Ajker Patrika

খালেদা জিয়াকে কোন দেশে নিতে চায়, আবেদনে উল্লেখ করেনি পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ০৬ মে ২০২১, ১৬: ৩৭
খালেদা জিয়াকে কোন দেশে নিতে চায়, আবেদনে উল্লেখ করেনি পরিবার

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা কোন দেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে চান, সরকারের কাছে দেওয়া আবেদনে তা বলা হয়নি। আইন সচিব গোলাম সারওয়ার বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

পরিবারের সদস্যরা কোন দেশে নিয়ে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা করাতে চান এমন প্রশ্নে আইন সচিব বলেন, ‘ওনারা (আবেদনে) কোনো কিছু উল্লেখ করেননি। শুধু চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার কথা বলেছেন।’

দণ্ড স্থগিত করে সাময়িক মুক্তিতে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে চিকিৎসা করাতে কোনো আইনী জটিলতা আছে কিনা, সেই প্রশ্নের জবাব দেননি আইন সচিব। আইন মন্ত্রণালয় খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর সম্মতি দিলে পরবর্তী প্রক্রিয়া কি হবে সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে ফাইল পাঠাবে।

অসুস্থ খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমণ্ডির বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে আবেদন দেন। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে বিবেচনা করা হবে। আর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলছেন, তিনি আবেদন পর্যালোচনা করে মতামত দেবেন।

খালেদার পরিবারের আবেদনের বিষয়ে মতামত নিতে বুধবার রাতেই তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এর আগে দুই দফায় খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে তাকে সাময়িক মুক্তি দেওয়ার আগেও একই প্রক্রিয়ায় আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আঁচেন।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ড পেয়ে জেলে ছিলেন খালেদা জিয়া। গত বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটলে খালেদার পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে তার দণ্ডের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। পরে একইভাবে আরও ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান খালেদা জিয়া। দেশে চিকিৎসা নেওয়ার শর্তে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

জেল থেকে মুক্তি পেয়ে গত বছরের ২৫ মার্চ থেকে গুলশানের বাসায় ছিলেন খালেদা। সেখানেই কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হন তিনি। গত ১১ এপ্রিল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়লেও তার লক্ষণ-উপসর্গ ছিল না বলে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।

এরপর ২৭ এপ্রিল রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদাকে বসুন্ধরায় এভার কেয়ার হাসপাতালে নিলে সেখানে তাকে ভর্তি করা হয়। শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ায় গত সোমবার তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত