা। কোথায় এসব ভয়ংকর সন্ত্রাসী লুকিয়ে আছে, যারা ১৫ বছর ধরে শেখ হাসিনাকে পাহারা দিয়েছে ও বিনিময়ে অন্যের বাড়িঘর দখল, ব্যাংক লুট, অন্যের সম্পত্তি লুট ও টাকা পাচার করেছে। তারা আজ এই জনসমুদ্রের কোথাও লুকিয়ে আছে। এটা অন্তর্বর্তী সরকার যদি খুঁজে বের করতে না পারে, তাহলে তো এই সরকারকে মানুষ ব্যর্থ সরকার বলবে।’
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আজাদ হোসেন খান, গোলাম আবেদীন কায়সার, আ ফ ম নূরতাজ আলম বাহার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, পয়লা বৈশাখ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফ তৈরির শিল্পী মানবেন্দ্রের বাড়ি ১৬ এপ্রিল রাতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মানবেন্দ্রের করা মামলায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানার পুলিশ।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ১১১টি মামলা হয়েছে। নানা ধরনের অবাস্তব অভিযোগ আনা হয়েছে। ময়লার গাড়ি পোড়ানো, বোমা হামলার মতো অভিযোগও আছে। আমি ১১ বার জেলে গিয়েছি। প্রায় তিন বছর কারাবন্দী ছিলাম।’ আজ মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও সদরের মোলানি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিএনপির গণসংযোগ
২ ঘণ্টা আগেউন্নয়নমূলক কাজে সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্ত হওয়ার বিরোধিতা করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। কাজটি স্থানীয় সরকারের হলেও বিদ্যমান অবস্থায় এমপিরা এসব কাজ নিয়ন্ত্রণ করেন। যাতে নানান অনিয়মের অভিযোগ আছে। একই সঙ্গে দলটি এমপিদের ‘থোক বরাদ্দ’ বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের ভেতর দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইনে ত্রাণ দেওয়ার জন্য ‘মানবিক করিডর’ দিতে অন্তর্বর্তী সরকার যে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে বিষয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী।
৩ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর বোঝাপড়া আছে জানিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলোর জনপরিসরে কমিটমেন্ট আছে, জনগণের কাছে অঙ্গীকার আছে।
৮ ঘণ্টা আগে