সম্পাদকীয়
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দখলদার, চাঁদাবাজদের স্থান বিএনপিতে হবে না। খুব ভালো কথা। দেশের সাধারণ জনগণ দখলদার ও চাঁদাবাজবিহীন রাজনৈতিক দলই চায়। বিএনপি যদি তাদের দল থেকে এসব চাঁদাবাজ এবং দখলদারদের হটিয়ে দেয়, তাহলে তা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।
মুশকিল হলো, এ ধরনের অনুপ্রেরণাদায়ক কথাবার্তা রাজনৈতিক মহলে হরহামেশাই বলা হয়ে থাকে। এই চোখরাঙানির সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতির কোনো মিল থাকে না। দলের নেতৃস্থানীয় মহল যেসব কথা বলে থাকে, তা স্থানীয় পর্যায়ের অনেক মাসলম্যানই অগ্রাহ্য করে থাকেন। গত বছর আগস্ট মাসে আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে দখল ও চাঁদাবাজির ঘটনাগুলো ঘটেছে, তার অনেকগুলোই বিএনপির নেতা-কর্মীদের করা। অর্থাৎ পটপরিবর্তনের পর একটি গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ দেশের যে আকাঙ্ক্ষা জন্মেছিল দেশবাসীর মনে, তা ধীরে ধীরে ক্ষীণ হয়ে আসার পেছনে এই ধরনের দখলদারত্ব আর চাঁদাবাজির প্রভাব রয়েছে। শুধু বিএনপির কথা বললেই হবে না, অনাচার তৈরি করার দিকে অন্য অনেক দলেরই ‘সাফল্য’ রয়েছে। ফলে মব সন্ত্রাসকেও পুরোনো বোতলে নতুন মদ হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকারের লোকজনই। ভয়ানক বিশৃঙ্খল মবকে প্রেশার গ্রুপ হিসেবে উল্লেখ করলে তা ইতিবাচক হয়ে যায় না। বরং এর মধ্যে ফ্রাঙ্কেনস্টাইনদের জন্ম হতে থাকে, এ কথা বুঝতে না পারলে বোকার স্বর্গে বসবাস করার বিকল্প নেই। অনৈতিক এবং বেআইনি শক্তি প্রদর্শন করার অর্থ আইনশৃঙ্খলার ভরাডুবি, এটা না বুঝলে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতেই থাকবে এবং তা সামাল দেওয়া একসময় কঠিন হয়ে পড়বে।
চাঁদাবাজি ও দখলদারি করার খবর বের হলে বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে বহিষ্কার করার অনেক ঘটনাই ঘটেছে। কিন্তু যে প্রশ্নটি এড়ানো যাবে না, সেটি হলো, ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই যেভাবে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁদের দন্ত-নখর প্রসারিত করে চলেছেন, ক্ষমতায় গেলে তাঁদের অবস্থা কী হয়ে উঠতে পারে— সে কথা ভাবলেই চোখ কপালে ওঠে। ক্ষমতার খানিকটা ভাগ পেলে কত ধরনের অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটিয়ে ফেলা যায়, তার প্রত্যক্ষদর্শী এখন আমজনতা। দলীয় রাজনীতিতে গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব প্রায় সব দলেই দেখা যায়। এবং অতি দ্রুত যেকোনো দলই গ্রুপিং রাজনীতিতে সিদ্ধহস্ত হয়ে পড়ে। ক্ষমতায় গেলে সেই গ্রুপগুলো যেমন নিজেদের মধ্যে মারামারি করে, তেমনি এলাকার জনগণের জীবন অতিষ্ঠ করে তোলে। এই কথাগুলো রাজনৈতিক ধারাবাহিকতার অংশ হয়ে গেছে।
তাই ভালো ভালো কথা বলার আগে দলের সাংগঠনিক পর্যায়ে নিয়মানুবর্তিতা এবং আইনশৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা থাকা অনেক জরুরি। সংগঠনে সেই গণতন্ত্রের চর্চা থাকলে আগবাড়িয়ে কেউ দখলদারি, চাঁদাবাজির দিকে যাবে না। বরং ভালো কাজের মাধ্যমে জনগণের হৃদয় জয় করার চেষ্টা করবে।
সেই রাজনীতির দিকেই আমজনতা তাকিয়ে আছে, কিন্তু দেশের রাজনীতিবিদেরা সে রকম সংগঠন তৈরি করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে জনগণের সংশয় কাটছে না।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দখলদার, চাঁদাবাজদের স্থান বিএনপিতে হবে না। খুব ভালো কথা। দেশের সাধারণ জনগণ দখলদার ও চাঁদাবাজবিহীন রাজনৈতিক দলই চায়। বিএনপি যদি তাদের দল থেকে এসব চাঁদাবাজ এবং দখলদারদের হটিয়ে দেয়, তাহলে তা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।
মুশকিল হলো, এ ধরনের অনুপ্রেরণাদায়ক কথাবার্তা রাজনৈতিক মহলে হরহামেশাই বলা হয়ে থাকে। এই চোখরাঙানির সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতির কোনো মিল থাকে না। দলের নেতৃস্থানীয় মহল যেসব কথা বলে থাকে, তা স্থানীয় পর্যায়ের অনেক মাসলম্যানই অগ্রাহ্য করে থাকেন। গত বছর আগস্ট মাসে আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে দখল ও চাঁদাবাজির ঘটনাগুলো ঘটেছে, তার অনেকগুলোই বিএনপির নেতা-কর্মীদের করা। অর্থাৎ পটপরিবর্তনের পর একটি গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ দেশের যে আকাঙ্ক্ষা জন্মেছিল দেশবাসীর মনে, তা ধীরে ধীরে ক্ষীণ হয়ে আসার পেছনে এই ধরনের দখলদারত্ব আর চাঁদাবাজির প্রভাব রয়েছে। শুধু বিএনপির কথা বললেই হবে না, অনাচার তৈরি করার দিকে অন্য অনেক দলেরই ‘সাফল্য’ রয়েছে। ফলে মব সন্ত্রাসকেও পুরোনো বোতলে নতুন মদ হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকারের লোকজনই। ভয়ানক বিশৃঙ্খল মবকে প্রেশার গ্রুপ হিসেবে উল্লেখ করলে তা ইতিবাচক হয়ে যায় না। বরং এর মধ্যে ফ্রাঙ্কেনস্টাইনদের জন্ম হতে থাকে, এ কথা বুঝতে না পারলে বোকার স্বর্গে বসবাস করার বিকল্প নেই। অনৈতিক এবং বেআইনি শক্তি প্রদর্শন করার অর্থ আইনশৃঙ্খলার ভরাডুবি, এটা না বুঝলে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতেই থাকবে এবং তা সামাল দেওয়া একসময় কঠিন হয়ে পড়বে।
চাঁদাবাজি ও দখলদারি করার খবর বের হলে বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে বহিষ্কার করার অনেক ঘটনাই ঘটেছে। কিন্তু যে প্রশ্নটি এড়ানো যাবে না, সেটি হলো, ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই যেভাবে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁদের দন্ত-নখর প্রসারিত করে চলেছেন, ক্ষমতায় গেলে তাঁদের অবস্থা কী হয়ে উঠতে পারে— সে কথা ভাবলেই চোখ কপালে ওঠে। ক্ষমতার খানিকটা ভাগ পেলে কত ধরনের অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটিয়ে ফেলা যায়, তার প্রত্যক্ষদর্শী এখন আমজনতা। দলীয় রাজনীতিতে গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব প্রায় সব দলেই দেখা যায়। এবং অতি দ্রুত যেকোনো দলই গ্রুপিং রাজনীতিতে সিদ্ধহস্ত হয়ে পড়ে। ক্ষমতায় গেলে সেই গ্রুপগুলো যেমন নিজেদের মধ্যে মারামারি করে, তেমনি এলাকার জনগণের জীবন অতিষ্ঠ করে তোলে। এই কথাগুলো রাজনৈতিক ধারাবাহিকতার অংশ হয়ে গেছে।
তাই ভালো ভালো কথা বলার আগে দলের সাংগঠনিক পর্যায়ে নিয়মানুবর্তিতা এবং আইনশৃঙ্খলার প্রতি শ্রদ্ধা থাকা অনেক জরুরি। সংগঠনে সেই গণতন্ত্রের চর্চা থাকলে আগবাড়িয়ে কেউ দখলদারি, চাঁদাবাজির দিকে যাবে না। বরং ভালো কাজের মাধ্যমে জনগণের হৃদয় জয় করার চেষ্টা করবে।
সেই রাজনীতির দিকেই আমজনতা তাকিয়ে আছে, কিন্তু দেশের রাজনীতিবিদেরা সে রকম সংগঠন তৈরি করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে জনগণের সংশয় কাটছে না।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। গত বছর জুলাই-আগস্টে দেশে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটে। তখন সাধারণ মানুষের মনে একধরনের ইতিবাচক প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগেবর্ষাকাল এলেই যেন ঢাকায় জলাবদ্ধতা ভর করে বসে। জলাবদ্ধতা যখন এই শহরের ঘাড়ে চেপে বসে, তখন এই নগরের মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আজ এই শহরের এত সমস্যার মুখোমুখি হতে হতো না যদি তারা অপরিকল্পিত নগরায়ণের দিকে না ঝুঁকত, যদি নদী কিংবা খালের স্থান দখল না করে কোনো স্থাপনা করার পরিকল্পনা করত।
১ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের সখীপুর-কচুয়া-আড়াইপাড়া সড়কের যে করুণ অবস্থা, তা আসলে আমাদের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থার অব্যবস্থাপনার এক করুণ প্রতিচ্ছবি। সাত কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক—যেখানে প্রতিদিন স্কুলশিক্ষার্থী, রোগী, কৃষিপণ্যবাহী ট্রাক ও হাজারো সাধারণ মানুষ চলাচল করে।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর হয়ে গেল। ওই অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল। মূলত তারা ফ্যাসিবাদী সরকারব্যবস্থার পতন ঘটিয়ে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিল। মূলত বাংলাদেশের মূল সমস্যা সেটাই যে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে একটি
১ দিন আগে