Ajker Patrika

শেখ হাসিনার আমল এবং বর্তমান আমল পার্থক্য করতে পারছি না: দুদু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে নাগরিক সমাবেশে বক্তব্য দেন আলোচকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে নাগরিক সমাবেশে বক্তব্য দেন আলোচকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

শেখ হাসিনার শাসনামলের মতো বর্তমান সরকারের আমলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেছেন, হাসিনার আমলে গুম-খুন হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ছিল নাজুক। তখন মানুষের বাক্‌স্বাধীনতা ছিল না, আদালত ব্যবহার করে তারেক রহমানের বক্তব্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। এখনো পরিস্থিতির তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশে যে সংকট তৈরি হয়েছে, এই সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দরকার। এই বিষয়টি দেশের সাধারণ মানুষ সবাই বুঝতে পারছে। কিন্তু সরকার বুঝতে পারছে না। সরকার বুঝলেও তা করছে না।

আজ শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদু বলেন, ‘দেশে যে সংকট তৈরি হয়েছে, এই সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দরকার। এই বিষয়টি দেশের সাধারণ মানুষ সবাই বুঝতে পারছে। কিন্তু সরকার বুঝতে পারছে না। সরকার বুঝলেও তা করছে না। এই সরকার গঠন হয়েছে সাত মাস চলে। এই সাত মাসে কোনো সংস্কার তারা করতে পারে নাই। এমনকি বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যে রকম ছিল এখনো সে রকম আছে।’

দুদু আরও বলেন, ‘হাসিনার আমলে মামলা হয়েছে। গুম, খুন হয়েছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছে। ৬০ লাখ মামলা হয়েছে। সেই মামলাগুলো এই সরকার এখনো প্রত্যাহার করেনি। হাসিনার সাথে এই সরকারের যে পার্থক্য থাকার কথা। মামলা প্রত্যাহার না করার প্রেক্ষিতে বোঝা যায়। হাসিনার একটি কাজের স্বীকৃতি এ সরকার পরোক্ষভাবে হলেও দিয়েছে। আমরা এটা প্রত্যাশা করিনি।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘ডক্টর ইউনূসের নামে যে মামলাগুলো ছিল, তিনি ক্ষমতায় আসার পরে সবগুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অন্যায়ভাবে তাঁর নামে মামলা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো প্রত্যাহার করেছে ঠিক আছে। কিন্তু গত ১৬ থেকে ১৭ বছর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা যে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। যার জন্য অত্যাচারিত হয়েছে। গুম-খুন হয়েছে, তেমনি মামলা শিকার হয়েছে, সেই মামলাগুলো প্রত্যাহার করার উচিত ছিল। আমি অতি দ্রুত সেই মামলাগুলো প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।’

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘হাসিনার আমলে গুম-খুন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল না। মানুষের বাক্‌স্বাধীনতা ছিল না। আইন আদালত ব্যবহার করে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য নিষিদ্ধ করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করা হয়েছিল। সেই সময়েও আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছু ছিল না। এখনো মানুষ রাস্তায় বের হতে ভয় পায়। কোনো নির্জন জায়গায় একা গেলে তার ওপর গুলি করা হচ্ছে, ছিনতাই করা হচ্ছে। শেখ হাসিনার আমল এবং বর্তমান আমল আমি পার্থক্য করতে পারছি না। তাই সরকারকে বলব আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো করার জন্য। যদি না করতে পারে তাহলে এখনো তাদের যে জনপ্রিয়তা আছে তা শূন্যর কোঠায় নেমে যাবে।’

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, সরকারের প্রতি এ দেশের জনগণ ভালোবাসা ও সমর্থন জানায়। কিন্তু কাজের কাজ না করলে মানুষ সমর্থন প্রত্যাহার করতে বিন্দু পরিমাণ সময় নেবে না। সেই জন্য সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। মানুষের কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। নিরাপদে যাতে চলতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে।

দুদু বলেন, ‘সীমান্তে পার্শ্ববর্তী দেশ অতীতে যেমন বাংলাদেশিদের গুলি করতে হত্যা করত, এখনো করছে। কিন্তু সরকার এর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এর ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা কোনো দেশের সঙ্গে শত্রুতা চাই না, সবার সাথেই বন্ধুত্ব চাই। কিন্তু ফারাক্কায় পানি নাই, তিস্তায় পানি নাই। এর ব্যবস্থা করতে হবে। যদি এর ব্যবস্থা সরকার করতে না পারে। তাহলে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। জনগণের সরকারের হাতে ক্ষমতা দেন। যে দল ক্ষমতায় আসবে তারা এর ব্যবস্থা করবে।’

আয়োজক কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন। নাগরিক সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, জাসাসের সাবেক সভাপতি রেজাবউদ্দৌলা, সাবেক কৃষক নেতা এস কে সাদী, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা রিজভীকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজিজুর রহমান রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
আজিজুর রহমান রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) আজিজুর রহমান রিজভীকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান এনসিপির দপ্তর সেলের সদস্য সাদিয়া ফারজানা দিনা।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘আজিজুর রহমান রিজভীর বিরুদ্ধে গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের একটি ঘটনায় অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে এবং ওই ঘটনায় তাঁর আচরণ সংগঠনের নীতিবিরুদ্ধ বলে আমাদের নিকট প্রতীয়মান হয়েছে। এমতাবস্থায় তাঁকে দলের সব দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হলো।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একই সাথে তাঁকে কেন দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, তার যথাযথ ব্যাখ্যা আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল-আমিন বরাবর দাখিলের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপির ফাঁকা রাখা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে মাথাল প্রতীকের প্রার্থী জোনায়েদ সাকি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ৩৫
জোনায়েদ সাকি। ছবি: সংগৃহীত
জোনায়েদ সাকি। ছবি: সংগৃহীত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯৪টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে গণসংহতি আন্দোলন। দলটির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে নির্বাচন করবেন। এই আসনে বিএনপি এখনো কোনো প্রার্থী মনোনয়ন দেয়নি।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

সংবাদ সম্মেলনে জোনায়েদ সাকি বলেন, নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য একটা অপরিহার্য ব্যাপার। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে আবশ্যিকভাবে নির্বাচন লাগবে।

সাকি বলেন, ‘গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থীরা নিজ দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করবেন। কিন্তু কোনো দল যদি কোনো জোটের প্রতীকে নির্বাচন করতে চায়, সেই সুযোগটা রাখাও আমরা সমীচীন মনে করি।’

জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, সংশোধিত আরপিওতে প্রার্থীদের জামানতের টাকার অঙ্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে নির্বাচন পদ্ধতি ক্রমাগত অর্থনির্ভর হচ্ছে এবং যাদের অর্থের দিক থেকে কম সক্ষমতা আছে, তাদের জন্য বিষয়গুলো কঠিন হয়ে উঠছে।

সাকি বলেন, ‘আমরা একটা ঐতিহাসিক কালে আছি। ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান পুরো বাংলাদেশকে আবার একটা পুনর্গঠনের দাবি নিয়ে সামনে এসেছে। সেই পুনর্গঠন কালটাতেও ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এই ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য হচ্ছে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য, যেটা রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা অর্জন করব। এবং এসবের মধ্য দিয়ে একটা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক নতুন বন্দোবস্ত আমরা কায়েম করতে চাই।’

পরে গণসংহতি আন্দোলনের ৫৫ সদস্যবিশিষ্ট নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচিতি ও ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেন আবুল হাসান রুবেল। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের এক দশক পূর্তিতে ১৪ নভেম্বর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে দলীয় সমাবেশ ও মাথাল র‍্যালি কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য দেওয়ান আবদুর রশীদ নীলু, তাসলিমা আখতার, হাসান মারুফ রুমী ও মনির উদ্দীন পাপ্পু; কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বাচ্চু ভুইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দীপক কুমার রায় প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাথাল প্রতীকে ৯৪ আসনে প্রার্থী দিল গণসংহতি আন্দোলন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৪৩
মাথাল প্রতীকে ৯৪ আসনে প্রার্থী দিল গণসংহতি আন্দোলন

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৯৪টি সংসদীয় আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে গণসংহতি আন্দোলন। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

সংবাদ সম্মেলনে জোনায়েদ সাকি বলেন, নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য একটা অপরিহার্য ব্যাপার। সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে আবশ্যিকভাবে নির্বাচন লাগবে।

সাকি আরও বলেন, ‘গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থীরা নিজদলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করবেন। কিন্তু কোনো দল যদি কোনো জোটের প্রতীকে নির্বাচন করতে চায়, সেই সুযোগ রাখাও আমরা সমীচীন মনে করি।’

জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ‘সংশোধিত আরপিওতে প্রার্থীদের জামানতের টাকার অঙ্ক বাড়ানো হয়েছে। এটা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে, নির্বাচন পদ্ধতি ক্রমাগত অর্থনির্ভর হচ্ছে এবং যাদের অর্থের দিক থেকে কম সক্ষমতা আছে, তাদের জন্য বিষয়গুলো কঠিন হয়ে উঠছে।

সাকি বলেন, ‘আমরা একটা ঐতিহাসিককালে আছি। ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান পুরো বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের দাবি সামনে নিয়ে এসেছে। সেই পুনর্গঠনকালটাতেও ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এই ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য হচ্ছে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য, যেটা রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা অর্জন করব এবং এসবের মধ্য দিয়ে একটা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক নতুন বন্দোবস্ত আমরা কায়েম করতে চাই।’

পরে গণসংহতি আন্দোলনের ৫৫ সদস্যবিশিষ্ট নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচিতি ও ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেন আবুল হাসান রুবেল। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের এক দশক পূর্তিতে আগামী ১৪ নভেম্বর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে দলীয় সমাবেশ ও মাথাল র‍্যালি কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য দেওয়ান আবদুর রশীদ নীলু, তাসলিমা আখতার, হাসান মারুফ রুমী ও মনির উদ্দীন পাপ্পু; কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দীপক কুমার রায় প্রমুখ।

সংসদীয় আসনভিত্তিক গণসংহতি আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন—জোনায়েদ সাকি (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬), আবুল হাসান রুবেল (পাবনা-৪ ও ঢাকা-১০), তাসলিমা আখতার (ঢাকা-১২), হাসান মারুফ রুমী (চট্টগ্রাম-৯), দেওয়ান আবদুর রশীদ নীলু (বরিশাল-৫), তরিকুল সুজন (নারায়ণগঞ্জ-৫), মনির উদ্দীন পাপ্পু (ঢাকা-৭), বাচ্চু ভূঁইয়া (ঢাকা-৩), জুলহাসনাইন বাবু (পাবনা-২), অ্যাডভোকেট মুরাদ মোর্শেদ (রাজশাহী-২), দীপক কুমার রায় (লালমনিরহাট-২ ও ৩), আলিফ দেওয়ান (টাঙ্গাইল-৬), সেন্টু আলী (নাটোর-১), এ কে এম শামসুল আলম (ময়মনসিংহ-১০), মোফাখখারুল ইসলাম মুন (রংপুর-২), তৌহিদুর রহমান (রংপুর-৩), সৈয়দ সাইফুল ইসলাম (মৌলভীবাজার-৪), মোস্তাফিজুর রহমান রাজীব (ময়মনসিংহ-৪), সৈকত আরিফ (মো. তোসাদ্দেক হোসাইন) (নওগাঁ-৫), জাহিদুল আলম আল-জাহিদ (চট্টগ্রাম-৪), নাসির উদ্দীন তালুকদার (চট্টগ্রাম-৬), মো. আশরাফুল ইসলাম (ঠাকুরগাঁও-২), মিজানুর রহমান (ঢাকা-১), মুনীর চৌধুরী সোহেল (খুলনা-২), জুয়েল রানা (রাজশাহী-৩), নুরুদ্দীন (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন (খুলনা-১), নাহিদা শাহান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), অ্যাডভোকেট রিয়াজুল ইসলাম (পিরোজপুর-৩), তানভীর আহমেদ (ঢাকা-১৯), সাজেদুর রহমান সাজু (পঞ্চগড়-১), তাহসিন মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৩), মনিরুল হুদা বাবন (ঢাকা-১৩), আব্দুল জলিল (ঢাকা-২), সৈয়দ সালাহউদ্দীন (শিমুল) (চট্টগ্রাম-১১), আল-আমিন শেখ (খুলনা-১), হাসান আল মেহেদী (লক্ষ্মীপুর-২), আরমানুল হক (কক্সবাজার-১), নাজমা বেগম (নারায়ণগঞ্জ-১), জাহিদ সুজন (নারায়ণগঞ্জ-৪), ফাতেমা রহমান বিথি (টাঙ্গাইল-৫), জিন্নাত আরা সুমু (রাজশাহী-২), সাকিবুল ইসলাম (বরিশাল-১), মহব্বত হোসেন মিলন (নীলফামারী-১), মো. রুবেল মিয়া (হিমু ভাই) (ঢাকা-৮), অঞ্জন দাস (নারায়ণগঞ্জ-৩), ময়েজ উদ্দীন (ঢাকা-৫), এস এম ওয়াশিফ ফায়সাল (কুষ্টিয়া-৩), মোফাখারুল ইসলাম মানিক (নওগাঁ-৪), আবু সাকের মোহাম্মদ জাকারিয়া (গাজিপুর-৬), আব্দুর রশীদ (বগুড়া-৪), আরিফুল ইসলাম (জয়পুরহাট-২), সুলতান মাহমুদ শিশির (দিনাজপুর-৫), গোলাম মোস্তফা (গাইবান্ধা-১), তাহমিদা ইসলাম তানিয়া (নাটোর-৪), দ্বিজেন্দ্রনাথ রায় (দিনাজপুর-৪), সাইফুর রহমান দুলাল (কুড়িগ্রাম-১), রুস্তম আলী (কুড়িগ্রাম-২), বেলায়েত শিকদার (শরিয়তপুর-৩), আজহারুল ইসলাম (পাবনা-৫), আমজাদ হোসেন (গাজীপুর-২), অ্যাডভোকেট খালিদ সাইফুল্লাহ (গাজীপুর-৩), এফ এম নুরুল ইসলাম (ঢাকা-১৪), প্রদীপ রায় (নীলফামারী-৩), ইলিয়াস জামান (মুন্সিগঞ্জ-৩), মাহবুব রতন (ঢাকা-১৫), ইমরাদ জুলকারনাইন ইমন (কুমিল্লা-৬), মো. বিপ্লব খান (মুন্সিগঞ্জ-২), আবু রায়হান খান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩), সাইফুল্লাহ সিদ্দিক রুমন (ঢাকা-১৬), আমজাদ হোসেন (পটুয়াখালী-২), জুনেদ আহমেদ (মৌলভীবাজার-৩), আলফাত হোসেন (সাতক্ষীরা-৪), নজরুল ইসলাম (ঝিনাইদহ-১), কায়কোবাদ সাগর (ফেনী-২), জহির রায়হান সাগর (কুমিল্লা-৯), প্রভাষক রিপন চক্রবর্তী (বান্দরবান-১), মো. সেলিমুজ্জামান (ঢাকা-৮), মো. রিপন (ফেনী-২), অপুর্ব নাথ (চট্টগ্রাম-১০), কেরামত আলী (জামালপুর-৬), আবু বক্কর রিপন (ঢাকা-৬), অধ্যাপক আব্দুল কাদের (মানিকগঞ্জ-৩), গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. খালেদ হোসাইন (অব.) (ময়মনসিংহ-১১), জাহাঙ্গির আলম পালোয়ান (গাজীপুর-৪), রফিকুল ইসলাম রাসেল (মাদারীপুর-২), মো. আবদুল কাদের খান (ঝালকাঠি-২), মো. আব্দুল কাদের (রংপুর-৪), মো. নজরুল ইসলাম সরকার (ময়মনসিংহ-৫), আল-আমীন রহমান (কিশোরগঞ্জ-৫), লোকমান হোসেন (গাজীপুর-৫), রেক্সোনা পারভিন (নড়াইল-১), অ্যাডভোকেট বিলকিস নাসিমা রহমান তুহিন (ঢাকা-১৮) ও মিজানুর রহীম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-২)।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চায় এনসিপি, চায় মন্ত্রিসভায়ও হিস্যা’ শিরোনামে সংবাদ ভিত্তিহীন: এনসিপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪৭
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চায় এনসিপি, চায় মন্ত্রিসভায়ও হিস্যা’—এই শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) দলটির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে সংবাদটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দেওয়া হয়।

আজ একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদকে তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চায় এনসিপি, চায় মন্ত্রিসভায়ও হিস্যা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা ও মন্ত্রিসভায় হিস্যা চাওয়ার খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

এনসিপি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট, আসন সমঝোতা বা ক্ষমতা ভাগাভাগি বিষয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত নেয়নি। এমন কোনো প্রস্তাবও দলের নীতিনির্ধারণী পর্ষদে কখনো গৃহীত হয়নি।

এনসিপি বিশ্বাস করে, দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি হবে জনগণের অধিকার, জবাবদিহি, সংস্কার ও গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের। সে লক্ষ্যেই দলটি সারা দেশে সাংগঠনিক প্রস্তুতি ও প্রার্থী যাচাইপ্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে উল্লিখিত তথাকথিত ‘সূত্র’ সম্পূর্ণ অনুমাননির্ভর এবং সাংবাদিকতার মৌলিক নীতির পরিপন্থী। এতে জনগণ বিভ্রান্ত হয়েছে এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।

এনসিপি অবিলম্বে সেই সংবাদপত্রকে প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশ ও সংশোধনী প্রকাশের আহ্বান জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা পুনরায় স্পষ্ট করছি, এনসিপি কোনো দলের কাছে আসন বা মন্ত্রিসভায় অংশগ্রহণের দাবি তোলেনি। আমরা জনগণের আস্থায় একটি বাংলাদেশপন্থী, দায়িত্বশীল ও স্বতন্ত্র রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত