সম্পাদকীয়
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় পানীয়জলে আর্সেনিক সংকট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সাম্প্রতিক এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, এখানকার ৪৯ দশমিক ১৪ শতাংশ নলকূপে আর্সেনিকের মাত্রা অনুমোদিতসীমার চেয়ে অনেক বেশি। বিশেষত, উপজেলা সদর, নলধা-মৌভোগ, বাহিরদিয়া-মানসা ও পিলজংগ ইউনিয়নে পরিস্থিতি গুরুতর।
কিছু কিছু নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা প্রতি লিটারে ৫০০ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত পাওয়া গেছে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রার (১০ মাইক্রোগ্রাম) তুলনায় ৫০ গুণ বেশি! এই সংকট শুধু পানির গুণগত মানের সমস্যা নয়, এটি একটি বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য হুমকি।
২৩ মার্চ আজকের পত্রিকায় এ-সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। আর্সেনিকজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি সুদূরপ্রসারী। গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করলে ক্যানসার, চর্মরোগ, স্নায়বিক সমস্যা, যকৃৎ, কিডনির জটিলতাসহ নানা প্রাণঘাতী রোগ দেখা দেয়। ফকিরহাটের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য অনুযায়ী, এখানকার অনেক মানুষ এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আর্সেনিকের প্রভাব সরাসরি মৃত্যু ঘটায় না ঠিকই, তবে এটি শরীরে জমে থেকে নানা দুরারোগ্য ব্যাধির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফলে একে একধরনের নীরব ঘাতক বলা যায়।
নলকূপের পানি আর্সেনিকযুক্ত হওয়ায় অনেক স্থানে লাল চিহ্ন দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে বটে, কিন্তু বিশুদ্ধ পানির অন্য কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে বহু মানুষ বাধ্য হয়েই দূষিত পানি পান করছে, যা তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে, যারা সচ্ছল, তারা টাকা খরচ করে বোতলজাত পানি বা অন্য উৎস থেকে পানি সংগ্রহ করছে, কিন্তু নিম্নবিত্ত মানুষ এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে পানিতে লবণাক্ততা ও ভারী ধাতুর পরিমাণও বেড়েছে।
সরকারকে দ্রুত বিকল্প নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। আর্সেনিকমুক্ত গভীর নলকূপ বসানো, পাইপলাইনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ অথবা বড় আকারের পানি পরিশোধন প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে। তা ছাড়া সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রচার-প্রচারণার উদ্যোগ নিতে হবে, যাতে তারা আর্সেনিকযুক্ত পানি পান না করে। স্বাস্থ্যঝুঁকি নিরসনে বিশেষ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে এবং আক্রান্তদের জন্য বিনা মূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
ফকিরহাটের মতো অঞ্চলে আর্সেনিক-দূষণের পাশাপাশি লবণাক্ততা ও ভারী ধাতুর সমস্যা দীর্ঘ মেয়াদে ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। তাই শুধু নলকূপের পানি পরীক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে একটি সমন্বিত জল ব্যবস্থাপনা নীতি গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনকে যৌথভাবে উদ্যোগ নিতে হবে, যাতে পানীয়জলের সংকট নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান পাওয়া যায়।
এটি শুধু ফকিরহাটের সমস্যা নয়; দেশের বিভিন্ন এলাকায় আর্সেনিক-দূষণের প্রকোপ রয়েছে। তাই জাতীয় পর্যায়ে জলপ্রবাহ ও নিরাপদ পানি সরবরাহের ওপর জোর দিতে হবে। সরকার ও সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর পক্ষ থেকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হলে হাজার হাজার মানুষকে স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় পানীয়জলে আর্সেনিক সংকট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সাম্প্রতিক এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, এখানকার ৪৯ দশমিক ১৪ শতাংশ নলকূপে আর্সেনিকের মাত্রা অনুমোদিতসীমার চেয়ে অনেক বেশি। বিশেষত, উপজেলা সদর, নলধা-মৌভোগ, বাহিরদিয়া-মানসা ও পিলজংগ ইউনিয়নে পরিস্থিতি গুরুতর।
কিছু কিছু নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা প্রতি লিটারে ৫০০ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত পাওয়া গেছে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রার (১০ মাইক্রোগ্রাম) তুলনায় ৫০ গুণ বেশি! এই সংকট শুধু পানির গুণগত মানের সমস্যা নয়, এটি একটি বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য হুমকি।
২৩ মার্চ আজকের পত্রিকায় এ-সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। আর্সেনিকজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি সুদূরপ্রসারী। গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করলে ক্যানসার, চর্মরোগ, স্নায়বিক সমস্যা, যকৃৎ, কিডনির জটিলতাসহ নানা প্রাণঘাতী রোগ দেখা দেয়। ফকিরহাটের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য অনুযায়ী, এখানকার অনেক মানুষ এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আর্সেনিকের প্রভাব সরাসরি মৃত্যু ঘটায় না ঠিকই, তবে এটি শরীরে জমে থেকে নানা দুরারোগ্য ব্যাধির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফলে একে একধরনের নীরব ঘাতক বলা যায়।
নলকূপের পানি আর্সেনিকযুক্ত হওয়ায় অনেক স্থানে লাল চিহ্ন দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে বটে, কিন্তু বিশুদ্ধ পানির অন্য কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে বহু মানুষ বাধ্য হয়েই দূষিত পানি পান করছে, যা তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে, যারা সচ্ছল, তারা টাকা খরচ করে বোতলজাত পানি বা অন্য উৎস থেকে পানি সংগ্রহ করছে, কিন্তু নিম্নবিত্ত মানুষ এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে পানিতে লবণাক্ততা ও ভারী ধাতুর পরিমাণও বেড়েছে।
সরকারকে দ্রুত বিকল্প নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। আর্সেনিকমুক্ত গভীর নলকূপ বসানো, পাইপলাইনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ অথবা বড় আকারের পানি পরিশোধন প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে। তা ছাড়া সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রচার-প্রচারণার উদ্যোগ নিতে হবে, যাতে তারা আর্সেনিকযুক্ত পানি পান না করে। স্বাস্থ্যঝুঁকি নিরসনে বিশেষ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে এবং আক্রান্তদের জন্য বিনা মূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
ফকিরহাটের মতো অঞ্চলে আর্সেনিক-দূষণের পাশাপাশি লবণাক্ততা ও ভারী ধাতুর সমস্যা দীর্ঘ মেয়াদে ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। তাই শুধু নলকূপের পানি পরীক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে একটি সমন্বিত জল ব্যবস্থাপনা নীতি গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনকে যৌথভাবে উদ্যোগ নিতে হবে, যাতে পানীয়জলের সংকট নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান পাওয়া যায়।
এটি শুধু ফকিরহাটের সমস্যা নয়; দেশের বিভিন্ন এলাকায় আর্সেনিক-দূষণের প্রকোপ রয়েছে। তাই জাতীয় পর্যায়ে জলপ্রবাহ ও নিরাপদ পানি সরবরাহের ওপর জোর দিতে হবে। সরকার ও সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর পক্ষ থেকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হলে হাজার হাজার মানুষকে স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত সভা এখন অতীত বিষয়। ওই সভার পর দেশের রাজনীতিতে অনেক কিছুই সমন্বয় হয়ে গেছে এবং এখনো হয়ে যাচ্ছে। রাজনীতি একটি দ্রুত অগ্রসরমাণ বিষয়। তার কয়েক দিনও এক জায়গায় অবস্থানের সুযোগ নেই।
১১ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি বিশ্বজুড়ে আলোচনায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়—শুধু গবেষণায় নয়, মানবিক দায়বদ্ধতায়ও। যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নেমে বিশ্ববিদ্যালয়টি দেখিয়ে দিয়েছে, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেবল জ্ঞানচর্চার স্থান নয়; বরং তা ন্যায়, স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীল...
১১ ঘণ্টা আগেএই জীবনে মানুষ হয়ে জন্মানো আর মানুষ হয়ে ওঠা—এই দুইয়ের মাঝে যে সংযোগ, তাকে যদি ‘ম্যাজিক রিয়্যালিজম’ বলি? কথাটির সহজ কোনো মানে কি করা যায়? জীবনের শুরুতে কিংবা বেড়ে উঠতে উঠতে কতটুকুইবা বুঝতে পারা যায়? বোঝাটুকুর জন্যই যে মনের বৃদ্ধি দরকার!
১১ ঘণ্টা আগেআমাদের দেশে ক্রমান্বয়ে নদী হারিয়ে যাচ্ছে। নদী হলো পরিবেশ, কৃষি, মৎস্য সম্পদ আহরণ, যোগাযোগব্যবস্থা ও সেচের অন্যতম মাধ্যম। সমাজ-সভ্যতার ক্রমবিকাশে নদীর ভূমিকা অনেক। কিন্তু দিন দিন বিভিন্ন কারণে নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। নদীতে বর্জ্য ফেলে যখন নদীকে দূষিত করা হয়, তখন বোঝা যায় আমরা জাতি হিসেবে কতটুকু...
১১ ঘণ্টা আগে