নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি নেতা-কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত মকবুল হোসেনের বড় ভাই আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘আমার ভাইয়ের থাকার কথা কারখানায় অথচ আমার ভাই এখন লাশঘরে। এখন আমরা ভাইয়ের শোকে কান্না করতেও ভয় পাচ্ছি। ভাইকে হারিয়েছি এখন আমাদের সঙ্গে কী হয় সেটা নিয়ে আতঙ্কে আছি।’
পেশায় গাড়িচালক আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমার ভাই মারা যাওয়ার পরে যখন তার পরিচয় নিশ্চিত করি এরপরই শুরু হয় আরেক আতঙ্ক। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা আমাদের বাসায় এসে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে যায়। বাসার সবার ভিডিও ও ছবি তুলে নিয়ে যায় এবং নানান হুমকি দেয়। কখন যে কী হয়ে যায় বুঝতে পারছি না।’
হুমকি দাতাদের নাম জানতে চাইলে তিনি নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর পল্লবী থানার বাওনিয়াবাধের এ ব্লক এলাকায় মকবুলের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যরা শোকে মুহ্যমান। মকবুল যে রুমে থাকতেন সেই রুমে তিনজন হাফেজ পবিত্র কোরআন শরীফ পড়ছেন। পরিবারের সদস্যদের আহাজারি থামলেও তাঁদেরকে তাড়া করছে অজানা ভয়।
মকবুলের রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাইলে আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমার ভাই ব্যবসায়ী ছিল। সে ব্যবসার বাইরে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিল কিনা তা আমরা জানি না।’
মকবুলের আরেক ভাই বলেন, ‘আমার ভাই ২০ হাজার টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হন। এই টাকা সোহেল নামের তাঁর এক বন্ধুর মায়ের কাছ থেকে ধার নেন। কথা ছিল কারখানায় প্রস্তুত হওয়া পণ্য বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করবেন।’
পুলিশ-বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে মারা যাওয়ার আগে মা জোহরা বেগমের সঙ্গে কথা হয় মকবুলের। মা জোহরা কল দিয়ে ছেলের অবস্থান জানতে চেয়েছিলেন। তখন মকবুল তাঁর মাকে জানায় বন্ধু সোহেলের সঙ্গে পল্টন আছেন। কাজ শেষ হলে বাসায় ফিরবে। সাত সন্তানের মধ্যে সবার ছোট ছেলেকে হারিয়ে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন মকবুলের মা। মকবুলরা চার ভাই তিন বোন। মা জোহরা বেগম, স্ত্রী হালেমা বেগম ও একমাত্র মেয়ে মিথিলাকে (৮) নিয়েই থাকতেন মকবুল। মকবুলের আয়েই চলতো সংসার।
মকবুলের কারখানায় কাজ করা মাহিনুর বেগম নামের এক নারী বলেন, ‘অনেক দিন ধরে মকবুল ভাইয়ের কাজ করছি। তাঁর থেকে পুতি, জরিসহ কারচুপির বিভিন্ন কাজ নিয়ে বাসায় বসে করতাম। সে অনেক ভালো মানুষ ছিল। কাজ শেষে নিয়মিত টাকা দিয়ে দিত। দুদিন আগেও বলেছিলেন, মাল বিক্রি করেই টাকা দেবেন।’
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত মকবুল স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতি করতেন। তবে দলের কমিটিতে ছিলেন না। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আনোয়ারের সঙ্গে রাজনীতি করতেন তিনি। ঘটনার দিন সোহেল নামের এক বন্ধুর সঙ্গে নয়াপল্টনে যান সোহেল। তবে বাসায় ব্যবসার মালামাল আনতে যাচ্ছেন বলে যান।
সংঘর্ষের আগে মকবুলকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভ করছেন এমন একটি ছবিও এসেছে আজকের পত্রিকার হাতে। বিক্ষোভের একপর্যায়ে সংঘর্ষের মধ্যে পরে গুলিতে মারা যান মকবুল। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত হয়েছে তাঁর।
মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করেন, পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফয়সাল মাতুব্বর।
এসআই সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করেন, মৃতদেহের পিঠে কালো দাগ দেখা যায়। মাথায় কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। প্রাথমিকভাবে এসআই উল্লেখ করেন, গতকাল বুধবার দুপুরে পল্টন বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা রাস্তায় চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়। পুলিশ তাঁদের রাস্তা ছেড়ে দিতে বললে তাঁরা পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপ করে। স্প্রিন্টারের আঘাতে আহত মকবুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে তাঁর মৃত্যু হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মকবুলের মরদেহ মিরপুর ১১ নম্বর এ ব্লক মসজিদ মাঠে জানাজা শেষে কালশী কবরস্থানে বাবার কবরে দাফন করা হবে। এই ঘটনায় নিহতের পরিবার এখনো কোনো মামলা করেনি।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি নেতা-কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত মকবুল হোসেনের বড় ভাই আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘আমার ভাইয়ের থাকার কথা কারখানায় অথচ আমার ভাই এখন লাশঘরে। এখন আমরা ভাইয়ের শোকে কান্না করতেও ভয় পাচ্ছি। ভাইকে হারিয়েছি এখন আমাদের সঙ্গে কী হয় সেটা নিয়ে আতঙ্কে আছি।’
পেশায় গাড়িচালক আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমার ভাই মারা যাওয়ার পরে যখন তার পরিচয় নিশ্চিত করি এরপরই শুরু হয় আরেক আতঙ্ক। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা আমাদের বাসায় এসে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে যায়। বাসার সবার ভিডিও ও ছবি তুলে নিয়ে যায় এবং নানান হুমকি দেয়। কখন যে কী হয়ে যায় বুঝতে পারছি না।’
হুমকি দাতাদের নাম জানতে চাইলে তিনি নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর পল্লবী থানার বাওনিয়াবাধের এ ব্লক এলাকায় মকবুলের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যরা শোকে মুহ্যমান। মকবুল যে রুমে থাকতেন সেই রুমে তিনজন হাফেজ পবিত্র কোরআন শরীফ পড়ছেন। পরিবারের সদস্যদের আহাজারি থামলেও তাঁদেরকে তাড়া করছে অজানা ভয়।
মকবুলের রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাইলে আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমার ভাই ব্যবসায়ী ছিল। সে ব্যবসার বাইরে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিল কিনা তা আমরা জানি না।’
মকবুলের আরেক ভাই বলেন, ‘আমার ভাই ২০ হাজার টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হন। এই টাকা সোহেল নামের তাঁর এক বন্ধুর মায়ের কাছ থেকে ধার নেন। কথা ছিল কারখানায় প্রস্তুত হওয়া পণ্য বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করবেন।’
পুলিশ-বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে মারা যাওয়ার আগে মা জোহরা বেগমের সঙ্গে কথা হয় মকবুলের। মা জোহরা কল দিয়ে ছেলের অবস্থান জানতে চেয়েছিলেন। তখন মকবুল তাঁর মাকে জানায় বন্ধু সোহেলের সঙ্গে পল্টন আছেন। কাজ শেষ হলে বাসায় ফিরবে। সাত সন্তানের মধ্যে সবার ছোট ছেলেকে হারিয়ে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন মকবুলের মা। মকবুলরা চার ভাই তিন বোন। মা জোহরা বেগম, স্ত্রী হালেমা বেগম ও একমাত্র মেয়ে মিথিলাকে (৮) নিয়েই থাকতেন মকবুল। মকবুলের আয়েই চলতো সংসার।
মকবুলের কারখানায় কাজ করা মাহিনুর বেগম নামের এক নারী বলেন, ‘অনেক দিন ধরে মকবুল ভাইয়ের কাজ করছি। তাঁর থেকে পুতি, জরিসহ কারচুপির বিভিন্ন কাজ নিয়ে বাসায় বসে করতাম। সে অনেক ভালো মানুষ ছিল। কাজ শেষে নিয়মিত টাকা দিয়ে দিত। দুদিন আগেও বলেছিলেন, মাল বিক্রি করেই টাকা দেবেন।’
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত মকবুল স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতি করতেন। তবে দলের কমিটিতে ছিলেন না। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আনোয়ারের সঙ্গে রাজনীতি করতেন তিনি। ঘটনার দিন সোহেল নামের এক বন্ধুর সঙ্গে নয়াপল্টনে যান সোহেল। তবে বাসায় ব্যবসার মালামাল আনতে যাচ্ছেন বলে যান।
সংঘর্ষের আগে মকবুলকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভ করছেন এমন একটি ছবিও এসেছে আজকের পত্রিকার হাতে। বিক্ষোভের একপর্যায়ে সংঘর্ষের মধ্যে পরে গুলিতে মারা যান মকবুল। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত হয়েছে তাঁর।
মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করেন, পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফয়সাল মাতুব্বর।
এসআই সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করেন, মৃতদেহের পিঠে কালো দাগ দেখা যায়। মাথায় কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। প্রাথমিকভাবে এসআই উল্লেখ করেন, গতকাল বুধবার দুপুরে পল্টন বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা রাস্তায় চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়। পুলিশ তাঁদের রাস্তা ছেড়ে দিতে বললে তাঁরা পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপ করে। স্প্রিন্টারের আঘাতে আহত মকবুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে তাঁর মৃত্যু হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মকবুলের মরদেহ মিরপুর ১১ নম্বর এ ব্লক মসজিদ মাঠে জানাজা শেষে কালশী কবরস্থানে বাবার কবরে দাফন করা হবে। এই ঘটনায় নিহতের পরিবার এখনো কোনো মামলা করেনি।
ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে চীন সফরে গেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। ৯ সদস্যের এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার রাত ১০টা ১০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চায়না এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে চীনের উদ্দেশে যাত্রা করেছে
৬ ঘণ্টা আগেলন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের পর দেশ একটি নির্বাচনী টানেলে প্রবেশ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ রোববার (২২ জুন) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
৯ ঘণ্টা আগেএনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এনসিপির পক্ষ থেকে নিবন্ধন শর্তের চেয়েও বেশি কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সব শর্ত পূরণ করে আমরা আবেদন জমা দিয়েছি। ২৫টি জেলা, ১০৫টি উপজেলা কমিটি ও প্রতিটি উপজেলায় ২০০ জন সমর্থক, অফিস চুক্তিসহ গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন পাওয়ার বিষয়ে আমরা আশাব
৯ ঘণ্টা আগেগণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। আজ রোববার (২২ জুন) রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৯ ঘণ্টা আগে