সম্পাদকীয়
সিলেটের উৎমাছড়ায় হঠাৎ একদল মানুষ এসে পর্যটকদের নির্দেশ দিল, এখানে পর্যটকেরা আসতে পারবেন না। যতই নয়নাভিরাম হোক না কেন জায়গাটি, তাতে পর্যটকদের কোনো অধিকার নেই। পর্যটকেরা এসে নাকি জায়গাটির পরিবেশ নষ্ট করছেন। এই খবরের সঙ্গে আরও একটি খবরের উল্লেখ করা দরকার। টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ঈদে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র ‘তাণ্ডব’-এর শো বন্ধ রাখতে বাধ্য করেছেন কিছু মানুষ। আশঙ্কার জায়গা হলো, যাঁরা পর্যটনে বাধা দিচ্ছেন, যাঁরা চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে বাধা দিচ্ছেন, তাঁরা ধর্মীয় পোশাকে এসে কথাগুলো বলছেন। কথাগুলো যৌক্তিক কি না, সেই বিবেচনার সুযোগ নেই। কারণ, ধর্ম একটি স্পর্শকাতর ব্যাপার। তাঁরা ধর্মের নাম করেই নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাইছেন বৃহৎ জনগোষ্ঠীর ওপর।
কথাটা উঠল এ কারণে যে, ধর্মের নাম করে এ ধরনের কার্যক্রম দিনে দিনে বাড়ছে। গত বছরের আগস্টের পটপরিবর্তনের পর ধর্মের নাম করে অনেকেই ফায়দা লোটার চেষ্টা করেছেন। অনেকেরই মনে পড়ে যাবে, দেশের তিনজন অভিনয়শিল্পীকে শোরুম উদ্বোধন করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। লালনের গানে বাধা এসেছে। নারীদের ফুটবলে বাধা দেওয়া হয়েছে। আরও এমন কিছু উচ্ছৃঙ্খলতা প্রদর্শন করা হয়েছে, যাতে মনে হয়েছে আমাদের দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করাটা ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে। সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের সুযোগসন্ধানীদের এমন কোনো কঠোর বার্তা দেওয়া হয়নি, যেন তাঁরা আইন মেনে চলতে বাধ্য হন। এ রকম চলতে থাকলে প্রত্যেকেই নিজ এলাকায় মব-সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত করে ফেলতে পারবেন এবং আইনশৃঙ্খলা বলে কিছুই টিকে থাকবে না।
এ ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা রুখতে হলে প্রথমেই সরকারকে একটি কঠোর বার্তা দিতে হবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী যা যা করার অধিকার আছে, তা পালনে বাধা দেওয়া হলে বাধাদানকারীর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, তার পরিষ্কার ঘোষণা দিতে হবে। বাধাদানকারীরা কোন ধর্মের, কোন গোত্রের, কোন রাজনৈতিক পরিচয় বহন করেন, তা এখানে বিবেচ্য হবে না। সংবিধানে বর্ণিত অধিকারে বাধা দিলে যে কাউকেই আইনের আওতায় আনতে হবে।
দ্বিতীয়ত, স্থানীয়ভাবে এ ধরনের চরমপন্থার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। সমাজে বসবাসকারী মানুষ নিজেদের মধ্যে এমন একটি চুক্তি করবেন, যেখানে স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকারের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা বিকাশের অঙ্গীকার থাকবে। এ দেশে কেউ চাইলেই হঠাৎ করে সেই অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। দুঃখজনক সত্য হলো, আগস্টের পটপরিবর্তনের পর তৌহিদি জনতা নামে কিংবা অন্য কোনো পরিচয়ে যাঁরা মানুষের অধিকারে বাধা দিচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না সরকার। ফলে কেউ যদি মনে করেন, একজোট হয়ে মানুষের স্বাধীনতা হরণ করা যায়, তাহলে তাঁকে কতটা দোষ দেওয়া যাবে?
আমাদের দেশটি যদি গণতান্ত্রিক দেশ হয়ে থাকে, তাহলে গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে অবশ্যই এ ধরনের স্বেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।
সিলেটের উৎমাছড়ায় হঠাৎ একদল মানুষ এসে পর্যটকদের নির্দেশ দিল, এখানে পর্যটকেরা আসতে পারবেন না। যতই নয়নাভিরাম হোক না কেন জায়গাটি, তাতে পর্যটকদের কোনো অধিকার নেই। পর্যটকেরা এসে নাকি জায়গাটির পরিবেশ নষ্ট করছেন। এই খবরের সঙ্গে আরও একটি খবরের উল্লেখ করা দরকার। টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ঈদে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র ‘তাণ্ডব’-এর শো বন্ধ রাখতে বাধ্য করেছেন কিছু মানুষ। আশঙ্কার জায়গা হলো, যাঁরা পর্যটনে বাধা দিচ্ছেন, যাঁরা চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে বাধা দিচ্ছেন, তাঁরা ধর্মীয় পোশাকে এসে কথাগুলো বলছেন। কথাগুলো যৌক্তিক কি না, সেই বিবেচনার সুযোগ নেই। কারণ, ধর্ম একটি স্পর্শকাতর ব্যাপার। তাঁরা ধর্মের নাম করেই নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাইছেন বৃহৎ জনগোষ্ঠীর ওপর।
কথাটা উঠল এ কারণে যে, ধর্মের নাম করে এ ধরনের কার্যক্রম দিনে দিনে বাড়ছে। গত বছরের আগস্টের পটপরিবর্তনের পর ধর্মের নাম করে অনেকেই ফায়দা লোটার চেষ্টা করেছেন। অনেকেরই মনে পড়ে যাবে, দেশের তিনজন অভিনয়শিল্পীকে শোরুম উদ্বোধন করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। লালনের গানে বাধা এসেছে। নারীদের ফুটবলে বাধা দেওয়া হয়েছে। আরও এমন কিছু উচ্ছৃঙ্খলতা প্রদর্শন করা হয়েছে, যাতে মনে হয়েছে আমাদের দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করাটা ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে। সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের সুযোগসন্ধানীদের এমন কোনো কঠোর বার্তা দেওয়া হয়নি, যেন তাঁরা আইন মেনে চলতে বাধ্য হন। এ রকম চলতে থাকলে প্রত্যেকেই নিজ এলাকায় মব-সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত করে ফেলতে পারবেন এবং আইনশৃঙ্খলা বলে কিছুই টিকে থাকবে না।
এ ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা রুখতে হলে প্রথমেই সরকারকে একটি কঠোর বার্তা দিতে হবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী যা যা করার অধিকার আছে, তা পালনে বাধা দেওয়া হলে বাধাদানকারীর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, তার পরিষ্কার ঘোষণা দিতে হবে। বাধাদানকারীরা কোন ধর্মের, কোন গোত্রের, কোন রাজনৈতিক পরিচয় বহন করেন, তা এখানে বিবেচ্য হবে না। সংবিধানে বর্ণিত অধিকারে বাধা দিলে যে কাউকেই আইনের আওতায় আনতে হবে।
দ্বিতীয়ত, স্থানীয়ভাবে এ ধরনের চরমপন্থার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। সমাজে বসবাসকারী মানুষ নিজেদের মধ্যে এমন একটি চুক্তি করবেন, যেখানে স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকারের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা বিকাশের অঙ্গীকার থাকবে। এ দেশে কেউ চাইলেই হঠাৎ করে সেই অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। দুঃখজনক সত্য হলো, আগস্টের পটপরিবর্তনের পর তৌহিদি জনতা নামে কিংবা অন্য কোনো পরিচয়ে যাঁরা মানুষের অধিকারে বাধা দিচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না সরকার। ফলে কেউ যদি মনে করেন, একজোট হয়ে মানুষের স্বাধীনতা হরণ করা যায়, তাহলে তাঁকে কতটা দোষ দেওয়া যাবে?
আমাদের দেশটি যদি গণতান্ত্রিক দেশ হয়ে থাকে, তাহলে গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলকে অবশ্যই এ ধরনের স্বেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত সভা এখন অতীত বিষয়। ওই সভার পর দেশের রাজনীতিতে অনেক কিছুই সমন্বয় হয়ে গেছে এবং এখনো হয়ে যাচ্ছে। রাজনীতি একটি দ্রুত অগ্রসরমাণ বিষয়। তার কয়েক দিনও এক জায়গায় অবস্থানের সুযোগ নেই।
১৯ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি বিশ্বজুড়ে আলোচনায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়—শুধু গবেষণায় নয়, মানবিক দায়বদ্ধতায়ও। যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়টি দেখিয়ে দিয়েছে, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেবল জ্ঞানচর্চার স্থান নয়; বরং তা ন্যায়, স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীল...
১৯ ঘণ্টা আগেএই জীবনে মানুষ হয়ে জন্মানো আর মানুষ হয়ে ওঠা—এই দুইয়ের মাঝে যে সংযোগ, তাকে যদি ‘ম্যাজিক রিয়্যালিজম’ বলি? কথাটির সহজ কোনো মানে কি করা যায়? জীবনের শুরুতে কিংবা বেড়ে উঠতে উঠতে কতটুকুইবা বুঝতে পারা যায়? বোঝাটুকুর জন্যই যে মনের বৃদ্ধি দরকার!
১৯ ঘণ্টা আগেআমাদের দেশে ক্রমান্বয়ে নদী হারিয়ে যাচ্ছে। নদী হলো পরিবেশ, কৃষি, মৎস্য সম্পদ আহরণ, যোগাযোগব্যবস্থা ও সেচের অন্যতম মাধ্যম। সমাজ-সভ্যতার ক্রমবিকাশে নদীর ভূমিকা অনেক। কিন্তু দিন দিন বিভিন্ন কারণে নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। নদীতে বর্জ্য ফেলে যখন নদীকে দূষিত করা হয়, তখন বোঝা যায় আমরা জাতি হিসেবে কতটুকু...
১৯ ঘণ্টা আগে